চলতি বছর হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে প্রাথমিকভাবে ৭৪৭টি এজেন্সিকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম পর্যায়ে অনুমোদিত হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, প্রত্যেক হজযাত্রীর সঙ্গে হজ এজেন্সির লিখিত চুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক এজেন্সি এবার সর্বোচ্চ ৩০০ জন এবং সর্বনিম্ন ১০০ জন হজযাত্রী পাঠানো পারবেন। প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, যেসব এজেন্সির লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে এবং এ পর্যন্ত হালনাগাদ কাগজপত্রাদি মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেনি, বিভিন্ন অভিযোগে শাস্তি/জরিমানা প্রাপ্ত, সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত এবং অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে সেই সব এজেন্সির নাম তালিকায় প্রকাশ করা হয়নি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হবে।