এরপর নোরা বলেছেন তাঁর সংগ্রামের দিনগুলোর কথা, ‘আটটা মেয়ের সঙ্গে রুম ভাগ করে থাকতে হতো আমাকে। আমি যখন মাত্র কাজ করতে শুরু করেছি, তখন সেই মেয়েরা আমার পাসপোর্ট চুরি করে। বাধ্য হয়ে আমাকে ভারত ছাড়তে হয়। ফিরে যেতে হয় কানাডায়।’ এরপর সব শক্তি জড়ো করে আবার দ্বিতীয়বারের মতো সংগ্রাম শুরু করেন ২৭ বছর বয়সী এই বলিউড তারকা। তখন তিনি হিন্দি শেখা শুরু করেন। আর সঙ্গে যোগ হয় অডিশনের ভয়াবহ সব অভিজ্ঞতা। নোরার ভাষায়, ‘আমি বোধ হয় সবকিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। সবাই এমনভাবে আমার মুখের ওপর হাসাহাসি করত, যেন আমি একটা সার্কাস! প্রতিবার ঘরে ফেরার সময় পুরো রাস্তা কাঁদতাম। একজন তো তাচ্ছিল্যের সঙ্গে হাত নেড়ে বিদায় করতে করতে আমাকে বলেছিল, “যেখান থেকে এসেছ, সেখানেই ফিরে যাও। এখানে তোমার কিছুই হবে না।” তখন ঘরে ফেরার সময় আমি কাঁদতাম। সেদিন নিজেকে বলেছিলাম, আমাকে দিয়ে হবে। আমাকে দিয়ে হতেই হবে।’হয়েছেও তাই। সেই দিনগুলো বদলেছে, রঙিন হয়েছে। পেরেছেন নোরা ফাতেহি।