দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মুশফিকের ‘প্রথম’

496

মুশফিকুর রহিমের হাত ধরে ঘুচল অপূর্ণতা। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান এই প্রথম সেঞ্চুরি করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগের সেরা ছিল সৌম্য সরকারের ৯০; ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে।
এই ম্যাচের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে মুশফিকের রেকর্ড ছিল বিবর্ণ। আগের পাঁচটি ইনিংস ৬, ১, ২, ৩ ও ২৪ রানের। এবার উপহার দিলেন দুর্দান্ত এক ইনিংস।
ওয়ানডে সিরিজের আগে মোটেও ভালো অবস্থায় ছিলেন না টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক। বাজে দুই হারের দায় কিছুটা ছিল তার কাঁধে। সংবাদ সম্মেলনে বোলারদের সমালোচনা করে নিজেই পড়েছিলেন সমালোচনার মুখে। সংবাদ সম্মেলনে তার কথাবার্তা পছন্দ হয়নি বোর্ডের। সামনে নেতৃত্ব হারানোর শঙ্কা।
সেই মুশফিক ওয়ানডেতে লড়লেন বুক চিতিয়ে। দলকে পথ দেখালেন সামনে থেকে। তার ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি, এতটা চাপে আছেন। শুরু থেকেই খেলেছেন শট। একেকটি চার-ছক্কায় বেড়েছে রানের গতি। চাপও সব যেন সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
মুশফিক যখন ক্রিজে আসেন তখন খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দুটি জুটিতে দলকে গড়ে দেন ভিত। এক প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও মুশফিক ছিলেন অবিচল।
ডেন প্যাটারসনকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৫২ বলে ফিফটিতে পৌঁছান মুশফিক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসকে পরিণত করেন সেঞ্চুরিতে। কাগিসো রাবাদার বলে দুই রান নিয়ে তিন অঙ্কে যান তিনি। ১০৮ বলের ইনিংসে সেঞ্চুরি পেতে দুটি ছক্কার সঙ্গে হাঁকান ১০টি চার।
বাংলাদেশের ইনিংসের মেরুদ- মুশফিকের এই ইনিংস। চারে নেমে শেষ পর্যন্ত ১১০ রানে অপরাজিত ১১৬ বলে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি সেঞ্চুরি আছে মুশফিকের। পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে একটি করে। তার আগের চার সেঞ্চুরির তিনটি দেশের মাটিতে, অন্যটি জিম্বাবুয়েতে।
দক্ষিণ আফ্রিকায়ও বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক। দেশটিতে আগের সেরা ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের ৭৩।
পঞ্চম সেঞ্চুরিতে শাহরিয়ার নাফীসকে (৪) ছাড়িয়ে গেলেন মুশফিক। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল তামিম ইকবাল (৯) ও সাকিব আল হাসানের (৭)।