যে অভ্যাসগুলো আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে

যে অভ্যাসগুলো আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে যেকোনো কাজের পরিবেশে, শ্রেণীকক্ষে অথবা কর্মক্ষেত্রে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি থাকে যাদেরকে আলাদাভাবে দেখা হয়, যারা এমন এক আভা বিকিরণ করে যা দেখে সবাই তাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। এটা এই কারণে নয় যে তারা উচ্চস্বরে কথা বলে, অথবা তারা নিজেদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলে। এর কারণ হলো তারা সব সময় কিছু ছোট ছোট নিয়ম মেনে চলে। তাদের প্রভাব চটকদার প্রদর্শন থেকে আসে না, বরং দিনের পর দিন ধরে রাখা ছোট ছোট কিছু অভ্যাস থেকে আসে। এই ব্যক্তিরা জোর না করেই বিশ্বাস এবং সম্মান অর্জন করে, অন্যদের তা করতে বাধ্য না করে অনুপ্রাণিত করে এবং অনেকের মনে স্থায়ী ছাপ ফেলে। ভাগ্য বা প্রতিভা তাদের আলাদা করে তোলে না, বরং নিয়মানুবর্তিতার অভ্যাস তাদের এই জায়গায় পৌঁছে দেয়। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা : এ ধরনের মানুষের মুখের কথা ও কাজে মিল থাকে। সহজ কথায় তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এ ধরনের মানুষেরা সহজেই অন্যের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। কারণ মানুষ তার কাছে নির্ভরতা খুঁজে পায়। কথা ও কাজে মিল না থাকলে সেই মানুষ কারও প্রিয় হতে পারে না। কারণ তার ওপর কেউ আস্থা রাখতে পারে না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা না করলে, তা যত ছোটই হোক না কেন, মানুষের মনে জায়গা পাওয়া যায় না। ভুল না করে ভুল স্বীকার করা : মানুষের ভুল হবেই। তবে কে কীভাবে নিজের ভুল স্বীকার করছে অথবা আদৌ স্বীকার করছে কি না, তার ওপর অনেককিছু নির্ভর করছে। অন্যের কাছে পছন্দনীয় ব্যক্তিরা দোষ এড়ানো বা কাল্পনিক গল্প তৈরি করার পরিবর্তে, তারা সরাসরি নিজের ভুল স্বীকার করে। জবাবদিহিতা এবং নম্রতা এ ধরনের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়, অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। ভুল স্বীকার করেই তারা নিখুঁত হয়ে ওঠে। ক্রেডিট শেয়ার : অন্যকে কৃতিত্ব দিতে যারা কার্পণ্য করেন না, তাদেরকে কে না পছন্দ করবে! এই ছোট্ট অভ্যাসই আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে। যখন কেউ দেখবে যে তার কৃতিত্বের স্বীকৃতি মিলছে, তখন নিজ থেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পাবে। মন খুলে অন্যের প্রশংসা সবাই করতে পারে না। যারা পারে, মানুষ তাদেরই ভালোবাসে। তাদের এই ছোট ছোট কাজগুলোই বাকিদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। অন্যদের সময়কে গুরুত্ব দেওয়া : অনেকেই আছে যারা অন্যের সময় নষ্ট করাকে কোনো অপরাধ বলেই মনে করে না। কিন্তু মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠা যেহেতু ছোট ছোট অভ্যাসের বিষয়, তাই এই অভ্যাসও সেখানে থাকতে হবে। অর্থাৎ মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে তাদের সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে। জীবনে বাকি মোটামুটি সবকিছু ফেরত পাওয়া সম্ভব হলেও সময় কখনো ফেরত পাওয়া যায় না। এই সময়কে কেউ গুরুত্বহীন হিসেবে দেখলে সে অন্যের কাছে প্রিয় হতে পারে না।

অবস্থা সংকটাপন্ন, ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে ফরিদা পারভীন

অবস্থা সংকটাপন্ন, ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে ফরিদা পারভীন বাংলা সংগীতাঙ্গনের অমূল্য রত্ন, লালন সংগীতের মহীরুহ ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এই কিংবদন্তি শিল্পীকে। আজ দুপুরে ফরিদা পারভীনের মেয়ে জিহান ফারিহা সাংবাদিকদের বলেছেন, “আম্মার অবস্থা আগের থেকে অনেক খারাপ। তাকে জেনারেশন ফোর মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ডাক্তাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।” অন্যদিকে, শিল্পীর বড় ছেলে ইমাম জাফর নুমানী বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “গত বুধবার বিকেল থেকে আম্মাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে, ব্লাড প্রেশারও নেই। ডাক্তাররা কৃত্রিমভাবে তার শ্বাস-প্রশ্বাস ও রক্তচাপ চালু রাখছেন। তবে, দুঃখজনক হলেও সত্যি, উন্নতির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।” ফরিদা পারভীনের পরিবারের সদস্যরা আরো জানিয়েছেন, সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয় নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছে। তবে, চিকিৎসার জন্য কোনো আর্থিক বা অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন নেই। পরিবারের একটাই অনুরোধ— সবাই যেন ফরিদা পারভীনের জন্য দোয়া করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, “ফরিদা পারভীন এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার কিডনি, মস্তিষ্ক কাজ করছে না, ফুসফুসে জটিলতা দেখা দিয়েছে। হৃদযন্ত্রে অনিয়মিত স্পন্দন আছে, রক্তের সংক্রমণ পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিনি মাল্টি অর্গান ফেইলিউরে ভুগছেন। রক্তচাপ অত্যন্ত কম থাকায় ডায়ালাইসিস সম্ভব হয়নি। তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর বোঝা যাবে, অবস্থা কোন দিকে যাবে।” চলতি বছরের শুরুতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল ফরিদা পারভীনকে। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন। আবারও গত ৫ জুলাই গুরুতর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে হয় তাকে। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও নিয়মিত রুটিন চিকিৎসা চলছিল। গত বুধবার থেকে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে দেশাত্মবোধক গান গাইলেও লালন সংগীতের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে ফরিদা পারভীনের নিজস্ব পরিচয়। গুরুদের সাহচর্যে তিনি লালনের গানকে হৃদয়ের গভীরতা দিয়ে উপলব্ধি করেছেন এবং সেই আবেগেই গেয়েছেন ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘অচিন পাখি’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান। ১৯৭৮ সালে সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। পরে জাপান সরকার তাকে সম্মানিত করে কুফুওয়া এশিয়ান কালচারাল পদক দিয়ে। দেশ-বিদেশে অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেছেন তিনি।কেবল গানের মঞ্চেই নয়, লালন সংগীতকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘অচিন পাখি স্কুল’, যেখানে শিশু-কিশোরদের শেখানো হয় লালনের আধ্যাত্মিক দর্শন ও সংগীত।

এশিয়া কাপে আজ রাতে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা পরীক্ষা

এশিয়া কাপে আজ রাতে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা পরীক্ষা অবশেষে এলো আসল লড়াইয়ের দিন। আজ আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। এশিয়া কাপের এবারের আসরের প্রথম দিকটা হয়েছে প্রত্যাশামতো। ভারত, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান সহজ জয় তুলে নিয়েছে। আর পাকিস্তানও এড়িয়েছে অঘটন। তবে আজকের লড়াইটা ভিন্ন রঙের। দুই দলই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সমানতালে লড়াই করেছে। শেষ ১০ বছরে ১৬টি ম্যাচে দুই দল জিতেছে সমান ৮ বার করে। সাম্প্রতিক ইতিহাস বাংলাদেশের পক্ষে: গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। তার আগে গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ডালাসে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে টাইগাররা। ঐ ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশের বোলাররা শুরুতেই আঘাত হেনেছিল এবং নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়েছিল। লঙ্কানরা এবার আশা করছে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ ভালো করবে, যদিও মাত্র দুই সপ্তাহ আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গুটিয়ে গিয়েছিল ৮০ রানে। বাংলাদেশের বাড়তি সুবিধা হলো- তারা ইতোমধ্যেই এই ভেন্যুতে খেলেছে। বৃহস্পতিবার হংকংয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় ছিল প্রায় নিখুঁত প্রদর্শনী। ফাস্ট বোলাররা উইকেট শিকার করেছে। ব্যাটসম্যানরা সহজেই রান তাড়া করেছে। লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনও নিয়েছেন উইকেট। যিনি লঙ্কানদের বিপক্ষে শেষ সিরিজে দুর্দান্ত ছিলেন। তিন ম্যাচে মাত্র ৫.৪৭ ইকোনমি রেটে বল করেছেন। শ্রীলঙ্কার নতুন শুরু: শ্রীলঙ্কা সিরিজ হারের পর এবার ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে নেমেছে। মাসের শুরুতে জিম্বাবুয়েকে ২-১ ব্যবধানে হারালেও তাদের ধারাবাহিকতার অভাব বড় সমস্যা। আসালঙ্কার নেতৃত্বাধীন দল অনেকটাই নির্ভর করছে স্পিন জুটি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মাহিশ থিকশানার ওপর। গ্রুপ অব ডেথের চাপ: এই গ্রুপে আফগানিস্তানও আছে। মানে প্রতিটি ম্যাচই বাঁচা-মরার লড়াই। আজ যে দল হারবে, তাদের জন্য সুপার ফোরের পথ হবে কঠিন। বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস অবশ্য আকাশচুম্বী। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এশিয়া কাপে হংকংকে হারিয়ে সেই ছন্দ অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার জন্য এটাই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ। ভেন্যু ও পিচ: শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের উইকেটে রান ওঠে ভালোই। তবে ম্যাচ যত গড়ায়, স্পিনাররা প্রভাব ফেলতে পারে। পাওয়ার প্লে’র ওভারগুলোই নির্ধারণ করবে ম্যাচের গতি। নজর রাখার খেলোয়াড়: বাংলাদেশের হয়ে লিটন দাস দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩ ম্যাচে করেছেন ১৪৫ রান। এশিয়া কাপেও হংকংয়ের বিপক্ষে খেলেছেন ৩৯ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুশমন্ত চামিরা নজর কাড়তে পারেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন নতুন বলে কতটা কার্যকর। মাইলফলকের পথে: লিটন দাস ১১১ ম্যাচে করেছেন ২,৪৯৬ রান। মাত্র ৪ রান দূরে ২,৫০০ পূর্ণ করার থেকে। তাওহীদ হৃদয়ের চাই ৫৬ রান। তাহলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন ১,০০০ রানের মাইলফলক। লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা আছেন ১,৯৫০ রানে। আর ৫০ রান করলে তিনিও ঢুকে পড়বেন দুই হাজারি ক্লাবে। বোলারদের মধ্যে হাসারাঙ্গার ঝুলিতে আছে ৭৯ ম্যাচে ১৩১ উইকেট। যেখানে চারবার নিয়েছেন চার উইকেট। বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকার আলি আনিক, রিশাদ হোসেন, মাহেদি হাসান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। শ্রীলঙ্কার সম্ভাব্য একাদশ: কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), পাথুম নিসাঙ্কা, কামিল মিশারা/নুয়ান থুশারা, কুশল পেরেরা, চারিথ আসালঙ্কা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকশানা, দুশমন্ত চামিরা ও মাথিশা পাথিরানা।

রাশিয়ায় ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা

রাশিয়ায় ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের কারণে সুনামির ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। আজ দেশটির কামচাটকা অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানে। খবর রয়টার্সের। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস জানায়, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল)। অন্যদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.৪ এবং গভীরতা ৩৯.৫ কিলোমিটার (২৪.৫ মাইল)। প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিস্থিতি এখনও পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির বা মানুষের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গত ৩০ জুলাই কামচাটকাতে ৮.৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, যা রাশিয়ার ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে বিবেচিত। এই ভূমিকম্পের ফলে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল, তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

অবশেষে শেষ হলো জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা

অবশেষে শেষ হলো জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা টানা তিন দিন ধরে চলা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। আজ দুপুর সোয়া দুইটার দিকে এ তথ্য জানান উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিকদের বলেছেন, ওই সময় পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ ব্যালট পেপার গোনার কাজ শেষ হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফল ঘোষণা করা যাবে বলে তারা আশা করছেন। ভোটের ফলাফল ঘোষণার জন্য কয়েক দফা সময় পেছায় নির্বাচন কমিশন। দীর্ঘসময় ধরে চলা ভোট গণনা কার্যক্রমে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে এক শিক্ষিকা মারা গেছেন। ১২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ১১ সেপ্টেম্বর দিনভর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কয়েকটি হলে দীর্ঘ লাইন থাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। পরে সেসব ব্যালট বাক্স হল থেকে সিনেট ভবনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে রাত ১০টার পর থেকে ভোট গণনা শুরু করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ভোটগ্রহণ হয়েছে ওএমআর ব্যালটে। ভোট গণনা করার কথা ডিজিটাল মেশিনে। সেই সিদ্ধান্ত বদলে হাতে গোনা হচ্ছে ব্যালট। জাকসু নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বদলকেই ভোটগণায় বিলম্বের কারণ হিসেবে দায়ী করছেন জাবি শিক্ষার্থীরা। তবে ভোট গণনা পদ্ধতি পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্যান্য পক্ষের সাথে আলোচনা না করেই নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের নেতারা। নির্বাচনের দিন পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী ও বাগছাস সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য জোট’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম দাবি করেন, ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন জামায়াতে ইসলামী-সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে।

জাকসু নির্বাচন: জরুরি বৈঠক শেষে আবার ভোট গণনা শুরু

জাকসু নির্বাচন: জরুরি বৈঠক শেষে আবার ভোট গণনা শুরু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা পুনরায় শুরু হয়েছে। আজ সন্ধ্যা সোয়া ৬টার পর এ গণনা শুরু হয়। এদিন বিকেল ৫টার পর ভোট গণনা বন্ধ করে জরুরি বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে অবশিষ্ট ভোট গণনা শুরু করার নির্দেশ দেন প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব একেএম রাশিদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, পূর্বের মতো ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চলতে থাকবে। তবে গণনা টিমের সংখ্যা বাড়ানো হবে। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। সকাল ৯টা থেকে একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কিছু কেন্দ্রে অবশ্য ভোটগ্রহণ শুরু হতে দেরি ও বিঘ্নিত হওয়ায় গ্রহণের সময় বাড়ানো হয়। ভোট গণনার জন্য যে ওএমআর মেশিন কেনা হয়, তা জামায়াতের কোনো এক অখ্যাত কোম্পানির বলে ছাত্রদল অভিযোগ করলে ভোট হাতে গোনার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও ছাত্রশিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলকে সুবিধা দিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর রাত সোয়া ১০টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়। হাতে গোনা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার বিধায় প্রথমে বলা হয় শুক্রবার সকালে ফলাফল ঘোষণা হবে। কিন্তু গণনা শেষ না হওয়ায় বারবার সময় বদলানো হয়। শেষমেষ জানানো হয়, রাত ১০টার পরে ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে। এর মধ্যে সকালে ভোট গণনার সময় অসুস্থ হয়ে চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা মারা যান। নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা সুলতানা আকতার বলেন, আমার সহকর্মীর (চারুকলার শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস) মৃত্যুর জন্য প্রশাসন দায়ী। যদি মেশিনে ভোট গণনা হতো হয়তো আমরা আমাদের সহকর্মীকে হারাতাম না। গত তিনদিন ধরে আমরা অমানুষিক পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমাদের কি পরিবার নেই? শারীরিক মানসিক ক্লান্তি নেই? তিনি বলেন, এভাবে এনালগ পদ্ধতিতে ভোট গণনা করলে তিনদিনেও ভোট গণনা শেষ হবে না। আমরা শিক্ষক, এসব আর মেনে নিতে পারছি না।

সোনামসজিদে হযরত শাহ নেয়ামতুল্লাহ(র.) এর ওরস অনুষ্ঠিত

সোনামসজিদে হযরত শাহ নেয়ামতুল্লাহ(র.) এর ওরস অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক গৌড়ের ছোট সোনামসজিদের অদূরে অবস্থিত তোহাখানা মসজিদ সংলগ্ন হযরত শাহ নেয়ামতুল্লাহ (র.) এর মাজার ঘিরে বার্ষিক ওরস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো মুসল্লী অংশ নেন। প্রতিবছর ভাদ্র মাসের শেষ শুক্রবার এই ওরস অনুষ্ঠিত হয়। ওরসের মূল অনুষ্ঠান ছিল বাদ জুম্মা আখেরী মোনাজাত। বিশেষ এই দোয়ায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। এবার আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন দুদক কমিশনার মিয়া মোহাম্মদ আলি আকবর আজিজী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফয়সাল রায়হান, শিবগঞ্জের ইউএনও আজাহার আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসিন আরাফাত, শিবগঞ্জের এসি ল্যান্ড তৌফিক আজিজ, শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া সহ সরকারি কর্মকর্তাসহ বহু মানুষ। তবে বৃষ্টির কারণে ওরসের কার্যক্রমে এবার কিছুটা সমস্যা হয়। এদিকে ওরস ঘিরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর মহাসড়ক ও ঐতিহাসিক স্থান সমূহ সংলগ্ন সড়কগুলির দুপাশে বসেছে গ্রামীণ মেলা। মেলায় রয়েছে খাবার, খেলনা, মনোহারি ও রকমারি সহ বিভিন্ন দোকানপাট।

বিদেশি সিনেমা টিভি সিরিজ দেখার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড

বিদেশি সিনেমা টিভি সিরিজ দেখার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড উত্তর কোরিয়ার সরকার এখন আগের চেয়ে আরও বেশি মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে বিশেষ করে যারা বিদেশি সিনেমা ও টিভি সিরিজ দেখে বা তা ছড়িয়ে দেয়, তাদের ক্ষেত্রে। জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এই একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র এটির জনগণের স্বাধীনতা আরও কঠোরভাবে দমন করছে এবং তাদের জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতর জানায়, গত এক দশকে উত্তর কোরিয়া তার নাগরিকদের জীবনের প্রতিটি দিক আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, আধুনিক বিশ্বে আর কোনো জনগোষ্ঠীর ওপর এত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। এতে আরও বলা হয়, নজরদারির মাত্রা অনেক বেড়েছে, যা আংশিকভাবে প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে সম্ভব হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, যদি এই পরিস্থিতি চলতেই থাকে, তাহলে উত্তর কোরিয়ার জনগণ দীর্ঘদিন ধরে যেসব ভোগান্তি, নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন ও ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তা আরও বেড়ে যাবে। গত ১০ বছরে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা ৩শ’ জনের বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডের হার বেড়ে গেছে। ২০১৫ সালের পর অন্তত ৬টি নতুন আইন চালু হয়েছে যা বিভিন্ন অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড প্রযোজ্য করেছে। এর মধ্যে একটি অপরাধ হলো বিদেশি চলচ্চিত্র ও টিভি কনটেন্ট দেখা বা শেয়ার করা। কিম জং উন জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ সীমিত করতে এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। ২০১৯ সালের পর পালিয়ে আসা লোকেরা জানান, ২০২০ সাল থেকে বিদেশি কনটেন্ট বিতরণের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সংখ্যা বেড়ে গেছে। তারা বলেন, এসব মৃত্যুদণ্ড জনসমক্ষে গুলি করে কার্যকর করা হয়, যাতে জনগণের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হয় এবং কেউ আইন ভঙ্গ না করে। ২০২৩ সালে পালিয়ে আসা উত্তর কোরিয়ান কাং গিউরি বলেন, তার তিন বন্ধু দক্ষিণ কোরিয়ার কনটেন্ট রাখার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড পান। তিনি একজন ২৩ বছর বয়সী বন্ধুর বিচারে উপস্থিত ছিলেন, যিনি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। তিনি বলেন, ‘সে মাদকাসক্ত অপরাধীদের সঙ্গে একসঙ্গে বিচার পেয়েছিল। এখন এই ধরনের অপরাধকে একে অপরের সমান বলে মনে করা হয়।তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের পর থেকে জনগণ আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এসব ঘটনা উত্তর কোরিয়ার জনগণের বিগত দশকের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০১১ সালে কিম জং উন ক্ষমতায় এলে অনেকেই আশা করেছিলেন পরিস্থিতির উন্নতি হবে, কারণ তিনি বলেছিলেন জনগণকে আর ‘কষ্ট করে বাঁচতে হবে না’ অর্থাৎ তারা পর্যাপ্ত খাবার পাবে। তিনি দেশটির পারমাণবিক শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, ২০১৯ সালে পশ্চিমা বিশ্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ করে কিম যখন তার অস্ত্র কর্মসূচিতে জোর দেন, তখন থেকেই মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ২০১৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পালিয়ে আসা এক তরুণী বলেন, ‘কিম জং উনের শাসনের প্রথমদিকে কিছু আশা ছিল, কিন্তু তা বেশিদিন টেকেনি। তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ধীরে ধীরে মানুষের স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার পথ বন্ধ করে দেয়, আর প্রতিদিন বেঁচে থাকাটাই এক ধরনের যন্ত্রণায় পরিণত হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত ১০ বছরে সরকার জনগণের ওপর প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, যার ফলে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উন্নত নজরদারি প্রযুক্তি এই দমন-পীড়ন আরও সহজ করেছে। সূত্র: বিবিসি নিউজ।

ধর্মগুরুদের যৌন নির্যাতনের বিরুধে সোচ্ছার হতে নির্দেশ পোপের

ধর্মগুরুদের যৌন নির্যাতনের বিরুধে সোচ্ছার হতে নির্দেশ পোপের ভ্যাটিকানের প্রকাশিত এক বার্তায় ক্যাথলিক চার্চের ধর্মগুরুদের সংঘটিত যে কোনো যৌন নির্যাতনের বিরুধে সোচ্ছার হতে বিশপদের নির্দেশ দিয়েছেন পোপ লিও। সেই সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগগুলোও যেন সামনে এনে নিস্পত্তি করা হয়, সেই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যৌন নির্যাতনের কেলেঙ্কারি চার্চকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং নৈতিক কণ্ঠস্বর হিসেবে এর অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই ঘটনাগুলো ব্যয়বহুল মামলার সূত্রপাত করেছে এবং এর ফলে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট বিশপ পদত্যাগ করেছেন। বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক ডায়োসিসের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিযুক্ত প্রায় ২০০ বিশপের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পোপ বলেন, ‘(অভিযোগ) গোপন রাখা যাবে না। ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের প্রতি করুণা এবং সত্যিকারের ন্যায়বিচারের অনুভূতি নিয়ে তাদের মুখোমুখি হতে হবে। পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর মে মাসে নির্বাচিত লিও এর আগে পুরোহিতদের যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘দৃঢ় এবং সিদ্ধান্তমূলক’ হতে বলেছেন। ১২ বছর ধরে ১.৪ বিলিয়ন সদস্যের চার্চের নেতৃত্ব দেওয়া ফ্রান্সিসও ধর্মীয় গুরুদের ঘটানো যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলো দমন করাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারে রেখেছিলেন। তবে এর ফলাফল মিশ্র ছিল। নতুন বিশপদের সঙ্গে বৈঠকে লিও ফ্রান্সিসের অগ্রাধিকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। বিশপদের সকলকে স্বাগত জানিয়ে একটি গির্জা তৈরি করতে উৎসাহিত করেছেন, যেমনটি প্রয়াত পোপ প্রায়শই আহ্বান জানিয়েছিলেন। ভ্যাটিকানের সারসংক্ষেপ অনুসারে, লিও ধর্মযাজকদের বলেছেন, ‘আমাদের সময়ের পুরুষ ও নারীরা যে প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করছেন, তার উত্তর দেওয়ার জন্য তাদের (বিশপদের) বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ পুনর্নবীকরণ করা উচিত। ২৫ বছর আগে সেমিনারিতে শেখা প্রস্তুতিমূলক উত্তরগুলো যথেষ্ট নয়।

বর্নাঢ্য আয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

বর্নাঢ্য আয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন জেলায় দীর্ঘদিনের খেলা শূণ্যতা কাটিয়ে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে বর্নাঢ্য আয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বিকাল ৪টায় জেলা ষ্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার যৌথ আয়োজনে বেলুন উড়িয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) আলি আকবর আজিজী। জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার রেজাউল করিম ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া অফিসার আবু জাফর মাহমুদুজ্জমান। অনুষ্ঠানে জানানো হয় লীগ পদ্ধতির এই খেলায় জেলার ৫টি অর্থাৎ সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলা ফুটবল দল প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকে খেলার পর শীর্ষ দুই দলের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। মনোমুগ্ধকর করে সাজানো ষ্টেডিয়ামে বিপুল সংখ্যক দর্শক, ক্রীড়ামোদি, খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়া ও সরকারি কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে উদ্বোধনী খেলায় শিবগঞ্জ উপজেলা ফুটবল দল ২-০ গোলে সদর উপজেলা ফুটবল দলকে পরাজিত করে টুর্নামেন্টে শুভ সূচণা করে। সদর উপজেলা দলে ২ জন নাইজেরিয়ান বিদেশী খেলোয়াড় অংশ নেন।