সৌদিতে প্রথম নারীর খেলার টিভি চ্যানেল

সৌদিতে প্রথম নারীর খেলার টিভি চ্যানেল সৌদি আরবে শুধু নারীকে খেলা দেখানোর একটি টিভি চ্যানেল চালু হয়েছে। দেশটির নারী প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের ম্যাচ ও অন্যান্য ইভেন্ট চ্যানেলটিতে দেখানো হবে। এটি চব্বিশ ঘণ্টা চলবে এবং চব্বিশ ঘণ্টাই নারীর বিভিন্ন খেলা প্রচারিত হবে। সৌদি আরবে চ্যানেলটি চালু করেছে অল ওমেন্স স্পোর্টস নেটওয়ার্ক (এডব্লিউএসএন)। সৌদির ফুটবল ফেডারেশন এবং জাতীয় ব্রডকাস্টার সৌদি স্পোর্টস কোম্পানির সঙ্গে পার্টনারশিপ ভিত্তিতে চ্যানেলটির যাত্রা শুরু হয়েছে।‘এসএসজি এডব্লিউএসএন’ নামের এ চ্যানেলটির সম্প্রচার এমবিসি শহীদ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। ভিশন ২০৩০ সামনে রেখে সৌদি আরবে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। দেশটির নারীকে আগের যে কোনো বিষয় থেকে এখন বেশি স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। তারা নিজেরা গাড়ি চালানোর অনুমতিও পেয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ আটক ১৭১

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ আটক ১৭১ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ও জোহর বাহরুতে পৃথক অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১৭১ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। আজ ভোরে কুয়ালালামপুরের সেতাপাক এলাকার দানাউ কোটার ১৯ তলা ভবনে অভিযান চালিয়ে ১২৫ জনকে আটক করা হয়।কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, আটককৃতদের মধ্যে ৮১ জন পুরুষ ও ৪৪ জন নারী রয়েছেন, যাদের বয়স ১৬ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। আটকদের মধ্যে মিয়ানমারের ৬৯ জন, ভারতের ২৫ জন, পাকিস্তানের ১৪ জন, ইন্দোনেশিয়ার ১২ জন ও বাংলাদেশের ৫ জন রয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ এবং টানা দুই সপ্তাহের নজরদারির পর ৬৪টি ইউনিটে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০০ জন অভিবাসীর কাগজপত্র যাচাই করা হয়।অভিযানে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বৈধ কাগজপত্র না থাকা, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ও মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযানের সময় অনেকেই পালানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যান। এছাড়া বুধবার রাতে জোহরের উলু তিরম এলাকায় ‘অপস সাপু’ অভিযানে আরও ৪৬ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন ইন্দোনেশীয় পুরুষ, ১০ জন নারী, ১২ জন মিয়ানমার থেকে আগত পুরুষ, ৪ জন নারী, ৪ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ১ জন নেপালি এবং ২ জন ইন্দোনেশীয় শিশু (বয়স ২ থেকে ৬ বছর)। জোহর ইমিগ্রেশন পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুসদি মোহাম্মদ দারুস জানান, আটকদের ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে এবং অভিবাসন আইন অনুযায়ী তদন্ত চলছে। অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগদাতা বা আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা‘চিতাবাঘ’ আখ্যা দিলেন জামায়াতে ইসলামীকে

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা‘চিতাবাঘ’ আখ্যা দিলেন জামায়াতে ইসলামীকে বাংলাদেশে সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার ও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জামায়াতে ইসলামীকে ‘চিতাবাঘ’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে দলটির ভূমিকা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ‘আমরা কি বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত?’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেছেন। খবর দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন। হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের সাথে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। তবে নয়া দিল্লিকে অবশ্যই তার মূল স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন যেকোনো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। সাবেক এই কূটনীতিক বলেছেন, “এটা বলা যায় যে, ক্ষমতায় যারা আসবে তাদের সাথেই আমরা কাজ করব। কিন্তু যদি কেউ আপনার স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাহলে আপনাকে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ভারত প্রতিবেশীদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিকে সম্মান করে উল্লেখ করে রাজ্যসভার এই সদস্য বলেছেন, “যেসব দেশের সাথে আমাদের সীমান্ত রয়েছে, সেখানে স্রেফ অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে কিছু নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের বিজয়ের কথা উল্লেখ করে শ্রিংলা জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ‘সহায়ক বাহিনী’ হিসেবে এই সংগঠনের ভূমিকা ছিল। তিনি বলেন, “তাদের হাতে রক্ত লেগে আছে এবং তারা মুসলিম ব্রাদারহুডেরও একটি অংশ। বাংলাদেশ, মিশর, পাকিস্তান ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে একই মুসলিম ব্রাদারহুড বিদ্যমান। এবং এই চিতাবাঘ তার অবস্থান পরিবর্তন করবে না। ৬৩ বছর বয়সী এই সাবেক কূটনীতিক ভারতের সীমান্তে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের তৎপরতার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশে পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পদচিহ্নের দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটি “বিদ্বেষী শক্তির মধ্যে যোগসাজশের একটি প্রকৃত বিপদ তৈরি করেছে, যা মূলত জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ব্যবস্থা সমর্থন করছে। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারে এমন সম্ভাবনার কথাও স্বীকার করেছেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
লিপস্টিক ব্যবহারের সময় যে কৌশলগুলো অনুসরণ করতে পারেন

লিপস্টিক ব্যবহারের সময় যে কৌশলগুলো অনুসরণ করতে পারেন সাজের ষোলআনা পূর্ণ হয় লিপস্টিক ব্যবহারের মাধ্যমে! কিন্তু কিছু ভুলের কারণে লিপস্টিকের রং ঠোঁটে দীর্ঘস্থায়ী হয় না। লিপস্টিক কত সময় ঠোঁটে ঠিকঠাক থাকবে, তা শুধু পণ্যের গুণে নয়, যিনি ব্যবহার করছেন, তার কৌশলের ওপরও নির্ভর করে। তাই লিপস্টিক ব্যবহারের সময় এসব কৌশল অনুসরণ করুন। ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করে নিন রূপবিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘শুষ্ক ঠোঁটে লিপস্টিক বেশি সময় টেকে না।’’ সেজন্য তাই লিপ স্ক্রাব বা হালকা ব্রাশ দিয়ে ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করুন, তারপর লিপ বাম লাগান। কয়েক মিনিট পর টিস্যু দিয়ে বাড়তি আর্দ্রতা মুছে ফেলুন। লিপ প্রাইমার ব্যবহার ঠোঁটে দীর্ঘ সময় লিপস্টিক ঠিক রাখতে হলে লিপস্টিক লাগানোর আগে পাতলা করে কনসিলার বা লিপ প্রাইমার ব্যবহার করুন। তাহলে ঠোঁটের রঙ সমান দেখাবে, আর লিপস্টিক বসে যাবে অনেক ভালভাবে। শেপ ও বেস তৈরি ঠোঁটের আউটলাইন টেনে নিতে পারেন। এজন্য লিপ লাইনার ব্যবহার করুন। শুধু শেপ নয়, ভেতরে হালকা করে ভরাট করে নিলে লিপস্টিক আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। কোট করে লিপস্টিক লাগান প্রথমে একটি কোট লিপস্টিক লাগান। তাতে টিস্যু দিয়ে হালকা চাপ দিন। তারপর আবার দ্বিতীয় কোট দিন। এই লেয়ারিং টেকনিক লিপস্টিককে কয়েক ঘণ্টা বেশি ধরে রাখবে। পাউডার সেটিং করুন লিপস্টিকের ওপরে টিস্যু চাপা দিয়ে তার ওপর হালকা ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার লাগান। এতে লিপস্টিক সেট হয়ে যাবে, আর সহজে মুছবে না।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২৪৫

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২৪৫ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৪৫ জন। এই সময়ে কোনও মৃত্যু ঘটেনি। এর ফলে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা অপরিবর্তিত থেকে ১৪৫ জনে রয়েছে। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে- গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬৭ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২ জন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮৪ জনসহ চলতি বছর এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার ২৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৯২৭ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৩৯ দশমিক ৯ শতাংশ নারী। দেশে এক বছরে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ২০২৩ সালে। ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন, ২০২০ সালে ১৪০৫ জন এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
বড় জয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

বড় জয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন দাসের হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে ১৪৪ রানের লক্ষ্য ১৪ বল হাতে রেখেই পূর্ণ করেছে টাইগাররা। যদিও সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম বলটি ডট হলেও পরের দুই বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো সূচনা করেন পারভেজ হোসেন ইমন। আয়ুস শুক্লার করা দ্বিতীয় বলটিতে ড্রাইভ করে কাভারের ওপর দিয়ে চার মারেন ইমন। পরের বলেও ইন সাইড এজ হয়ে আরেকটি চার পেয়ে যান তিনি। তবে তৃতীয় ওভারে আয়ুসকে মারতে গিয়ে ১৪ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে ফিরে যান ইমন। এরপর তানজিদ হাসান দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করতে গিয়ে ১৮ বলে ১৪ রান করে আউট হন। আতিক ইকবালের বলে মিড অফে ক্যাচ দেন তানজিদ। এরপর তাওহীদ হৃদয় ও লিটন দাস ৭০ বলে ৯৫ রানের একটি জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ধরে রাখেন। যদিও লিটন ইনিংসের ১৮তম ওভারে ৩৯ বলে ৫৯ রান করে বোল্ড হয়ে যান। তবে এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। হৃদয় ৩৬ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন এবং দলকে জয় এনে দেন। হংকংয়ের ব্যাটিংয়ে প্রথম আঘাতটি দেন তাসকিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তিনি আনশুমান রাঠকে আউট করেন। পরে বাবর হায়াতের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং প্রতিরোধ গড়তে থাকলেও তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন। পাওয়ার প্লে শেষে হংকং ৩৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি। এরপর জিসান আলী ও নিজাকাত খান কিছুটা জুটি গড়ে রান বাড়াতে থাকেন। কিন্তু তানজিম সাকিবের পরবর্তী ওভারে জিসান ৩৪ বলে ৩০ রান করে আউট হন। এরপর মুর্তজা ও নিজাকাত কিছুটা রান বাড়ান, তবে তারা দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না। ১৮তম ওভারে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান মুর্তজা, ২৮ রান করে। পরবর্তীতে নিজাকাত খান ৪২ রান (এক ছক্কা, দুই চারে) নিয়ে রিশাদ হোসেনের বলে আউট হন। হংকং শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন, রিশাদ এবং তানজিম।
আম্পায়ার সাইমন টাফেল বাংলাদেশে আসছেন কাল

আম্পায়ার সাইমন টাফেল বাংলাদেশে আসছেন কাল বাংলাদেশি আম্পায়ারদের প্রশিক্ষণের জন্য আগামীকাল ঢাকায় আসছেন আইসিসির সাবেক এলিট প্যানেল আম্পায়ার সাইমন টাফেল। টাফেলের সাথে দুই বছরের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আম্পায়ারদের দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের মান বাড়ানোর জন্য কাজ করবেন টাফেল। টানা ৫ বার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার জিতেছেন টাফেল। ১৯৯৯ সালে আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ২০০০ সালে প্রথম টেস্ট আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন টাফেল। আইসিসির মেগা ইভেন্ট এবং অ্যাশেজের মতো জনপ্রিয় সিরিজের আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৭৪টি টেস্ট, ১৭৪টি ওয়ানডে এবং ৩৪টি টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন টাফেল। ২০০৪-২০০৮ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচবার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার নির্বাচিত হওয়ার অনন্য রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে টাফেল উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আদালত থেকে যে রায় পেলেন ঐশ্বরিয়া

আদালত থেকে যে রায় পেলেন ঐশ্বরিয়া তারকাদের ছবি অনেক সময় অনেকে বিকৃতভাবে ব্যবহার করেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছেন সাবেক বিশ্ব সুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সম্প্রতি ব্যক্তি অধিকার রক্ষার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। দিল্লি উচ্চ আদালতের পক্ষে জানানো হয়েছে, ‘আগামীতে বিনা অনুমতিতে অভিনেত্রীর নাম ও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। এতে অভিনেত্রীর ব্যক্তি অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে কিংবা ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। ’ জানা গেছে, ঐশ্বরিয়ার ছবি ব্যবহার করে অনেক উদ্যোক্তা কফি মগ, টি-শার্টের মতো নানা সামগ্রী তৈরি করেছেন। এ ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ঐশ্বরিয়ার একাধিক ছবির স্বাভাবিকতা নষ্ট করে সেগুলো সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আদালতে ঐশ্বরিয়ার বক্তব্য শুনেছেন বিচারপতি তেজস করিয়া। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে এই ধরনের ঘটনা পুণরায় যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। ঐশ্বরিয়া রায়ের পক্ষে লড়েন আইনজীবী সন্দীপ শেঠি। আদালত জানিয়েছে, ‘ব্যবসার উদ্দেশ্যে ঐশ্বরিয়ার কোনো ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি ঐশ্বরিয়ার সংক্ষিপ্ত নামও ব্যবহার করা যাবে না। ’
বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমকে হারানোর ১৬ বছর

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমকে হারানোর ১৬ বছর বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম, যিনি অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা। ভাটি বাংলার এ প্রাণপুরুষ বাউল গানের অনন্য এক কিংবদন্তি। আজ বাউলসঙ্গীতের এই পথিকৃতের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৯ সালের আজকের এই দিনে অগণিত ভক্তকুলকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই থানার ধলআশ্রম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতার নাম ইব্রাহীম আলী ও মাতার নাম নাইওরজান। দারিদ্র ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া বাউল শাহ আবদুল করিমের সঙ্গীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। বাউল সম্রাটের প্রেরণা তার স্ত্রী; যাকে তিনি আদর করে ‘সরলা’ নামে ডাকতেন। তিনি গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহ-এর দর্শন থেকে। যদিও দারিদ্র তাকে বাধ্য করে কৃষিকাজে তার শ্রম ব্যয় করতে কিন্তু কোনো কিছু তাকে গান সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তিনি বাউল গানের দীক্ষা লাভ করেছেন সাধক রশীদ উদ্দীন, শাহ ইব্রাহীম মাস্তান বকশ এর কাছ থেকে। শরীয়তী, মারফতি, দেহতত্ত্ব, গণসংগীতসহ বাউল গান এবং গানের অন্যান্য শাখার চর্চাও করেছেন শাহ আবদুল করিম। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে তার ১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। শাহ আবদুল করিমের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে ‘বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে’, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘রঙ এর দুনিয়া তরে চায় না’, ‘তুমি রাখ কিবা মার’, ‘ঝিলঝিল ঝিলঝিল করেরে ময়ুরপংখী নাও’, ‘আমি কূলহারা কলঙ্কিনী’, ‘কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া’ এবং ‘কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু’ অন্যতম। এ পর্যন্ত বাউল শাহ আবদুল করিমের লেখা গানের ৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার মৃত্যুর কিছুদিন আগে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে তার রচনাসমগ্র (অমনিবাস)-এর মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো শাহ আবদুল করিমের জীবদ্দশায় তার জীবন ও কর্মভিত্তিক একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ‘শাহ আবদুল করিম সংবর্ধন-গ্রন্থ’ (উৎস প্রকাশন) নামের এ বইটি সম্পাদনা করেন লোকসংস্কৃতি গবেষক ও প্রাবন্ধিক সুমনকুমার দাশ। পরে শিল্পীর চাওয়া অনুযায়ী ২০০৯ সালের প্রথম দিকে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের উদ্যোগে বাউল আব্দুল করিমের সমগ্র সৃষ্টিকর্ম নিয়ে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এছাড়াও এর আগে-পরে শাহ আবদুল করিমকে নিয়ে সুমনকুমার দাশের ‘বাংলা মায়ের ছেলে : শাহ আবদুল করিম জীবনী’ (অন্বেষা প্রকাশন), ‘সাক্ষাৎকথায় শাহ আবদুল করিম’ (অন্বেষা প্রকাশন), ‘শাহ আবদুল করিম’ (অন্বেষা প্রকাশন), ‘বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিম’ (উৎস প্রকাশন), ‘গণগীতিকার শাহ আবদুল করিম’ (উৎস প্রকাশন) প্রকাশিত হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ঢাকার প্রখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা প্রথমা থেকে প্রকাশিত হয় সুমন কুমার দশের ‘শাহ আবদুল করিম : জীবন ও গান’ বইটি। এ বইটি ইতোমধ্যেই একটি প্রামাণ্য জীবনী হিসেবে বোদ্ধামহলে স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে। এ বইটিতে করিমের নির্বাচিত বেশ কিছু গানও সংকলিত হয়েছে। বাউল শাহ আব্দুল করিম ২০০১ সালে একুশে পদক লাভ করেন। শাকুর মজিদ তাকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন ভাটির পুরুষ নামে একটি প্রামাণ্য চিত্র। এছাড়াও সুবচন নাট্য সংসদ তাকে নিয়ে নির্মাণ করেছে শাকুর মজিদের লেখা নাটক ‘মহাজনের নাও’।
চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ, কেমন আছেন কারিশমা?

চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ, কেমন আছেন কারিশমা? চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন অভিনেত্রী কারিশমা শর্মা। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুর্ঘটনার জেরে মাথায় চোট পেয়েছেন বলে জানা গেছে। কেন হঠাৎ চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিলেন, সে কথা নিজেই জানালেন ‘পেয়ার কা পাঞ্চনামা ২’ অভিনেত্রী। সামাজিকমাধ্যমে সেই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন কারিশমা। তিনি লেখেন, গতকাল, চার্চগেটের উদ্দেশে শুটের জন্য রওনা দিয়েছিলাম। শাড়ি পরে ট্রেনে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ট্রেনে উঠেও পড়েছিলাম। তার পরেই খেয়াল করি যে আমার বন্ধুরা উঠতে পারেনি। এ দিকে ততক্ষণে ট্রেনের গতি বেড়ে গেছে। ভয় পেয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিই। দুর্ভাগ্যবশত চিত হয়ে পড়ি, মাথায় প্রচণ্ড জোরে আঘাত পাই। এই অভিনেত্রী জানান, তার শরীরে ক্ষত ভরে গেছে। পিঠে চোট পেয়েছেন, মাথা ফুলে গেছে। কারিশমা যোগ করেন, চিকিৎসকের পরামর্শে এমআরআই করিয়েছি। একটা দিন নজরদারিতে রাখা হয়েছিল আমাকে, মাথার চোট কতটা গুরুতর পরীক্ষা করার জন্য। অনুরাগীদের কাছে নিজের দ্রুত আরোগ্য কামনার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তার কথায়, গতকাল থেকে আমি খুব যন্ত্রণায় আছি। কিন্তু, শক্ত থাকার চেষ্টা করছি। আমার জন্য প্রার্থনা করবেন, ভালোবাসা পাঠাবেন। ‘হোটেল মিলান’, ‘ফাঁসতে ফাঁসাতে’, ‘উজড়া চমন’, ‘এক ভিলেন রিটার্নস্’র মতো একাধিক জনপ্রিয় সিনেমাতে অভিনয় করেছেন কারিশমা। তাকে দেখা গেছে একাধিক ওয়েব সিরিজ ও হিন্দি ধারাবাহিকেও।