আপনার হার্ট ভালো নেই, বুঝবেন যেভাবে
বিশ্বব্যাপী হৃদরোগ মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ। কখনো কখনো এমন কিছু প্রাথমিক সতর্কতা লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেগুলো আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপেক্ষা করি। হার্টের সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ বোঝা, হৃদযন্ত্র-বান্ধব খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি হৃদরোগ সম্পর্কিত সমস্যা প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, প্রতিরোধ সবসময় নিরাময়ের চেয়ে ভালো।
হৃদরোগের ৫টি প্রাথমিক সতর্কতা লক্ষণ
হৃদযন্ত্রের গঠন এবং কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন অবস্থাকে হৃদরোগ বলা হয়। প্রাথমিক লক্ষণ সনাক্ত করার মাধ্যমে সময়মতো চিকিৎসা করা যেতে পারে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, মূল সতর্কতা লক্ষণের মধ্যে রয়েছে:
বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: প্রায়ই চাপ বা বুক ভারী বোধ হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট: বিশ্রাম বা শারীরিক কার্যকলাপের সময় শ্বাস নিতে অসুবিধা।
গোড়ালি বা পায়ে ফোলাভাব: হৃদপিণ্ডের পাম্পিং দক্ষতা হ্রাসের কারণে তরল জমা।
ক্লান্তি: নিয়মিত কার্যকলাপের সময় অস্বাভাবিক ক্লান্তি।
মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: কোনো বিশেষ কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরা বা জ্ঞান হারানো।
এই লক্ষণগুলো হৃদরোগের নির্দিষ্ট অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, করোনারি ধমনী রোগে প্রায়ই বুকে ব্যথা দেখা দেয়, অন্যদিকে হার্ট ফেইলিওর ফুলে যাওয়া এবং ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে। প্রাথমিক লক্ষণগুলো সনাক্ত করে এবং সময়মতো চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
হৃদরোগের জন্য ডায়েট টিপস
সম্পূর্ণ খাবার গ্রহণ করুন: বিভিন্ন ধরণের ফল, শাক-সবজি, গোটা শস্য, বাদাম এবং বীজ অন্তর্ভুক্ত করুন। এই খাবারগুলোতে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে যা হৃদরোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
স্বাস্থ্যকর চর্বি বেছে নিন: অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো এবং স্যামনের মতো ফ্যাটি মাছের মতো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেছে নিন। এই চর্বিগুলো ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
লবণ এবং চিনি গ্রহণ সীমিত করুন: অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়াতে পারে, অন্যদিকে অতিরিক্ত চিনি খেলে তা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধির করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চিনিযুক্ত পানীয় কমাতে চেষ্টা করুন।
হাইড্রেটেড থাকুন: প্রচুর পাি পান করুন। ডাবের পাি এবং লেবু মিশ্রিত পানি নিয়মিত পান করুন।
পরিমিত খাবার: খাবারের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন থাকুন। এটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করবে, যা আপনার হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ কমাতে পারে।