টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হাসি হাসলেন যারা

টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হাসি হাসলেন যারা ডাউনটাউন শহরের শরৎ মানেই টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (টিআইএফএফ)। উৎসবের ৫০ বছরের যাত্রা শেষে এবারের আসর ছিল এক ঐতিহাসিক আয়োজন। প্রায় ৭০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা ২৯১টি চলচ্চিত্রের ১২০০-এর বেশি প্রদর্শনী আর শতাধিক প্রিমিয়ার নিয়ে টিআইএফএফ রূপ নিয়েছিল এক বৈশ্বিক মিলন মেলায়। শহরের আকাশ ছুঁয়ে থাকা আলোকসজ্জা আর উৎসবমুখর পরিবেশের পাশাপাশি লালগালিচায় জ্বলে উঠেছেন দ্যুতি ছড়ানো তারকারা। এ বছর ঝলমল করেছে ডোয়াইন জনসন, এমিলি ব্লান্ট, গিয়েরমো দেল তোরো, রিয়ান জনসন, জাহ্নবী কাপুর, ক্লোয়ি ঝাও, পার্ক চ্যান-উক, পল মেসকাল, জেসি বাকলি, এমিলি ওয়াটসনসহ আরও অনেক বিশ্বখ্যাত তারকার উপস্থিতিতে। লালগালিচার এই উজ্জ্বল মুহূর্তগুলো শুধু টরন্টোকেই নয়, পুরো চলচ্চিত্র দুনিয়াকে মনে করিয়ে দিয়েছে–সিনেমা এখনও মানুষের স্বপ্ন, আবেগ আর ভালোবাসার সবচেয়ে বড় সংযোগ। বিশ্বের অন্যান্য চলচ্চিত্র উৎসবের থেকে টিআইএফএফের ব্যতিক্রমী দিক হচ্ছে এতে দর্শকদের পছন্দকে সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করা হয়। এবারের আসরেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। উৎসবে রজার্স উপস্থাপিত পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ক্লোয়ি ঝাও-এর ‘হ্যামনেট’ সিনেমা। আন্তর্জাতিক বিভাগে সেরা হয়েছে পার্ক চ্যান-উকের ‘নো আদার চয়েস’, ডকুমেন্টারি বিভাগে ব্যারি অ্যাভরিচের ‘দ্য রোড বিটুইন আস: দ্য আলটিমেট রেসকিউ’ এবং মিডনাইট ম্যাডনেস বিভাগে জয়ী হয়েছে ম্যাট জনসনের ‘নিরভান্না দ্য ব্যান্ড দ্য শো দ্য’ সিনেমাটি। পিপলস চয়েসে সেরা যারা দর্শক ভোটে নির্ধারিত পিপলস চয়েস পুরস্কার সবসময়ই উৎসবের মূল আকর্ষণ। উৎসবের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারও এটি। এবার রানারআপ হয়েছে গিয়েরমো দেল তোরোর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন এবং রিয়ান জনসনের ওয়েক আপ ডেড ম্যান: এ নাইভস আউট মিস্ট্রি। আন্তর্জাতিক বিভাগে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছে যথাক্রমে জোয়াকিম ট্রিয়ারের সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু এবং নীরজ ঘাইওয়ানের হোমবাউন্ড। পিপলস চয়েসে সেরা ফ্রান্সের ‘টু দ্য উডস’ শর্ট কাটস বিভাগে সেরা আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে স্পেন ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনা টক মি। কানাডিয়ান শর্ট ফিল্মে জয়ী হয়েছে দ্য গার্ল হু ক্রাইড পার্লস এবং প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত অ্যানিমেটেড শর্ট ফিল্ম বিভাগে সেরা হয়েছে ফ্রান্সের টু দ্য উডস। আন্তর্জাতিক সমালোচক ও নেটপ্যাক পুরস্কার পেলেন যারা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সমালোচকদের ফিপ্রেসচি পুরস্কার জিতেছে লুসিয়া অ্যালেনার ইগলেসিয়াসের ফোরাস্তেরা। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য প্রদত্ত নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড গেছে ভারতীয় নির্মাতা জিতাঙ্ক সিংহ গুর্জরের ইন সার্চ অব দ্য স্কাই (বিমুক্ত)-এর ঝুলিতে। কানাডিয়ান চলচ্চিত্র বিভাগের সেরারা কানাডিয়ান চলচ্চিত্র বিভাগেও এসেছেন নতুন প্রতিভারা। বেস্ট কানাডিয়ান ডিসকভারি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে সোফি রমভরীর ব্লু হেরন। বেস্ট কানাডিয়ান ফিচার ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে জাকারিয়াস কুনুকের উইক্সারিংগিটার (রং হাজব্যান্ড)। প্ল্যাটফর্ম অ্যাওয়ার্ড উৎসবের প্রতিযোগিতামূলক বিভাগ প্ল্যাটফর্ম অ্যাওয়ার্ডে সেরা হয়েছে ভ্যালেন্টিন ভাসিয়ানোভিচের টু দ্য ভিক্টরি! ব্যতিক্রমী ভিজ্যুয়াল আর দারুণ বর্ণনার জন্য প্রশংসিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। সম্মানসূচক উল্লেখ পেয়েছে জর্জ প্যালফি’র হেন। এবারের উৎসবে অংশ নেওয়া ২৯১টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ২০৯টি নতুন ফিচার, ৬টি পুনর্নির্মিত ক্ল্যাসিক, ১০টি প্রাইমটাইম সিরিজ, আর ৬৬টি শর্ট ফিল্ম। এবারের উৎসবে লালগালিচা যেন ছিল এক উৎসবময় দিগন্ত, যেখানে শুধু চলচ্চিত্রই নয় তারকারাও আলো ছড়িয়েছেন। দ্যুতি ছড়িয়েছেন ক্লোয়ি ঝাও, পার্ক চ্যান-উক, গিয়েরমো দেল তোরো, রিয়ান জনসনসহ যারা প্রধান পুরস্কারজয়ী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পল মেসকাল, জেসি বাকলি, যারা হ্যামনেট-এ অভিনয়ের জন্য নজর কাড়েন। বড় বড় উদ্বোধনী গালা ও প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন সিড্রি জিমেনেজ, ক্লেয়ার ডেনিস, অলিবিয়র আসায়াসসহ অনেক আন্তর্জাতিক পরিচালক তারকারা, যারা তাদের নতুন প্রিমিয়ার ফিল্মগুলো নিয়ে প্রকাশ্যে এলেন। লালগালিচার র্যা ম্পে ঝলসে উঠেছিল পোশাক, রুচি, সাদাসিধে অনুভূতির সংমিশ্রণ–সিনেমার, শিল্প মানুষের মিলন মেলা।
অমি নোয়াখালী-বরিশালের ভাষা জানা অভিনেত্রী খুঁজছেন

অমি নোয়াখালী-বরিশালের ভাষা জানা অভিনেত্রী খুঁজছেন জমে উঠেছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন ৫। প্রচারে থাকা এই সিরিয়ালের জন্য দুজন নতুন মুখ (অভিনেত্রী) খুঁজছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। যারা নোয়াখালী ও বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় পারদর্শী তারা এতে প্রাধান্য পাবেন। এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নির্মাতা অমি জানান, দুজন অভিনেত্রী দরকার। চরিত্র ১-এর বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছর, উচ্চতা ৫ ফুট ২ থেকে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি; নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় পারদর্শীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। চরিত্র ২-এর বয়সও একই, উচ্চতা একই সীমা; বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাভাষীদের অগ্রাধিকার। আগ্রহী শিল্পীরা নিজেদের যোগাযোগের তথ্যসহ ভিডিও বাইট পাঠাতে পারবেন ই-মেইল ([email protected]) বা হোয়াটসঅ্যাপ (01868 407 133) নম্বরে। ভিডিও পাঠানোর শেষ সময় ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫। এর মধ্যেই এই ঠিকানায় সঠিক তথ্য পাঠানোর অনুরোধ করেন তিনি। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন ৫ আরও বেশি জনপ্রিয় করার জন্য এরই মধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। এরই মধ্যে ‘নেহাল’ চরিত্রে তৌসিফ মাহবুবের প্রত্যাবর্তন হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও কিছু চরিত্র যেমন ‘নতুন কাজের মেয়ে’ বা ‘পাগলা সুজন’র মতো চরিত্র আনা হয়েছে যা এবারের পর্বগুলোতে বিনোদনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিবে বলে আশাবাদী নির্মাতা অমি। কাজল আরেফিন অমির পরিচালনা ও চিত্রনাট্যে নির্মিত এই সিজনে প্রধান চরিত্রগুলোর মধ্যে আছেন মারজুক রাসেল, জিয়াউল হক পলাশ, চাষী আলমের পাশাপাশি এবার যুক্ত হয়েছেন তৌসিফ মাহবুব। এছাড়াও আগের মতোই থাকছেন শিমুল শর্মা, লামিয়া লাম ও পাভেল।
হুমা কুরেশি প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন

হুমা কুরেশি প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন অনেক দিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, অভিনয় প্রশিক্ষক রচিত সিংয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন বলিউড অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। যদিও তারা এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি। এবার জানা গেল, দীর্ঘ দিনের কথিত প্রেমিক রচিতের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন হুমা কুরেশি। হুমা-রচিতের ঘনিষ্ঠজন হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, “হুমা তার দীর্ঘ দিনের প্রেমিক, অভিনয় প্রশিক্ষক রচিত সিংয়ের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন। হুমা ও রচিতের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়, তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, গায়িকা আকাসা সিংয়ের শেয়ার করা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে। এ ছবির ক্যাপশনে আকাসা লেখেন, “এক টুকরো এই স্বর্গের জন্য তোমাদের অভিনন্দন। দারুণ একটি রাত কেটেছে। এ ঘটনার কিছুদিন পর, হুমা ও রচিতকে একসঙ্গে দেখা যায় সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবালের বিয়েতে, দুজনেই সেদিন পরেছিলেন গোলাপী রঙের পোশাক। তাদের রসায়ন ছিল চোখে পড়ার মতো এবং ভক্তরা দ্রুত অনলাইনে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন এই রহস্যময় ব্যক্তিটিকে (রচিত) নিয়ে। সম্প্রতি, রচিতের ঘনিষ্ঠ একজনের জন্মদিন উদযাপনের সময় আবারো তাদের একসঙ্গে দেখা যায়, যা তাদের বাগদান নিয়ে জল্পনা আরো বাড়িয়ে তোলে। তবে বাগদান নিয়ে নানা চর্চা চললেও টুঁ-শব্দটি করেননি হুমা কিংবা রচিত। রচিত সিংহ একজন নামকরা অভিনয় প্রশিক্ষক। রচিত সিং ওয়ার্কশপ নামে তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে ১০০টিরও বেশি কর্মশালা পরিচালনা করেছেন রচিত। তার কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন গুলশন দেবাইয়া, ইমাদ শাহ, কুণাল কাপুর, পূজা হেগডে, হর্ষবর্ধন রানে, অমৃতা সুবাস, সহানা গোস্বামী, অহনা কুমারা, রণবীর সিং, বরুণ ধাওয়ান, ভিকি কৌশল, অনুশকা শর্মা, অনীত পড্ডা, শানায়া কাপুরের মতো অভিনয়শিল্পীরা। এর আগে পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার মুদাসসার আজিজের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন বলিউড অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। দীর্ঘ ৩ বছর সম্পর্কে ছিলেন তারা। ২০২২ সালের শেষের দিকে জানা যায়, ভেঙে গেছে এই সম্পর্ক।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভোটযুদ্ধে নতুন সমীকরণ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভোটযুদ্ধে নতুন সমীকরণ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন ঘিরে আনুষ্ঠানিক কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে নির্ধারিত হয়েছে ভোটগ্রহণের দিন-আগামী ৪ অক্টোবর। ইতিমধ্যে ৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নিয়েছে এবং এ মাসের ২০ তারিখ থেকে শুরু হবে নির্বাচনি কার্যক্রম। খসড়া সূচি অনুযায়ী ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, ২৫ তারিখ জমাদান এবং ২৬ তারিখ যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী ১৭১ জন কাউন্সিলরের ভোটেই নির্ধারিত হবে পরিচালনা পর্ষদ। ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠনে ১২ জন আসবেন ক্লাব ক্রিকেট থেকে, আর বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পর্যায় থেকে থাকবেন ১০ জন প্রতিনিধি, ২ জন এনএসসি থেকে থাকবেন এবং ১ জন অন্যান্য ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হন। এরপর নির্বাচিত পরিচালকরা ভোটের মাধ্যমে বেছে নেবেন নতুন সভাপতি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা জেলা আইনজীবী সমিতির

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা জেলা আইনজীবী সমিতির বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর ও বিচারপতি মাহমুদ হাসানকে সংবর্ধনা দিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে তাঁদেরকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ ইসাহাক আলীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খন্দকার হায়দার আলী, জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট. মো. আবদুল ওদুদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম কবির ও সোলাইমান বিশু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম কনক। বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর বলেছেন, জনগণই এই রাষ্ট্রের মালিক, আমি সাংবিধানিক আদালতের বিচারক। জেলা জজরা বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীন বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকেন। সাংবিধানিক ও আইনগত কাঠামোর মধ্যে দিয়ে আমাদের চলতে হয়। জনগণের দেয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করবার কোনো রকম অধিকার একজন বিচারকের নেই। আমি যদি শপথ ভঙ্গ করি আমি যদি সংবিধান ভঙ্গ করি তাহলে ওই চেয়ারে বসে থাকতে পারি না। বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন ও পেশাজীবী আইনজীবীদের ভূমিকা অপরিসীম। তিনি বার ও বেঞ্চের সম্পর্ক সুদৃঢ় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বিচারক ও আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান যাতে বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়। তিনি বলেন, “জেলা পর্যায়ে আইনজীবী সমাজ দেশের বিচারব্যবস্থার ভিত্তি শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জনগণের আস্থা ধরে রাখতে বিচারক ও আইনজীবীদের আন্তরিকতা ও সততার কোনো বিকল্প নেই।” সংবর্ধনা শেষে বিচারপতিরা আইনজীবীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং সমিতির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো নুরুল ইসলাম সেন্টু, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত -১ এর অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মো. ময়েজ উদ্দিনসহ জেলা জজ আদালতের ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকগণ, সিনিয়র ও নবীন আইনজীবীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নাচোলে থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে

নাচোলে থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে “পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ইভটিজিংসহ নানাবিধ সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রবিবার সকাল ১১টার দিকে নাচোল থানা প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোমস্তাপুর সার্কেল) হাসান তারেক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সকলের অভিযোগ নাচোল উপজেলার সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদক। তিনি বলেন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাদক, বাল্যবিবাহ, চাঁদাবাজি, চুরি এবং অন্যান্য সকল সামাজিক অপরাধ নির্মূলে সামাজিক আন্দোলনে অংশীদার হতে হবে। তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশ যারা আছে তারা গ্রামের সকল বিষয় সম্পর্কে অবগত থাকে। তারা বিভিন্ন সমস্যা অপরাধের তথ্য পুলিশকে দিলে পুলিশের কাজ অনেক সহজ হয়। একটি সমাজ পুলিশ ছাড়া ভালো থাকতে পারে না। পুলিশ একটি বাহিনী কেউ যদি অন্যায় করে কোন দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায় তাদের দায় সমস্ত পুলিশ বাহিনী নিবেনা। তারেক হাসান বলেন, কাজ করতে গেলে ভুল হয়। অনেক সদস্যের অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল হতে পারে। আমার দরজা সব সময় খোলা। তিনি বলেন, পুলিশের একার পক্ষে চুরি, ছিনতাই কিংবা ইভটিজিং বন্ধ করা সম্ভব নয়, কাজেই লন—অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। এজন্য প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং কোনো অপরাধ চোখে পড়লেই তা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সর্বদা জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। সূচনা বক্তব্যে অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ জনগণের শত্রু নয়, বন্ধু, পুলিশকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে সঠিক সেবা গ্রহণ করতে হবে। পুলিশ জনগণের সেবক হয়ে সব সময় পাশে থেকে কাজ করছে। পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ জনগণেরও দায়িত্ব মাদক, ইভটিজিং ও সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। মাদকের সঙ্গে কোন আপোষ নেই মাদক বিক্রেতা ও সেবন কারিসহ যে কোনো অপরাধীর ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানান তিনি। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর নাচোল উপজেলা শাখার আমীর প্রভাষক ইয়াকুব আলী ও সেক্রেটারি মাওলানা মোবারক আলী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু তাহের, পৌর জামায়াতের আমীর মনিরুল ইসলাম, নাচোল সদর ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, ওসি তদন্ত এস এম নূরুল কাদির সৈকত। অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত থেকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র আইনে একজনকে বার বছর কারাদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র আইনে একজনকে বার বছর কারাদণ্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র আইনে মো. আল আমিন নামে একজনকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মিজানুর রহমান আসামির অনুপস্থিতিতে এই দণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন। দণ্ডিত ব্যক্তি জেলার সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের চাঁপাইমহেষপুর গোরস্থানপাড়ার মো. আকালু শেখে ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবদুল ওদুদ মামলার বরাত দিয়ে জানান, র্যাব-৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট রাতে বীর শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে মো. আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে এবং তার দেহ তল্লাশী করে একটি লোহার তৈরি পিস্তল, একটি ওয়ান শ্যুটারগান, দুইটি ম্যাগাজিন ও ৫ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের এসআই আকরামুল হক বাদী হয়ে সদর থানায় আস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই শাহরিয়ার পারভেজ তদন্ত শেষে একই বছর ৫ সেপ্টেম্বর মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতের পথে যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি স্পষ্ট করে জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেটি হবে ‘জাতির নবজন্মের মহোৎসব।’ আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপে তিনি এ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘শুরুতে যখন কমিশনের ধারণা এল, আমি নিশ্চিত ছিলাম না—এটা টিকবে কি না। কিন্তু আজ দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পরে আপনাদের আলোচনা ও সিদ্ধান্তে আমি অভিভূত হয়েছি।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কমিশনের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোও অনুসরণ করবে। ‘এটা শুধু বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে না, সারা দুনিয়া লক্ষ্য করবে আমরা কিভাবে সমস্যার সমাধান করলাম।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, জাতির সামনে আর কোনো বিকল্প পথ নেই। ‘যে পথে আমরা শুরু করেছি, সেই পথ থেকে বের হবার কোনো সুযোগ নেই। এই সমতায় আমাদের আসতেই হবে। এটাই ছাত্র-জনতার দেওয়া সুযোগ, যেখান থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’ আগামী নির্বাচনের বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি—ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে। সেটি হবে মহোৎসবের নির্বাচন, যদি আমরা ঐক্যমতের মাধ্যমে ফয়সালা করতে পারি। এই নির্বাচন শুধু নির্বাচন নয়, এটি হবে জাতির নবজন্ম।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতি সত্যিকার নবজন্ম হবে—এটা শুধু নির্বাচন না, এটা নবজন্ম। এই যে এত ত্যাগ, এত রক্ত—এগুলো সার্থক হবে যদি আমরা এই নবজন্মটা লাভ করতে পারি।’ তিনি সতর্ক করে দেন, বিভাজন বা দ্বিমতের কোনো স্থান নেই। ‘আমরা অনেক কথা বলতে পারি, কিন্তু দ্বিমত রেখে সমাপ্ত করতে পারব না। যখন ঐকমত্যে পৌঁছাবো, তখনই নির্বাচন সার্থক হবে।’ অধ্যাপক ইউনূস উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমাদের হাতে এখন আলাদিনের প্রদীপের মতো সুযোগ এসেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সেই শক্তি এনে দিয়েছে। আমরা চাইলে ছোটখাটো বিষয় চাইতে পারি, আবার চাইলে পুরো জাতিকে নতুনভাবে গড়তে পারি। এই সুযোগ একবারই এসেছে, আর আসবে না।’ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা। ‘এত বড় কাজ আর কোনোদিন পাওয়া যাবে না। তাই ধৈর্য ধরে আমাদের এগোতে হবে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আমাদের কাজ হলো—কোনো দ্বন্দ্ব ছাড়াই মহোৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করা।’ তিনি বলেন, ‘আমরা হাইওয়ে বানিয়ে ফেলেছি, এখন শুধু সাইনবোর্ড বসানো বাকি। পথ ঠিক আছে, গন্তব্য পরিষ্কার। এই নির্বাচন হবে উৎসবের নির্বাচন, দেশের শান্তি ও নতুন যাত্রার সূচনা।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের সংস্কারের মূল লক্ষ্য হলো সব পথঘাট বন্ধ করা—যাতে কোনো স্বৈরাচার আর ফিরে আসতে না পারে। এজন্য সবাইকে একমত হতে হবে।’ কমিশনের কাজকে তিনি অভূতপূর্ব অর্জন বলে অভিহিত করেন। কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পরিশ্রমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনারা ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায় রচনা করেছেন। এখন শুধু এটিকে নিখুঁতভাবে সমাপ্ত করা দরকার। এর মধ্য দিয়েই নতুন জাতির জন্ম ঘটবে।’ তিনি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে উদ্দ্শ্যে করে বলেন, ‘এবার আমাদের ব্যর্থ হবার কোনো সুযোগ নেই। ঐকমত্যের এই পথেই আমরা এগোবো, নির্বাচন সফল করব এবং জাতি হিসেবে মহাউৎসবের যাত্রা শুরু করব।’ এসময় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দার।
বারঘরিয়ায় ইয়াবা ও গাঁজাসহ এক যুবক গ্রেপ্তার

বারঘরিয়ায় ইয়াবা ও গাঁজাসহ এক যুবক গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় র্যাবের অভিযানে ২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৯০০ গ্রাম গাঁজাসহ মো: ইব্রাহীম(২২) নামে এক যুবক গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার তারাপুর মিস্ত্রীপাড়া গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে। র্যাব জানায়, রোববার (১৪ সপ্টেম্বর) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বারঘরিয়া বাজার এলাকা থেকে ওইসব মাদকসহ গ্রেপ্তার হন ইব্রাহীম। রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় র্যাব-৫ ব্যাটালিয়নের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বারঘরিয়া বাজারে মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২০০ পিস ইয়াবা ও ৯০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হন ইব্রাহীম। এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
সদর উপজেলার পলশায় খরা সহনশীল কৃষি পদ্ধতি প্রসারে প্রশিক্ষণ

সদর উপজেলার পলশায় খরা সহনশীল কৃষি পদ্ধতি প্রসারে প্রশিক্ষণ বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় খরা সহনশীল কৃষি প্রযুক্তি বিস্তারের লক্ষ্যে সদর উপজেলার পলশায় দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে চাঁপাই-পলশায় অবস্থিত রেডিও মহানন্দার অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নাঈম উদ্দিন সরকার, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আকরামুল হক ও প্রকল্পের কৃষিবিদ ফয়জুল হক। কর্মশালায় বরেন্দ্র অঞ্চলের বাস্তব জলবায়ুগত চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী বকুল কুমার ঘোষ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউনিট-০১ এর ব্যবস্থাপক ওজিউর রহমান, প্রকল্পের সিএমও সিভিল ওবাইদুল বারী সহ অন্যরা। এক্সটেনডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট-ড্রাউট (ইসিসিসিপি-ড্রাউট) প্রকল্পের আওতায়, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ ও গ্রীণ ক্লাইমেট ফান্ড জিসিএফ-এর সহযোগিতায় কর্মশালার আয়োজন করে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। প্রশিক্ষণে বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের সিসিএজি সদস্য এবং স্থানীয় কৃষকগণ অংশ নেন। কর্মশালায় কৃষকদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, এর প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা, টেকসই কৃষি অনুশীলন ও খরা সহনশীল কৃষি কৌশল সম্পর্কে সচেতন করা হয়। একইসাথে খরা সহিষ্ণু ফল ও ফসল নির্বাচন, বসতবাড়ির উঠানবাগান তৈরি, ভার্মিকম্পোস্ট প্রস্তুত এবং পানি সংরক্ষণ কৌশল নিয়ে হাতে-কলমে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।