শাস্তি স্থগিত রোনালদোর, খেলবেন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতিপক্ষকে কনুই দিয়ে আঘাত করার কারণে লাল কার্ড দেখেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। শঙ্কা দেখা দিয়েছিল, যদি নিয়মানুযায়ী রোনালদোর ওপর দুই ম্যাচ কিংবা তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তাহলে অন্তত বিশ্বকাপের শুরুতে একটি ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি। তবে রোনালদো এবং তার ভক্তদের জন্য সুসংবাদ। রোনালদোর শাস্তি ঠিকই হয়েছে, তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, এর মধ্যে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা এক বছরের জন্য স্থগিত থাকবে। সে হিসেবে আগামী বিশ্বকাপ খেলতে রোনালদোর সামনে আর কোনো বাধা থাকলো না। বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ মিসও করতে হবে না তাকে।

মঙ্গলবার ফিফা জানিয়েছে, রোনালদোর অপরাধকে ‘সহিংস আচরণ’ ও ‘গুরুতর ফাউল প্লে’ হিসেবে বিবেচনা করে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে দুটি ম্যাচ স্থগিত থাকবে এক বছরের প্রবেশন (পর্যবেক্ষণ) শর্তে। অর্থাৎ, রোনালদো এরইমধ্যে বাধ্যতামূলক এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ভোগ করেছেন। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সর্বশেষ ম্যাচটি। যেটাতে আর্মেনিয়াকে ৯-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে পর্তুগাল আগামী বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে।

রোনালদোর বাকি দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের বিষয়ে বলা হয়েছে, আগামী এক বছরে একই ধরনের অপরাধ করলে স্থগিত থাকা দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে।

অন্যদের ক্ষেত্রে বিরল— রোনালদোর জন্য ব্যতিক্রম

ফিফা নিয়ম অনুযায়ী কোনো শাস্তির একটি অংশ স্থগিত রাখা যায়; কিন্তু তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় দুই ম্যাচ স্থগিত করা খুবই বিরল। এ মাসেই আর্মেনিয়া ও বুরুন্ডির দুই খেলোয়াড় একই ধরনের অপরাধে তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পান- তাদের ক্ষেত্রে কোনো স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। রোনালদোর ক্ষেত্রে শাস্তি তুলনামূলক ‘কম’ হওয়ায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে পর্তুগাল ২–০ গোলে হেরে যায়। সেই ম্যাচে রোনালদো রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড ডিফেন্ডার দারা ও’শিয়ার ওপর কনুই দিয়ে আঘাত করলে রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান। এটি ছিল জাতীয় দলের জার্সিতে রোনালদোর প্রথম লাল কার্ড, ২২৬তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে। ক্লাব ফুটবলে এর আগে তিনি ১৩ বার লাল কার্ড দেখেছেন।