গোমস্তাপুরে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

গোমস্তাপুরে কৃষি প্রণোদনার আওতায় খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে বোরো ধান সমলয় পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপপ্ল্যন্টার যন্ত্র দ্বারা চারা রোপণ কার্যক্রমের চাষাবাদের জন্য উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সকালে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের রাইহোগ্রামে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. পলাশ সরকার। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিনে ধান রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি কৃষ্ণ চন্দ্র। অন্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার লাবনী,পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, আব্দুর রাকিব, ইব্রাহিম খলিল, রইসুদ্দিন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়ন রাইহোগ্রাম মাঠে ৫০ একর জমিতে ৪৫০০ প্লাস্টিকের বিশেষ কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে মাটিতে জৈব সার সংমিশ্রণে প্লাস্টিকের ট্রেতে ধান বীজ বপন করা হয়। এবার ব্রি ধান ৮৮ রোপন করা হয়। ২৫-৩০ দিনের মধ্যে চারা রোপণের উপযোগী হয়ে ওঠে। এতে করে বাড়তি সারের প্রয়োজন হয় না। ট্রে‘তে চারা উৎপাদনে জমির পরিমাণও কম লাগে। ট্রে‘তে উৎপাদিত চারা রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিনের মাধ্যেমে জমিতে চারা রোপন করা হয়। প্রচলিত পদ্ধতিতে চারা রোপণের পর ফসল ঘরে তুলতে সময় বেশি লাগে কিন্তু কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে করে কম সময়ে ফসল ঘরে তুলতে পারছে। ওই ব্লকের ৫৫ জন সুবিধাভোগী কৃষক এই পদ্ধিতে চাষাবাদ করছেন। উপ পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদে বীজ বপন থেকে সার প্রয়োগ ও ধান কাটা মাড়াই সবকিছু করা হবে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার দুইটি উপজেলায় গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলায় সমলয় পদ্ধতিতে ১০০ একর জমিতে চাষ করা হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার কারণে কৃষকের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। একটি মাঠে যখন বিভিন্ন জাতের ফসল চাষাবাদ করা হবে। কেউ আগে কেউ পরে রোপণ করবে তখন পরিচর্যা সঠিকভাবে করা সম্ভব হয় না। তাই একই সময় একটা প্লটে একই জাতের ধান চাষাবাদ করা হলে তখন পরিচর্যা করা সহজ হবে এবং ধান কাটার সময় সুবিধা হবে। কৃষিতে যান্ত্রিকরণ হওয়ার কারণে শ্রমিক সংকট নিরসন ও ফসলের ভালো ফলন সহ বিভিন্ন সুবিধা পাবে কৃষকেরা। তাই এই অঞ্চলের কৃষকদের সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার জন্য পরামর্শ দেন।