বন্দী শাকিব, চোখে পানি!

বন্দী শাকিব, চোখে পানি! রায়হান রাফি পরিচালিত আলোচিত সিনেমা ‘তাণ্ডব’। ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমার কয়েকটি দৃশ্য হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকের বিভিন্ন প্রোফাইল, সিনেমা সংশ্লিষ্ট পেজ এবং গ্রুপে ছবিগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।  সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে শাকিব খানের একটি দৃশ্য, যেখানে শাকিব খানকে বন্দী অবস্থায় প্লেট হাতে ভাত খেতে দেখা যায়। ক্লান্ত চেহারা, মুখে গভীর কষ্টের ছাপ আর চোখে জল—এই স্থিরচিত্রে শাকিব খানের আবেগী অভিব্যক্তি দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে। অনেকেই ছবিটির মাধ্যমে তার অভিনয়শৈলী ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেছেন। ঢালিউডের নির্মাতা থেকে শুরু করে বিনোদন অঙ্গনের নানা পেশার মানুষ ছবিটি শেয়ার করে শাকিব খানের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। কেউ বলেছেন, “অভিনয়ের চেয়ে বেশি কিছু তিনি। একপ্রকার পর্দাজুড়ে আধিপত্য।” কেউ বলেছেন, “তার উপস্থিতিতেই বাংলাদেশি সিনেমা বাঁচে।” সিনেমাটির আলোচিত এই ছবিগুলো তুলেছেন ফটোগ্রাফার ফারহান রোমান। ছবিগুলো শেয়ার করে তিনি লেখেন, “শাকিব খানের মতো শিল্পীর ছবি তোলা মানে শুধু ছবি নয়, আবেগের চিত্রায়ন। শাকিব খান সেই বিরল শিল্পীদের একজন, যিনি নিজেকে চরিত্রে এতটাই মিশিয়ে দেন যে, কেউ ক্যামেরায় ধরছেন—তা হয়তো তিনি খেয়ালও করেন না।” এবারের ঈদে মুক্তি পায় ‘তাণ্ডব’ সিনেমা। মাল্টিপ্লেক্সে একসঙ্গে ২৮টি শো দিয়ে যাত্রা শুরু করে। সেইসঙ্গে দেশের শতাধিক সিঙ্গেল স্ক্রিনেও এটি প্রদর্শিত হয়। সিনেমাটির গল্পও রায়হান রাফির। এ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—শাকিব খান, সাবিলা নূর, জয়া আহসান, আফজাল হোসেন, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত প্রমুখ।

মেজাজ হারালেন অমিতাভ

মেজাজ হারালেন অমিতাভ শান্ত ও বিনয়ী আচরণের জন্য খ্যাতি রয়েছে বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের। হঠাৎ সেই অমিতাভ বচ্চনই পাপারাজ্জিদের উপরে বিরক্ত হলেন। খানিকটা মেজাজ হারালেন এই বরেণ্য অভিনেতা।  এ মুহূর্তের একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যায়, অমিতাভ তার মুম্বাইয়ের বাড়ি জলসা থেকে পায়ে হেঁটে বের হচ্ছেন। দূরে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিলেন এক পাপারাজ্জি। আর তা দেখে খানিকটা রেগে যান অমিতাভ। আঙুল উঁচিয়ে অমিতাভ বচ্চন বলেন ভিডিও ধারণ করবেন না, বন্ধ করুন।” ভক্তদের সঙ্গে নিয়মিত আলাপচারিতা, আলোকচিত্রীর সঙ্গে ভদ্র ইশারায় কথা বলার জন্য বরাবরই প্রশংসা কুড়িয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। হঠাৎ তার এমন আচরণ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যদিও অমিতাভের স্ত্রী জয়া বচ্চনের ‘খিটখিটে মেজাজ’ দেখে সবাই অভ্যস্ত।  অমিতাভ অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘কল্কি’। ভক্তরা ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানের পরবর্তী সিজনে উপস্থাপক হিসেবে তাকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

সেদিন রাতে আমি নোবেলের সঙ্গে ছিলাম না: সালসাবিল

সেদিন রাতে আমি নোবেলের সঙ্গে ছিলাম না: সালসাবিল গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে বিতর্কিত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে আটক করে পুলিশ। অবশ্য, জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে ছেড়ে দেয়। এদিকে, খবর ছড়িয়েছে—সেদিন রাতে নোবেলের সঙ্গে ছিলেন তার প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। তবে খবরটি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সালসাবিল। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট দিয়েছেন সালসাবিল। পাশাপাশি একটি ভিডিও বার্তায় এ খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। তার ভাষায় আমি নোবেলের সঙ্গে ছিলাম না। আমি সারারাত আমার বাসায় ঘুমাচ্ছিলাম।” ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সালসাবিল মাহমুদ বলেন, “আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, আমার ফোনে অনেক মেসেজ, কল। এসব আমার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা করেছে। আমি নাকি নোবেলের সঙ্গে মদ্যপ অবস্থায় ছিলাম, সেই অবস্থায় পুলিশ নাকি আমাকে আটক করেছিল। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় আমার সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আমার আত্মীয়-স্বজন সকলেই আমাকে ফোন করে জানতে চাচ্ছে, আমি ছাড়া পেয়েছি কি না! এটা আমার জন্য খুবই বিব্রতকর সংবাদ।” প্রথম সারির একটি গণমাধ্যম তার নাম উল্লেখ করে খবরটি প্রকাশ করেছেন বলে দাবি সালসাবিলের। তিনি বলেন, “আমাকে নিয়ে এ ধরনের একটা নিউজ করা হলো। আমিও তো একটা সমাজে বসবাস করি। আমার পরিবার আছে। এ ধরনের একটা নিউজ একটা পরিবার, একটা মেয়ের জন্য খুবই অসম্মানের। নিউজটি করার আগে আমার সঙ্গে অন্তত যোগাযোগ করতে পারতেন। কারণ অনেক সাংবাদিকের কাছে আমার নাম্বার রয়েছে।” জানা যায়, শনিবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় উবারচালকের সঙ্গে মারামারি করেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল। তিনি প্রাইভেটকার ভাড়া করে হাবুলের পুকুরপাড় এলাকায় আসেন। এ সময় তার সঙ্গে একজন নারীও ছিলেন। গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পরও নোবেল গাড়ি থেকে নামতে রাজি হচ্ছিলেন না। তিনি উদ্ভট কথাবার্তা ও গালাগালি করতে থাকেন। একপর্যায়ে উবারচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান নোবেল। পরে উত্তেজিত হয়ে গাড়িচালককে মারধর করেন তিনি। মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ‌সাজ্জাদ রোমান বলেন, “একজন গাড়িচালকের সঙ্গে গায়ক নোবেলের তর্ক-বিতর্ক হয়। ওই সময় স্থানীয় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল বলে আমরা তাকে থানায় নিয়ে আসি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়।”

পাকিস্তানের উইকেট নিয়ে ‘অজুহাত’ মানতে নারাজ বাংলাদেশ

পাকিস্তানের উইকেট নিয়ে ‘অজুহাত’ মানতে নারাজ বাংলাদেশ অগ্রহণযোগ‌্য। আন্তর্জাতিক মানের নয়। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কোচ মাইক হেসনের পর্যবেক্ষণ এটি। রোববার প্রথম টি-টোয়েন্টি হারের পর হেসন সংবাদ সম্মেলনে এসে উইকেট নিয়ে কড়া মন্তব‌্য করেছেন। পাশাপাশি ব‌্যাটিংয়ে নিজেদের ব‌্যর্থতাও স্বীকার করেছেন। তবে প্রথম ম‌্যাচে হারের পেছনে হেসনের কাঠগড়ায় ‘উইকেটই’। ম‌্যাচে দু‌্যতি ছড়িয়ে একমাত্র ফিফটি তোলা বাংলাদেশের পারভেজ হোসেন ইমন অবশ‌্য উইকেটে কোনো দোষ খুঁজে পাননি। বরং পাকিস্তানের কোচের অজুহাতকে উড়িয়ে দিয়েছেন। ম‌্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পারভেজ হোসেন বলেছেন, ‘‘নাহ, এমন কিছু মনে হয়নি (গ্রহণযোগ‌্য নয়)। আমরা ১১০ রান করছি ১৬ ওভারে। আমরা যদি ২০ ওভারও খেলতাম ১৬০ রান করতে পারতাম। তো আমার কাছে এমন কিছু মনে হয়নি। হতে পারে ওরা মানিয়ে নিতে পারিনি, আমরা মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি।’’ উইকেট নিয়ে পারভেজের মূল‌্যায়ন এরকম, ‘‘বোলারদের জন্য মিরপুরের উইকেটে একটু বেনিফিট থাকে এটা স্বাভাবিক জিনিস।’’পাকিস্তানের ব‌্যাটসম‌্যানরা যেখানে ধীর গতির স্পিনিং উইকেটে খাবি খেয়েছে সেখানে পারভেজ বোলারদের তুলোধুনো করেছেন অনায়েসে। ম‌্যাচ সেরা নির্বাচিত এই ক্রিকেটার নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৩৯ বলে ৫৬ রান করেন ৩ চার ও ৫ ছক্কায়। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ তুলনামূলক সহজ কিনা জানতে চাইলে বলেছেন,‘‘ভালো করলে সবকিছুই সহজ মনে হয়। না, ওরাও আন্তর্জাতিক খেলছে। ওদেরও অনেক অভিজ্ঞ বোলার আছে।’’ পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ বছর পর টি-টোয়েন্টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। লম্বা সময় পর জয়ে পরাজয়ের গেরো ছুটিয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা সিরিজে পাওয়া আত্মবিশ্বাসই এখানে কাজে লেগেছে বলে বিশ্বাস পারভেজের, ‘‘এমন কোনো আলোচনা হয়নি (৯ বছর পর জয়)। শেষ সিরিজটা ভালো খেলে এসেছি শ্রীলঙ্কা থেকে। সবাই চেষ্টা করছি আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়ে নিতে। সেখানেই আসলে খেলেছি।’’ আগামীকাল একই মাঠে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের মিশন। গত মে-জুনে পাকিস্তানে গিয়ে তিন ম‌্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার কী বদলা নিতে পারবে বাংলাদেশ?

মিচেল ওয়েনের জাদুকরী অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে জয়

মিচেল ওয়েনের জাদুকরী অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে জয় একটি অভিষেক কতটা স্বপ্নময় হতে পারে, সেটাই যেন প্রমাণ করে দিলেন মিচেল ওয়েন। ক্যারিবিয়ান সাগরের গর্জনের মাঝেই ব্যাটে-বলে নিজেকে মেলে ধরলেন এই অজি ক্রিকেটার। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ বল হাতে রেখেই হারিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার তুলে নিলেন হাতে। জ্যামাইকার ঐতিহ্যবাহী স্যাবাইনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৯০ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা মোটেও মসৃণ ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। ৭৮ রানে হারায় ৪ উইকেট। বিপদে তখন ক্যাঙ্গারুরা। কিন্তু সেখানেই হাল ধরেন অভিষিক্ত ওয়েন ও ক্যামেরন গ্রিন। দুই জনের ব্যাটে উঠে আসে ৮০ রানের ধ্বংসাত্মক জুটি। গ্রিন ২৬ বলে ৫১ রানের ঝড় তুলে ফেরেন। তবে তখনও রানের গতি থামেনি। ওয়েন ছিলেন আরও বিধ্বংসী। মাত্র ২৭ বলে করেন ৫০ রান, যেখানে ছিল ছয়টি ছক্কার মার। টি-টোয়েন্টি অভিষেকে মাত্র তৃতীয় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে হাফ সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন তিনি। শেষদিকে বেন ডারশুইস ও শন অ্যাবটের শান্ত নেতৃত্বে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। ৩ উইকেটের জয়ে সিরিজে শুভ সূচনা করলো অস্ট্রেলিয়া। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুটা করে দুর্দান্ত। অধিনায়ক শেই হোপ ৫৫ রানে দলকে গতি দেন। পরে রোস্টন চেজ ৬০ ও হেটমায়ার ৩৮ রানের ইনিংস খেলে স্কোরবোর্ডে আনে আতঙ্ক। ১৫ ওভার শেষে যে ইনিংসে ২০০ পেরোনোর সম্ভাবনা ছিল, সেই ইনিংসই থেমে যায় ১৮৯ রানে। কারণ? ডারশুইস নামক ঝড়! ৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ান মিডল অর্ডারে আঘাত হানেন তিনি। আর শেষ ৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ছন্দপতন ঘটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে। আন্দ্রে রাসেল, যিনি দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন, ব্যাট হাতে ছিলেন নিস্প্রভ। মাত্র ৮ রানে থামেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া এখন ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে। তবে এই ম্যাচের কেন্দ্রবিন্দু একটাই, মিচেল ওয়েনের আগমনী বার্তা। যেটি যেন বলে দেয়, অজি ক্রিকেটে এক নতুন নক্ষত্রের উত্থান!

ট্রাম্পের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক করছে ভারত

ট্রাম্পের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক করছে ভারত পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যাহ্নভোজ ও বৈঠকের পর ভারত গোপনে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, নয়াদিল্লি এখন চীনের সাথে সম্পর্ক পুনর্গঠন করছে, যা ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঝুঁকিতে ফেলছে। কয়েক দশক ধরে সমৃদ্ধ সম্পর্কের পর এই বৈঠক এবং মার্কিন-ভারত সম্পর্কের অন্যান্য উত্তেজনা বাণিজ্য আলোচনায় ছায়া ফেলেছে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার অন্যতম প্রধান অংশীদারের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপের কথা বিবেচনা করছে। U.S. তিনজন ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে বিশেষ করে তার সামরিক প্রতিষ্ঠানকে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার জন্য দোষারোপ করেছে ভারত। ওয়াশিংটনকে দিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের প্রশংসা করে ভুল সংকেত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি একটি বেদনাদায়ক পরিস্থিতি তৈরি করেছে যা ভবিষ্যতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। পাকিস্তান ভারতীয় লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণকারী জঙ্গিদের সমর্থন করে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নয়াদিল্লি জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ দেয়নি। গত দুই দশকে ছোটখাটো বাধা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক শক্তিশালী হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, অন্তত আংশিকভাবে উভয় দেশই চীনকে মোকাবেলা করার চেষ্টা করছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান এশিয়া প্যাসিফিক ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, “বর্তমান সমস্যাগুলো ভিন্ন। বিশেষ করে পাকিস্তানের সাথে ভারতের সাম্প্রতিক সংঘাতের পর পাকিস্তানের সাথে আমেরিকা যেভাবে ঘন ঘন ও জোর দিয়ে যোগাযোগ করছে এবং ভারতীয় উদ্বেগগুলোকে বিবেচনায় নিচ্ছে না, সেই কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।” দুই ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৮ জুন মুনিরের সাথে ট্রাম্পের বৈঠকের পরের দিনগুলোতে, প্রধানমন্ত্রী মোদির কার্যালয় এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কার্যালয়ের লোকজন তাদের মার্কিন প্রতিপক্ষদের কাছে প্রতিবাদ জানাতে আলাদা আলাদা ফোন করেছিলেন। একজন জ্যেষ্ঠ ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, “আমরা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে আমাদের অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি, যা আমাদের জন্য একটি রেডলাইর। এখন কঠিন সময় … আমাদের উদ্বেগ ট্রাম্পের বুঝতে না পারাটা সম্পর্কে কিছুটা ভাঁজ ফেলেছে।” ট্রাম্প এবং মুনির সন্ত্রাসবাদবিরোধী সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছেন, যার অধীনে আমেরিকা পূর্বে ন্যাটো-বহির্ভূত মার্কিন মিত্র পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। তারা দুজন ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক আরো জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এটি নয়াদিল্লিতে উদ্বেগ জাগিয়ে তুলেছে। কারণ ভারতের ভাষ্য, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ আবারো সংঘাতে লিপ্ত হলে এবং পাকিস্তান আমেরিকা থেকে যেকোনো অস্ত্র গ্রহণ করলে তা ভারতের বিরুদ্ধে চালানো হতে পারে। ভারতীয় কর্মকর্তারা এবং একজন ভারতীয় শিল্প লবিস্ট জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রকাশ্যে দেখানো হলেও, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারত আমেরিকার বিরুদ্ধে কিছুটা কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এর পরিণতিতে দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনাও ধীর হয়ে গেছে। জুন মাসে কানাডায় জি সেভেন বৈঠকের পর ট্রাম্পের ওয়াশিংটন সফরের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন মোদি। চলতি মাসের শুরুতে, নয়াদিল্লি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছিল। ভারতের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান হর্ষ পন্ত জানান, অন্যান্য দেশের মতো ভারতও ট্রাম্পের সাথে মোকাবিলা করার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে এবং চীনের সাথে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ করছে। তিনি বলেন, “চীনের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ রয়েছে এবং আমি মনে করি এটি পারস্পরিক…চীনও যোগাযোগ করছে।”

ত্রাণ নিতে যাওয়া ৯২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী

ত্রাণ নিতে যাওয়া ৯২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী ইসরায়েলি বাহিনী গাজাজুড়ে কমপক্ষে ১১৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এদের মধ্যে ৯২ জনকে উত্তরে জিকিম ক্রসিং এবং দক্ষিণে রাফাহ এবং খান ইউনিসে ত্রাণ কেন্দ্রে খাবার পেতে চেষ্টা করার সময় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে। রবিবার এই হত্যাকাণ্ড এমন সময় ঘটেছে যখন গাজায় ইসরায়েলিদের অব্যাহত অবরোধের ফলে ক্ষুধা সংকট আরো খারাপ হয়েছে। সেখানকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ গত দিনে দুর্ভিক্ষে কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে। জিকিমে জাতিসংঘের ত্রাণ কনভয় থেকে আটা পাওয়ার আশায় বিশাল জনতা সেখানে জড়ো হয়েছিল। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৭৯ জন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে। রাফাহের একটি ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে আরো নয়জন হত্যার শিকার হয়েছেন। এর আগের ২৪ ঘন্টায় সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের মতে, খান ইউনিসে একটি দ্বিতীয় ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে আরও চারজন হত্যার শিকার হয়েছেন। জিকিমে হামলায় বেঁচে যাওয়া ফিলিস্তিনি রিজেক বেতার বলেন, “কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই, খাবার নেই, জীবন নেই, আর বাঁচার কোনো উপায় নেই। আমরা খুব কষ্ট করে অপেক্ষা করছি।” আরেকজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি ওসামা মারুফ গুলিবিদ্ধ ও আহত একজন বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন। মারুফ বলেন, “আমরা জিকিম থেকে এই বৃদ্ধকে নিয়ে এসেছিলাম। সে কেবল কিছু আটা আনতে গিয়েছিল। আমি তাকে সাইকেলে করে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি – আমি আর আটা চাই না, সে আমার বাবার মতো, এই বৃদ্ধ। ঈশ্বর আমাকে ভালো করার শক্তি দিন। এবং এই কষ্ট যেন বেশি দিন স্থায়ী না হয়।”

সরকারি চাকরিতে কোটা পাচ্ছেন না ‘জুলাই যোদ্ধারা’: উপদেষ্টা

সরকারি চাকরিতে কোটা পাচ্ছেন না ‘জুলাই যোদ্ধারা’: উপদেষ্টা সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তি এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোনো ধরনের কোটা চালু করবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক। সোমবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের জন্য সরকারের গৃহীত পুনর্বাসন কার্যক্রম বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সরকারি চাকরিতে জুলাই যোদ্ধাদের কোটা বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “না, কোনো কোটা থাকবে না। আমরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী সুযোগ করে দেব।” তিনি বলেন, “পুনর্বাসন বলতে আমরা সরাসরি ফ্ল্যাট বা চাকরির কোটা বুঝি না। বরং, এটি প্রশিক্ষণ, আত্মকর্মসংস্থান এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। কেউ যদি হাঁস-মুরগি পালন করতে চান অথবা পশুপালন কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে চান, তাতেও সরকার সহায়তা দেবে।”  জুলাই যোদ্ধাদের সরকারি সহায়তার পরিমাণ মুক্তিযোদ্ধাদের সমান হবে কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ফারুক-ই-আজম বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তুলনা টানা উচিত নয়। মুক্তিযোদ্ধারা মহান, তাদের অবদান অতুলনীয়।”২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তি ও নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসনের দাবি তুলেছে বিভিন্ন সংগঠন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সরকারের পক্ষ থেকে এ পুনর্বাসন কার্যক্রম ঘোষণা করা হলো।

ভুটানের লিগে নতুন চ্যালেঞ্জে তহুরা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র

ভুটানের লিগে নতুন চ্যালেঞ্জে তহুরা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের দুই উদীয়মান তারকা তহুরা খাতুন ও শামসুন্নাহার জুনিয়র এবার পা রাখতে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলে। প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে কোনো লিগে অংশ নিতে ভুটানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তারা। ভুটানের নারী ফুটবল লিগে রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে মাঠে নামবেন এই দুই ফরোয়ার্ড। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের জার্সিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তহুরা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। সদ্য সমাপ্ত এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে দুজনেই ৩টি করে গোল করেছেন। তাদের এই উজ্জ্বল পারফরম্যান্সই হয়তো এনে দিয়েছে নতুন এই সুযোগ। বাংলাদেশও প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। ভুটানে রওনা দেওয়ার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে তহুরা লেখেন, ‘ভুটানের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছি। নতুন পথচলা শুরু হচ্ছে, সবাই দোয়া করবেন। ’ এ নিয়ে ভুটানের নারী লিগে খেলা বাংলাদেশি ফুটবলারের সংখ্যা দাঁড়াল ১২ জনে। প্রথম ধাপে সেখানে পাড়ি জমান জাতীয় দলের অভিজ্ঞ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও মাতসুশিমা সুমাইয়া। তারা বর্তমানে খেলছেন পারো এফসির হয়ে। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে যোগ দেন মারিয়া মান্দা, সানজিদা খাতুন, মাসুরা পারভীন, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার সিনিয়র ও কৃষ্ণা রানী সরকার। থিম্পু সিটি ক্লাবের হয়ে খেলছেন সানজিদা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার সিনিয়র। অন্যদিকে, ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে মাঠে নামছেন রুপনা, মাসুরা ও কৃষ্ণা। ভুটানের বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করে চলেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন আরও দুই ফুটবলার—তহুরা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র।

প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: একজনের লাশ উদ্ধার

প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: একজনের লাশ উদ্ধার রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় একজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বাহিনীর সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিমান দুর্ঘটনায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকাজ চলমান আছে। লিমা খানম বলেন, আমরা দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে সংবাদ পেয়েছি যে উত্তরা মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থলে আমাদের আটটি ইউনিট কাজ করছে। এদিকে, দুর্ঘটনাটির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভিডিওতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ আতঙ্কিত লোকজন ছোটাছুটি করছে।