জাল টাকা প্রতিরোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জেলা প্রশাসকের


চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সোলায়মান বলেছেন, যানজট নিরসনে বিআরটিএকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচলনা করতে হবে। ইজিবাইক চালকদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। ইজিবাইকের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। কমিউনিটি পর্যায়ে মহল্লায় মহল্লায় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে হবে। এজন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও পুলিশ সবাই একসঙ্গে বসব। ইজিবাইক চালকরা যে অপরাধটা করছে, সে বিষয়টি তাদেরকে বোঝাতে হবে। তাতেও কাজ না হলে পরবর্তীতে আইন প্রয়োগ করা হবে।
আজ জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন— মাদক সমাজ থেকেই আসে, কাজেই মাদক প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। এজন্য কমিউটি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের অবশ্যই ডাকতে হবে। এই কাজটি বাস্তায়বন করার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেন তিনি।
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার কাজী ছাড়াও যারা বিয়ে পড়ান তাদেরকে খুঁজে বের করে মোটিভেশন করতে হবে। এজন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের দিক নির্দেশনা দেন তিনি।
জাল টাকা প্রতিরোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন— শোনা যাচ্ছে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিবেশী দেশ থেকে বাংলাদেশী টাকার মতো দেখতে জাল টাকা আসছে। আপনারা নতুন টাকা গ্রহণের সময় খেয়াল রাখবেন। বিশেষ করে যেসব জায়গায় টাকা লেনদেন হয়, সেসব জায়গায় বিশেষ নজর দিতে হবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ চেম্বার অব কমার্স, পরিবহন মালিক সমিতি, প্রেসের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারাও বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখবেন।
সন্ত্রাস, মাদক, যানজট, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সোলায়মান।
সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন পুলিশ সুপার রেজাউল করিম। সভায় উপস্থিত ছিলেন— ৫৯ বিজিবির মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া, ৫৩ বিজিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানসহ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যগণ।
প্রসঙ্গত, অটোরিকশা বা ইজিবাইক, যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এগুলো রাস্তায় আসায় জনসাধারণ কম ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে পারছে। এতে জনসাধারণ উপকৃত হলেও শহরের রাস্তার কথা বিবেচনায় না নিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি রাস্তায় নামানোর কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। কেউ ভাড়া পাচ্ছে তো কেউ পাচ্ছে না। তবুও প্রতিদিন এসব গাড়ির সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। গোটা শহর চলে গেছে ইজিবাইকের দখলে।
বিআরটিএ বা ট্রাফিক পুলিশ কিংবা পৌরসভা কারো কাছেই এসব যানবাহনের কোনো পরিসংখ্যান নেই। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের নিউমার্কেট, মুরগিপট্টি এলাকা, নিউমার্কেট-ক্লাব সুপার মার্কেট সড়ক, বড়ইন্দারা মোড়, পুরাতন বাজার, নিমতলা, শান্তিমোড়সহ অন্যান্য এলাকার যানজট সরাতে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।