ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে ফাইনালে নিউ জিল্যান্ড
প্রতিশোধ, মাঠের খেলায় শব্দটা খুব একটা মাথায় রাখেন না ক্রিকেটাররা। তবে পরিসংখ্যান সেটা ফিরিয়ে আনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আরেকবার প্রতিশোধের খেলা দেখলো বিশ্ব। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে নিউ জিল্যান্ড। ক্যারিবীয় মেয়েদের হারানোর মধ্যে দিয়ে আট বছর আগে বিশ্বমঞ্চের সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের মধুর প্রতিশোধ নিলো নিউ জিল্যান্ড। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৬ রানে হেরেছিল কিউইরা। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান করতে সক্ষম হয় নিউ জিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রানের বেশি করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পারে মাত্র ২৫ রান। ১০ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ৩ উইকেটে ৪৮ রান। পরের ১০ ওভারে ক্যারিবীয়দের দরকার ছিল ৮০ রান। ডিয়েন্ড্রা ডটিন ছিলেন ভরসা হয়ে। তার ২২ বলে ৩৩ রানের ইনিংস দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখায়। শেষ ৪ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৩৪ রান। কিন্তু ডটিন আউট হতেই আশার শেষ আলোটাও নিভে যায়। শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। সুজি বেটসের করা ওভারের প্রথম বলে ৪ মেরে খেলা জমিয়ে তোলেন জায়ডা জেমস। পরের বল ডট। ওভারের তৃতীয় বলে জেমসকে বোল্ড করে নিউ জিল্যান্ডের ফাইনাল নিশ্চিত করেন বেটস। বল হাতে শেষ ওভারে দারুণ করা বেটস এর আগে ব্যাটিংয়েও ভালো অবদান রাখেন। ২৮ বলে ১ চারে করেন ২৬ রান। তার সঙ্গে ৪৮ রানের জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন জর্জিয়া প্লিমার। তিনি ৩১ বলে করেন ৩৩ রান। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। দুই অঙ্ক ছুঁয়েই ফেরেন সোফি ডিভাইন। ২ চারে ৯ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ব্রুক হ্যালিডে। ১৪ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন ইসাবেল গেজ। শিরোপার লড়াইয়ে রোববার (২০ অক্টোবর) নিউ জিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। যেহেতু অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেমিতেই বাদ পড়েছে, সেহেতু এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।