চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছবি নয়, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে পর্দানশীন নারীদের মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ

ছবি নয় বরং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন করেছে পর্দানশীন নারীরা। আজ সকালে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পর্দানশীন নারী সমাজ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে বিষয়টিকে পর্দানশীন নারীদের সাথে বৈষম্য দাবী করে গত ১৬ বছর যাবৎ এই কারণে পর্দানশীন নারীদের নারিকত্ব বঞ্চিত রাখার প্রতিবাদ জানানো হয়। সম্পূর্ণ পর্দা করার কারণে শিক্ষাক্ষেত্রেও নারীরা বঞ্চনার শিকার দাবি করে মানববন্ধন শেষে দাবিসমূহ পূরণের জন্য জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসারকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন তৌফিয়া খাতুন, আহমদ নুরজাহান মতি, মাকসুদা আক্তার, মাহফুজা খাতুনসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা বলেন, শুধু ছবির কারণে অসংখ্য পর্দানশীন নারীর নাগরিকত্ব আটকে রাখা হয়েছে। এ কারেনে ওইসব নারীরা মৌলিক ও নাগিরক অধিকার বঞ্চিত। এনআইডি না থাকায় তাঁরা বিভিন্ন সুবিধা ও সেবা বঞ্চিত। বিগত নির্বাচন কমিশন সমূহের কতিপয় কর্মকর্তা এজন্য দায়ী। তাঁদের বিচার হওয়া উচিত। বক্তরা আরও বলেন, ছবির সাথে চেহারা মেলানো আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের (এআই) যুগে সেকেলে পদ্ধতি। পরিচয় শনাক্তের আরও অনেক আধুনিক ও নির্ভূল পদ্ধতি রয়েছে। অনেক সরকারি কর্তৃপক্ষই পরিচয় শনাক্তের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে কারণ চেহারা পরিবর্তণশীল। এসবের কিছু উদাহরণ তুলে ধওে তাঁরা আরওে বলেন, ছবি ছাড়াই নাগরিকত্ব পাওয়া সাংবিধানিক ও মানবাধিকারের অন্তর্ভূক্ত বলে তাঁরা দাবি করেন। কাউকে চেহারা দেখানো বা না দেখানো একান্তই ব্যাক্তিগত বিষয়। এ ছাড়া ছবির অপব্যবহার ঝুঁকি রয়েছে।
পর্দানশীন নারীরা বলেন, গত জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছির বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার। পর্দনশীন নারীরা এখন ১৬ বছরের বৈষম্যর সমাপ্তি চান। তাঁরা মূল তিনটি দাবি তুলে তরেন। এসব হচ্ছে, যে সব ইসি কর্মকর্তা ১৬ বছর পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছে তাঁদের বিচার,পর্দানশীন নারীদের ব্যাক্তিগত গোপননীয়তা বজায় রেখে ছবি ছাড়াই ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার ক্ষেত্রে নারী কর্মীদের ব্যবহার করা।