চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা পর্যায়ে, গ্রাম আদালত কার্যক্রমের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক সভা

oplus_0

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আয়োজনে আজ সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উজ্জ্বল কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, গ্রাম আদালত আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা, এটি একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে চেয়ারম্যানদের সকলকে এক মনে কাজ করতে হবে। কোন দলের হয়ে কাজ করা যাবে না। অনেকেই এ আদালতের রায় মানেনা বা বিচারের দিন উপস্থিত হননা। মনে করেন চেয়ারম্যান বা ইউনিয়ন পরিষদের কোন ক্ষমতা নেই। গ্রাম আদালতে রায় না মানার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যতদিন রায় মানার সংস্কৃতি না মানতে পারবে ততদিন কোন সমস্যার নিষ্পত্তি হবেনা। তখন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে হাজির হতে হবে।
সভায় ৫ উপজেলার উপজেলা নিবার্হী অফিসার, ৪৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ম্যানেজার হাফিজ আল আসাদ।
বার্ষিক কার্যক্রমে ভূমিকা পালন করায় ১ম স্থান করেন নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়ন, ২য় স্থান অর্জন করেন নাচোল উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও ৩য় স্থান অর্জন করেন ভোলাহাট উপজেলার দলদলি ইউনিয়ন।
হচ্ছে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকার জনগণ বিশেষত নারী, জাতিগত সংখ্যালঘু এবং সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠির মানুষের ন্যায়বিচারের সুযোগ বৃদ্ধি করা। তাই স্থানীয় সরকার বিভাগ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ও সহযোগি সংস্থা ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অরগানাইজেশন ই এস ডিওর মাধ্যমে, জেলার ৫টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নে প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পে কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।