শমী কায়সারকে যে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে 

গ্রেপ্তার হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার। গতকাল মঙ্গলবার ৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ডিসি রওনক জাহান। গত আগস্টে শুরু হওয়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবি একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রূপ নেয়। আর সেই আন্দোলনে শুরু থেকে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের মন্তব্য করে বিতর্কিত হন শমী কায়সার। আবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তিরও অভিযোগ ছিল এ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। এ কারণে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা হয়। গত ১৩ অক্টোবর মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া সৈয়দ হাসান মাহমুদ নামের এক বিএনপি কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা রয়েছে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে। গত ৯ অক্টোবর ভুক্তভোগী নিজেই দায়ের করেন মামলাটি। মামলায় এ অভিনেত্রী ছাড়াও আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেত্রী তারানা হালিম, কণ্ঠশিল্পী মমতাজসহ ১৭ জনকে। উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় একজন আহত হওয়ার ঘটনায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। গ্রেপ্তারের পর উত্তরা পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে অভিনেত্রীকে। শমী কায়সার আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। যে পদটি থেকে গত ১৪ আগস্ট পদত্যাগ করেন তিনি।