কেন সুপারফুড বলা হয় বিটরুটকে
বিটরুট পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত সবজি। নানারকম পষ্টি উপাদানের ভরপুর লালচে-বেগুনি রঙের এই সবজিকে সুপারফুডও বলা হয়। এই সবজি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিটুরটে রয়েছেন ভিটামিন সি, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপদান। আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার। বিটরুট কেন খাবেন? বিটরুটে রয়েছে ভিটামিন সি ও বিটালাইন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে শরীরর রোগমুক্ত থাকে। ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার আছে বলে ঞম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে বিটরুট। অন্ত্রের নানা সমস্যাও দূর করে। বিটরুটে আছে নাইট্রেট, এটা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, রক্তনালীকে শিথিল করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাসিয়াম হার্ট সুস্থ রাখতে কার্যকর। এটি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। প্রচুর আয়রন আছে বলে বিটরুটে শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। এটা অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করাতেও বেশ কার্যকরী। বিটরুট শরীরকে শক্তি জোগায় এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। তাই খেলোয়াড় ও পরিশ্রমী ব্যক্তিদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী। বিটরুটে আছে বিটালাইন নামে খাদ্য উপদান, এটা শরীরের কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। কীভাবে খাবেন? সালাদে কাঁচা বিটরুট মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া ব্লেন্ড করে জুস বানিয়েও সহজে খাওয়া যায়। বিটরুটের জুস খুবই পুষ্টিকর। সেদ্ধ বিটরুট সহজপাচ্য এবং সুস্বাদু। বিটরুট দিয়ে স্যুপ তৈরি করে খাওয়া যায়। বিটরুটের হালুয়া বা পুডিংও বেশ জনপ্রিয়।
সতর্কতা : অতিরিক্ত বিটরুট খেলে প্রস্রাব ও মল লালচে হতে পারে, এতে অবশ্য ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যাদের কিডনিতে পাথর আছে বা কিডনি জটিলতায় যারা ভুগছেন তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বিটরুট খাওয়া উচিত। শেষ কথা হলো, বিটরুট একটি সুপারফুড, যা নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ ও শক্তিশালী থাকে। এর পুষ্টিগুণ স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই খাদ্যতালিকায় বিটরুট যোগ করুন এবং সুস্থ থাকুন।