‘বাংলাদেশের জন্য অনেক অর্জন করেছেন, সবার সাকিব ভাইয়ের পাশে থাকা উচিত’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে খেলে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তাকে নিয়ে স্কোয়াডও ঘোষণা হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তাজনিত কারণে আসতে পারেননি। টেস্ট শুরুর আগে তার আসা না আসার বিষয়টি ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিন বাংলাদেশের হারের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ম্যাচ। টেস্ট শেষেও আলোচনায় ছিলেন সাকিব। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতে এগিয়ে যায় প্রোটিয়া শিবির। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মলেনে সাকিবের কাছে তার বিদায়ী টেস্ট নিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। সাকিব বাংলাদেশের জন্য অনেক অর্জন করেছে মন্তব্য করে মিরাজ আহ্বান করেছেন সাকিবের পাশে থাকার জন্য, ‘সাকিব ভাইয়ের ইস্যুটা তো আমরা সবাই জানি। তিনি কেন আসেননি বা খেলতে পারেনি এটা আমার মনে হয় না কারো কাছে অজানা। অবশ্যই সাকিব ভাই একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়।’ ‘তিনি বাংলাদেশের জন্য অনেক অর্জন করেছে। আমরা সবাই এটা জানি। এটা অস্বীকার করতে পারব না। যেহেতু সে একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। আমার কাছে মনে হয়, সবাই তার পাশে থাকা উচিত’-আরও যোগ করেন মিরাজ। ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টের আগে সাকিব জানিয়েছিলেন দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলতে চান। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে ফিরবেন দেশে। স্কোয়াড ঘোষণার পর সাকিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলেন। কিন্তু দুবাই আসার পর তাকে সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা দেশে আসার জন্য নিরুৎসাহিত করেন। সাকিব আর আসেননি, তার পরিবর্তে হাসান মুরাদকে নেওয়া হয়।
এই নিয়ে আন্দোলনের ঘটনাও ঘটেছে। সাকিব বিরোধী-সাকিব ভক্তদের মধ্যে হয়েছে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সবশেষে হোম অব ক্রিকেটকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হয়। সাকিবের অবরর্তমানে তার জায়গায় সবচেয়ে বেশি এসেছে মিরাজের নাম। বাংলাদেশ অধিনায়কও বলেছিলেন, মিরাজের উপর তাদের ভরসা আছে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৭ রানের ইনিংস খেলে মিরাজ প্রমাণও দিয়েছেন হাতেনাতে। কিন্তু মিরাজ কী নিজেকে সাকিবের বিকল্প হিসেবে ভাবছেন? ‘আপনারা সবাই এই কথাটা বলেন যে—সাকিব ভাইয়ের জায়গায় আমি! তিনি বাংলাদেশের অনেক বড় অর্জন করেছেন, ১৭ বছর ধরে দেশের হয়ে খেলছেন। একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। আমি মাত্র ১-২ বছর হলো রান করা শুরু করেছি, আর উনি শুরু থেকেই রান করেছেন।’ ‘সাকিব ভাইয়ের জায়গায় সাকিব ভাই, আমার জায়গায় আমি। এক খেলোয়াড়কে আরেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা না করাই বেস্ট। আর আমি ব্যাট করি সাত-আট নম্বরে। আর উনি ব্যাট করতেন টপ অর্ডারে। তো আমার যখন সময় আসবে আমি চেষ্টা করব দলের প্রয়োজনে ভালো ক্রিকেট খেলার।’