চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৬

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৬ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ৬ জন ও বহির্বিভাগে ৮ জন এবং শিবগঞ্জে ১ জন ও গোমস্তাপুরে ১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৭ জন রোগী এবং ৫ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ জন পুরুষ ও ১০ জন মহিলাসহ ১৩ জন, শিবগঞ্জে ২ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলাসহ ৩ জন, গোমস্তাপুরে ১ জন মহিলা রোগী। অন্যদিকে জেলা হাসপাতাল থেকে ১ জনকে এবং গোমস্তাপুর থেকে ১জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৮১৭ জন এবং জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৭৮ জন। সিভিল সার্জন অফিস ও জেলা হাসপাতালের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা : বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি

ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা : বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি বিজ্ঞানসম্মত কর্ম, ওজোন রক্ষায় বর্ম-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে এহেড ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আজ সকলে আন্তর্জাতিক ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভা সভাপতিত্ব করেন এহেড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. দেলওয়ার হোসেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. ইসাহাক আলী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নবাবগঞ্জ সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো. তরিকুল আলম সিদ্দিকী নয়ন। সভা সঞ্চালনা করেন সিডা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সহ-সভাপতি মো. আফসার আলী। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সমাজসেবক শওকত আলী, ডেমোক্রেসি ওয়াচ আস্থা জেলার সমন্বয়কারী রেজাউল করিম, আস্থা ফাউন্ডেশনের যুগ্ম আহবায়ক আল-আমিন। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, তাঁরা বলেন, ওজোন স্তর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আমাদের ও পৃথিবীকে রক্ষা করে। কিন্তু মানুষের অপরিকল্পিত ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে এই স্তর ধীরে ধীরে ক্ষয় হচ্ছে, যা মানবজাতি ও জীববৈচিত্র্যের জন্য চরম হুমকিস্বরূপ। কাজেই ওজোন স্তর সুরক্ষায় বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আগামী রবিবার আংশিক সূর্যগ্রহণ

আগামী রবিবার আংশিক সূর্যগ্রহণ আগামী রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর আংশিক সূর্যগ্রহণ হবে। সূর্যগ্রহণ শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে। সর্বোচ্চ গ্রহণের সময় ২২ সেপ্টেম্বর ১টা ৪১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। গ্রহণ শেষ হবে ২২ সেপ্টেম্বর ৩টা ৫৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। তবে, বাংলাদেশ থেকে সূর্যগ্রহণের এ বিরল দৃশ্য দেখা যাবে না। আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, সূর্যগ্রহণের ব্যাপ্তিকাল থাকবে ৪ ঘণ্টা ২৪ মিনিট। নিউজিল্যান্ড, পূর্ব মেলানেশিয়া, দক্ষিণ পলিনেশিয়া ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে সূর্যগ্রহণটি দৃশ্যমান হবে। গ্রহণটির কেন্দ্রীয় গতিপথের বিবরণ হলো— ২১ সেপ্টেম্বর গ্রহণ শুরু যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়া দ্বীপ থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে স্থানীয় সময় ৫টা ৫৩ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে। সর্বোচ্চ গ্রহণ অ্যান্টার্কটিকার ডুমন্ট ডি’উরভিল আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ১০টা ১৩ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডে। গ্রহণ শেষ অ্যান্টার্কটিকার আলেকজান্ডার দ্বীপ থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ১৭টা ৪৮ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে। সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ মাত্রা থাকবে ০ দশমিক ৮৫৫।
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ আজ ১৮ই সেপ্টেম্বর, বিশ্ব বাঁশ দিবস। ঘাস পরিবারের বৃহত্তম এই সদস্য শুধু প্রকৃতিরই অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়, বরং মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বৈশ্বিকভাবে বাঁশ শিল্পের উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৫ সালে বিশ্ব বাঁশ সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত অষ্টম বিশ্ব বাঁশ কংগ্রেসে সংস্থার তৎকালীন সভাপতি কামেশ সালামের প্রস্তাবে ১০০টি দেশের প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে ১৮ই সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব বাঁশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে প্রতি বছর এই দিনে বাঁশের বহুবিধ ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব বৈশিষ্ট্য এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি উদযাপন হয়ে আসছে। বাঁশকে সবুজ সোনা হিসেবেও অভিহিত করা হয়। এটি দ্রুত বর্ধনশীল একটি উদ্ভিদ যা পরিবেশ থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং তুলনামূলকভাবে বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করে। এর ব্যাপক ও গভীর শিকড় মাটির ক্ষয়রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থনৈতিকভাবে, বাঁশ একটি অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। নির্মাণসামগ্রী, আসবাবপত্র, কাগজ, বস্ত্রশিল্প থেকে শুরু করে বাদ্যযন্ত্র ও নানান হস্তশিল্প তৈরিতে বাঁশের ব্যবহার অপরিসীম। এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে বাঁশ একটি মজবুত ভিত্তি প্রদান করে। বাংলাদেশেও ঘরবাড়ি তৈরি, চাটাই, ঝুড়ি, আসবাবসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্য তৈরিতে যুগ যুগ ধরে বাঁশের ব্যবহার চলে আসছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্যমতে, বাঁশের প্রজাতি বৈচিত্র্যের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। বাংলাদেশে প্রায় ৩৩ প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বাঁশ শিল্প ও চাষের সঙ্গে জড়িত থেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। সঠিক পরিকল্পনা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উদ্ভাবনী ডিজাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাঁশ শিল্প শুধু দেশের চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারে। এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে, তেমনি পরিবেশ সুরক্ষাতেও এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আজ প্রথম প্রেম দিবস

আজ প্রথম প্রেম দিবস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম প্রেম পূর্ণতা পায় না। কিন্তু প্রথম প্রেমের মিষ্টিমধুর সময়টা মনে গেঁথে থাকে। কখনও কবিতায়, কখনও গানে সেই প্রেমের স্মৃতি ফিরে পায় মানুষ। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম প্রেম দিবস। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটি পালন করা হয়। এরপর থেকে প্রতিবছরই উদ্যাপিত হচ্ছে দিবসটি। প্রথম প্রেম মানুষ ভোলে না কেন? মানুষ প্রথম প্রেমে পড়ে কৈশোর কিংবা প্রথম তারুণ্যে। এ সময় শরীরে হ্যাপি হরমোনের প্রভাব থাকে প্রবল। যার ফলে ভালোবাসার মানুষের প্রতি আকর্ষণ থাকে বেশি। ভালো লাগার মুহূর্তগুলো মানুষকে সুখের অনুভূতি দেয়। যাকে ভাবলে এই অনুভূতি হয়, যে কাছে থাকলে নিজেকে পৃথিবীর সেরা সুখী মানুষ মনে হয়-সেই মানুষটিকে কোনো কারণে হারিয়ে ফেললেও ভোলা যায় না। আক্ষরিক অর্থে কেউ কাউকে ভালোবাসা শেখায় না, কিন্তু ভালোবাসার উপলক্ষ্য এনে দেয়। ভালোবাসার অনুভূতিগুলো যাকে প্রথম বলা যায়, তাকে তো ভোলার কথা না!
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া আর কেউ হতে পারবেন না। নবম গ্রেড এবং এর ওপরের চাকরিতে থাকা বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এই দায়িত্ব পালন করবেন। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ১৮ নভেম্বর সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে গঠন করা হয় অ্যাডহক কমিটি। এ অবস্থায় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১ ডিসেম্বর থেকে সব অ্যাডহক কমিটি বাতিল হয়ে যাবে। এদিকে পরিচালনা পর্ষদের নতুন প্রবিধানমালা করেছে মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতি হতে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নবম গ্রেডের নিচে নয় এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়–এমন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সভাপতি হতে পারবেন। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক খন্দোকার এহসানুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিদ্যমান নিয়মে একটি সংশোধন আনা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা অথবা চাকরিরত অথবা অবসরে যাওয়া কর্মকর্তার কথা পলিসি লেভেল থেকে ঠিক করা হয়েছে। শুধু সভাপতি পদটির জন্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্য পদগুলো আগের মতোই আছে।’
আগামী ১৭ ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বইমেলা

আগামী ১৭ ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বইমেলা প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে অমর একুশে বইমেলা আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রমজানের কারণে এবার ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হচ্ছে না। চলতি বছরের ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ থেকে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ শুরু হবে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমী। যা চলবে ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বইমেলার তারিখ নির্ধারণী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলা একাডেমী। এতে বলা হয়, অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর তারিখ নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় নির্বাচন ও রমজানের কারণে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর তারিখ আগামী ১৭ই ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ১৭ই জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান এই সভার সভাপতিত্ব করেন। এতে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমসহ একাডেমির সচিব, পরিচালক এবং পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী রবিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভ মহালয়া

আগামী রবিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভ মহালয়া আগামী ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার শুভ মহালয়া। এদিন থেকে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় পূজা হিসেবে পরিচিত দুর্গাপূজা। তবে এদিন সরকারি কোনো ছুটি নেই। ২০২৫ সালের ছুটির তালিকায় শুভ মহালয়া উপলক্ষে কোনো ছুটি দেখা যায়নি। একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তরের ছুটির তালিকায়ও নেই মহালয়ার ছুটি। সরকারি ছুটির তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে এ বছর সরকারি চাকরিজীবীরা টানা চার দিনের ছুটি উপভোগ করবেন। ১ অক্টোবর বুধবার মহানবমী উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরদিন ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমী উপলক্ষে রয়েছে সাধারণ ছুটি। তালিকায় শুভ মহালয়ার কোনো ছুটি নেই। তবে এদিন সাধারণত অনেক সনাতন ধর্মাবলম্বী ঐচ্ছিক ছুটি নিয়ে থাকেন। এ বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কয়েকটি অধিদপ্তরের ছুটির তালিকায় শুভ মহালয়ার কোনো ছুটি দেখা যায়নি। তবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে শুভ মহালয়ার ছুটি আছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এদিন ছুটি দেওয়া হয়েছে। আবার কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুভ মহালয়া ছুটি নেই বলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া নোটিশে বলা হয়েছে, ‘এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর বর্ষপঞ্জিতে মহালয়া ছুটি উল্লেখ না থাকায় আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রবিবার যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।’ অন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবার ছুটি দেওয়া হয়েছে। ওই নোটিশে বলা হয়েছে, সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর একাডেমিক সূচি অনুযায়ী ‘মহালয়া’ উপলক্ষে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর (রবিবার) প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার থেকে যথারীতি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। তবে ভর্তি কার্যক্রম চলমান থাকবে। তাই অ্যাডমিশন ডিপার্টমেন্ট এবং নিরাপত্তা বিভাগ উক্ত ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। শুভ মহালয়া কী : শুভ মহালয়া মানে হলো দেবীপক্ষের সূচনালগ্ন, যা পিতৃপক্ষের অবসানের পর শুরু হয় এবং দুর্গাপূজার উৎসবের সূচনা করে। এই দিনে দেবী দুর্গা পৃথিবীতে অবতরণ করেন বলে বিশ্বাস করা হয়, তাই মহালয়া হলো এমন এক পবিত্র দিন, যেখানে পূর্বপুরুষদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং দেবী দুর্গার আগমনের জন্য অপেক্ষা করা হয়। পূজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি : দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এর আগে ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় মোট ছুটি দাঁড়াবে ১১ দিন। ৭ অক্টোবর থেকে পুনরায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলোও ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১২ দিন বন্ধ থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ প্রকাশিত শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ৮ অক্টোবর থেকে যথারীতি ক্লাস শুরু হবে। এদিকে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ছুটি শুরু হবে। ৫ অক্টোবর আবার যথানিয়মে ক্লাস শুরু হবে। এর মধ্যে ফাতেহা-ই- ইয়াজদাহমের ছুটিও অন্তর্ভুক্ত করেছে অধিদপ্তর। এ ছাড়া ৩ ও ৪ অক্টোবর সাপ্তাহিক (শুক্র ও শনিবার) ছুটি। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্গাপূজায় মাত্র দুই দিনের ছুটি থাকবে ১ ও ২ অক্টোবর। এর সঙ্গে ৩ ও ৪ অক্টোবর সাপ্তাহিক ছুটি পাবে তারা।
উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে : ডিএমপি কমিশনার

উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে : ডিএমপি কমিশনার এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। আজ ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে এবং পূর্বের ন্যায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুকূল পরিবেশে ও নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে। সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মো. শহীদুল্লাহ দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ডিএমপির নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, এ বছর ঢাকা মহানগরীতে ২৫৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মণ্ডপভিত্তিক নিরাপত্তা পরিকল্পনার বাইরে পৃথক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও থাকবে। এছাড়া প্রতিমা বিসর্জনের দিন সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মো. সরওয়ার পূজামণ্ডপে আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে রাস্তাঘাটের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও তা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পূজামণ্ডপগুলো যেন কোনোভাবেই অরক্ষিত না থাকে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। এছাড়া পূজা চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো প্রকার ভুল তথ্য বা অপতথ্য ছড়ানো সম্পর্কে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন তিনি। নিরাপত্তা প্রস্তুতি সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, উপাধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মিশন মঠ-এর উপাধ্যক্ষসহ হিন্দু ধর্মের সংশ্লিষ্ট নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনিয়মে ইসিই দেবে তাৎক্ষণিক শাস্তি

অনিয়মে ইসিই দেবে তাৎক্ষণিক শাস্তি নির্বাচনী অনিয়মে যদি ভোটের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজেই শাস্তি দিতে পারবে। এক্ষেত্রে বরখাস্ত থেকে শুরু করে জেল-জরিমানাও হতে পারে। আজ নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন- ১৯৯১ সংশোধনে ইসির দেওয়া এমন প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার, যা অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর হবে। আইনে নির্বাচন কর্মকর্তা বলতে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব বা কর্মে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি বা নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তি বা রিটার্নিং অফিসার বা ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদেরও (যেমন- প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার বা আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) বোঝানো হয়েছে। এদিকে আইনে ধারা ৫ এর উপ-ধারাগুলো সংশোধন ও সংযোজন করে ইসিকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগে ভোটের অনিয়মে জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ইসি শাস্তি দিতে পারত না। আগে ইসির কাছে অনিয়ম প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্টর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করতে পারতো। এতে ইসি সুপারিশ বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ করা হতো। ধারা পাঁচের আগের চারটি উপ-ধারা সংশোধন করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন করে তিনটি উপ-ধারা যুক্ত করা হয়েছে। উপধারা (১)- এ বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কমিশন বা কমিশন কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমতো, রিটার্নিং অফিসারের কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালনে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হলে বা অস্বীকৃতি প্রকাশ করলে বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করলে বা এর অধীন কোনো অপরাধ করলে বা কর্তব্যে অবহেলা করলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং অসদাচরণ তার চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ মর্মে বিবেচিত হবে। উপধারা (২)-এ বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন-কর্মকর্তা উপ-ধারা (১)-এ উল্লেখিত অসদাচরণ করলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্ত করতে পারবে বা বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারবে বা তার পদাবনতি করতে পারবে বা তার পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখতে পারবে। তবে শর্ত হলো, ওই রকম কোনো শান্তি উপ-ধারা (১)-এ উল্লেখিত ব্যর্থতা, অস্বীকৃতি, লঙ্ঘন বা অপরাধের জন্য অন্য কোনো আইনে নির্ধারিত কোনো দণ্ড প্রদান বা তার জন্য কোনো আইনগত কার্যধারা নেওয়াকে ব্যাহত করবে না। উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত অসদাচরণ করলে কমিশন বা কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমতো, কমিশনের সম্মতিক্রমে রিটার্নিং অফিসার তাকে, তার বিরুদ্ধে তজ্জন্য তার চাকরিবিধি অনুযায়ী শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা নেওয়া সাপেক্ষে, অনধিক দুই মাসের জন্য সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্তের আদেশ দিতে পারবেন এবং ওই বরখাস্তের আদেশ তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তার চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রদত্ত হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং সে অনুযায়ী কার্যকর হবে। উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী, উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত অসদাচরণের জন্য কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে কমিশন বা কমিশন কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমতো, কমিশনের সম্মতিক্রমে রিটার্নিং অফিসার ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করলে ওই কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে এবং সেই সম্পর্কে কমিশনকে জানাবে। উপ-ধারা (৫)-এ বলা হয়েছে, উপ-ধারা (৪)-এ উল্লিখিত কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যে কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে, তা ওই কর্মকর্তা বা ব্যক্তির ব্যক্তিগত নথি, চাকরি বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ ও ডোসিয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং সেই সম্পর্কে কমিশনকে জানাতে হবে। উপ-ধারা (৬) অনুযায়ী, সরকার এবং কমিশনের মধ্যে এই ধারার কোনো বিধান সম্পর্কে ভিন্নমত দেখা দিলে সে বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পাবে। উপ-ধারা (৭) অনুযায়ী, কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তব্যে অবহেলা করেছেন, তাহলে ওই কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কমিশন প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। এদিকে আইনে ধারা ৬-এ সংশোধন এনে জেল-জরিমানা সংক্রান্ত শাস্তিও বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে অনিয়মে জড়িতের বিরুদ্ধে কমিশনের দেওয়া শাস্তির প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করলে সংশ্লিষ্টদেরও পাঁচ বছর জেল-জরিমানা হতে পারে। আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-কর্মকর্তা নিযুক্ত হলে, তিনি, কমিশন বা ক্ষেত্রমতো রিটার্নিং অফিসারের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো কারণ ছাড়া, দায়িত্ব নেওয়া বা পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-কর্মকর্তা নিযুক্ত হলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে নির্বাচন-কর্মকর্তা হিসাবে কোনো দায়িত্ব পালনে বাধা দিতে পারবেন না। এই বিধান লঙ্ঘন করলে তা হবে একটি অপরাধ এবং এজন্য তিনি অনধিক এক বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। কিন্তু কোনো কর্তৃপক্ষই সে সুপারিশ বাস্তবায়ন চার মাসেও না করায় ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফের চিঠি দেয়। তারপরও সব কর্তৃপক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই অবস্থায় নতুন আইনটি কার্যকর হলে সে সুযোগ আর থাকবে না।