অক্টোবরে বাংলাদেশে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৩ ভেন্যুতে ম্যাচ

অক্টোবরে বাংলাদেশে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৩ ভেন্যুতে ম্যাচ বাংলাদেশে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। আগামী মাসে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে ও ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল।বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১৫ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছাবে ক্যারিবিয়ানরা। এরপর শুরু হবে সাদা বলের এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। সূচি অনুযায়ী, ওয়ানডে দিয়ে মাঠে গড়াবে লড়াই। সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাকি একটি ওয়ানডে ও প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সবশেষ দুটি টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ১৮ অক্টোবর শুরু হয়ে ১ নভেম্বর শেষ হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। এই সফরের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর আবারও ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সাদা বলের ক্রিকেট খেলবে টাইগাররা।
ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৭৩

ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৭৩ গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারাদেশে ৪৭৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) সাতজন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের এ যাবত ৩০ হাজার ৮১৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৫০১ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক সাত শতাংশ পুরুষ ও ৪০ দশমিক তিন শতাংশ নারী রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে ১২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫৭৫ জনের।২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ দিনে আরো ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ দিনে আরো ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ৩ জন ও বহির্বিভাগে ৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮ জন। তাদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা ও ১ জন শিশু রোগী রয়েছেন। অন্যদিকে জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২ জনকে। তাদের মধ্যে ১ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা রয়েছেন। অন্যদিকে গোমস্তাপুর ভর্তি আছেন ১ জন পুরুষ রোগী ভর্তি আছেন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ৭৮৪ জন। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ২৪০ জন।
পদ্মা মহানন্দায় চলছে তীব্র ভাঙন; বাখর আলীতে উড়ে গেছে বাঁধ

পদ্মা মহানন্দায় চলছে তীব্র ভাঙন; বাখর আলীতে উড়ে গেছে বাঁধ চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা ও মহানন্দা নদীর তীব্র ভাঙনে বলিীন হচ্ছে সবকছিু। বাখরে আলীতে বামতীর সংরক্ষণ বাঁধ নদীর্গভে চলে গেছে। জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজলোর হড়মা, পোল্লাডাঙ্গা, বাখরে আলী ও নারায়ণপুর এবং শবিগঞ্জ উপজলোর রঘুনাথপুর, গাইপাড়া, আইয়ুব বশ্বিাসরে ঘাট এলাকা পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনরে কবলে পড়ছে।ে পোল্লাডাঙ্গা ও রঘুনাথপুরে ভাঙন রোধে বালুর্ভতি জওি ব্যাগ দয়িওে কাজ হচ্ছে না। একদকিে জওি ব্যাগ দয়িে ভাঙন আটকানোর চষ্টো করা হচ্ছ, অন্যদকিে পরদনিই বালুর্ভতি ব্যাগ ভাঙনরে কবলে পড়ে বলিীন হয়ে যাচ্ছ। এখানে এরই মধ্যে প্রায় ৯০ মটিারজুড়ে বাঁধ ভেঙ গেছে। এদকিে বাখরে আলীতে পদ্মা নদীর বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পরে আওতায় সসিি ব্লক দয়িে নর্মিতি বাঁধ তীব্র ভাঙনে বলিীন হয়ে যাচ্ছ। ফলে নতুন এলাকা গ্রাস করছে র্সবগ্রাসী পদ্মা। পানি উন্নয়ন র্বোড সূত্র জানয়িছে, পদ্মা নদীর বামতীর ও ডানতীর মলিে অন্তত ১০ কলিোমটিারজুড়ে ভাঙন চলছে। অন্যদকিে সদর উপজলোর হড়মা ও গোমস্তাপুর উপজলোর ব্রজনাথ এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন র্বোডরে উপবভিাগীয় প্রকৌশলী রাকবিুল ইসলাম ভাঙনরে এই তথ্য নশ্চিতি করছেনে। এদকিে সদর উপজলো প্রকল্প বাস্তবায়ন র্কমর্কতা শাহীনুর আলম জানান, এবার পদ্মা নদীর ভাঙনে সদর উপজলোর নারায়ণপুর ইউনয়িনে প্রায় ১৬০টি পরবিার ক্ষতগ্রিস্ত হয়ছে। তারা তাদরে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। শিবগঞ্জ উপজলো প্রকল্প বাস্তবায়ন র্কমর্কতা মজিানুর রহমান জানান, পদ্মা নদীর ভাঙনে কবলে পড়ে ২৪০টি পরবিার তাদরে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরয়িে নয়িছে। এছাড়া ৪টি পরবিাররে ঘরবাড়ি নদীতে বলিীন হয়ে গেছে। খােঁজ নয়িে জানা গেছে, ভাঙনকবলতি এলাকাগুলোর ঘরবাড়ি ছাড়াও ফসলি জমি, আমগাছসহ অন্যান্য গাছপালা, মসজদি, ইউনয়িন পরষিদ কমপ্লক্সে নদীতে বলিীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন র্বোডরে উপবভিাগীয় প্রকৌশলী রাকবিুল ইসলাম বলনে— ভাঙন ঠকোনোর জন্য কছিু কছিু জায়গায় বালুর্ভতি জওি ব্যাগ ফলো হচ্ছ। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। আজ ফলেছি তো কালকইে ভঙেে যাচ্ছ। তবওে আপ্রাণ চষ্টো করা হচ্ছ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মাসব্যাপী মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মাসব্যাপী মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু চলতি বছর শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৩ সহস্রাধিক ডেঙ্গুরোগি ভর্তি ও শনাক্তের বাস্তবতায় মশক নিধন ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় মাসব্যাপী বিশেষ কার্যক্রম শুরু করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা। আজ সকালে পৌর কর্মচারী সংসদের আয়োজনে পৌর ভবন প্রাঙ্গণ থেকে এ উপলক্ষে একটি সচেতনতামূলক র্যালী বের করা করা হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে র্যালীটি পূনরায় পৌর ভবনে ফিরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। যুব রেডক্রিসেন্ট, স্কাউটস, পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা র্যালীতে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সরঞ্জাম নিয়ে অংশ নেন। র্যালী থেকে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে পৌরবাসীকে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতায় অংশ নিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়। র্যালী শেষে পৌর কর্মচারী সংসদ সভাপতি এনামুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ, পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী তৌফিকুল ইসলামসহ অন্যরা। বক্তারা বলেন, সাধারণ জনগন সচেতন হয়ে সহযোগিতা না করলে মশক নিধণ বা পরিচ্ছন্নতা রক্ষা কোনটাই সম্ভব নয়। নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরে সেপ্টেম্বর মাসের প্রতি মঙ্গলবার র্যালী করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সচেতনতামেূলক কার্যক্রম চালানো হবে বলেও জানান তাঁরা। এদিকে জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর আজ পর্যন্ত শুধু জেলা হাসপাতালেই ১ হাজার ৭৮৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। বর্হি:বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৪০ জন। এ পরিসংখ্যানের বাইরে জেলার আরও ৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে বহু রোগি ভর্তি ও শনাক্ত হয়েছেন। অনেকে ব্যাক্তিগতভাবে ও চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারে শনাক্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকে রাজশাহী ও ঢাকায় উন্নত চিকিৎসা নিয়েছেন। মৃত্যুরও বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ডেঙ্গু বিপর্যস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিদিন রোগি বাড়তে থাকা এ রোগ নিয়ে এখন আতংকিত মানুষ।
অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারে গ্রামীণফোনকে আইনি নোটিশ

অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারে গ্রামীণফোনকে আইনি নোটিশ কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী শাহ আবদুল করিমের দুটি গান অনুমতি না নিয়ে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করার অভিযোগে টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেড এর কাছে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে তার পরিবার। ‘রঙিলা বাড়ৈ’ ও ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইছে’ গান দুটি গ্রামীণফোন লিমিটেড ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শাহ আবদুল করিমের পুত্র শাহ নূরজালালের পক্ষে ব্যারিস্টার রাজিন আহমেদ (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট) ২৭ আগস্ট গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমানের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে এ নোটিশ প্রদান করেন।ওই নোটিশে বলা হয়েছে, গ্রামীণফোন অনুমতি, লাইসেন্স বা স্বীকৃতি ছাড়া শাহ আবদুল করিমের কপিরাইটকৃত গান টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ও ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৬ সালের একটি টিভিসি (ইউটিউবে প্রচারিত) এবং ২০২২ সালের একটি বিজ্ঞাপন (ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারিত)। কপিরাইটকৃত সংগীত অনুমতি ছাড়া পুনরুৎপাদন ও সম্প্রচার নৈতিক অধিকারের লঙ্ঘন। জিপির ফোরজি প্রচারণায় ব্যাপক বাণিজ্যিক লাভসহ সংগীতকর্মের অতিরিক্ত বাণিজ্যিক ব্যবহার প্রকৃত কপিরাইটধারীর ক্ষতির বিনিময়ে অন্যায়ভাবে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ। নোটিশে আরও বলা হয়েছে, শাহ আবদুল করিমের গান অবিলম্বে অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। ইউটিউব, ফেসবুক টেলিভিশনসহ সব প্ল্যাটফর্ম থেকে লঙ্ঘনকারী কন্টেন্ট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে। শাহ আবদুল করিমকে লেখক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ কোটি টাকা (প্রতিটি গান অনুযায়ী ১০ কোটি টাকা) প্রদান করতে হবে। ভবিষ্যতে এমন লঙ্ঘন আর না করার বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এতে বলা হয়েছে- যদি গ্রামীণফোন ৭ দিনের মধ্যে উল্লিখিত দাবি পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে শাহ আবদুল করিমের পরিবার কপিরাইট আইন, ২০২৩ অনুযায়ী দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করবে। শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নূরজালাল বলেন, ‘আমরা গ্রামের মানুষ। আইন-কানুন অতোটা বুঝিনা। বাবার সব গান কপিরাইট করা আছে। এমনি অনেকেই গান করেন সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে গান ব্যবহার করলে আমাদের অনুমতি নেওয়াতো উচিত। সেখান থেকে যে আয় হয় তারও একটা অংশ আমাদের দেওয়া উচিত। তা না হলে কেমন হয় বিষয়টা। আইনি নোটিশ প্রদানকারী ব্যারিস্টার রাজিন আহমেদ বলেন, ‘শাহ আবদুল করিমের গান কেবল সংগীত নয়, এগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের অংশ। ‘রঙিলা বাড়ৈ’, ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইছে’ দুটি গান ব্যবহার করেছে গ্রামীণফোন। অনুমতি ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুধু অবৈধ নয়, বরং চরম অসম্মানজনক। আমরা তার উত্তরাধিকার রক্ষায় আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাই গ্রহণ করব।
স্ট্যাটাস দেই আর গালি শুনি জয়

স্ট্যাটাস দেই আর গালি শুনি জয় অভিনেতা, নির্মাতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। বর্তমানে কাজের চেয়ে বেশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই সরব তিনি। বিভিন্ন মন্তব্য করে প্রায়ই থাকছেন আলোচনায়। জয় মূলত আলোচনায় আসেন উপস্থাপনা দিয়ে। তার আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করাই ছিল একমাত্র কাজ। এ নিয়েও বেশ কয়েকবার অপমান-অপদস্থ হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে এসব ছাপিয়ে নানা ইস্যুতে মন্তব্য করেই বেশি আলোচনায় থেকেছেন তিনি। বিশেষ করে, গেল বছর ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর। এবার জয় তার ফেসবুক পোস্টে মৃত্যুভয়, গালি খাওয়ার কথা ও মনের কষ্ট প্রকাশ করেছেন। লিখেছেন, ‘যদি অপরাধী হতাম তাহলে চুপচাপ থাকতাম। স্ট্যাটাস দিতাম না। আশেপাশে এমন অনেক আছে। অথচ আমি স্ট্যাটাস দেই আর গালি শুনি। অনেকে ভয়ও দেখায়। যারা চুপ তাদের অপরাধ কেউ মনেও করে না। তাদের কেউ গালিও দেয় না।

রঙিন জীবন ভালো মেয়েদের জন্য না বর্ষা অভিমান নিয়েই শোবিজ ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই সময়ের চিত্রনায়িকা রাজ রিপা। শুধু মিডিয়াই নয়, ইটকাঠের এই শহর ছাড়ার কথাও জানান এই চিত্রনায়িকা। তার ক্ষোভ- নির্মাতা ইফতেখার চৌধুরীকে নিয়ে। রাজ রিপার সেই ক্ষোভের বিষয়টি নজরে এসেছে চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষার। আজ ০২ সেপ্টেম্বর এক ফেসবুক পোস্টে বর্ষা লেখেন, স্বপ্ন মাটি চাপা দিবা দাও কিন্তু এমন স্বপ্ন মাটি চাপা দিওনা যে স্বপ্ন জেগে আছে কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তোমার জীবনের সিদ্ধান্ত তোমাকেই নিতে হবে, যার কেউ নেই তার জন্য আল্লাহ আছেন। তোমার মত কেউ কেউ এমন কঠিন জীবনযাপন করছে এই মিডিয়ায় তা তুমি আমি ভালো করে জানি। আমাকে নিয়ে ভেবে দেখবা, আমি ইচ্ছে করলে নিজেই সিনেমা ইনভেস্ট করতে পারি কিন্তু আমার কাছে এসব কিছুই আর ভালোলাগে না। তিনি আরও লেখেন, আসলে ভালো মন, নরম মনের মেয়েদের জন্য এই রঙিন জীবন না রিপা! চামড়া যাদের অনেক শক্ত শত শত কমেন্টের জন্য যাদের কিছু আসে যায় না তারাই এই জীবনে ভালো থাকবে। মিলিয়ে নিও, তুমিও জানো ভালো করে কি করলে কি হয়। নামাজ পড়ে আল্লাহ পাক কে বল, তোমার মনে যেনো শান্তি পায়। এরপর রাজ রিপার ‘মুক্তি’ সিনেমার মহরতের কথা স্মরণ করে বর্ষা লেখেন, আমিও গিয়েছিলাম তোমার এই ‘মুক্তি’ সিনেমার মহরতে। অবাক হলাম এই সিনেমা এখনও শুটিং শেষ হয়নি? যদি ভুল না হয়, ২০২০ সালের অক্টোবর বা ডিসেম্বরে এর মহরত হয়েছিল। নতুন শুরু দিয়ে নতুন স্বপ্ন নিয়ে- জীবনকে আবার ভাবতে শিখতে পার। হেরে যাওয়া কিন্তু সমাধান নয়। সবশেষে বর্ষা লেখেন, দোয়া রইল তোমার জন্য। বয়স আর কত তোমার, অনেক সময় পড়ে আছে তোমার জন্য, নিজেকে নতুন ভাবে সাজাও। বোকা মেয়ে তুমি, ব্যর্থ তুমি হওনি, ব্যর্থ সেই যে তার ওয়াদা রক্ষা করতে পারেনি! বলে রাখা যায়, ইতোমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে রাজ রিপা অভিনীত সিনেমা ‘ময়না’। তবে ২০২০ সালে ‘দহন’ সিনেমায় একটি ছোট চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। এরপর ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত ‘মুক্তি’ সিনেমায় অভিনয় করেন। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। সিনেমা ছাড়াও বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন রাজ রিপা।
যে কারণে আশীর্বাদ টাইটানিক থেকে বাদ পড়া

যে কারণে আশীর্বাদ টাইটানিক থেকে বাদ পড়া জেমস ক্যামেরনের আইকনিক সিনেমা ‘টাইটানিক’-এ জ্যাক ডসনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। ছবিটি তাকে বিশ্বব্যাপী তারকাখ্যাতি এনে দিয়েছে। এই চরিত্রে কাজের কথা ছিল অস্কার মনোনীত অভিনেতা ইথান হকের। তবে সেটি আর হয়ে উঠেনি। এ নিয়ে কি মন খারাপ হয়? অভিনেতা জানিয়েছেন, কখনোই না। বরং ‘টাইটানিক’ ছবিতে জ্যাক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ না পাওয়াটাকে আশীর্বাদ বলে মনে করেন তিনি। সম্প্রতি ব্রিটিশ জিকিউ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইথান হক বলেন, ‘আমি মনে করি না আমি লিওর মতো সেই সাফল্য সামলাতে পারতাম। সে ছিল একেবারে ‘বিটলস’-এর মতো। পাগলামির পর্যায়ের জনপ্রিয়তা ছিল তার। সে সেটা দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। নিজের ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে গেছে অবিশ্বাস্যভাবে। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘টাইটানিক’ ইতিহাস গড়েছিল বিশ্বব্যাপী। প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলার আয় করা এই সিনেমা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে নিয়ে গিয়েছিল তারকাখ্যাতির শিখরে। তবে ইথান হক সে সময় অভিনয় করেছেন ‘গ্রেট এক্সপেক্টেশান’, ‘হেমলেট’-এর মতো ছবিতে। তার ভাষায়, তিনি তারকাখ্যাতির চেয়ে সবসময় অভিনয় দিয়ে এগিয়ে যেতে চেয়েছেন। সেটা তিনি পেরেছেন। তার ভাষ্য, ‘তারকাখ্যাতি আসলে অপমানজনক।’ ইথান হক বলেন, ‘যখন কেউ তোমার সম্পর্কে কাগজে ভালো কথা লিখে সেটাও একরকম অপমানজনক মনে হয়। খারাপ বললে তো কথাই নেই। তিনি জানান, সত্যিকারের ‘তারকাখ্যাতি’র স্বাদ তিনি পেয়েছিলেন যখন উমা থারম্যানের সঙ্গে তার সম্পর্ক শুরু হয়। তখন থেকে ট্যাবলয়েড ও মিডিয়ার চাপে তিনি স্বাভাবিক জীবন থেকে দূরে সরে যান। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ট্রেইনিং ডে’ সিনেমার জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতার বিভাগে অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন ইথান হক। যদিও তিনি সেই পুরস্কার জিততে পারেননি তবে সহ-অভিনেতা ডেনজেল ওয়াশিংটন তাকে বলেছিলেন, ‘জিতো না তো ভালোই। তুমি চাও না পুরস্কার তোমার মর্যাদা বাড়াক। বরং তুমি এমন হও যে তোমার জন্য পুরস্কারটা মর্যাদাবান হয়ে ওঠে। ১৯৯৮ সালে উমা থারম্যানকে বিয়ে করেন ইথান হক। সেই বছরই জন্ম নেয় তাদের মেয়ে মায়া হক। যিনি এখন নিজেও একজন অভিনেত্রী। ২০০২ সালে জন্ম নেয় ছেলে লেভন হক। তবে এই দম্পতি ২০০৫ সালে বিচ্ছেদে যান।
শাকিব–অপু জয়কে নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন

শাকিব–অপু জয়কে নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। রেকর্ড সংখ্যক সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করে দর্শকের কাছে পছন্দের তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছিলেন তারা। শুধু পর্দায় নয়, ব্যক্তিজীবনেও প্রেম থেকে সংসার, সবকিছুই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তাদের একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়কে এবার উচ্চমানের শিক্ষার পরিবেশে বড় করতে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, ছেলে জয়কে পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাঠাবেন। এবার আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, খুব শিগগির জয়কে নিয়ে উড়াল দেবেন সিঙ্গাপুরে; সঙ্গে থাকতে পারেন সন্তানের বাবা শাকিব খানও। অপু বিশ্বাস বলেন, “জয় সিঙ্গাপুরে একটি স্কুলে ভর্তি হবে। সে সেখানেই পড়ালেখা করবে। আমরা কিছুদিন ওই দেশেই থাকব।” এই সিদ্ধান্ত শাকিব খানের সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হয়েছে। এ তথ্য উল্লেখ করে অপু বিশ্বাস বলেন, “ছেলেকে দেশের বাইরে পড়াশোনা করানোর বিষয়ে আমার আর জয়ের বাবার মধ্যেই আলোচনা হয়েছিল। তবে কীভাবে সেটা বাইরে চলে এলো জানি না। আমি আসলে একটু নিজের মধ্যে রাখতেই পছন্দ করি।” তবে জয়কে সিঙ্গাপুরের স্কুলে ভর্তি করানোর পর স্থায়ীভাবে সেখানে ঠিকানা গড়বেন কি না— সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি অপু। ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ছেলে জয়কে সঙ্গে নিয়ে সিঙ্গাপুর সফর করেছিলেন অপু বিশ্বাস। তখন থেকেই ছেলেকে সেখানকার স্কুলে ভর্তি করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।