বাখের আলী সীমান্তে চোরাকারবারীদের ধরতে বিজিবির ফাঁকা গুলি ১০টি মহিষ জব্দ

বাখের আলী সীমান্তে চোরাকারবারীদের ধরতে বিজিবির ফাঁকা গুলি ১০টি মহিষ জব্দ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখের আলী সীমান্তে চোরাকারবারীদের ধরতে গিয়ে ২ রাইন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সেখান থেকে ১০টি মহিষ জব্দ করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ৫৩ বিজিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে বাখের আলী সীমান্তের পদ্মা নদীর আলিমের ঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন বিজিবি সদস্যরা। এ সময় সেখানে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীদের দেখতে পান। চোরাকারবারীরা সংঘবদ্ধ অবস্থায় থাকায় বিজিবি সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। গুলির শব্দে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যান। পরে অবৈধ পথে ভারত থেকে আনা ১০টি মহিষ জব্দ করা হয়। বিজিবি অধিনায়ক বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চোরকারবারীদের বেশি দূর ধাওয়া করতে পারেননি বিজিবি সদস্যরা। ফলে তাদের কাউকে আটক করা যায়নি। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নাচোলে শিশুদের মানসম্মত শিক্ষার আওতায় আনতে কর্মসূচি

নাচোলে শিশুদের মানসম্মত শিক্ষার আওতায় আনতে কর্মসূচি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে শতভাগ শিশুকে মানসম্মত শিক্ষার আওতায় আনতে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। কর্মসূচির আওতায় এসেডো ও গণসাক্ষরতা অভিযানের কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপ, গার্লস ফোরাম ও ইয়ুথ গ্রুপের সদস্যদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী একটি কর্মশালা শুরু হয়েছে। উপজেলা পরিষদের বিআরডিবি হলরুমে জিপিই’র সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মশালায় জানানো হয়— শতভাগ শিশুকে মানসম্মত শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি করার লক্ষে একটি কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। কর্মশালায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এসেডোর নির্বাহী পরিচালক রবিউল আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা আফিসার মৃনাল কান্তি সরকার, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার হারুন অর রশিদ, সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা আফিসার দুলাল উদ্দিন খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দুলাল হোসেন, নাচোল ৩নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সফিকুল ইসলাম, গণসাক্ষরতা অভিযান ঢাকার প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুর রউফ, সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজার (ফিন্যান্স অ্যান্ড একাউন্টস) খলিলুর রহমান, প্রোগ্রাম অফিসার সিজুল ইসলাম, এসেডোর ফিন্যান্স অ্যাডমিন ম্যানেজার আজাহার আলী, ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর ডেইজী খাতুন ও সুমি খাতুন। ‎বক্তারা বলেন— মানসম্মত শিক্ষার অন্যতম স্তর হলো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা। যেখানে শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য শারীরিক ও মানসিক যত্ন, উপযুক্ত পরিবেশ ও নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে শিশুর নিরাপদে বেড়ে ওঠার একটি অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো স্কুল হতে ঝরে পড়া ও বাল্যবিয়ে। এ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে শিক্ষা সম্পর্কিত স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করা যায় এজন্য এ‎ ‎কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ৮৫ ডেঙ্গু আক্রান্ত : হাসপাতালে ভর্তি ৭৪ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ৮৫ ডেঙ্গু আক্রান্ত : হাসপাতালে ভর্তি ৭৪ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ জন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে ৩৫ জন এবং বহির্বিভাগে ৪৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। অন্যান্য উপজেলার মধ্যে গোমস্তাপুর ও শিবগঞ্জে ১ জন করে রোগী শনাক্ত হন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে  বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭১ জন। তাদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ, ৩২ জন মহিলা ও ৭ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া শিবগঞ্জে ১ জন ও গোমস্তাপুরে ২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। আর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে শনাক্তরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২১ জনকে। এই ২১ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ১০ জন মহিলা ও ১ জন শিশু রয়েছেন। অন্যদিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৪ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ৪ জনের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ১ জন শিশু রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০৩৬ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৬২ জনে।

মা ও শিশুর পুষ্টি ও জলবায়ু উন্নয়নে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ

মা ও শিশুর পুষ্টি ও জলবায়ু উন্নয়নে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৪টি ইউনিয়ন ও সদর পৌরসভায় মোট ১৭শ পরিবারকে ৫ ধরনের ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর এরিয়া প্রোগ্রামের উদ্যোগেগতকাল ও আজ মা ও শিশুর অপুষ্টি নিরসন ও জলবায়ু উন্নয়নে (Enough Campaign) এই চারাগুলো বিতরণ করা হয়। আজ সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আওতায় হতদরিদ্রপরিবার, প্রতিবন্ধী পরিবার, ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্তৃক নিবন্ধনকৃত শিশুর পরিবার, বিদ্যালয় এবং দরিদ্র আদিবাসী পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। চারা বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার জেমস বিশ্বাস, ৫টি কর্মএলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্যগণ এবং ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তাগণ। বিতরণকৃত গাছের মধ্যে রয়েছে আম, সফেদা, মাল্টা, পেয়ারা ও নিম এবং বালিয়াডাঙা, সুন্দরপুর, দেবীনগর, চরঅনুপনগর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মধ্যে এই চারাগুলো বিতরণ করা হয়।

কিয়ারা-সিদ্ধার্থের ঘরে এলো কন্যা সন্তান

কিয়ারা-সিদ্ধার্থের ঘরে এলো কন্যা সন্তান বাবা-মা হলেন বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। মঙ্গলবার বিকেলে (১৫ জুলাই) কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন কিয়ারা। মা ও নবজাতক সুস্থ রয়েছেন। মুম্বাইয়ের স্যার এইচ. এন. রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন কিয়ারা আদভানি। এ হাসপাতালে কিয়ারার নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। তবে রাতের দিকে খবরটি সামনে আসে। বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ইনস্টাগ্রামে যৌথভাবে একটি বিবৃতি দিয়েছেন কিয়ারা-সিদ্ধার্থ। তাতে এই দম্পতি লেখেন, আশীর্বাদ হিসেবে আমরা একটি কন্যাসন্তান পেয়েছি। আমাদের হৃদয় এখন পরিপূর্ণ। আজীবনের জন্য আমাদের জীবন বদলে গেল। এরপর থেকে ভক্ত-অনুরাগী ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন কিয়ারা-সিদ্ধার্থ। ‘শেরশাহ’ সিনেমার শুটিং সেট থেকেই প্রেমের সম্পর্কে জড়ান সিদ্ধার্থ-কিয়ারা। তারপর এ জুটির প্রেম-বিয়ে নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের জয়সালমীরে সাতপাকে বাঁধা পড়েন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা।

ভারতীয় সিনেমায় জয়া, ঘোর আপত্তি জুঁই বিশ্বাসের

ভারতীয় সিনেমায় জয়া, ঘোর আপত্তি জুঁই বিশ্বাসের দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ওপারেও নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। বাংলাদেশের অনেক তারকাই এখন কলকাতার সিনেমা, ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। তবে জয়া আহসান সেখানে অনেকটা ব্যতিক্রম। ভারতীয় বাংলা সিনেমার গণ্ডি পেরিয়ে বলিউডেও কাজ করছেন এই অভিনেত্রী।  ভারতীয় সিনেমায় বাংলাদেশি শিল্পীদের কাজ করা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন কলকাতা পৌর করপোরেশনের নারী কাউন্সিল জুঁই বিশ্বাস। বিশেষ করে জয়া আহসানের কাজ নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন। জুঁই অভিনেত্রী না হলেও শোবিজ অঙ্গনে পরিচিত মুখ। এই অঙ্গনের তারকাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) জুঁই তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে জয়ার কাজ করা নিয়ে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। জুঁই বলেন, “আমরা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা কী জেগে ঘুমিয়ে আছি? আমাদের শিল্পী, কলাকুশলী, ইভেন্ট অর্গানাইজাররা বাংলাদেশে কাজ করতে পারছেন না, আটক করে রাখা হচ্ছে, অথচ জয়া আহসানকে ভারতে রেড কার্পেট দিয়ে অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কোনো শিল্পীর কি প্রতিভা নেই, জয়া যে চরিত্রটি করেছেন সেখানে অভিনয় করার মতো? কেন ভারতীয় জাদুঘরে তার মিউজিক অ‌্যালবাম রিলিজ হয়?” জুঁইয়ের এই বক্তব্য নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো খবরও প্রকাশ করেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে জুঁই তার ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। এতে জুঁই বলেন, “এটি সত্যি যে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীরা বাংলাদেশে কাজ করতে গেলে প্রশাসনিক জটিলতা, ভিসা জট বা এমনকি ডিটেনশন-এর মতো ঘটনাও ঘটছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও দুশ্চিন্তার বিষয়। যদি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান হয়, তাহলে সেটা দুই-পক্ষের হওয়া উচিত—না যে এক তরফা উদারতা দেখাতে হবে, না এক তরফা বন্ধুত্ব মেনে নিতে হবে।” উদাহরণ হিসেবে আবারো জয়া আহসানকে টেনে আনেন জুঁই বিশ্বাস। তার ভাষায়, “বাংলাদেশ যদি ভারতীয় শিল্পীদের জন্য সুযোগ সীমিত করে রাখে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে, ভারত কেন বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য দরজা খোলা রাখছে? জয়া আহসান নিঃসন্দেহে একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রী, কিন্তু প্রশ্নটা প্রতিভার নয়—প্রশ্নটা ন্যায়বিচার ও ভারসাম্যের। যখন ভারতীয় শিল্পীরা সীমাবদ্ধতায় ভোগেন, অথচ বাংলাদেশি শিল্পীরা এখানে বড় সুযোগ পান, তখন তা সবার চোখে বৈষম্য বলে মনে হয়।” প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জুঁই বিশ্বাস বলেন, “এখানে পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কি সেই চরিত্রগুলো করতে অক্ষম? অবশ্যই না। তাহলে বারবার বিদেশি শিল্পীদের এমন ‘বাড়তি’ গুরুত্ব দেওয়ার যুক্তি কী? প্রযোজক-পরিচালকরা দেশ বিরোধী কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিৎ নয় কি? যেকোনো শিল্পচর্চা অবশ্যই মুক্ত হওয়া উচিত। কিন্তু তার মধ্যে দেশীয় শিল্পীদের সুযোগ দেওয়াটাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যখন তাদের কাজের সুযোগ বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে দেওয়া হয় (যেখানে সেই দেশ ভারতীয় শিল্পীদের আটকে দেয়), তখন সেটি দায়বদ্ধতার অভাব বলেই মনে হয়।” প্রতীকী সহযোগিতা নয়, স্থায়ী নীতিগত অবস্থান দরকার বলে মনে করেন জুঁই। তার মতে, “যদি পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারত নিষিদ্ধ করে, তাহলে বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য শর্তহীন মঞ্চ কেন? একতরফা সংস্কৃতিক দান কি আর রাজনীতি বা কূটনীতিতে কার্যকর? এটি নিছকই অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রশ্ন নয়। এটি একটি ‘সফট পাওয়ার’ বা সাংস্কৃতিক ক্ষমতার প্রশ্ন। যখন ভারতের শিল্পীরা অন্য দেশের বাজারে প্রবেশ করতে পারে না, অথচ বিপরীতে সেই দেশের শিল্পীরা ভারতে ব্যবসা, সম্মান এবং সুযোগ পান, তখন এটা কেবল ‘বাণিজ্য’ নয়—ভারসাম্যহীনতা ও আত্মমর্যাদার প্রশ্ন। আমরা উদারতা দেখাচ্ছি—কিন্তু তার মূল্য দিচ্ছে নিজেরাই। উদারতা কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি দিক হতে পারে, কিন্তু তার ভিত্তি হওয়া উচিত পারস্পরিকতা। বন্ধুত্ব কাঁধে কাঁধ রেখে চলে, হাঁটু গেড়ে নয়।”

‘দেশে ভিক্ষুক নেই’ মন্তব্য করে পদ হারালেন কিউবার মন্ত্রী

‘দেশে ভিক্ষুক নেই’ মন্তব্য করে পদ হারালেন কিউবার মন্ত্রী ‘কিউবায় কোনো ভিক্ষুক নেই। কিছু মানুষ ভিখারির ছদ্মবেশে সহজে টাকা আয় করার চেষ্টা করছে।’- এমন মন্তব্যের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন কিউবার শ্রম ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী মার্তা এলেনা ফেইতো কাবরেরা। বুধবার (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি কিউবার পার্লামেন্টে বক্তব্যকালে শ্রমমন্ত্রী মার্তা দাবি করেন, কিউবায় প্রকৃত অর্থে কোনো ‘ভিক্ষুক’ নেই। যারা ময়লার বিন ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তারা এটাকে ‘অর্থ উপার্জনের সহজ উপায়’ ভাবেন বলেই এমন করছেন। তার এই মন্তব্যে কিউবার জনগণ ও প্রবাসী কিউবানরা সমালোচনায় ফেটে পড়েন। সমালোচনা বাড়তে থাকায় বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত হোন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াস কানেল। এরপরই শ্রমমন্ত্রী মার্তা পদত্যাগ করেন। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কিউবা। দেশটিতে চলছে খাদ্য সংকট। দারিদ্রের হার ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখার সময় মার্তা বলেন, “কিউবায় কোনো ভিক্ষুক নেই। সহজে অর্থ উপার্জনের জন্য ভিক্ষুক হওয়ার ভান করে এমন মানুষ রয়েছে।” কিউবার বাসিন্দারা এই মন্তব্যের জন্য ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়। বলা হয়, সরকার উদাসীন ও মানুষের করুণ অবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন। মানবাধিকার কর্মী ও বুদ্ধিজীবীরা শ্রম মন্ত্রীর অপসারণ দাবি করেন। তারা এ নিয়ে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেন। যেখানে বলা হয়, ‘মন্ত্রীর এ মন্তব্য কিউবার মানুষের প্রতি অপমানজনক।’ এরপর কিউবার প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্টে শ্রমমন্ত্রী মার্তার নাম উল্লেখ না করেই তার সমালোচনা করে বলেন, “নেতৃত্বকে সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন। জনগণের বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না।’ মন্ত্রী মার্তার পদত্যাগ কিউবান কমিউনিস্ট পার্টি এবং সরকার গ্রহণ করেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কিউবার সরকার ভিক্ষুকের সংখ্যা প্রকাশ করে না। তবে দ্বীপদেশটির গভীর অর্থনৈতিক সংকটে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করে কিউবার বেশিরভাগ বাসিন্দা।

পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে অভিনব উদ্যোগ ‘নো ওয়ান ব্যাকবেঞ্চার্স’

পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে অভিনব উদ্যোগ ‘নো ওয়ান ব্যাকবেঞ্চার্স’ স্কুলের ক্লাসরুমে আর কাউকে বসতে হবে না পেছনের সারিতে। সবাই বসবে ফার্স্ট বেঞ্চে। কেউ আর অবহেলিত নয়। এমন লক্ষ্য নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা শহরের শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বার্লো বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ‘নো ওয়ান ব্যাকবেঞ্চার্স’ পড়াশোনার ব্যবস্থা। সবাই ফার্স্ট বেঞ্চে, কীভাবে সম্ভব? প্রশ্নের উত্তরে স্কুলের এক শিক্ষিক বললেন, ‘এই বিষয়টি আমাদের ডিআই স্যারের মস্তিষ্কপ্রসূত। আসলে কেরালার স্কুলগুলোতে ক্লাসে বসার চিরকালীন ব্যবস্থাটাই পাল্টে দেওয়া হয়েছে। সেভাবেই আমরা কেরালার পথ অনুসরণ করতে চলেছি।” তিনি আরো বলেন, “সাধারণত ক্লাসরুমে পরপর বেঞ্চগুলো বসানো থাকে। ফলে কাউকে না কাউকে পিছনের দিকে বসতেই হয়। তাই পিছনের সারিতে বসা পড়ুয়ারা অনেকসময় পড়াশোনা বুঝতে পারে না। আবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পিছনের বেঞ্চে বসা পড়ুয়াদেরও নজরে রাখা সম্ভব হয় না। তাই এখন থেকে ক্লাসরুমে বেঞ্চ সাজানো হবে ইংরেজি ইউ-এর মতো করে। আর তাতেই সবাই বসবে সামনের বেঞ্চে। সব পড়ুয়াকে নজরে রাখতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।” পশ্চিমবঙ্গের মালদায় এই প্রথম ‘নো ওয়ান ব্যাকবেঞ্চার্স’ পদ্ধতিতে পড়ানো শুরু হলো। আগামীতে রাজ্যের অন্যান্য জেলার স্কুলে এই পদ্ধতিতে পড়াশোনা শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। স্কুলের শিক্ষিকারা জানান, শ্রেণিকক্ষের বসার এই নতুন ব্যবস্থাটি প্রথম দেখানো হয় একটি মালয়ালাম চলচ্চিত্রে। বিনেশ বিশ্বনাথ পরিচালিত ‘স্থানার্থী শ্রীকুত্তান’ সিনেমায় প্রথম এই পদ্ধতিতে ক্লাসরুমে বসার ব্যবস্থা দেখানো হয়েছিল। এই সিনেমায় চারজন অবাধ্য ছাত্রের কথা তুলে ধরা হয়েছিল। তাদের পড়াশোনায় মন ফিরিয়ে আনতে ‘নো ওয়ান ব্যাকবেঞ্চার্স’ পদ্ধতি চালু করা হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ভারতের বিভিন্ন সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। এরপরেই পদ্ধতিটি বেছে নিয়ে কেরালার বিভিন্ন স্কুলে শুরু হয় ‘নো ওয়ান ব্যাকবেঞ্চার্স’ পদ্ধতিতে পাঠদান। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নতুন পদ্ধতিতে পড়াশোনা করতে তাদের খুব ভালো লাগছে। শিক্ষকদের সব কথা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছেন। এতদিন যারা পিছনের বেঞ্চে বসত, তারা সব কথা শুনতে পেত না। তাই ক্লাসের পড়া বুঝতে অসুবিধা হতো। এখন পড়া বুঝতে অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে। ‘নো ওয়ান ব্যাকবেঞ্চার্স পদ্ধতিতে পড়াশোনা হলে কোনো সহপাঠী আর মানসিক হীনম্মন্যতায় ভুগবে না। এক কথায় ‘আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে’ টাইপের ব্যাপার। শিক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে কেরালার পর পশ্চিমবঙ্গও নতুন পথে হাঁটছে। বার্লো বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে একজন কর্মকর্তার মতে, চলচ্চিত্র থেকে শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন বাস্তব প্রভাব সত্যিই বিরল এবং অনুপ্রেরণামূলক।

‘চুপিচুপি’ উইনার্স মেডেল পকেটে ঢুকিয়ে ভাইরাল ট্রাম্প

‘চুপিচুপি’ উইনার্স মেডেল পকেটে ঢুকিয়ে ভাইরাল ট্রাম্প ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে পিএসজিকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নতুন ফরম্যাটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। মাঠের মতো স্টেজেও জমকালো ছিল উদযাপন। তবে সেই আনন্দঘন মুহূর্তে ঘটে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। চ্যাম্পিয়নদের মাঝে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক উইনার্স মেডেল ‘চুপিচুপি’ নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নেন! সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে দেখা যায়, ট্রাম্প বিজয়ীদের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন, এবং হঠাৎ করেই একটি মেডেল নিজের পকেটে রেখে দিচ্ছেন। দেখে মনে হয় যেন তা কোনো খেলোয়াড়ের না বলেই নিয়ে নিচ্ছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের হাতে যে মেডেলটি গিয়েছে, সেটি ছিল চেলসির উইঙ্গার ননি মাদুয়েকের জন্য নির্ধারিত। কারণ পুরো দলের ট্রফি উদযাপনে শুধুমাত্র মাদুয়েকেই দেখা যায়নি। জানা গেছে, তিনি আগে থেকেই ক্যাম্প ছেড়েছেন আর্সেনালে যোগ দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে। এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে মজার হিসেবে দেখছেন, কেউ আবার এটিকে ‘অনিচ্ছাকৃত চুরি’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘উনি তো ট্রফিটাও রেখে দিয়েছেন, মেডেলটা নেবেন না?’ আরেকজন মজা করে বলেন, ‘ননি বুঝবেনই না যে মেডেলটা হোয়াইট হাউসে রয়ে গেছে!’ বিতর্ক আরও জমে ওঠে ট্রাম্পের আগের এক বক্তব্য ঘিরে, যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘আসল ট্রফিটা আমি ওভাল অফিসে রেখেছি, চেলসিকে দেওয়া হয়েছে রেপ্লিকা। ’

টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় পাকিস্তান দল

টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় পাকিস্তান দল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বুধবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রথম বহর। অধিনায়ক সালমান আলি আগা ছাড়াও ছিলেন ফখর জামান, মোহাম্মদ নওয়াজ, সাইম আয়ুব, আবরার আহমেদ, খুশদিল শাহ ও ফাহিম আশরাফসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফ। করাচি থেকে দুবাই হয়ে ঢাকায় পৌঁছান তারা। দলের বাকি সদস্যদের বিকেলে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ সফরের আগে করাচিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষকে নিয়ে যথেষ্ট শ্রদ্ধার কথা বলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান। তার ভাষ্য, ‘বাংলাদেশ যেকোনো কন্ডিশনে ভালো খেলে, নিজেদের মাঠে তো আরও ভয়ংকর। তাদের হোম রেকর্ড ঘাটলেই বোঝা যায়, কত বড় বড় দল এখানে হোঁচট খেয়েছে। আমরা জানি, কাজটা সহজ হবে না। সেই চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিয়েছি। ’নিজের নেতৃত্ব এবং দায়িত্ব নিয়ে সালমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই চ্যালেঞ্জ। প্রতিদিনই নতুন কিছু আসবে। জীবন যেমন, ক্যারিয়ারও তেমন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়েই পথ চলতে হবে। তাই খুব বেশি না ভেবে শুধু খেলার দিকেই মন দিচ্ছি। পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও সুপার জানিয়েছে, বাকি ক্রিকেটাররাও বুধবারের মধ্যেই দলের সঙ্গে ঢাকায় যোগ দেবেন। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের তিনটি টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০, ২২ ও ২৪ জুলাই, মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রতিটি ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পাকিস্তান সফরে গিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ দল। এবার ঘরের মাঠে সেই হতাশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নামবে লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্তরা।