ইন্টারনেট কখন চালু হবে, যা জানালেন পলক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের পাশাপাশি বাইরের দেশ থেকেও মিথ্যা কনটেন্ট দিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, টাকা দিয়ে সেই সব কনটেন্ট বুস্ট করা হচ্ছে। দেশে সহিংস পরিস্থিতি উন্নতি হলে দ্রুতই মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘দীক্ষা-দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষা অনলাইনে’ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে দেশে সহিংসতার জেরে ১৬ জুলাই থেকে মোবাইল ইন্টারনেট স্পটভিত্তিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর ১৭ জুলাই রাত থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল ব্যবহারের ফোরজি ইন্টারনেট সেবা। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা বিষয়ে পলক বলেন, যখন আন্দোলন হয় বা একটা জায়গায় বেশি মানুষের উপস্থিতি হয় তখন টেকনোলজির একটা প্রবলেম হয়। কিন্তু বর্তমানে আমরা খেয়াল করছি, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে গুজব, মিথ্যা অপপ্রচার করাটাকে একটা মিথ্যা অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে একটি গোষ্ঠী। শুধু দেশের ভেতরে থেকে না, বাইরের দেশ থেকেও কিছু কনটেন্ট বুস্ট করা হচ্ছে। টাকা দিয়ে মিথ্যা খবর সবার কাছে পৌঁছে দেওয়াটা একটা অপকৌশল বা ষড়যন্ত্র। তথ্য-উপাত্ত এবং গোয়েন্দা সংস্থার সব বিশ্লেষণ থেকে আমরা মনে করেছি, দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের যতটুকু সক্ষমতা আছে সেটা করা দরকার। এদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করছে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। আমরা সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সাইবার প্ল্যাটফর্মেও চেষ্টা করছি। যে জায়গায় যে ধরনের ভূমিকা নেওয়া উচিত বা প্রয়োজন সেটি আমরা করছি। সেটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখেই আমরা সবার সহযোগিতা পাচ্ছি এবং আপনাদেরও সহযোগিতা কামনা করব। আমাদের হয়তো সাময়িক ক্ষতি হতে পারে বা কষ্ট হতে পারে। আমি বিনয়ের সঙ্গে সবাইকে অনুরোধ করব আপনারা ধৈর্যের সঙ্গে সরকারকে সহযোগিতা করবেন। কতক্ষণ পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে এমন প্রশ্নে পলক বলেন, আগের কোনো ঘোষণা ছিল না। পরিবেশ,পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলার সহযোগিতার স্বার্থে আমরা প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছি। যত দ্রুত পরিবেশটা নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং এই আশঙ্কা থেকে মুক্ত হতে পারবে। আমরা লক্ষ্য করছি, কোথা থেকে করা এই অর্থায়নটা করছে। তার জন্য আমরা ফিজিক্যাল এবং ডিজিটাল ইন্টালিজেন্স জোরদার করছি। আমরা আশা করছি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে পারব।