নাচোলে জিপিএ -৫ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান

নাচোলে জিপিএ -৫ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান নাচোল উপজেলায় আস্থা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এসএসসি ও দাখিল ২০২৫ পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। আজ বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক অনুষ্ঠানে তাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও নাচোল পৌর জামায়াতের আমির মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুলতানা রাজিয়াসহ অন্যান্য অতিথি। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, আস্থা ফাউন্ডেশনের পরিচালক আলী আকবর। আলোচনা শেষে ১০৮ জন জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে রজনী গন্ধা, ক্রেস্ট, প্যাড কলম ও ক্যারিয়ার গাইড লাইন প্রদান করা হয়।
বটতলাহাটে পুকুরে ডুবে এক শিশুর মৃ*ত্যু

বটতলাহাটে পুকুরে ডুবে এক শিশুর মৃ*ত্যু চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মুহিন (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বটতলাহাট মীরের পুকুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া মুহিন জোড়গাছি জয়নগর মহল্লার আব্দুল মতিনের ছেলে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল বারেক জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মীরের পুকুরে মুহিন গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুহিনকে মৃত ঘোষণা করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএনএম ওয়াসিমক ফিরোজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ বাদ আসর তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল বারেক।
মৎস্য খাত নিয়ে তরুণদের ভাবনা বিষয়ে মতবিনিময়

মৎস্য খাত নিয়ে তরুণদের ভাবনা বিষয়ে মতবিনিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে “মৎস্য খাতে টেকসই উন্নয়নে তরুণদের ভাবনা” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নুরুল ইসলাম। সভায় উপস্থিত ছিলেন— জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোছা. এলিজা খাতুন, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন ড. মাহবুবুর রহমান ও কন্ট্রলার অব এক্সাম ড. মো. সাহেব আলী, ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপক মো. একরাম হোসেন, বরেন্দ্র কৃষি উদ্যোগের মো. মুনজের আলম মানিকসহ আরো অনেকে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ এর সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মৎস্য দপ্তর এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এতে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ২২

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ২২ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ৮ জন এবং বহির্বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ১১ জন। এছাড়া শিবগঞ্জে ১ জন ও গোমস্তাপুরে ২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন।বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৯ জন রোগী। তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা ও ২ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৫ জনকে। এই ৫ জনের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা রয়েছেন। এছাড়া শিবগঞ্জে ১ জন ও গোমস্তাপুরে ২ জন রোগী ভর্তি আছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৬৯৫ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১৬১ জনে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কমছে পানি, ভাঙছে নদী ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজার কৃষক

কমছে পানি, ভাঙছে নদী ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজার কৃষক চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবারের বন্যায় ১০ হাজার ২১১ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতি হয়েছে রোপা আউশসহ ২ হাজার ২৫২ হেক্টর জমির ফসল। অন্যদিকে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে পাঁকা ও নারায়ণপুর ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙন শুরু হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবারের বন্যায় সদর, শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলসহ জেলায় ২ হাজার ১৯ হেক্টর রোপা আউশ, ২০ হেক্টর ভুট্টা, ৮৭ হেক্টর রোপা আমন, ১০৮ হেক্টর শাকসবজি, কলাবাগান ৫ হেক্টর, ১৩ হেক্টর হলুদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া শূন্য দশমিক ৩৫ হেক্টর পেঁয়াজ বীজ নষ্ট হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী এইসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন— পানি তো নেমে গেছে। আমরা আগামী রবি-সোমবারের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে সঠিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করব। আশা করা হচ্ছে কিছু ধান হয়ত পাওয়া যাবে। পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, তিন ফুট মতো পানি নদীর পাড়ের নিচে নেমেছে। এর ফলে চরপাঁকা, কদমতলা, লক্ষ্মীপুর, শেয়ালপাড়া এলাকায় পদ্মার ভাঙনে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বন্যার পর স্বাস্থ্যঝুঁকিও দেখা দিয়েছে। পাঁকাবাসী কষ্টে আছে বলে জানান তিনি। শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এবারের বন্যায় পাঁকা, উজিরপুর সম্পূর্ণ এবং দুর্লভপুর ও মনাকষার আংশিক মিলিয়ে পানিবন্দি হয় সাড়ে ৭ হাজার পরিবার। তাদের মধ্যে ২০ মেট্রিক টন চাল, শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৩০ পরিবারে ১০ কেজি করে চালসহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৪টি পরিবারকে ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন, নগদ ৬ হাজার করে টাকা ও চালসহ শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী রবিবার পাঁকা ইউনিয়নে ৬০০ পরিবারের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান। এদিকে, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনূর আলম জানান, এবার বন্যায় নারায়ণপুর ও আলাতুলি ইউনিয়নে ১ হাজার ২০০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ১৫ কেজি করে চাল, শুক্রনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।
আশির দশকের পত্রমিতালী

আশির দশকের পত্রমিতালী আশির দশকে দূরের, অচেনা কারও সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার অন্যতম উপায় ছিলো পত্রমিতালী। এই পত্রমিতালী কেন্দ্র করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আলাদা একটি শৈল্পিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিলো। সাধারণত পরষ্পর-পরষ্পর সম্পর্কে কারও কাছ থেকে জেনে, একজন আরেকজন সম্পর্কে আগ্রহী হলে চিঠির মাধ্যমে একপক্ষ হয়তো বন্ধুত্বের আহ্বান জানাতো। এখানে একজন ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকতেন। তিনিই প্রথম পক্ষের চিঠি দ্বিতীয় পক্ষের কাছে পৌঁছে দিতেন। চিঠি পাওয়ার পরে ওই মধ্যস্ততাকারীর কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে দ্বিতীয় পক্ষ সিদ্ধান্তে আসতেন পত্রমিতালী করবেন, নাকি করবেন না। এর মাধ্যমে নারী-পুরুষের মধ্যেও অনেক সময় গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠতো। সে সময় নারী-পুরুষের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা মোটেও সহজ ছিল না। নারী-পুরুষে পত্রমিতালী তৈরি হলে কোনো কোনো সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত প্রেম পর্যন্ত গড়াতো। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা বন্ধুত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো। পত্রমিতালী সাহিত্যনির্ভর একটি বিষয় ছিল। কনভারসেশন, মত বিনিময়, ভাবের আদান-প্রদান, মতের আদান-প্রদান বা মতোবিরোধ হলে সেটা নিয়ে আলোচনা হতো। সেই আলোচনাগুলো খুবই উচ্চমার্গীয় ব্যাপার ছিল। কেন তার মতের সঙ্গে আমি একমত না, সেটার যুক্তি দিতে দিতে অনেক সময় দুই তিন, পৃষ্টার চিঠি লেখা হয়ে যেত। দেখা যেতো যে চিঠি পাঠানোর জন্য অনেক সময় বাড়তি ডাক মাসূলও দিতে হতো। পত্রমিতালী চিন্তা চেতনা বিকাশেও সহায়ক ছিলো। এমন পত্রমিতালীও হয়েছে, দেখা গেছে যে দুই, চার বছর ধরে একজন আরেকজনকে চিঠি লিখেছে কিন্তু কেউ কাউকে দেখেনি। এখন যেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে ফেইক আইডি খোলে। নারী পুরুষ সাজে আবার পুরুষ নারী সাজে। এইটা ছিলো না। তখন যে যা, তাই বলতো, লিখতো। তবে হ্যাঁ, কোনো কোনো সম্পর্ক প্রেমের দিকে গেছে। কেউ কেউ বিয়ে করে ঘর বেঁধেছেন। কিন্তু বেশিরভাগই ছিলো বন্ধুত্বের সম্পর্ক। চিঠি লিখে একজন অজানা, অচেনা মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা, তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা, সেই সম্পর্কের যে আবেদন সেটা এখন এই পর্যায়ে এসে ভাবা যায় না। আমারও একজনের সঙ্গে পত্রমিতালীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো। সে অভিজ্ঞতা থেকে জানি, একটা চিঠি লেখার পরে উত্তর পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতো। তিন, চার, পাঁচ দিন বা তারও বেশিদিন পরে উত্তর আসতো। এই যে সময়টা, এই সময়টাতে একজনের কল্পনা, সম্ভাব্য উত্তর নিয়ে ভাবনা মনের ভেতর ছড়িয়ে পড়তো। একটা সময় ডাকপিয়ন চিঠি নিয়ে আসতো। সেটা একটা অসাধারণ মুহূর্ত। খামটা খোলার পরে সেই চিঠিটা স্পর্শ করার যে অনুভূতি, তা আজকে বলে বোঝানো যাবে না। এটা শুধু তখনই বোঝা যেত। যথারীতি চিঠির তো আর অনুলিপি রাখা হতো না, কিছু কিছু যা মনে পড়তো সেগুলোর উত্তর ঠিকঠাক আছে কিনা পড়ে মেলানো হতো। চিঠি পড়ে যদি কোনো জায়গায় দেখা যেত যে দুইজনের মতের সাথে মিল আছে, তাহলে ভালো বোধ হতো। আবার যদি যুক্তিসঙ্গত দ্বিমতের প্রকাশ দেখা যেত তাহলেও ভালো লাগতো। আবার কোনো কোনো যুক্তিকে যখন অযৌক্তিক মনে হতো, পরবর্তী চিঠির উত্তরে হয়তো আবার সেই লেখার প্রেক্ষিতে নিজের যুক্তি আর জোড়ালোভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা থাকতো। অনেকেই পত্রমিতালী গড়ে তোলার জন্য আগ্রহী হয়ে পত্রপত্রিকায় ছোট আকারে বিজ্ঞাপন দিতো। এটা এক ধরনের বিনোদনও ছিলো। এখন আমরা যেমন কক্সবাজার বেড়াতে যাই, আমরা হ্যাংআউট করি, রিসোর্টে যাই বা বারবিকিউ পার্টি করি, সে সময়তো এই কাজগুলো করার উপায় ছিলো না। কিন্তু মানুষ সব সময় অন্যরকম কিছু করার তাড়না বোধ করে, সেই বোধেরই এক ধরণের বহিঃপ্রকাশ ছিলো পত্রমিতালী।
‘পোস্টনেটাল ডিপ্রেশন’ কাটাতে মাকে কীভাবে সহায়তা করবেন

‘পোস্টনেটাল ডিপ্রেশন’ কাটাতে মাকে কীভাবে সহায়তা করবেন সন্তান প্রসবের পরে মায়ের শরীরে অনেক ধরণের পরিবর্তন আসে। যার প্রভাব পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। এদিকে শিশুর যত্ন নেওয়ার একটি বাড়তি চাপতো থাকেই। এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পারিবারিক এবং সামাজিক সহায়তা না পেলে মায়ের পোস্টনেটাল ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে। ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশি মডেল ও অভিনেত্রী মাকসুদা আখতার সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘শিশুর মাকে অন্তত প্রথম দুইবছর পর্যাপ্ত সময় দিন, যতটুকু আপনি যথেষ্ট ভাবছেন তার চেয়ে বেশী সহযোগিতা করুন, তখন আর মাকে পোস্টনেটাল ডিপ্রেশনের চেহারা দেখতে হবে না।’’ প্রিয়তীর ওই পোস্টের কমেন্টে অনেক নারী নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। এবং মতামত দিয়েছেন। রুখসানা আফরোজ মিতু নামের একজন লিখেছেন, ‘‘আপু আমাদের সমাজে এরকম কেউ করেনা বাচ্চা হবে শুধু কথা শুনাবে।কথা শুনলে মায়েরা ডিপ্রেশনে চলে যায়।আমার জটিল প্রেগন্যান্সি ছিল।দুটি অপারেশন হয়েছে রিকভারি না হতেই কেন পরিবারের সবার জন্য কেন রান্না করছি না তেড়ে আসে।যৌথ পরিবারে থাকলে তো কথায় নেই।আমার হাজবেন্ড সাহায্য করে কিন্তু পরিবারের লোক জনদের সাথে পারেনা।’’ ফারজানা আলম নামের একজন লিখেছেন, ‘‘এটা কয়জনইবা বুঝে সবাই ভাবে বাচ্চা হলেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায় কিন্তু একটা মার উপর দিয়ে কি যায় সেই একমাত্র জানে।’’ মাকসুদা আক্তার প্রিয়তির যুক্তি হচ্ছে, সবাই তার স্বাভাবিক নিয়মে জীবন যাপন করতে চায়, মায়েরও যে স্বাভাবিক সময়টুকু লাগে এটা কিন্তু কেউ বোঝার কষ্ট করেনা কারন বুঝলেই ওদের বিপদ । একজন মায়ের ‘পোস্টনেটাল ডিপ্রেশন’ দেখা দিয়েছে কিনা যেভাবে বুঝবেন— অতিরিক্ত বিষণ্ণতা বা দুঃখ বোধ হতে পারে অতিরিক্ত ক্লান্তি লাগতে পারে„ অহেতুক কান্না আসতে পারে মেজাজ খিটখিটে হতে পারে ঘুম অতিরিক্ত বেড়ে যেতে পারে অথবা অতিরিক্ত কমে যেতে পারে। খুব বেশি ক্ষুধা লাগতে পারে অথবা খুব কম ক্ষুধা লাগতে পারে শিশুর প্রতি মনোযোগ দিতে সমস্যা হয অন্যান্য মানুষের থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে ইচ্ছা করে। উল্লেখ্য, একজন মা যাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন, স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন—তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া সাইকোথেরাপি বা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা যেতে পারে।
৯৭ লাখ বাজেটের সিনেমায় আয় ১০৪ কোটি

৯৭ লাখ বাজেটের সিনেমায় আয় ১০৪ কোটি বক্স অফিসে আয়ের উপর ভিত্তি করে সিনেমাকে এখন ব্লকবাস্টার বা হিট তকমা দেওয়া হয়। অনেক সময় খ্যাতিমান অভিনেতাদের সিনেমাও বক্স অফিসে তেমন সাড়া ফেলতে পারে না। আবার ছোট বাজেটে নির্মিত অখ্যাত অভিনয়শিল্পীদের কোনো কোনো সিনেমা আশাতীত সাফল্য পায়। স্বল্প বাজেটের কন্নড় ভাষার ‘মুনগারু মেল’ সিনেমাও কল্পনাতীত আয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। কমেডি-ড্রামা ঘরানার ‘মুনগারু মেল’ সিনেমা ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেন—গণেষ ও পূজা গান্ধী। এটি পরিচালনা করেন যোগরাজ ভাট। এটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৭০ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৭ লাখ টাকা)। ১৩২ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই সিনেমা বক্স অফিসে আয় করে ৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বেশি)। রোমান্টিক কমেডি মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘মুনগারু মেল’। প্রীতম ও নন্দিনীকে কেন্দ্র করে সিনেমাটির কাহিনি আবর্তিত হয়। প্রীতম নন্দিনীকে ভালোবাসলেও তার মন ভেঙে যায়; যখন জানতে পারে নন্দিনীর বিয়ে অন্যত্র ঠিক হয়ে গেছে। তারপর গল্প মোড় নেয় ভিন্ন দিকে। মজার ব্যাপার হলো, ‘মুনগারু মেল’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে গণেষ ও পূজা গান্ধীর। আর অভিষেকেই বাজিমাত করেন এই জুটি। এ সিনেমার মাধ্যমেই তারকা খ্যাতি কুড়ান তারা। সিনেমাটি কর্নাটকে টানা ২০০ দিন প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়েছিল। সিনেমাটিতে কোনো তারকা অভিনয়শিল্পী ছিলেন না। অন্যান্য চরিত্র রূপায়ন করেছিলেন—অনন্ত নাগ, জয় জগদীশ, সুচিতা শেঠি প্রমুখ। এ সিনেমার ৮০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল বৃষ্টিতে। এই সিনেমার মাধ্যমে বলিউড প্লেব্যাক গায়ক সোনু নিগম, কুনাল গানজাওয়ালা এবং উদিত নারায়ণ কর্নাটকে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। দর্শকরা চাইলে সিনেমাটি এখনো দেখে নিতে পারবেন। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জিওহটস্টারে দেখা যাবে এটি। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টিভি
সাকিবের বল হাতে অবদান, জিতে শীর্ষে অ্যান্টিগা

সাকিবের বল হাতে অবদান, জিতে শীর্ষে অ্যান্টিগা ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ব্যাট হাতে এখনও আলো ছড়াতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থতার ধারা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের লড়াইতেও মাত্র ১৩ বলে ৭ রান করে ফেরেন সাজঘরে। তবে বল হাতে নিজের একমাত্র ওভারেই মাত্র ২ রান দিয়ে তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট। তার সামান্য অবদানও শেষ পর্যন্ত অ্যান্টিগা ও বারবুডা ফ্যালকন্সকে জয়ের পথে রাখে। অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ফ্যালকন্স। শুরুটা ভালো হয়নি। পাওয়ারপ্লেতেই রাহকিম কর্নওয়াল (৯) আউট হন। এরপর অ্যান্ড্রু জুয়েল (২২), করিমা গোর (১০), বেভন জ্যাকবস (৮) ও সাকিব (৭) ফেরায় ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ান অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিম ও ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। তাদের ৬৯ রানের জুটি দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়। অ্যালেনের ২০ বলে ৪৫ রান ও ইমাদের ২৭ বলে ৩৯ রানের ঝলক অ্যান্টিগাকে পৌঁছে দেয় ১৬৭ রানে। জবাবে রান তাড়ায় নামা ত্রিনবাগোর ব্যাটাররা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকেন। ওপেনার অ্যালেক্স হেলস (৫) দ্রুত বিদায় নেন। এরপর কলিন মুনরো (৪৪) কিছুটা চেষ্টা করলেও সঙ্গী পাননি। পুরান (১০), ব্রাভো (২) ও কার্টি (৩৫) ফিরে গেলে চাপ আরও বাড়ে। তখন দলের আশা হয়ে দাঁড়ান কাইরন পোলার্ড। শেষ পর্যন্ত তিনি ২৮ বলে ৪৩ রান করে লড়াই জমিয়ে তুললেও, শেষ ওভারে ১৪ রান দরকার থাকা অবস্থায় ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত ৮ রানে হেরে যায় নাইট রাইডার্স।
ইউক্রেনে রাতভর হামলা রাশিয়ার

ইউক্রেনে রাতভর হামলা রাশিয়ার ইউক্রেনের উপর রাতভর শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এটি ক্রেমলিনের আক্রমণ থামানোর জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মস্কোর সবচেয়ে বড় আক্রমণ।কিয়েভ, ইউক্রেন থেকে এএফপি। বিমান বাহিনী জানিয়েছে যে রাশিয়ান বাহিনী ৫৭৪টি ড্রোন এবং ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যার ফলে কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট ৫৪৬টি ড্রোন এবং ৩১টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।