ভোলাহাটে এক উচ্চ বিদ্যালয় থেকেই ৯মাসে ৫৫ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ে

ভোলাহাটে এক উচ্চ বিদ্যালয় থেকেই ৯মাসে ৫৫ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার শিকারী মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯মাসে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ৫৫ শিক্ষার্থী। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রায় দুপুর ১২ টার দিকে শিকারি মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা বিশ্বাস তাঁর ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি দাবি করেন। তিনি পোস্টে লিখেন, ৯ মাসে আমার বিদ্যালয়ের সিক্স টু এইট এই তিন ক্লাসের মোট ৫৫ জন ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। যাদের বয়স ১২ থেকে ১৪। এবিষয়ে তিনি এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ঠদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এবিষয়ে আমাদের উপজেলা প্রতিনিধি প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম রেজা বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার স্কুলে ৯ মাসের মধ্যে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ৫৫ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। ঐ ছাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় তাদের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে তিনি বল্যবিয়ের বিষয়টি জানতে পেরেছেন। তিনি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। উল্লেখ্য ভোলাহাট উপজেলায় মোট ২১টি হাই স্কুল রয়েছে।
ওএমএস ডিলার পয়েন্ট বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

ওএমএস ডিলার পয়েন্ট বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিম্নআয়ের মানুষরা ওএমএস ডিলার পয়েন্ট বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নারী ও পুরুষরা বলেছেন, আগে ৩টি ডিলার পয়েন্ট থাকলেও বর্তমানে তা কমিয়ে একটি করা হয়েছে। এতে এই ওয়ার্ডের দরিদ্র মানুষরা সারাদিন লাইন দিয়েও চাল ও আটা পাচ্ছে না। ফলে তাদেরকে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। তাই দ্রুত ডিলার পয়েন্ট বৃদ্ধি করতে হবে। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন— স্থানীয় বাসিন্দা বাসন্তী চৌধুরী, রেজিয়া বেগম, তারিখা খাতুন বুলবুলি, আশিক পারভেজ শাহীন, রুহুল আমিন, আখতার হোসেন চুনি, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, বাহারাম আলী, ফারুক হোসেন, আখতার হোসেনসহ অন্যরা। বক্তারা ডিলার বৃদ্ধিতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে তারা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আরো ৪-৫ জন ডিলার প্রদানের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে, র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এ কর্মসূচির আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোজনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতার প্রসার’— এই প্রতিপাদ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন— অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সালমা আক্তার। উজ্জ্বল কুমার ঘোষ বলেন— আমরা অনেক আগেই প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করেছি। আমরা যদি সাক্ষরতাকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করাতে চাই তাহলে আমাদেরকে ডিজিটাল ডিভাইস ও ডিজিটাল অ্যাপ বা সফ্টওয়্যারগুলোর ব্যবহার জানতে হবে। যদি কারো হাতে আপনি ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে দেন, তাহলে দেখবেন যে সে তার পছন্দের অ্যাপ বা সফ্টওয়্যারটি ওপেন করতে পারছে। কিন্তু সেটার সঠিক ব্যবহার কিন্তু সে জানে না। তাই সেই অ্যাপ বা সফ্টওয়্যারের সর্বোত্তম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক বেশি সেই বিষয়ে জানতে হবে, শিখতে হবে। যে কোনো সমস্যার জন্য আপনি প্রযুক্তির সহায়তা নিতে পারেন। তবে আমাদের অতিমাত্রায় এআই বা প্রযুক্তিনির্ভর হওয়া যাবে না। এতে আমাদের নিজেদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে, বুদ্ধিবৃত্তির নতুনত্ব পিছিয়ে যেতে পারে। আর এর জন্য যারা মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকেন, তাদের এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাক্ষরতার হার আগের থেকে অনেকাংশে বেড়েছে। তবে অর্জিত শিক্ষা, তার সাথে প্রযুক্তির বেসিক কিছু বিষয় যুক্ত করতে হবে। আর সাক্ষর শিক্ষা গ্রহণকারীদের মধ্যে নিজের আগ্রহ জাগিয়ে তোলা অর্থাৎ সশিক্ষিত লোকবান্ধব সমাজ গড়ে তোলা। তাহলেই বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে আমাদের সমাজ ও জেলা। আর বাংলাদেশ পরিণত হবে সুখী, সমৃদ্ধ জ্ঞানের আলোকিত বাংলাদেশে। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুরুল ইসলাম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন— জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক (অ. দা.) মো. আব্দুর রাজ্জাক, টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজিৎ দাস।
রানীহাটি ইউনিয়নে খরা সহনশীল কৃষি চর্চায় সিসিএজি সদস্যদের প্রশিক্ষণ

রানীহাটি ইউনিয়নে খরা সহনশীল কৃষি চর্চায় সিসিএজি সদস্যদের প্রশিক্ষণ বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় খরা সহনশীল কৃষি পদ্ধতির প্রসার ঘটাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রানীহাটি ইউনিয়নে দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হয় এক্সটেনডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট-ড্রাউট (ইসিসিসিপি-ড্রাউট) প্রকল্পের আওতায় এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ)-এর সহযোগিতায়। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন সিসিএজি সদস্য এবং স্থানীয় কৃষকরা। প্রশিক্ষণে কৃষকদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, এর প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা, টেকসই কৃষি অনুশীলন এবং খরা সহনশীল কৃষি কৌশল সম্পর্কে সচেতন করা হয়। এছাড়াও খরাসহিষ্ণু ফল ও ফসল নির্বাচন, বসতবাড়ির পরিত্যক্ত জায়গায় উঠানবাগান গড়ে তোলা, ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির কৌশল এবং পানি সংরক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিচালক কৃষিবিদ এ.এ.এম. ওয়াহিদুজ্জামান, শস্য বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ মো. জহুরুল ইসলাম এবং ইসিসিসিপি-ড্রাউট প্রকল্পের কৃষিবিদ মো. ফয়জুল হক। খরাপ্রবণ অঞ্চলের বাস্তব জলবায়ুর পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন প্রকল্প সমন্বয়কারী বকুল কুমার ঘোষ। এছাড়াও প্রশিক্ষণে পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রসারে জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হয় এবং ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির উপায় ও উপকারিতা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়। একইসাথে প্রয়াসের ইসিসিসিপি-ড্রাউট ঋণ কার্যক্রম সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দেন ইউনিট-১০ এর শাখা ব্যবস্থাপক মো. জহুরুল ইসলাম। সার্বিকভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন সিএমও সিভিল মো. রোকনুজ্জামান। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি সিসিএজি সদস্যকে একটি করে খরাসহিষ্ণু পেয়ারা গাছের চারা দেয়া হয়। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা জানান, এমন কার্যক্রম তাদের খরা পরিস্থিতিতে কৃষি অভিযোজন এবং নতুন চাষ পদ্ধতি গ্রহণে অনুপ্রাণিত করবে।
নাচোলে মাসকলাই চাষে প্রণোদনা কার্যক্রমের উদ্বোধন

নাচোলে মাসকলাই চাষে প্রণোদনা কার্যক্রমের উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৩০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পাচ্ছেন জনপ্রতি ৫ কেজি করে মাসকলাই বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ৫ কেজি করে এমওপি সার। সরকারের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে এই বীজ ও রাসায়নিক সার কৃষকদের দেয়া হচ্ছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মিজানুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুন নুর ও রায়হানুল ইসলাম, নাচোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, কসবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আল মেহরাব এবং তালিকাভুক্ত কৃষকরা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের খরিফ-২ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় মাসকালাই ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার দেয়া হচ্ছে। প্রতিজন কৃষককে ৫ কেজি মাসকালাইয়ের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ৫ কেজি এমওপি সার দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম জানান, এবারের মৌসুমে মোট ১ হাজার ৩০০ জন কৃষককে এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ও কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কমাতে সরকার এ ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
গোমস্তাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১জনের মৃত্যু

গোমস্তাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১জনের মৃত্যু গোমস্তাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বদরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ওয়েলডিং মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার গভীর রাতে উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়নের ভিটাবাড়ি নেজুবাজার এলাকার নিজ দোকানে ভ্যানে চার্জ দেওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া বদরুল ইসলাম ভিটাবাড়ি গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ১১টার পর কোনো এক সময় বদরুল ইসলাম নিজ দোকানে অটোভ্যানে চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সকালে ওই দোকানে অন্য চালকরা এসে দেখে সে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াদুদ আলম জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরা পথে ট্রাকের ধাক্কায় শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরা পথে ট্রাকের ধাক্কায় শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় ফাতিমা খাতুন (১০) নামের এক শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। নিহত শিশু চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার রাজারামপুর ভবানীপুর মহল্লার মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। সোমবার বিকেলে বাঁশবাড়িয়া চৌমুহনি মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিউর রহমান ও স্থানীয় সূত্র জানান, সোমবার বিকল সাড়ে ৫টার দিকে প্রাইভেট পড়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল ফাতিমা। পথে বাঁশবাড়িয়া চৌমুহনি মোড় এলাকায় পৌঁছালে একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিলে সে গুরুতর আহত হয়। এসময় তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিএফটিআই’র ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিএফটিআই’র ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউট (পিএফটিআই)’র ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেলে সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের চাঁপাই পলশায় অবস্থিত পিএফটিআই’র হলরুমে এই কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন, রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসার রূপ কুমার বর্মন, জেলা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. কবীর উদ্দিন আহমেদ, নাচোল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. কাওসার আলী ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা মুক্তি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রয়াসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন, পরিচালক (কার্যক্রম) পঙ্কজ কুমার সরকার, সহকারী পরিচালক মু. তাকিউর রহমান, কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাজিন বিন রেজাউল, রেডিও মহানন্দার সহকারী স্টেশন ম্যানেজার রেজাউল করিম, পিএফটিআইয়ের টিম লিডার আহমেদ ফ্রান্সসহ আরো অনেকে। প্রথমে পিএফটিআই’র নাট্যকর্মীদের অংশগ্রহণে নাটক পরিবেশন করা হয়। এরপর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন অতিথিবৃন্দ। শেষে গান, কোরিওগ্রাফি ও গম্ভীরা পরিবেশন করে পিএফটিআই’র শিল্পীবৃন্দ। উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউট ১৯ বছরে পদার্পণ করে।
শিশুপরিবারে বাল্যবিয়ে ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সংলাপ অনুষ্ঠিত

শিশুপরিবারে বাল্যবিয়ে ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সংলাপ অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিয়ে এবং শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করার বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রভাব বিস্তারকারী স্টেক হোল্ডার ও অংশীজনদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে শহরের শিশু পরিবার জেলা কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসবিসি প্রকল্পের সহায়তায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা এই কর্মসূচির আয়োজন করে। সভায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল ইসলাম। এসময় আরো উপস্থিত, জেলা সমাজসেবা অফিসার ফিরোজ কবির, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম, নাচোল উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সোহেল রানা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মো: কিবরিয়া, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানাজার জেমস বিশ্বাস, সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক উত্তম মন্ডল, রেডিও মহানন্দার সহকারী স্টেশন ম্যানেজার রেজাউল করিমসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বিয়ে নিবন্ধনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। সেই সাথে বাল্যবিয়ের হবার পরেও এর সাথে সম্পৃক্ত সকলেই শাস্তির আওতায় পড়তে পারেন বলেও জানান তিনি। পরে দুপুরে শিশু পরিবারের সদস্যদের সাথে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন সাবিনা ইয়াসমীন

রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন সাবিনা ইয়াসমীন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বরেণ্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় শিল্পীর একক সংগীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক বদরুদ্দিন উমর এর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে প্রদর্শিত হয় কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনের উপর নির্মিত ডকুমেন্টারি ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’। এরপর সমবেত নৃত্য ‘গীতিময় সেই দিন চিরদিন বুঝি আর এলো না’ পরিবেশন করেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। শিল্পীর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘যার গান শুনে শুনে আমরা সময়ের সাথে আগামীর পথে হেঁটেছি, যার গান প্রাণে শিহরণ এনেছে, আপ্লুত করেছে, অভিভূত করেছে তিনি বাংলা গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমীন। স্বনামখ্যাত এ গুনী শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করতে পেরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গর্বিত ও আনন্দিত। পরিকল্পনা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বাংলা গান মানেই আবেগ, স্মৃতি আর হৃদয়স্পর্শী সুরের এক অনন্ত ভুবন। সেই ভুবনে যদি কারও কণ্ঠ অনায়াসে শ্রোতার হৃদয় ছুঁয়ে যায়, তবে নিঃসন্দেহে তিনি সাবিনা ইয়াসমীন। অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে সংগীতের আকাশে তার কণ্ঠ ভেসে এসেছে, কখনো চলচ্চিত্রের পর্দা জুড়ে, কখনো বেতার-টেলিভিশনের সুরে, আবার কখনো মানুষের দৈনন্দিন জীবনের মধুর সঙ্গী হয়ে। সাবিনা ইয়াসমীনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা, নকিব খান, পার্থ বড়ুয়া, খুরশীদ আলম, রফিকুল আলম ও আবিদা সুলতানা। পরে শিল্পীর একক সংগীতানুষ্ঠানে শ্রোতারা বুঁদ হয়ে যান। শিল্পী একে একে পরিবেশন করেন ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’,‘জন্ম আমার ধন্য হলো’ প্রভৃতি গানগুলো। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নন্দিত অভিনেতা আফজাল হোসেন। বাংলা গানের গৌরব কোকিলকণ্ঠী-খ্যাত বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন ১৯৫৪ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর এক সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সংগীতের হাতেখড়ি তার মায়ের কাছে। তিনি এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের মত গান রেকর্ড করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই চলচ্চিত্রের গান।১৯৮৩ সালে তাকে ভারতের বিশ্ব উন্নয়ন সংসদ ‘সংসদ রত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করে এবং ১৯৮৫ সালে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। তিনি বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘একুশে পদক’ এবং স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র শিল্পী, যিনি শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পী হিসেবে ১৫ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। সম্মাননা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাবিনা ইয়াসমীন শুরু করেন দেশের গান দিয়ে, গাইলেন- ‘ও দেশ তোমার জন্য’। একে একে গেয়ে শোনালেন ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মত’, ‘তুমি ফুলকে বলো চলে যেতে‘, ‘কত সাধনায় এমন ভাগ্য পেলে’র মত জনপ্রিয় গানগুলো।