01713248557

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবিতে কলকাতায় ব্যাপক সংঘর্ষ

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার ছাত্র সমাজের ‘নবান্ন ঘেরাও’ কর্মসূচিতে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কলকাতার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে আজ ছাত্র সমাজ নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয়। তারা এসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগও দাবি করেছে। দুপুরের দিকে আন্দোলনকারীদের আটকাতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রেনের মাধ্যমে কন্টেনার নামিয়েছে পুলিশ। এছাড়া আন্দোলনকারীরা যাতে গার্ডরেল কিংবা ব্যারিকেড ধরে ঝাঁকাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে সেগুলোর ওপরে দেওয়া হয়েছে গ্রিজ় এবং মোবিলের পরত।

স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এসময় পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ হয় জমায়েত। আধাঘণ্টা পরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সাঁতরাগাছিতে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। সংঘর্ষের কারণে সাঁতরাগাছি স্টেশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্যারিকেডের উপরে উঠে স্লোগান দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। মিছিল এবং জমায়েত থেকেও স্লোগান উঠেছে, ‘দাবি এক, দফা এক, মমতার পদত্যাগ।’ বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে থাকা কালো পোস্টারেও রয়েছে এই স্লোগান।

হাওড়া সেতুতেও পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা ছিল বিক্ষোভকারীদের। ব্যারিকেডের একাংশ ভাঙতেই জলকামান চালানো শুরু করে পুলিশ। এসময় কাঁদানে গ্যাসও ছোড়া হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। আড়াইটার দিকে হাওড়ার ফোরশোর রোডে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ফের পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে প্রতিবাদীরা। জলকামানও।

কলকাতার পুলিশ ট্রেনিং স্কুল (পিটিএস)-এর কাছেও বিক্ষোভকারীদের আটকাতে জলকামান চালিয়েছে পুলিশ। বেলা ৩টার দিকে নবান্নের প্রায় দোড়গোড়ায় পৌঁছে যায় বিক্ষোভকারীদের একাংশ। হাওড়ার শরৎ চ্যাটার্জি রোডে বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যবহার করা হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল।