প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত

প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত সরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ নীতিমালাটি জারি করে। এতে সই করেন বিভাগের সচিব রেহেনা পারভীন। নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অ্যান্ট্রি (প্রবেশ) শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত যেকোনো শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া যাবে। ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ অনুসারে ৬ বছরের বেশি বয়সীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে নির্দিষ্ট শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য বয়স নির্ধারণ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে—যেমন ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে বয়স হতে হবে ১ জানুয়ারি অনুযায়ী কমপক্ষে ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭ বছর। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বাড়তি ৫ বছরের সুবিধা দেওয়া যাবে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি, আবেদন শুরু ২৫ নভেম্বর

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি, আবেদন শুরু ২৫ নভেম্বর দেশের কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ২০২৬ সালের ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে, ভর্তির আবেদন শুরু হবে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্বে রয়েছে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। আজ দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রেজিস্ট্রার ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল। এ বছর ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে। পরীক্ষার প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক সব সমন্বয় করবে গাকৃবি। এ ছাড়া অঈঅঝ-এর অনলাইন আবেদনের গ্রহণ শুরু হবে ২৫ নভেম্বর থেকে এবং চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কিত বিস্তারিত নির্দেশনা, আসন বিন্যাস এবং প্রবেশপত্র ডাউনলোডের তথ্য পরে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

৫০ ভাগ নারী বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা ভুল বলেছেন সেনাপ্রধান

৫০ ভাগ নারী বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা ভুল বলেছেন সেনাপ্রধান দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে এমনটাই বলেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আজ সকালে জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সেনাপ্রধান বলেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে নারীদের দক্ষভাবে গড়ে তুলতে হবে। প্রাক্তন ক্যাডেটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবার আগে ভালো মানুষ হতে হবে। নীতি-নৈতিকতার সাথে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।

বেতন ও প্রশিক্ষণ পদের দাবিতে ধর্মঘটে ব্রিটিশ চিকিৎসকরা

বেতন ও প্রশিক্ষণ পদের দাবিতে ধর্মঘটে ব্রিটিশ চিকিৎসকরা ইংল্যান্ডে হাজারো ব্রিটিশ চিকিৎসক  আজ বেতন ও প্রশিক্ষণ পদের দাবিতে পাঁচ দিনের ধর্মঘট শুরু করেছেন। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত এটি তাদের ১৩তম ধর্মঘট। গ্রিনিচ মান সময় সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছেন রেসিডেন্ট ডাক্তাররা—পরামর্শদাতা পর্যায়ের নিচের চিকিৎসকরা, যারা হাসপাতালের মোট চিকিৎসাকর্মীর অর্ধেক। লেবার সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং ধর্মঘটের নিন্দা জানিয়ে বলেন, চিকিৎসকদের ইউনিয়ন ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) নেতৃত্ব ‘সেবার চেয়ে সংঘাতকে বেছে নিয়েছে।

১২ ঘণ্টা পর জোহানেসবার্গে অবশেষে অবতরণ ১৫৩ ফিলিস্তিনির

১২ ঘণ্টা পর জোহানেসবার্গে অবশেষে অবতরণ ১৫৩ ফিলিস্তিনির দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে, ১২ ঘণ্টা ধরে একটি বিমানেই আটকে থাকা ১৫৩ ফিলিস্তিনিকে গতকাল সন্ধ্যায় অবশেষে বিমান থেকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত পুলিশ জানায়, বিমানটি ও. আর. তাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় গতকাল সকাল ৮টার কিছুক্ষণ পরে অবতরণ করে। দেশটির সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় একটি মানবিক সংস্থা যাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের অবতরণের অনুমতি দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (বিএমএ) জানিয়েছে, যাত্রীদের বিমান থেকে নামতে দেওয়া হয়নি কারণ তাদের পাসপোর্টে প্রচলিত প্রস্থানের ছাপ ছিল না। এছাড়া তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় কত দিন থাকবেন বা কোথায় অবস্থান করবেন, তা জানাতে পারেননি।

আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনে লাঞ্চের পরই আয়ারল্যান্ডের প্রতিরোধ ভেঙে দিয়ে টাইগাররা ম্যাচের ইতি টানেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৪ রানে অলআউট হওয়া আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের বোলাররা পুরো ম্যাচে দাপট দেখান। অভিষিক্ত হাসান মুরাদের চার উইকেটের পাশাপাশি ৩টি উইকেট নেন তাইজুল ইসলামও। বাকি দুই উইকেট শিকার করেন নাহিদ রানা। চতুর্থ দিনের শুরুতে ৫ উইকেটে ৮৫ রান নিয়ে লড়াই শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নাজমুল শান্তরা। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৯ নভেম্বর ঢাকায়।

জরায়ু নিয়ে কোন বয়স থেকে মেয়েদের সতর্ক হওয়া উচিত

জরায়ু নিয়ে কোন বয়স থেকে মেয়েদের সতর্ক হওয়া উচিত ওজন বেশি বা স্থূলত্ব রয়েছে এমন মহিলাদের জরায়ুতে সিস্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ওজন বেশি মানেই সিস্ট হবে, তা নয়। জরায়ুতে সিস্ট বা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘ওভারিয়ান সিস্ট’ হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ কাজ করে। তাই ঝুঁকির কারণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকাই জরুরি। ওভারিয়ান সিস্ট কী? ‘ওভারিয়ান সিস্ট’ মূলত ডিম্বাশয়ের ভিতরে থলির মতো মাংসল পিণ্ড, যার ভিতরে রক্ত বা তরল পদার্থ থাকতে পারে। চিকিৎসক মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায়ের মতে, সিস্ট মানেই ক্যানসার নয়। এটি একটি টিউমার জাতীয় বৃদ্ধি, যা ম্যালিগন্যান্ট (ক্যানসারযুক্ত) অথবা বিনাইন (ক্যানসারহীন) হতে পারে। তবে যদি সিস্টের দেওয়াল পুরু হয় এবং কোষের অনিয়মিত বিভাজন শুরু হয়, তখন তা ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে। কোন বয়স থেকে ঝুঁকি বাড়ে? বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেয়েদের জরায়ুতে সিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ সময়ের সিস্ট তাড়াতাড়ি সেরে যায়। কিন্তু রজোনিবৃত্তির পর (menopause-এর পর) সিস্ট হলে তা বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ এ সময়ে শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই সিস্ট মারাত্মক আকার নিতে পারে এবং অনিয়মিত রক্তপাতের ঝুঁকি তৈরি হয়। ওভারিয়ান সিস্টের ঝুঁকি যাদের বেশি : যাদের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) রয়েছে যাদের এন্ডোমেট্রিওসিস আছে হরমোন থেরাপি নেওয়া মহিলারা ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন নারীরা অন্য কোনো ক্যানসারের চিকিৎসা যেমন রেডিয়োথেরাপি বা কেমোথেরাপি নিয়েছেন স্তন ক্যানসারের ওষুধ ব্যবহারকারীরা সম্ভাব্য জটিলতা ও চিকিৎসা ডিম্বাশয়ের সিস্ট থাকলে ডিম্বাণু পরিপক্ব হতে বা বেরোতে সমস্যা হয়, ফলে গর্ভধারণে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সিস্ট বিনাইন হয় এবং ওষুধের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণযোগ্য। ক্যানসারের সম্ভাবনা থাকলে CA-125 টেস্ট, আলট্রাসাউন্ড এবং প্রয়োজনে সার্জারি করা হয়। তবে প্রতিটি সিস্টের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয় না অনেক ক্ষেত্রেই ওষুধ ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণই যথেষ্ট। চিকিৎসকদের পরামর্শ : ১৪ বছর বয়সের পর থেকেই মেয়েদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি। মাসিক অনিয়ম, তলপেটে ব্যথা, ওজন বেড়ে যাওয়া বা মুখে ব্রণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রজোনিবৃত্তির পর অনিয়মিত রক্তপাত হলে দ্রুত গাইনোকলজিস্টের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসকদের মতে, সচেতনতা ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা থাকলে ওভারিয়ান সিস্ট বড় কোনো সমস্যা নয়, বরং সময়মতো ধরা পড়লে সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

বাজ অলড্রিনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে মানবজাতির প্রথম মহাকাশ সেলফি !

বাজ অলড্রিনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে মানবজাতির প্রথম মহাকাশ সেলফি ! মহাকাশ অনুসন্ধানের ইতিহাসে ১৯৬৬ সাল একটি অনন্য অধ্যায়। ওই বছরই প্রথমবারের মতো একজন নভোচারী মহাকাশে নিজের ছবি তোলেন—যা ইতিহাসে স্থান পায় পৃথিবীর বাইরের প্রথম সেলফি হিসেবে। এই ঐতিহাসিক ছবিটি তুলেছিলেন মার্কিন নভোচারী এডউইন ই. ‘বাজ’ অলড্রিন জুনিয়র, জেমিনি–১২ মিশনের সময়। জেমিনি–১২ মিশনটি ১৯৬৬ সালের ১১ নভেম্বর মহাকাশে পাঠানো হয়, মহাকাশযানের ডকিং (সংযুক্তকরণ) কৌশল পরীক্ষা করার জন্য। অভিযানে কমান্ডার ছিলেন জেমস এ. লভেল জুনিয়র, আর পাইলট ছিলেন বাজ অলড্রিন। ১৩ নভেম্বর অলড্রিন তার তিনটি স্পেসওয়াকের (মহাশূন্যে হাঁটা) দ্বিতীয়টিতে অংশ নেন, যার সময়কাল ছিল ২ ঘণ্টা ৬ মিনিট। মূলত দৃশ্যমান তারকাক্ষেত্রের ছবি তোলাই ছিল তার দায়িত্ব। কাজের ফাঁকেই তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের একটি ছবি তোলেন—যা পরবর্তীতে পৃথিবীর বাইরের প্রথম সেলফি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ছবিতে অলড্রিনকে দেখা যায় গভীর মহাকাশের পটভূমিতে, তার স্পেসস্যুট ও হেলমেটের প্রতিফলনে মহাকাশযান ও পৃথিবীর অংশও দেখা যায়। পরবর্তীতে অলড্রিন অ্যাপোলো–১১ অভিযানে চন্দ্রাভিযানেও অংশ নেন এবং জানান, তার ঝুলিতে এই ‘প্রথম সেলফি’ একটি গর্বের অর্জন। ছবিটি তোলার সময় অলড্রিন ব্যবহার করেছিলেন একটি বিশেষ আলট্রাভায়োলেট (ইউভি) ক্যামেরা, যা তৈরি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নভোচারী কার্ল হেনাইজ। ইউভি বিকিরণ (অদৃশ্য আলোর রশ্মি) পরিমাপের জন্য বিশেষ লেন্স ও ফিল্টার ব্যবহৃত হয়েছিল, যেন অন্য বিকিরণগুলো বাদ দেওয়া যায়। জেমিনি–১২ মিশনে ব্যবহৃত আসল ইউভি ক্যামেরাটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। মানব মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে এটা এক স্মারক হিসেবে বিবেচিত।

অস্ট্রেলিয়ায় মিলল ৫ কোটি ৫০ লাখ বছর প্রাচীন কুমিরের ডিমের খোসা !

অস্ট্রেলিয়ায় মিলল ৫ কোটি ৫০ লাখ বছর প্রাচীন কুমিরের ডিমের খোসা ! অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে এক ভেড়ার খামারের পেছনের উঠোনে প্রায় ৫ কোটি ৫০ লাখ বছর পুরোনো কুমিরের ডিমের খোসা পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এগুলো সম্ভবত প্রাগৈতিহাসিক ধরনের কুমির ‘ড্রপ ক্রোক’-এর। তারা গাছে উঠে শিকার ধরত বলে ধারণা করা হয়। এই আবিষ্কারটি সম্প্রতি জার্নাল অব ভার্টিব্রেট প্যালিয়োনটোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ডিমের খোসাগুলো ‘মেকোসুকাইন’ নামের এক বিলুপ্ত কুমির প্রজাতির। তারা অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে বাস করত। অস্ট্রেলিয়া তখন ছিল অ্যান্টার্কটিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত এক মহাদেশের অংশ। গবেষণার সহলেখক ও ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের জীবাশ্মবিজ্ঞানী প্রফেসর মাইকেল আর্চার বলেন, ড্রপ ক্রোক ধারণাটা অদ্ভুত শোনালেও, কিছু কুমির হয়তো চিতাবাঘের মতো গাছ থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে শিকার ধরত। এই প্রজাতির কুমিরের দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ মিটার পর্যন্ত হতো। তারা ৩৮ লাখ বছর আগের আধুনিক লবণপানির বা মিঠা পানির কুমিরের আগের যুগের বাসিন্দা ছিল। ডিমের খোসাগুলো বহু দশক আগে পাওয়া গেলেও সম্প্রতি স্পেনের বিজ্ঞানীদের সহায়তায় বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আগের কিছু গবেষণায় পাওয়া যায়, প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ বছর আগেও মেকোসুকাইন কুমিররা বেঁচে ছিল এবং তাদের কিছু ছিল আধা-গাছে ওঠা বা আংশিক গাছে বসবাসকারী ‘ড্রপ ক্রোক’। প্রফেসর আর্চার ১৯৮০-এর দশক থেকে কুইন্সল্যান্ডের মারগন এলাকায় গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ জায়গাটি এখন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে পুরনো জীবাশ্ম আবিষ্কারের স্থানগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত। গবেষক ড. মাইকেল স্টেইন জানান, এই প্রাচীন বনভূমিতেই পাওয়া গেছে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো গান গাওয়া পাখি, অস্ট্রেলিয়ার প্রথম দিকের ব্যাঙ ও সাপ, দক্ষিণ আমেরিকান বংশের ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বাদুড়ের জীবাশ্ম। আর্চার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৮৩ সালে আমরা সেখানে গিয়ে স্থানীয় কৃষকের দরজায় কড়া নেড়ে বলেছিলাম—আমরা কি একটু খনন করতে পারি? তারা হাসিমুখে বলেছিল, ‘অবশ্যই।’ তারপর থেকেই একের পর এক অবাক করা আবিষ্কার আসছে, এবং আমরা জানি, এখনো অনেক রহস্য মাটির নিচে লুকিয়ে আছে। এই আবিষ্কার শুধু প্রাচীন প্রাণিবিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত খুলেই দেয়নি, বরং লক্ষ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রাণজগৎ কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ ও চমকপ্রদ ছিল দেখিয়েছে। সূত্র : বিবিসি

সবুজ-লাল আলোয় রঙিন রাতের আকাশ !

সবুজ-লাল আলোয় রঙিন রাতের আকাশ ! সূর্যের শক্তিশালী বিকিরণে সৃষ্ট বিরল প্রাকৃতিক দৃশ্য নর্দার্ন লাইটস (Aurora Borealis) এবার দেখা গেছে দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, আলাবামা, জর্জিয়া এবং এমনকি উত্তর ফ্লোরিডা থেকেও এই মনোমুগ্ধকর আলোকরেখা দেখা গেছে মঙ্গলবার রাতে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্য থেকে নির্গত একাধিক শক্তিশালী বিকিরণ বা করোনাল মাস ইজেকশন পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে আঘাত হেনেছে। এই বিকিরণগুলো বায়ুমণ্ডলের উচ্চস্তরে থাকা বিদ্যুতায়িত কণার সঙ্গে সংঘর্ষে রঙিন আলোর সৃষ্টি করেছে। ফলে আকাশজুড়ে সবুজ, লাল ও বেগুনি রঙের ঢেউয়ের মতো আলো ছড়িয়ে পড়েছে। এই সৌরঝড়কে জি-৪ (G4) পর্যায়ের ‘গুরুতর ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার। পাঁচ ধাপের স্কেলে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রা। আগামী দুই রাতেও এমন ঝড় অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জি-৪ মাত্রার ঝড়ে সাধারণত বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ সমস্যা, জিপিএস সিগন্যাল বিভ্রাট, এবং রেডিও ও স্যাটেলাইট যোগাযোগে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। তবে এইবারের ঝড়টি এখন পর্যন্ত শুধু আকাশে চমৎকার আলোর প্রদর্শনী ঘটিয়েছে, বড় কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। স্পেস ওয়েদার বিশেষজ্ঞ শন ডাল জানিয়েছেন, সূর্যের সক্রিয় দাগের একটি বড় গুচ্ছ থেকে আরও শক্তিশালী বিকিরণ বুধবার দুপুর নাগাদ পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারে। এতে আগামী রাতগুলোতেও দক্ষিণাঞ্চলে আলোর এই নাচ দেখা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সৌরঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট এই নর্দার্ন লাইট কেবল মনোমুগ্ধকর দৃশ্যই নয়, বরং এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় মানব সভ্যতা যত উন্নতই হোক না কেন, প্রকৃতি ও সূর্যের প্রভাবের বাইরে নয়।