ইনিংস ও ২৭৩ রানে হেরে ধবলধোলাই বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম টেস্টে যেভাবে উইকেটের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা তাতে হার নিশ্চিতই ছিল। দেখার বিষয় ছিল, ব্যবধানটা কতটুকু কমাতে পারবেন মুশফিকুর রহিম-নাজমুল হোসেন শান্তরা। ব্যবধানটা শেষ পর্যন্ত থেমেছে ইনিংস ও ২৭৩ রানে। ধবলধোলাই হওয়ার ম্যাচে এতটাই বাজে খেলেছে বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ফলো-অন এড়াতে পারেনি। ফলো-অন এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩৭৬ রান। বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলে করেছে মোট ৩০২ রান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দেড় শ রান পার করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে সেটিও করতে পারেনি। ১৫৯ রানের বিপরীতে টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট ১৪৩ রানে। প্রথম ইনিংসে ৮ জন ব্যাটারের বিপরীতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেনি। ঘরের মাঠে স্বাগতিকদের ধসিয়ে দিল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে অল্পতে অলআউট করতে শুরুটা করেছেন সেনুরান মুতুসামি। ৪ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি স্পিনার শুরুটা করলেও শেষটা করেছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ। ৫৯ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন ১০ নম্বর ব্যাটার হাসান মাহমুদ। ইনিংস ও ২৭৩ রানের হারে বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের পরাজয় টেস্টে। আগের সর্বোচ্চেও বাংলাদেশের নাম। প্রতিপক্ষের মাঠ ব্লুমফন্টেইনে ২০১৭ সালে ইনিংস ও ২৫৪ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানের হারটাই সব মিলিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় পরাজয়। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকায় ইনিংস ও ৩১০ রানের সর্বোচ্চ হারটি হেরেছিল বাংলাদেশ। এ জয়ে একটা অপেক্ষা ঘুচেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০১৪ সালের পর এশিয়ার মাটিতে সিরিজ জিতেছে প্রোটিয়ারা। সিরিজ হিসেবে ৫ সিরিজ পর। ১৭৭ রানের ইনিংস খেলা টনি ডি জর্জির ম্যাচসেরার বিপরীতে সিরিজে ১৪ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন কাগিসো রাবাদা।