শিবগঞ্জে কিশোরি গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ, আটক ৩
শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ছোট মহেষপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে আনিলা খাতুন সাথী নামে নববিবাহিতা এক কিশোরি গৃহবধুকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে। সাথীর পরিবার দাবি করেছে, স্বামীর পরিবারের হাতে খুন হয়েছে সাথী। তবে সাথীর স্বামীর পরিবার পুলিশের নিকট দাবি করেছে যে,সাথী আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ সকালে স্বামী আশিক আলীর বাড়িতে এ ঘটনার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাথীর স্বামী,শ্মশুর আনারুল ইসলাম ও শাশুড়ি তাকলিমা খাতুনকে আটক করেছে। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, শনিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে বলে সাথীর স্বামীর পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে। সে সময় বাড়িতে সাথীর শাশুড়ি তাকলিমা খাতুন ও ননদ আসিফা(৭) ছাড়া আর কেউ ছিল না। সাথীর স্মামী ও শ্মশুর কাজের জন্য বাইরে ছিল। তারা কৃষিকাজে জড়িত। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাথীর গলাকাটা মরদেহ এবং গলাকাটায় ব্যবহৃত হাসুয়াটি উদ্ধার করে। পারিবারিক কলহের জেরে ঘটনাটি ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাত্র ২ মাস পূর্বে জেলার সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা গ্রামের আনিকুল ইসলামের মেয়ে সাথীর বিয়ে হয়। ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা সাখীকে হত্যা করা হতে পারে। কাজে যাবার আগে আশিকের পরিবারের একাধিক সদস্য মিলে সাথীকে হত্যা করে থাকতে পারে। ঘটনার তদন্ত চলছে। সাথীর কোন পরকীয়া প্রেমিক ছিল কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ ও ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক বলেন,সকাল ১০টার পর বিষয়টি জানজানি হয়। বাল্যবিয়ের শিকার মেয়েটি বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে শাশুড়ির হাতে খুন হন, আবার নিজ্ইে আত্মহত্যা করেছে, এমন দুরকমই শোনা গেছে। মেয়েটির পরকীয়া প্রেমের ব্যাপারেও শোনা গেছে।