পদ্মার ভাঙনের শিকার পাঁচশ পরিবার
এবারের বর্ষা মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙনে অন্তত ৫০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পরিবারগুলো বর্তমানে কষ্টে দিন পার করছে। এছাড়া সাম্প্রতিক বন্যায় ৮ থেকে ৯ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে। পরিবারগুলোর মধ্যে চাল-ডালসহ শুকনো খাবার বিতরণ করে প্রশাসনসহ বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা।
শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, পাঁকা ইউনিয়নে ১২৫টি বাড়ি এবার পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনাও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
এদিকে নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, তার ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ভাঙনে এবার ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও বিভিন্ন স্থাপনাসহ ১৯০টি পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত পরিবার। তাদের মধ্যে ৫৫০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়েছে।
আলাতুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, তার ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙনে ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে ১৭০ পরিবারের। শত শত মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে অসহায় ৬০০টি পরিবারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জানায়, এবারের বন্যায় পাঁকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর ও মনাকষা ইউনিয়নের অন্তত ৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর বিওপি ক্যাম্প, আইয়ুব বিশ্বাসের ঘাট ও সদর উপজেলার পোল্লাডঙ্গা বিওপি ক্যাম্প এলাকা এবং আলাতুলি ও নারায়ণপুরসহ প্রায় ৬ কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন চলছে। এর মধ্যে রঘুনাথপুর বিওপি ক্যাম্প ও পোল্লাডাঙ্গা বিওপি ক্যাম্প রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়াও মহানন্দা নদীর মহিপুর এলাকায় ঢান্ডপাড়া ঘাট ও দেবীনগরের হড়মা এলাকায় নদী ভাঙন চলছে বলে তিনি জানান।