বিজিবির অভিযানে ভোলাহাট সীমান্তে ডোবায় ভাসমান প্যাকেট থেকে চোরাচালানকৃত স্মার্টফোন জব্দ

বিজিবির অভিযানে ভোলাহাট সীমান্তে ডোবায় ভাসমান প্যাকেট থেকে চোরাচালানকৃত স্মার্টফোন জব্দ ভোলাহাট উপজেলা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারত থেকে চোরাচালানে আনা ১২টি স্মার্টফোন জব্দ হয়েছে। গত শনিবার রাত ১০টার দিকে ভোলাহাট সদর ইউনিয়নের চামুচা গ্রামের গড়ের মাঠ নামক স্থানে একটি ডোবায় ভাসমান একটি প্যাকেট জব্দ করে চাঁনশিকারী বিওপির একটি বিশেষ টহল দল। পরে ওই প্যাকেট তল্লাশী করে ভারতীয় বিভিন্ন মডেলের ওই ১২টি ফোন জব্দ হয়। গতকাল ৫৯বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৯৬ বাই ২ এস হতে প্রায় ২০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে ওই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে জব্দ ফোন চাঁপাইনবাবগঞ্জ শুল্ক কার্যালয়ে জমা করা হবে বলেও জানান অধিনায়ক। সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযাœ জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান অধিনায়ক।
‘কফি উইথ করণে’ কোহলিকে কখনো আমন্ত্রণ জানাননি করণ

‘কফি উইথ করণে’ কোহলিকে কখনো আমন্ত্রণ জানাননি করণ ভারতের জনপ্রিয় টক শো ‘কফি উইথ করণ’–এ কেন কখনো দেখা যায়নি দেশের অন্যতম বড় ক্রীড়া তারকা বিরাট কোহলিকে, এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভক্তদের কৌতূহল। অবশেষে সেই রহস্যের জট খুললেন শো-এর হোস্ট ও খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা করণ জোহর। সম্প্রতি সানিয়া মির্জার পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করণ জানান, ২০১৯ সালে ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়া ও কেএল রাহুলকে নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের পর তিনি আর কোনো ক্রিকেটারকে শোতে আমন্ত্রণ জানানোর ঝুঁকি নেননি। আর সেই কারণেই বিরাট কোহলিকেও কখনো ডাকেননি। ২০১৯ সালের সেই পর্বে হার্দিক ও রাহুল কয়েকটি অশালীন ও নারী-বিদ্বেষী মন্তব্য করেন, যা মুহূর্তেই চরম সমালোচনার জন্ম দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া, জনমতের চাপ, এমনকি বিসিসিআইয়ের শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় দুই ক্রিকেটারই সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। পরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন তারা, আর পর্বটি সরিয়ে দেওয়া হয় ডিজনি+ হটস্টার থেকে। ওই ঘটনার দায় নিজের ওপর নিয়েই করণ বলেন, ‘আমি বিরাটকে কখনো আমন্ত্রণ জানাইনি। হার্দিক+রাহুলের ঘটনার পর আমি আর কোনো ক্রিকেটারকে ডাকতে চাইনি। অনেকেই আছেন, যাদের আসার সম্ভাবনাই ছিল না, তাই কখনো চেষ্টা করিনি।’ সানিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় করণ আরো জানান যে, ২০১৯ সালের ঘটনার পর তিনি ব্যক্তিগতভাবে খুবই আঘাত পেয়েছিলেন। তার ভাষায়, ‘আমার সত্যিই খারাপ লেগেছিল। ওরা যা বলেছিল, সেটা যে এত বড় বিতর্কে রূপ নেবে, তা আমি ভাবিনি। শো হোস্ট করার দায়বদ্ধতা সম্পর্কে তখনই বড় শিক্ষা মিলেছে।’
মন্ত্রিসভার অনুমোদন- আসামে দ্বিতীয় বিয়ে করলেই সাত বছর জেল

মন্ত্রিসভার অনুমোদন- আসামে দ্বিতীয় বিয়ে করলেই সাত বছর জেল আসামের মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেল বহুবিবাহ প্রতিরোধ বিল। এই বিলের মাধ্যমে বহুবিবাহ করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বহুবিবাহের কারণে যেসব নারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রবিবার আসামের মন্ত্রিসভা বিলটির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা এই বিল হেমন্ত বিশ্বশর্মা সরকারের জন্য একটি মাস্টারস্ট্রোক হতে চলেছে, এমনটাই জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। চলতি মাসের ২৫ তারিখ এই বিল পেশ হবে বিধানসভায়। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, বিলটি পাস হলে বহুবিবাহকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এ বিল পাস হওয়ার পর আসামে কেউ দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার বিয়ে করলে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে। এ আইনে গ্রেপ্তার হলে সঙ্গে সঙ্গে জামিন পাওয়ার সুযোগও থাকবে না।’ মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিলটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে— বহুবিবাহের শিকার নারীদের আর্থিক সহায়তার জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা। তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে স্বামী জেলে গেলে ভুক্তভোগী নারীর কী হবে? অনেক সময় দেখা যায়, দ্বিতীয় বিয়ের পর প্রথম স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমাদের লক্ষ্য—কোনো নারী যাতে আর্থিক বা সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন। তাই ক্ষতিপূরণের জন্য আলাদা তহবিল গঠন করা হবে।’ তবে প্রস্তাবিত নতুন এই আইনের আওতার বাইরে থাকবেন উপজাতি জনগোষ্ঠী। আসাম সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উপজাতিদের নিজস্ব সামাজিক প্রথা ও আইন অনুসারে ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত এলাকা, বিটিসি, কার্বিআংলং ও ডিমা হাসাও জেলায় এই আইন কার্যকর হবে না। উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে অসমে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই বিল আইনে পরিণত হলে হিমন্তের অ্যাডভান্টেজ বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ভাইয়ের অপেক্ষায় নিদ্রাহীন সেলিনা জেটলি

ভাইয়ের অপেক্ষায় নিদ্রাহীন সেলিনা জেটলি বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। তার ভাই বিক্রান্ত কুমার জেটলিকে গ্রেপ্তার করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এক বছরের বেশি সময় ধরে আবুধাবিতে আটক রয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর বিক্রান্ত কুমার জেটলি। এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সেলিনা। ভাইয়ের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন এই অভিনেত্রী। সেলিনা জেটলি তার ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রী বলেন, “আমার ডাম্পি, আশা করি তুমি ভালো আছো, আশা করি তুমি জানো আমি তোমার পাশে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছি। আশা করি তুমি জানো, আমি একরাতও তোমার জন্য না কেঁদে ঘুমাতে পারি না।” ভাই বিক্রান্তের দেশে ফেরার অপেক্ষায় সেলিনা। এ অভিনেত্রী বলেন, “তুমি জানো, তোমার জন্য আমি সবকিছু ত্যাগ করতে পারি। আশা করি তুমি জানো, আমাদের মাঝে কেউ কখনো আসতে পারবে না। আশা করি তুমি জানো, আমি কোনো প্রচেষ্টা বাকি রাখিনি। আশা করি, ঈশ্বর তোমার ও আমার প্রতি দয়া দেখাবেন। আমার ভাই, তোমার অপেক্ষায় আছি।” যথাযথ আইন ও চিকিৎসাসেবা ছাড়াই মেজর বিক্রান্ত জেটলিকে আবুধাবিতে আটক রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে জেটলির পরিবার। জেটলি পরিবারের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন রাঘব কাক্কর। রাঘব কাক্কর বলেন, “সরকার একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছেন, যাতে আবেদনকারী ও তার ভাইয়ের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন সহজ হয়, কার্যকর আইনগত সহায়তা প্রদান করা যায় এবং মামলার অগ্রগতির বিষয়ে আমাদের আপডেট দেওয়া হয়…। এই পদক্ষেপগুলো তার মুক্তি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। এটি ভারত ও ইউএই-এর সম্পর্ক আরো দৃঢ় করবে।” দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে নোডাল অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সেলিনা জেটলির পক্ষ থেকে আইনজীবী রাঘব কাক্কর ও মাধব আগরওয়াল উপস্থিত থাকবেন। পরিবারের তথ্যমতে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর বিক্রান্ত কুমার জেটলি চতুর্থ প্রজন্মের সেনা কর্মকর্তা। বিশেষ বাহিনীতে (স্পেশাল ফোর্সেস) কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) জাতীয় নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে বিক্রান্তকে আটক করা হয়। ২০০১ সালে ‘জানশীন’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় সেলিনা জেটলির। অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ কিছু সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের মাঝপথে আকস্মিকভাবে বিয়ে করেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া। তারপর অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন ৪৩ বছর বয়সি এই নায়িকা।
মাঠ পর্যায়ে বয়স সংশোধনে কঠোর হচ্ছে ইসি

মাঠ পর্যায়ে বয়স সংশোধনে কঠোর হচ্ছে ইসি মাঠ পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) বয়স সংশোধনের কাজ না করানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশোধনের অপব্যবহার ও অনিয়ম ঠেকাতে নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব আবেদনের নিষ্পত্তি হবে। সোমবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, এনআইডি সংশোধনের বর্তমান প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও অসৎ উদ্দেশ্যে তথ্য পরিবর্তনের প্রবণতা দেখা দেওয়ায় কমিশন বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়। তিনি বলেন, “বয়স সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়গুলো এখন থেকে মাঠ পর্যায়ের অফিসে না রেখে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে নিষ্পত্তি করা হবে। এতে ডাটাবেজের সুরক্ষা বাড়বে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব হবে।” ডিজি আরো জানান, এনআইডি সংশোধনের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে ভুয়া তথ্য দিয়ে জন্মতারিখ পরিবর্তনের ঘটনাও ধরা পড়েছে। এসব প্রতিরোধেই নতুন এসওপি প্রণয়নের কাজ চলছে।
‘যেকোনো সম্পর্কে মতবিরোধ হওয়াটা জরুরি’

‘যেকোনো সম্পর্কে মতবিরোধ হওয়াটা জরুরি’ ভারতীয় বাংলা সিনেমার দাপুটে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। ব্যক্তিগত জীবনে ছোট পর্দার অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন এই অভিনেতা। অবসর পেলেই স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন এই যুগল। বিলাসবহুল ভাবে সময় কাটানো নয়, বরং পরস্পরের সঙ্গে সময় কাটানোই এই দম্পতির মূল উদ্দেশ্য। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ঋত্বিকের স্ত্রী অপরাজিতা ঘোষ। এ আলাপচারিতায় স্বামীর সঙ্গে তার রসায়ন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকের ‘কমলিনী’। ধারাবাহিকের কমলিনীর মতোই বাস্তব জীবনেও সংসার আগলে রেখেছেন এই অভিনেত্রী। অপরাজিতা ঘোষ বলেন, “ঋত্বিকের সঙ্গে আমার সম্পর্কের ফাউন্ডেশন বন্ধুত্বের। অনেক বছর আগে আমরা বন্ধু ছিলাম, মাঝে আমাদের বিয়ে হয়েছে ঠিকই, এখনো আমরা বন্ধু। আশা করি, আগামী দিনেও এই বন্ধুত্বের সম্পর্কটা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।” ব্যাখ্যা করে অপরাজিতা ঘোষ বলেন, “ব্যাপারটা খুব কঠিন তা কিন্তু নয়। এটা আমাদের সহজাত ধর্ম। ২৪ ঘণ্টা একটা মানুষের সঙ্গে থাকার পর আবার সেই মানুষটার সঙ্গেই আমার থাকতে ইচ্ছা করে। এই মানুষটার সঙ্গে আমি ভীষণ বুড়ো হতে চাই। কার কী হয় জানি না, তবে আমাদের এমনটাই লাগে।” স্বামী ঋত্বিকের সঙ্গে মনোমালিন্যর কথা স্বীকার করে অপরাজিতা ঘোষ বলেন, “অন্য যেকোনো দম্পতির মতো আমাদের মধ্যেও কথা কাটাকাটি হয়, মতবিরোধ হয়। এটা স্বাস্থ্যকর। যেকোনো সম্পর্কে মতবিরোধ হওয়াটা জরুরি। এটা ভীষণ স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। তবে তার মানে এই নয় যে, আমরা একে অপরের মতকে সম্মান করি না। আমরা নিজেদের মতামত বলি এবং তারপর মাঝামাঝি একটা জায়গায় আসি। অনেক সময় এমনও হয় যে, আপনাদের একে অপরের মতই ঠিক বলে মনে হয়।” ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঋত্বিক ঘোষ ও অপরাজিতা। এ দম্পতির উপমন্যু নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
ইরানে বায়ুদূষণে প্রতিদিন ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু
ইরানে বায়ুদূষণে প্রতিদিন ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ইরানের রাজধানী তেহরানে বায়ুদূষণ এখন চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর বায়ুদূষণের কারণে ইরানে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন—গড়ে প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করছেন ১৬১ জন। সোমবার (১০ নভেম্বর) ইরানের সংবাদমাধ্যম শাফাক নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। তেহরানে বায়ুদূষণ গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, যানবাহনের সংখ্যা ও শিল্পকারখানার ঘনত্ব ক্রমেই দূষণের মাত্রা বাড়াচ্ছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, এখন এমন দিন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, যেদিন শহরের বাতাস সম্পূর্ণ পরিষ্কার থাকে। তেহরান সিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেহদি চামরান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না, এই শহরের বাতাস আবার কখনো পুরোপুরি পরিষ্কার হবে। তবে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি আরও জানান, দূষণ কমাতে এবং গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে নগর বাজেটের অর্ধেকেরও বেশি অংশ বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে সমস্যার কার্যকর সমাধানে সব সরকারি সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন বলে তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, গণমাধ্যম মডার্ন ডট এজেড জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে ইরান প্রতিদিন প্রায় ৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে নৌকাডুবে ১১ রোহিঙ্গা নিহত

থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে নৌকাডুবে ১১ রোহিঙ্গা নিহত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ১৩ জন মারা গেছেন। সোমবার থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ২৩০ জনকে নিয়ে উপকূল ছেড়ে যাওয়া আরেকটি নৌকারও খোঁজ মিলছে না। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে আরও একটি নৌকা ডুবে গেছে। যেখানে প্রায় ৭০ জন আরোহী ছিলেন, তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া মালয়েশিয়া সরকার জানিয়েছে, ২৩০ যাত্রী বহনকারী আরেকটি নৌকার অবস্থানও পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে তারা জীবিত উদ্ধার করেছে। যাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা। অন্যদিকে, থাই সরকার জানিয়েছে, তারা দুজন শিশুসহ চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার সমুদ্র সংস্থা জানিয়েছে, জীবিতদের সন্ধানে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া উভয় পক্ষই বিমানবাহিনী মোতায়েন করছে। মিয়ানমারে নিজ দেশে সহিংসতার শিকার হয়ে বেঁচে থাকার আশায়, অবৈধভাবে বিপজ্জনক নৌরুটে অন্যদেশে পাড়ি জমাচ্ছে রোহিঙ্গারা। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারাও এ চোরাই পথে ছুটছেন। ২০১৭ সালের নৃশংস সামরিক অভিযানের পর রাখাইন থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রায় ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছে।
একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন

একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে। সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরিকল্পনা কমিশন জানায়, অনুমোদিত ১২টি প্রকল্পের মধ্যে নতুন প্রকল্প রয়েছে ৮টি, সংশোধিত প্রকল্প ২টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির প্রকল্প রয়েছে ২টি।
ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, তাই আবারও অধিনায়ক হয়েছি: শান্ত

ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, তাই আবারও অধিনায়ক হয়েছি: শান্ত চলতি বছরের জুনে টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে আবারও তিনিই টেস্ট দলের নেতৃত্বে ফিরেছেন। মাঝে সাদা পোশাকের কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। আগামীকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে টাইগাররা। ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে আসেন শান্ত। এ সময় আবারও অধিনায়কত্ব নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু দিন অধিনায়ক ছিলাম না। ওই সময় রিল্যাক্স ছিলাম, উপভোগ করেছি। ক্রিকেট বোর্ড আমার সঙ্গে যেভাবে যোগাযোগ করেছে, সবার সঙ্গে সুন্দর আলোচনা হয়েছে। একটা সময় মনে হয়েছে, ব্যক্তি নাজমুল হোসেন শান্তর চেয়ে বাংলাদেশ দল অনেক বড়। আমার চিন্তা থেকে বড় চিন্তা হলো যে, আসলে বাংলাদেশ দলের কী প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বোর্ডের এত বড় বড় কর্মকর্তা বা সাবেক ক্রিকেটার যারা বোর্ডে আছে, তারা যখন একটা পরামর্শ দিচ্ছেন, অবশ্যই এটা দলের ভালোর জন্য, আমার নিজের ভালোর জন্য। তাই ওই আলোচনাটাকে আমি পুরোপুরি সম্মান দিয়েছি। যদি এক কথায় বলি যে আমার মনে হয়েছে, ব্যক্তি নাজমুল হোসেন শান্ত থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলটা আগে রাখা উচিত। তাই আমি দলটাকে আগে রেখে আমি আবার এই সিদ্ধান্তে এসেছি।’ বর্তমানে বাংলাদেশ দলের তিন ফরম্যাটে ভিন্ন তিনজন অধিনায়ক। এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল (সমস্যা হবে)। এটা মনে হওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণও ছিল। তবে যেটা বললাম একটু আগে যে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দারুণ আলোচনা হয়েছে। কী কী সমস্যা হতে পারে, কীভাবে সমাধান করতে পারি- সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা খুবই ক্লিয়ার। আমি আশাবাদী যে, এই ধরনের কোনো সমস্যা হবে না।’