ডাঙ্কি-সুলতানকে পেছনে ফেলে আয়ের শীর্ষে সাইয়ারা

ডাঙ্কি-সুলতানকে পেছনে ফেলে আয়ের শীর্ষে সাইয়ারা চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত হিন্দি সিনেমা ‘সাইয়ারা’ মুক্তির সাত সপ্তাহ পর থিয়েটার থেকে বিদায় নিয়েছে। নবাগত তারকা আহান পাণ্ডে ও অনীত পাড্ডার এই ছবি বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় তুলেছে এবং একাধিক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সিনেমাটি ৪৮ দিন ধরে হলে প্রদর্শিত হয়েছে, আর শুধু ভারতেই এর আয় দাঁড়িয়েছে ৩২৯.২৫ কোটি রুপি। এর মাধ্যমে ‘সাইয়ারা’ ভারতের ১৪তম সর্বোচ্চ আয়কারী হিন্দি সিনেমা হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। ছবিটি সালমান খানের ‘সুলতান’ (৩০০ কোটি), সঞ্জয় লীলা বনসালীর ‘পদ্মাবত’ (৩০২ কোটি) এবং কার্তিক আরিয়ানের ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ (২৬০ কোটি)-এর মত জনপ্রিয় সিনেমাগুলোকে পেছনে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও ‘সাইয়ারা’র দাপট ছিল চোখে পড়ার মত। কোনো সুপারস্টার না থাকা সত্ত্বেও ছবিটি আয় করেছে ১৯.৫ মিলিয়ন ডলার, যা নিঃসন্দেহে একটি বড় সাফল্য। সব মিলিয়ে বিশ্বব্যাপী ছবিটির মোট আয় ৫৭০ কোটি রুপি। এই বিশাল অঙ্কের আয়ের ফলে ‘সাইয়ারা’ এই বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় সিনেমার তকমা পেয়েছে। ৫৭০ কোটি রুপি আয়ের কারণে ‘সাইয়ারা’ শাহরুখ খানের ‘ডাঙ্কি’ (৪৫৫ কোটি), সালমান খানের ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ (৫৫৮ কোটি), রণবীর কাপুরের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ (৪৩১ কোটি), এবং সর্বকালের ব্লকবাস্টার ‘থ্রি ইডিয়টস’ (৪৬০ কোটি) ও ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ (৪২২ কোটি)-এর মতো ছবিকে ছাড়িয়ে গেছে। মোহিত সুরি পরিচালিত এবং ওয়াইআরএফ সিইও অক্ষয় বিধানী প্রযোজিত এই ছবিতে একজন মেজাজী গায়ক (আহান) এবং একজন গীতিকারের (অনীত) প্রেমের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন রাজেশ কুমার, বরুণ বাদোলা, শাদ রান্ধাওয়া, গীতা আগ্রওয়াল শর্মা, আলম খান এবং শান গ্রোভার। ছবিটি সমালোচক ও দর্শক—উভয়ের কাছ থেকেই দারুণ প্রশংসা পেয়েছে।

মোনালি ঠাকুরের সংসারে ভাঙনের সুর!

মোনালি ঠাকুরের সংসারে ভাঙনের সুর! বিদেশি প্রেমিক সুইজারল্যান্ডের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী মাইক রিচারেরকে বিয়ে করেছিলেন ভারতের বাঙালি গায়িকা মোনালি ঠাকুর। এবার শোনা যাচ্ছে, ভেঙে যাচ্ছে তাদের সংসার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, মোনালি-মাইক রিচার দাম্পত্য জীবনে কঠিন সময় পার করছেন। সম্ভবত তারা বিচ্ছেদের দিকে এগোচ্ছেন। যদিও এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দেননি মোনালি কিংবা মাইক। গত বছর মোনালির মায়ের মৃত্যুর আগে স্পষ্ট হয় মোনালি-মাইকের সম্পর্ক ঠিক নেই। স্বামীর সঙ্গে সব ছবি মুছে ফেলেন গায়িকা। সম্পর্কে ফাটল ধরেছে তা বুঝতে কারো বাকি ছিল না। সামাজিকমাধ্যমে মাইককে অনুসরণ করেন না মোনালি। এই দম্পতির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, এই কয়েক বছরে তাদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে; দম্পতি হিসেবে এখন আর কেউ তাদের নিয়ে কথা বলে না। দীর্ঘ দূরত্বের বিয়ে সাধারণত এই ধরনের পরিণতির মুখোমুখি হয়। মাইকের সঙ্গে মোনালি প্রেম করছেন এ খবর সবাই জানতেন। কিন্তু গোপনে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তারা; যা পুরোপুরি আড়ালে রেখেছিলেন মোনালি। ৩ বছর পর গোপন বিয়ের খবর জানান এই গায়িকা। ২০১৭ সালে বিয়ে করেন মোনালি ও মাইক। এক সাক্ষাৎকারে এই গায়িকা বলেছিলেন, আমার বিয়ের খবরটি শুনে অনেকেই হয়তো কষ্ট পাবেন কারণ ইন্ডাস্ট্রির অনেক বন্ধুই বিষয়টি জানেন না এবং তাদের আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। আমরা চাইছিলাম অনুষ্ঠান করে ঘোষণা দিব কিন্তু এভাবেই তিন বছর পার হয়ে গেছে। মাইকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর ঘটনা বর্ণনা করে মোনালি বলেছিলেন, সুইজারল্যান্ডে ঘুরতে গিয়ে মাইকের সঙ্গে আমার পরিচয়। তখনই আমাদের প্রেম হয়ে যায়। শুধু মাইকের সঙ্গে নয়, তার পরিবারের সঙ্গেও আমার সুসম্পর্ক। ২০১৬ সালের ক্রিসমাস ইভে একটি গাছের নিচে মাইক আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, সেখানেই আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই হ্যাঁ বলেছিলাম। জনপ্রিয় অভিনেতা-গায়ক শক্তি ঠাকুরের কন্যা মোনালি ঠাকুর। বাবার পথ অনুসরণ করে একই অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। বলিউডের অনেক সিনেমার গানে প্লেব্যাক করেছেন মোনালি ঠাকুর। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো ‘জারা জারা টাচ মি’, ‘গুডনাইট’, ‘খুদায়া খায়ের’, ‘গোলামাল’ প্রভৃতি। এছাড়া বলিউডের সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন মোনালি।

গানই আমার আনন্দ, দুঃখ, জীবন: সাবিনা ইয়াসমিন

গানই আমার আনন্দ, দুঃখ, জীবন: সাবিনা ইয়াসমিন বাংলা গানের জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে ‘গানের পাখি’ বলেই ডাকা হয় তাকে। সুরের জাদুতে এ দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ১৯৫৪ সালর ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সাবিনা ইয়াসমিনের জন্ম। বাবার চাকরির সুবাদে বেড়ে উঠেছেন নারায়ণগঞ্জে। তার পৈতৃক বাড়ি সাতক্ষীরায়। পরিবারে সংগীতের চর্চা ছিল, তাই ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে তার সখ্য। পাঁচ বোনের মাঝে চার বোনই গান করেছেন। এই গানের মানুষ আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন। এক জীবনে অনেক কিছুর সাক্ষী সাবিনা ইয়াসমিন। জীবন থেকে অনেক কিছু শিখেছেন এই শিল্পী। জীবনের কোন মুহূর্তগুলো সবচেয়ে বেশি শিখিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয় শিল্পীর কাছে। জবাবে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “সত্যি বলতে আমার সংগীতজীবনে কঠিন মুহূর্ত আসেনি। আল্লাহর রহমতে খুব ভালোভাবে এত দূর এসেছি, এতটা সময় কাটিয়েছি। মাঝেমধ্যে ব্যক্তিগত জীবনে কঠিন কিছু মুহূর্ত যে আসেনি, তা নয়। ওই সময়টায় গানই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। গান আমার আনন্দ, দুঃখ, জীবন—সব।” সাবিনা ইয়াসমিনের বাবা রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন। তার মা মুর্শিদাবাদে সে সময়ের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ও ওস্তাদ কাদের বক্সের কাছে গান শিখতেন। তার বড় বোন ফরিদা ইয়াসমিন ও ফৌজিয়া ইয়াসমিন দুর্গাপ্রসাদ রায়ের কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীতের তালিম নেন। সাবিনা ইয়াসমিন ও নীলুফার ইয়াসমিন তাদের সঙ্গে বসতেন। তার মা তাকে তালিমে সহায়তা করতেন, হারমোনিয়াম বাজিয়ে সঙ্গ দিতেন। মাত্র সাত বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে গান করেন। পরবর্তীতে ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে টানা ১৩ বছর শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেন সাবিনা ইয়াসমিন। ১৯৬৪ সালে বেতারে ছোটদের গানের অনুষ্ঠান ‘খেলাঘর’-এ অংশ নেন সাবিনা ইয়াসমিন। এ অনুষ্ঠানে তার প্রথম সম্মানী ছিল ১০ টাকা। সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন তার প্রতিবেশীর বাড়িতে আলতাফ মাহমুদ আসেন। ওই সময়ে আলতাফ মাহমুদ চলচ্চিত্রে সংগীতায়োজন করতেন। সাবিনা ইয়াসমিনের মা আলতাফ মাহমুদকে অনুরোধ করেন, মেয়েকে চলচ্চিত্রের গানে সুযোগ দেওয়ার। পরে আলতাফ মাহমুদ ‘আগুন নিয়ে খেলা’ (১৯৬৭) চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন। এটি ছিল সাবিনা ইয়াসমিনের প্রথম চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক। সিনেমাটি পরিচালনা করেন আমজাদ হোসেন। পরবর্তী চার দশকে রীতিমতো দাপটের সঙ্গে গান করেন সাবিনা ইয়াসমিন। সংখ্যা কিংবা জনপ্রিয়তা দুই দিক দিয়েই বরাবরই এগিয়ে ছিলেন তিনি। সংগীত ক্যারিয়ারে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছে—‘তুমি আমার মনের মানুষ’, ‘তুমি আমার কত চেনা’, ‘কী দিয়া মন কাড়িলা’, ‘ও সাথীরে’, ‘এ জীবনে যারে চেয়েছি’, ‘তুমি যে আমার’, ‘সে যে কেন এলো না’, ‘তুমি চাঁদের জোছনা নও’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘কী জাদু করিলা’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা চালা’, ‘এই পৃথিবীর পরে’ প্রভৃতি। তা ছাড়া দেশাত্মবোধক গান কণ্ঠে তুলে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। তার গাওয়া কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানের মধ্যে রয়েছে—‘জন্ম আমার ধন্য হলো’, ‘সব কটা জানালা’, ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ’, ‘একটি বাংলাদেশ’, ‘মাগো আর তোমাকে’ প্রভৃতি। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে কত হাজার গান কণ্ঠে তুলেছেন তার সঠিক হিসাব করা মুশকিল। এর সঠিত তথ্য সাবিনা ইয়াসমিন নিজেও দিতে পারেন না। তবে ধারণা করা হয়— দশ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। দেড় হাজারের অধিক চলচ্চিত্রের গান কণ্ঠে তুলেছেন এই শিল্পী। ভারতীয় উপমহাদেশের বরেণ্য সুরকার আর. ডি. বর্মণের সুরে গান করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন। কিশোর কুমার, মান্না দের সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছেন তিনি। আবার মরমী শিল্পী আব্দুল আলীম থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের উঠতি শিল্পীদের সঙ্গেও গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পদক এবং ১৯৮৪ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন সাবিনা ইয়াসমিন। বাংলা চলচ্চিত্রের গান গেয়ে গায়িকা হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত তিনি। এ পর্যন্ত চৌদ্দবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী।

এশিয়া কাপের জন‌্য বাংলাদেশ ‘ওয়েল প্রিপেয়ার্ড’: লিটন

এশিয়া কাপের জন‌্য বাংলাদেশ ‘ওয়েল প্রিপেয়ার্ড’: লিটন প্রশ্নটা লিটন দাসকে বেশ আশা দেখিয়ে করেছিলেন করেছিলেন গণমাধ‌্যমকর্মী, ‘‘এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে অনেকেই ফেভারিট হিসেবে দেখে। অধিনায়ক লিটন বাংলাদেশকে কোন জায়গায় দেখছে।’’ ততক্ষণে সংবাদ সম্মেলনের প্রায় ১০ মিনিট পেরিয়ে গেছে। এশিয়া কাপের দুয়েকটি উত্তর আগেও দিয়েছেন। প্রশ্নটা লিটন ধরতে পারেননি বলেই উত্তরটা একটু রগচটা হয়েছে, ‘‘আমি কোনো জায়গায় দেখছি না। আমি যাবো ক্রিকেট খেলতে। ভালো ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবো।’’ সিলেটে নেদারল‌্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ জেতার আনন্দ লিটনের চোখেমুখে ছিল। তবে সামনে এশিয়া কাপ। তাদের জন‌্য বড় পরীক্ষা। এই সিরিজ প্রস্তুতির মঞ্চ। কেমন প্রস্তুতি হলো? সেটাই বড় প্রশ্ন। আদর্শ প্রস্তুতি হয়েছে কিনা সেটাও লিটনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। অধিনায়ক সব দিক থেকেই আশাবাদী, ‘‘ওভারঅল সব দিক থেকে আমার কাছে মনে হয় ইতিবাচক। যারা ম‌্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে তারাই ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমার কাছে মনে হয় অনুশীলন করাটা গুরুত্বপূর্ণ। তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলনের থেকে আপনি ম‌্যাচে কতোটা ডেলিভারী করতে পারছেন। আপনি ম‌্যাচ খেললে উন্নতি হবে। গেম সেন্স বাড়বে। আমার মনে হয় আমরা ওয়েল প্রিপেয়ার্ড এশিয়া কাপের জন‌্য।’’ ঢাকায় ফিটনেস ক‌্যাম্পের পর কয়েকদিন স্কিল ট্রেনিং করেছে দল। তবে আসল প্রস্তুতিটা হয়েছে সিলেটে। যেখানে ব‌্যাট-বলের উত্তাপ ছড়িয়েছেন লিটন, তানজিদ, তাসকিন, মোস্তাফিজরা। এই ক‌্যাম্পটাকে লিটনের সেরা মনে হচ্ছে, ‘‘আমরা যে ক‌্যাম্পটা করেছিলাম সেটা শুধু এই সিরিজের জন‌্য ছিল না। সামনে যতগুলো খেলা আছে সবগুলোর জন‌্য আমরা ওয়েল প্রিপেয়ার্ড। এতো ভালো ক‌্যাম্পিং কখনো হয়নি। ফিটনেস তো অবশ‌্যই। নিজে থেকেও করতে পারবেন। কিন্তু স্কিলে যেটা আমরা করতে চাচ্ছিলাম ও করেছি তা সিলেটে একমাত্র পাওয়া গেছে। ওভারঅল জার্নিটা ভালো ছিল।’’ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে হংকং, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। শেষ যেবার এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ফরম‌্যাটে হয়েছিল, বাংলাদেশ সুপার ফোরে উঠতে পারেনি। এর আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ফরম‌্যাটে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছিল। এবার প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি না থাকায় লিটন বাংলাদেশকে নিয়ে আশাবাদী বেশ। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর নেদারল‌্যান্ডসের বিপক্ষেও জয়ের ধারাবাহিকতা থাকায় তার প্রত‌্যাশাও বড়।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের দাম আকাশচুম্বী !

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের দাম আকাশচুম্বী ! টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ শুরু হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। তবে সবার নজর ১৪ সেপ্টেম্বর ম্যাচের দিকে। কারণ সেদিন ভারত-পাকিস্তান মহারণ। পেহেলগাম কাণ্ডের পর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর এটাই প্রথম মুখোমুখি লড়াই। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচটিকে ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। এই মেগা ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। সমর্থকদের জন্য তিনটি আলাদা প্যাকেজে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। তবে টিকিটের দাম শুনলে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোর সর্বনিম্ন টিকিট ৪৭৫ দিরহাম, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৫ হাজার ৭০০ টাকা। সুপার ফোরের ম্যাচের সর্বনিম্ন টিকিট ৫২৫ দিরহাম (প্রায় ১৭ হাজার ৪০০ টাকা)। একই দামে ফাইনালের টিকিটও বিক্রি হচ্ছে। এসিসির অনলাইন বুকিং পোর্টাল ছাড়াও শিগগিরই দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ও আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বক্স অফিস থেকেও টিকিট কেনা যাবে। মাঠে বসে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ উপভোগ করতে চাইলে ভক্তদের গুণতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা। তবুও ম্যাচের গুরুত্ব ও উত্তেজনার কারণে টিকিটের জন্য সমর্থকদের আগ্রহের ঘাটতি হবে না।

বেইজিংয়ে কুচকাওয়াজে পুতিন-শির ১৫০ বছর বাঁচার আলাপ!

বেইজিংয়ে কুচকাওয়াজে পুতিন-শির ১৫০ বছর বাঁচার আলাপ! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আয়োজিত এক সামরিক কুচকাওয়াজে ‘হট মাইকে’ ধরা পড়লো বিশ্বনেতাদের একটি ব্যতিক্রমী আলাপ। এই আলোচিত আলাপে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মানুষের আয়ু ১৫০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপন প্রযুক্তি নিয়ে নিজেদের মত প্রকাশ করেন। ঘটনাটি ঘটে গতকাল সকালে, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে সঙ্গে নিয়ে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন দুই প্রেসিডেন্ট। সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দল। চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছিল, যা বিশ্বের প্রায় ১৯০ কোটিরও বেশি অনলাইন দর্শক এবং ৪০ কোটির বেশি টেলিভিশন দর্শক উপভোগ করেন বলে দাবি করা হয়েছে। এ সময় পুতিনের দোভাষীকে চীনা ভাষায় বলতে শোনা যায়, ‘জৈবপ্রযুক্তি ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে। মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যাচ্ছে। আপনি যত বেশি দিন বাঁচবেন, তত তরুণ থাকবেন-এমনকি অমরত্বও সম্ভব হতে পারে। ’ এর উত্তরে শি জিনপিং বলেন, ‘কেউ কেউ মনে করেন এই শতাব্দীতেই মানুষ ১৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে সক্ষম হবে। ’ তবে শির এই মন্তব্যের সময় ক্যামেরা স্কয়ারের ওয়াইড শটে চলে যায় এবং অডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তিন নেতা আবার ক্যামেরায় ফিরে আসেন এবং কুচকাওয়াজ মঞ্চের দিকে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন এই কথোপকথনের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে, আমরা প্যারেডে যাওয়ার সময় এই প্রসঙ্গে শি জিনপিং কথা বলছিলেন। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা, সার্জিক্যাল পদ্ধতি এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপন মানুষের সক্রিয় জীবন দীর্ঘায়িত করার নতুন আশা তৈরি করছে। ’প্রেসিডেন্ট পুতিনের এ সফরে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ২০টিরও বেশি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

লিসবনে ভয়াবহ ক্যাবল রেল দুর্ঘটনায় নি*হ*ত ১৫

লিসবনে ভয়াবহ ক্যাবল রেল দুর্ঘটনায় নি*হ*ত ১৫ পর্তুগালের লিসবনে এলিভাদোর গ্লোরিয়া নামের একটি ফানিকুলার (ক্যাবল রেল) দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও ১৮ জন। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর রয়টার্স ও বিবিসির। গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে একটি ফানিকুলার দ্রুতগতিতে নিচে নামতে গিয়ে পাশের একটি ভবনে ধাক্কা লাগে। এরপর এটি কাঠের বাক্সের মতো ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ ও দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। আহতদের লিসবনের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক গর্ভবতী নারী ও তার শিশু সন্তানও রয়েছে। গর্ভবতী নারীকে মেটারনিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তার শিশুকে বিশেষায়িত হাসপাতাল দোনা এস্টেফানিয়াতে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে দেশি-বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। বিদেশিদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। এদিকে দুর্ঘটনার পর বৃহস্পতিবার পর্তুগালে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। লিসবনে তিন দিনের শোক পালনের কথাও জানিয়েছেন শহরের মেয়র কার্লোস মোয়েদা। তিনি বলেন, আমাদের শহরে এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। ভুক্তভোগীদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। যেকোনো পরিস্থিতিতে তাদের পাশে থাকবে শহর কর্তৃপক্ষ। এলিভাদোর গ্লোরিয়া নামের এই ফানিকুলার রেলটি রেস্তোরাদোরেস থেকে বাইরো আলতো এলাকায় যাত্রী পরিবহন করে। এটি ১৮৮৫ সাল থেকে প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে প্রায় ১৪০ বছর ধরে চালু আছে। সাত পাহাড়ের ওপর গড়ে ওঠা লিসবন শহরে উপরে-নিচে যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই ধরনের একাধিক সেবা চালু রয়েছে। দুর্ঘটনার পর আপাতত সব ফানিকুলার সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

সাংবাদিকবান্ধব নীতিমালার আশ্বাস ইসির

সাংবাদিকবান্ধব নীতিমালার আশ্বাস ইসির সম্প্রতি জারি করা ‘সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী-২০২৫ নীতিমালায়’ নতুন কিছু না থাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের দেওয়া প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)-এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভায় এমন আশ্বাস দিয়েছে কমিশন। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, আরএফইডির সদস্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, আপনারা লিখিত সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন। লিখিত দিলে ভালো-মন্দ বোঝা যায়। আপনাদের লিখিত প্রস্তাবনা আমরা দেখবো, পর্যালোচনা করবো। দুপক্ষের জন্যই ভালো হয়, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য, যা কিছু করা যায় আমরা করবো। আপনাদের এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে পারি। আপনাদের যাতে কাজ করা সহজ হয়, তথ্যের প্রবাহ অবাধ হয়, সেটা আমরাও চাই। তিনি বলেন, আপনাদের প্রস্তাবিত নীতিমালা পর্যালোচনা করে আপনাদের জন্য সহজ হয়, যেটা উভয় পক্ষের জন্য, মানুষের জন্য, স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য, ফেয়ার নির্বাচনের জন্য যেটা ভালো হয়, সেটা ইনশাল্লাহ করবো। এ ব্যাপারে আর কোনো কথা নেই। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আপনাদের বক্তব্য থেকে আসছে সাংবাদিক নীতিমালার মধ্যে নতুন কিছু নেই। আপনাদের যেই ‘প্রস্তাবিত নীতিমালা’ এখানে অনেক সুন্দর বিষয় এনেছেন। এটা ঠিক যে নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে পূর্বেকার ট্রাডিশনে যদি এমন হতো যে, কোনো নীতিমালা করতে গেলে আপনাদের প্রতিনিধি থাকার প্রভিশন থাকতো, তাহলে হয়তোবা কমিটি ফরমেশনটাই ওভাবে হওয়া উচিত ছিল। আপনাদের যে প্রস্তাব, এটা নির্বাচন কমিশন ওয়েলকাম করে। যেহেতু আমরা আমাদের সবার উদ্দেশ্য একটাই, যে একটা ভালো নির্বাচনের জন্য সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সেই দিক থেকে কিন্তু আমরা ছোট কাজ, ভালো কাজ, মন্দ কাজ যেটাই করি এটা কিন্তু একবার আয়নার মতো তুলে ধরার দায়িত্বটা হলো আপনাদের। আপনারা এই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, সবচেয়ে মুশকিল হয়ে গেল কি, আমি আপনি আপনারা, সবাই মিলে কেউ কিন্তু আস্থার জায়গায় নেই। আমি আস্থার জায়গায় আছি আমি দাবি করি না। এই যে আস্থার সংকট এটা আমাদের জাতীয় সংকট। আমি বিচ্ছিন্নভাবে বলতে পারবো না যে অমুকে খারাপ, আমি ভালো। আর আপনিও বলতে পারবেন না, যে আমি খারাপ আপনি ভালো। বাস্তবতার নিরীক্ষে যার যার অবস্থান থেকে যাতে আমরা একটা ভালো নির্বাচন করতে পারি, সেজন্য পরস্পরকে সহযোগিতা করবো। আমার মনে হয় যে গণমাধ্যম নীতিমালা নিয়ে আরো আলোচনা, পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ, আপনাদের অভিজ্ঞতা, আমাদের অভিজ্ঞতা, ফিল্ডের অভিজ্ঞতা সবাই মিলে আরো মনে হয় যে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। মূল উদ্দেশ্য যেহেতু আমাদের সবার একটাই আমার মনে হয় যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এগুলো পরে সমাধান করা যায়। ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আপনাদেরই মতামতের জন্য আমি আন্তরিকভাবে কমিশনের পক্ষ থেকে এবং সচিবালয়ের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং এই তথ্য প্রবাহ আমাদের দিক থেকে থাকবে। আমাদের সম্মানিত কমিশনার এটা অলরেডি বলেছেন। কাজেই আমরা এই জিনিসটাকে দ্রুত নিষ্পত্তি ও একটা গ্রহণযোগ্য সম্মানজনক এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার জায়গাটা আবারো পুনঃস্থাপন করব। আপনারা আমাদের যেভাবে কভারেজটা দিচ্ছেন আমি মনে করি এই কভারেজটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরএফইডির সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দীন (জেবেল) বলেন, প্রার্থীরা যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দেবেন ওইদিনই হলফনামার তথ্য স্থানীয়/কেন্দ্রেীয়ভাবে গণমাধ্যমকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী খরচের যেই বিবরণ জমা দেন, সেগুলো গণমাধ্যমের জন্য দ্রুতই উন্মুক্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। ভোটের দিন বেসরকারি ফলাফলের চূড়ান্ত বার্তা সিট এবং যতদ্রুত সম্ভব কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল স্থানীয়/ কেন্দ্রীয়ভাবে গণমাধ্যমকে দিতে হবে। প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার জন্য একজন সহকারী রিটার্নিং অফিসার/উপজেলা নির্বাচন অফিসারের নেতৃত্বে একটি করে মিডিয়া সেল গঠন করা হবে। এ ছাড়া আমাদের প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী ইসির প্রণীত নীতিমালা সংশোধন করতে হবে। অন্যথায় ইসির সব ধরনের উদ্যোগ ধ্বংস হয়ে যাবে। আরএফইডির লিখিত প্রস্তাবনা এ সময় তিনি তুলে ধরেন। গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধনে আরএফইডির প্রস্তাবনা * কার্ডধারী গণমাধ্যমকর্মীদের ভোটকক্ষে প্রবেশে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করার বিধান বাতিল * ভোটকক্ষে ১০ মিনিটের বেশি থাকা না যাওয়ার বিধান বাতিল * গণমাধ্যমকর্মীদের কাজে বাধা দিলে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনতে হবে * গোপন কক্ষে অনিয়ম হলে ছবি তোলার বিধান যুক্ত করা * মনোনয়ন দাখিল থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত তথ্য উন্মুক্ত রাখার বিধান

পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক

পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আজ সকাল পৌনে ০৯টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে একটি সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে। তবে বৈঠকের বিষয়ে কেউ মুখ খোলেননি। গতকাল সকালে কক্সবাজার ও মহেশখালী যান পিটার হাস। সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেন। পিটার হাস ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এক বছর আগে কূটনীতি পেশা থেকে অবসরে যাওয়ার পর এখন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি কোম্পানি ‘এক্সিলারেট এনার্জি’র স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর হিসেবে কাজ করছেন। মূলত সে কারণেই তিনি প্রায়ই বাংলাদেশে আসেন।

গঙ্গা চুক্তি নিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বৈঠক

গঙ্গা চুক্তি নিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বৈঠক গঙ্গা চুক্তি নবায়নের লক্ষ্যে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) কর্মকর্তারা যোগ দেবেন। সূত্র জানায়, ঢাকার পক্ষ থেকে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি কারিগরি দল নয়াদিল্লির বৈঠকে যোগ দেবেন। বৈঠকে মূল আলোচনা হবে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তির নবায়ন। বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের মধ্যে প্রতিবছর দুবার করে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়। সে অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চে দুপক্ষের মধ্যে দিল্লিতে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। গঙ্গা ছাড়া আর কোনো নদীর পানিবণ্টনের চুক্তি হয়নি। তিস্তার পানিবণ্টনের প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিত। এর প্রধান কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসহযোগিতা ও তার আপত্তি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে ১৯৯৬ সালে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সই করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া ও শেখ হাসিনা। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর। আগামী বছর সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। ২০২৪ সালের জুন মাসে দুদেশই ঘোষণা দেয় যে, ১৯৯৬ সালের গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে। গত ডিসেম্বরে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে গঙ্গা নদীর চুক্তি নবায়ন ইস্যুতে দুদেশের পররাষ্ট্রসচিব আলাপ করেন। সে সময় তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেছিলেন, আলোচনায় আন্তঃনদী বিষয়সমূহ গুরুত্ব পেয়েছে। গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির মেয়াদ আগামী ২০২৬ সালে শেষ হয়ে যাবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে তা নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ৬-৭ মার্চ কলকাতায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৬ মার্চ ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সম্পর্কিত যৌথ কমিটির ৮৬তম সভা এবং গত ৭ মার্চ কারিগরি পর্যায়ের বৈঠক হয়, যা দুদেশের মধ্যকার নিয়মিত বৈঠক। গত বছর নভেম্বরে ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সম্পর্কিত যৌথ কমিটির ৮৫তম সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর তা কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে গঙ্গার পানিবণ্টনের বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।