এনএসসির চিঠি পাওনা বুঝিয়ে দিতে বিসিবিকে

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিসিবি কাছে গেট মানি ও প্রচার স্বত্বের টাকা পাওনা আছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এনএসসি। গত ২৭ অক্টোবর এই অর্থ চেয়ে বিসিবিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাওনার বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির অনুরোধ করেছে এনএসসি। জানা গেছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় টিকিট বিক্রির ১৫ শতাংশ ও প্রচার স্বত্ব বিক্রির ওপর ১০ শতাংশ অর্থ ক্রিকেট বোর্ড থেকে এনএসসির পাওয়ার কথা। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ড এই অর্থ প্রদানে অসহযোগিতা করায় অডিট আপত্তির মুখে পড়েছে এনএসসি। এই পাওনা আদায়ে বহুবার চিঠি প্রদান করা হলেও নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড খুব কমই জবাব দিয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ ২০২৩ সালের জুনে ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৭ টাকা এনএসসিকে দিয়েছিল বিসিবি। এদিকে বিসিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা এনএসসিকে টিকিট ও প্রচার স্বত্ব বিক্রির সঠিক অঙ্ক জানাতেও গড়িমসি করেছে। এর ফগ্লে নিজেদের প্রাপ্য বুঝে পেতে বেগ পেতে হচ্ছে এনএসএসিকে। দেশের ক্রীড়া সংস্থাগুলোর অভিভাবক হিসেবে তাদের দেখভালের দায়িত্ব এনএসসির। তবে বিসিবিতে প্রবল রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় এতদিন ঠিকঠাকভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি তারা। গত জুনেও গেট মানি ও প্রচার স্বত্ত্ব নিয়ে বিসিবিকে চিঠি দিয়েছিল এনএসসি। তবে জুলাই মাসে ফিরতি চিঠিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিভিন্ন স্টেডিয়ামে প্রয়োজনীয় সংস্কার ব্যয় কয়েক কোটি টাকা দেখিয়ে সেখান থেকে এনএসসিকে পাওনা সমন্বয় করতে বলেছিল। সেই সময় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ছিলেন ক্রীড়া মন্ত্রী ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দৃশ্যপট বদলেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উপর নতজানু। এখন এনএসসি চিঠি প্রেরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফিরতি চিঠি দিচ্ছে বিসিবি। বিসিবির বর্তমান সভাপতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক। বিসিবির পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্বার্থ দেখাও তার দায়িত্ব। যদিও বিগত সময়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত বিসিবি পরিচালকরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্বার্থ তো দূরের কথা সম্পর্কই রাখেননি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত পরিচালক হয়ে পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।