অস্ট্রেলিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েও বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙা হার
ইশ, স্কোর বোর্ডে যদি আর ১০-১৫টা রান বেশি থাকত! তাহলে নারীদের যে কোন পর্যায়ের ক্রিকেটে এবং যেকোন সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মত জয়ের স্বাদ পেত বাংলাদেশ। আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি, ২০২৫) মালয়েশিয়াতে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অজি বধের খুব কাছে গিয়েও তরী ডুবল বাংলাদেশের। বাঙ্গিতে বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপের সবোমা টসে জিতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক লুসি হ্যামিল্টন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯১ রানের স্বল্প পুঁজি পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। জবাবে অজিরা দুর্দান্ত শুরু করলেও শেষদিকে এসে জান্নাতুল মাওয়ার বোলিং তোপে দিশেহারা হয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত একদম কিনারায় গিয়েও ছোট বাঘিনীদের স্বপ্নের অজি বধ হলো না। অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল ২ উইকেট এবং ৪ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। গোটা ম্যাচের আকর্ষণীয় দিক ছিল দ্বিতীয় ইনিংসের শেষাংশে বাংলাদেশের মেয়েদের বোলিং। একশ রানের কম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার ক্যাট পেলে ও ইনেস ম্যাকিওনের কাছ থেকেই ২৬ রান পেয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এমনকি মাত্র ১ উইকেট খুইয়ে পঞ্চাশ রানে পৌঁছে যায় লুসি হ্যামিল্টনের দল। এরপর শুরু হয় ‘মাওয়া ম্যাজিক’। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচসেরা হওয়া মাওয়ার সাথে বাকিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পরের ১৭ রান (৬৭) তুলতে আরও ৫ উইলেট হারিয়ে বসে অজিরা। এলা ব্রিসকো (১১) একপ্রান্ত আগলে রাখলেও ৮৬ রানে ৮ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তখনও জয় থেকে ৬ রান দূরে তারা। কিন্তু আর উইকেট ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। হাতে ২ উইকেট রেখেই ৯২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ আরও ছোট হতো, যদি ৭ নম্বরে নামা আফিয়া আশিমা ৩৪ বলে ২৯ রানের ইনিংসটি না খেলতেন। ওপেনার সুমাইয়া আক্তারের ১৩ বলে ১৩ রান বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক লুসি। বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছিল। বুধবার (২২ জানুয়ারি, ২০২৫) স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটা খেলবে অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েরা।