ইরাকে শপিংমলে আগুন, নি*হত ৫০

ইরাকে শপিংমলে আগুন, নি*হত ৫০ ইরাকের একটি শপিংমলে আগুন লেগেছে। এতে হতাহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ জন এবং আরও ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আজ ইরাকের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর কুতের একটি শপিংমলে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬০ জন নিহত হয়েছেন। ওয়াসিত প্রদেশের গভর্নর মোহাম্মদ আল-মিয়াহি সরকারি সংবাদ সংস্থা আইএনএকে জানিয়েছেন, ইরাকি মিডিয়ার শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে ৫ তলা একটি শপিং মল বিশাল আগুন এবং ধোঁয়ায় ঢেকে আছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
ঢাকায় গাছের অক্সিজেন যোগান ৫ শতাংশ, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ঢাকায় গাছের অক্সিজেন যোগান ৫ শতাংশ, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিশুদ্ধ বাতাস ও অক্সিজেন মানুষের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর ঢাকা বর্তমানে মারাত্মক বায়ুদূষণ ও অক্সিজেন ঘাটতির মুখোমুখি। একদিকে শহরজুড়ে গাছ কাটা ও নির্মাণকাজ চলছে ব্যাপকভাবে, অন্যদিকে ধূলিকণা, ধোঁয়া, ও বিষাক্ত গ্যাসে ঢাকার বাতাস হয়ে উঠছে বিপজ্জনক। ফলে নগরবাসী মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। ঢাকার আয়তন প্রায় ৩০৬ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ (২০২২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের তথ্য)। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম শহর। জনঘনত্বের দিক থেকে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম, যেখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ২৩ হাজার লোক বসবাস করে। ঢাকা শহরের প্রশাসনিক কাঠামো দুই ভাগে বিভক্ত। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আয়তন প্রায় ১৯৬.২২ বর্গকিলোমিটার এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আয়তন প্রায় ১০৯.২৫ বর্গকিলোমিটার। দুই সিটিতে (৫৪+৭৫) ১২৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ১ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করলেও এই বিপুল জনসংখ্যার বিশুদ্ধ অক্সিজেন যোগান দেওয়ার জন্য নেই পর্যাপ্ত গাছপালা। ১৯১৭ সালের পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, ঢাকা হবে একটি বাগানের শহর। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ন, আবাসন ও জনসংখ্যার চাপে ঢাকা শহর থেকে সবুজ, মাঠ ও জলাশয় হারিয়ে গিয়েছে। ঢাকা নগরের আওতায় ছোট বড় মিলিয়ে মাত্র ৪৮টি উদ্যান ও প্রায় ২৫টি খেলার মাঠ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব উদ্যান দখল, অবহেলা বা অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে। সরকারের বন বিভাগ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংস্থা ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের করা এক বৃক্ষ জরিপ (২০২০) থেকে জানা যায়, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে ছোট–বড় প্রায় ১৩ লাখ গাছ রয়েছে। ১৩ লাখ গাছের মধ্যে ঢাকা উত্তরে রয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৬০০টি, আর ঢাকা দক্ষিণে আছে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৯০০ গাছ। ঢাকায় প্রতি সাতজনের বিপরীতে রয়েছে মাত্র একটি গাছ। তথ্যে জানা যায়, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দৈনিক ৫৫০ লিটার অক্সিজেন গ্রহণ করে। সেই হিসেবে মহানগরে প্রায় ১ কোটি মানুষের জন্য দৈনিক প্রায় ৫৫০ কোটি লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন। কিন্তু ঢাকা মহানগরের গাছপালাগুলো মিলে দৈনিক যোগান দিতে পারে মাত্র ১৮ কোটি লিটার, যা প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৩-৫ শতাংশ। বাকি অক্সিজেন আসছে বাইরে থেকে অথবা উৎপাদনশীল গাছের পরিবর্তে কিংবা দূষণপূর্ণ বাতাস থেকে। বাতাসে সাধারণভাবে প্রায় ২১ শতাংশ অক্সিজেন থাকে, যা শহর ও গ্রামের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য করে না। কিন্তু পার্থক্য হয় বাতাসের বিশুদ্ধতায়। শহরের বাতাসে ধুলাবালি, ধোঁয়া, ও বিষাক্ত গ্যাস বেশি মিশে থাকে, যা শ্বাস নেওয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। দূষণের কারণ অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, বহুতল ভবন, মার্কেট, কংক্রিট স্থাপনায় নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। ফলে সবুজায়ন কমছে, সেই সাথে অক্সিজেনের মাত্রা ও কমছে। ঢাকা ও এর আশেপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা অসংখ্য অবৈধ ইটভাটা ও ফ্যাক্টরি থেকে পিএম ২.৫ (প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা-পিএম ২.৫) উপস্থিতিসহ বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বাতাসে কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে অক্সিজেন। ঢাকার অক্সিজেন দূষণের প্রধান কারণ হলো মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির নির্গত কালো ধোঁয়া, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড ইত্যাদি বায়ুতে মিশে যায়। ঢাকার বাইরে থেকে আসা হাজার হাজার ট্রাক ও দূরপাল্লার যানবাহনের ধুলা ও ধোঁয়ার পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণের জন্য এখানকার বায়ু দূষিত হয়ে পড়ে। মহানগর এলাকায় পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল। খোলা ডাস্টবিন, লেক, পুকুর, ড্রেনেজের নর্দমা ও আবর্জনার পচনশীল গন্ধযুক্ত গ্যাস বাতাসে বিষ মিশিয়ে দেয়। তাছাড়া দীর্ঘদিন খোঁড়াখুঁড়ি ও নির্মাণকাজের সামগ্রী রাস্তায় পড়ে থাকা ধুলা বাতাসকে দূষিত করে পিএম ১০/পিএম ২.৫-এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫ ও পিএম ১০-এর উপস্থিতি। এর ফলে প্রায় দিনই দূষিত তালিকায় রয়েছে ঢাকা। পিএম ২.৫ ও পিএম ১০ হলো বাতাসে ভাসমান অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার মাপ। এই কণাগুলো মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করে নানা ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। অক্সিজেন সংকটে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিশুদ্ধ অক্সিজেন সংকটে মানুষকে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বৈশ্বিক বায়ুদূষণের ঝুঁকি বিষয়ক ‘দ্য স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার-২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে পাঁচটি দেশের শতভাগ মানুষ দূষিত বায়ুর মধ্যে বসবাস করে, তার মধ্যে একটি বাংলাদেশ। বায়ু দূষণজনিত মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ পঞ্চম। দূষিত বায়ুর কারণে ২০১৭ সালে দেশে মারা গেছে ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ। সেন্টার ফর রিসার্চ অন অ্যানার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরআইএ) এক গবেষণার তথ্যে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে প্রতি বছর পাঁচ হাজার ২৫৮ শিশুসহ এক লাখ দুই হাজার ৪৫৬ জন মানুষের অকালমৃত্যু হচ্ছে। একই কারণে প্রতি বছর নয় লাখ মায়ের অপরিণত গর্ভধারণ হচ্ছে এবং প্রায় সাত লাখ কম ওজনের শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। আর এ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে প্রতিবছর ছয় লাখ ৭০ হাজার রোগী জরুরি বিভাগে ভর্তি হচ্ছেন যার ফলে সম্মিলিতভাবে বছরে ২৬ কোটি ৩০ লাখ কর্মদিবস হারাচ্ছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) গবেষণায় দেখা যায়, গর্ভাবস্থায় কম বায়ুদূষণের শিকার মায়েদের তুলনায় অধিক বায়ুদূষণে ভোগা মায়েদের ‘প্রিটার্ম বার্থ’ (সময়ের আগে জন্মদান) ও কম ওজনের বাচ্চা প্রসবের ঝুঁকি অনেক বেশি। জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) তথ্য মতে, দূষিত অক্সিজেনের অভাবে শিশুদের মধ্যে হাঁপানি ও নিউমোনিয়ার হার বেড়েছে ২৮ শতাংশ। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি ৩ গুণ বেড়েছে। কর্মক্ষম মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন স্লিপ ডিসঅর্ডার, মানসিক অবসাদ, ক্লান্তি ইত্যাদিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য মতে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর ঢাকায় বায়ুদূষণে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট বিশেষজ্ঞ কনসালট্যান্ট ডা. মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বিশুদ্ধ অক্সিজেনের অভাবে মানুষ পালমোনারি হাইপারটেনশন, তীব্র শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, সিওপিডি ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। তবে প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শ্বাসকষ্টের রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে এই রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় জানতে চাইলে ডা. রিয়াজ বলেন, প্রথমত আমাদের ঘনবসতি এলাকাগুলোকে পরিকল্পনা মাফিক আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি ঢাকা শহরের ভেতরের কলকারখানাগুলোকে পরিবেশবান্ধবভাবে গড়ে তোলা। বেশি বেশি সবুজায়ন কর্মসূচি করতে হবে। কঠোর আইন প্রয়োগ করে কালো ধোঁয়া থেকে রাজধানীকে মুক্ত করতে হবে। তাহলেই আমরা বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাব। নগরের বাসিন্দারাও রোগমুক্ত থাকবে। মহাখালী জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. এটিএম কামরুল হাসান বলেন, দূষিত বায়ু গ্রহণের ফলে ফুসফুস ক্যান্সার, প্রসাবের থলির ক্যান্সারসহ অনেক ক্যান্সার বাতাসে মিশ্রিত কার্সিনোজেন লেড, ক্রমিয়াম হয়ে থাকে। এই রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তি এই তিন পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যক্তি পর্যায়ে মাস্ক ব্যবহার করা, ধূমপান পরিহার, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে বনায়ন কর্মসূচি পালন এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দূষণের বিরোধী কর্মসূচির উদ্যোগ নিলে অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। বিশুদ্ধ অক্সিজেন সংকট থেকে উত্তরণে উপায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি দূষিত অক্সিজেন থেকে রক্ষা
প্রাথমিকের ৬৫ হাজার প্রধান শিক্ষককে দশম গ্রেডে উন্নীত করতে আইনি নোটিশ

প্রাথমিকের ৬৫ হাজার প্রধান শিক্ষককে দশম গ্রেডে উন্নীত করতে আইনি নোটিশ দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীত করতে সরকারের পাঁচ সচিব বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া রেজিস্ট্রি ডাকযোগে গতকাল আইনসচিব, জন প্রশাসনসচিব, শিক্ষাসচিব, অর্থসচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠান। সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকদের পদের সংখ্যা প্রায় ৬৫। নোটিশে প্রধান শিক্ষকদের বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা না হলে বিষয়টি আদালতের নোটিশে আনা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তা কার্যকর করা হয়নি। পরে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিট নিষ্পত্তি করে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০তম গ্রেড ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আপিল খারিজ হলে পরে রিভিউ করা হয়। এ বছরের ১৩ মার্চ সেটিও খারিজ হয়। এরপর ৪৫ জন প্রধান শিক্ষককে গত ৭ জুলাই ১০ম গ্রেড ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অথচ এর সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার। সবাই মামলা না করলেও বাকি প্রধান শিক্ষকদেরও রায় অনুযায়ী সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের তা না দেওয়ায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। আশা করি, এই নোটিশ পাওয়ার পর তাদের ১০তম গ্রেড ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দিতে উদ্যোগ নেবে সরকার।
২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলায় খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু

২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলায় খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। আসামি পক্ষে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১ ডিসেম্বর ওই রায় দেন। ১৯ ডিসেম্বর রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। গত ১ জুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। তদন্ত শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন দেওয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হয় ৫২। মোট ৫২ আসামির মধ্যে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মুফতি হান্নান এবং তার সহযোগী শাহেদুল ইসলাম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড অন্য মামলায় কার্যকর হয়। তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলার আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ জনে। এ ঘটনার মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দেওয়া বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন- লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, হুজির সাবেক আমির ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা শেখ আবদুস সালাম (কারাগারে মারা যান), কাশ্মীরি জঙ্গি আব্দুল মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোস্তফা, মাওলানা শওকত ওসমান, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. উজ্জ্বল, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম (কারাগারে মারা যান), হানিফ পরিবহনের মালিক বিএনপি নেতা মোহাম্মদ হানিফ। পরিকল্পনা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০২/১২০খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, হুজি সদস্য হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ (কারাগারে মারা যান), মাওলানা সাব্বির আহমেদ, আরিফ হাসান ওরফে সুমন, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম মাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম, মহিবুল মুত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন, মো. খলিল ওরফে খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মো. ইকবাল ওরফে ইকবাল হোসেন, লিটন ওরফে মাওলানা লিটন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, রাতুল আহমেদ ওরফে রাতুল বাবু। তাদের দণ্ডবিধির ৩০২/১২০খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) মো. আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগনে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, ডিজিএফআইয়ের মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন, ডিএমপির সাবেক উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, আরেক সাবেক উপ-কমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খোদা বক্স চৌধুরী, সিআইডির সাবেক বিশেষ সুপার মো. রুহুল আমিন, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ, সাবেক এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেকটি ধারায় খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমিন, আবদুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমানকে তিন বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। গত বছরের ৩১ অক্টোবর আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর গত ১ ডিসেম্বর দুটি মামলায় রায় দেন হাইকোর্ট।
নাচোলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ত্রৈ-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

নাচোলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ত্রৈ-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) এর ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় দিয়ারা ডিমকইল উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে সমিতির সভাপতি তাজাম্মুল হক এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নাচোল উপজেলা শাখা পক্ষ থেকে সমিতির অন্তর্ভুক্ত সদস্য দিয়াড়া ডিমকইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মরহুম আলফাজ উদ্দীন এর স্মরনে স্মৃতি চারণ ও দোয়া পরিচালনা করা হয়। আলোচনা শেষে অবসরপ্রাপ্ত ৩জন সহকারী শিক্ষক টিপু সুলতান(মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়) মো: রফিকুল ইসলাম,(নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়) ও মো: ইব্রাহিম খলিল (চন্দ্রসখা উচ্চ বিদ্যালয়) কে সমিতির পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ৩৬০০০/-(ছত্রিশ হাজার) টাকা করে অর্থ প্রদান করা হয়। এছাড়াও তাদের সঞ্চয় এর অর্থ দেয়া হয়। এছাড়া মরহুম আলফাজ উদ্দীনের পরিবারকে সমিতির পক্ষ থেকে ৪৮০০০/-আট চল্লিশ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেজামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন, সোনাইচন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমসহ সমিতির কার্য নির্বাহী কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস বুধবার পালিত হয়েছে। প্রত্যুষে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জেলা উপজেলা প্রশাসন এসব কর্মসূচির আয়োজন করে। জুলাই আন্দোলনের ওপর নির্মিত দুটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারীদের চোখ ছলছল করে ওঠে। প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ : নিজস্ব প্রতিবেদক : সকালে ‘জুলাই শহীদ দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। আব্দুস সামাদ তার বক্তব্যে বলেন, “শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে জুলাই আন্দোলন সফল হয়। তাদের জন্য আমাদের করণীয় আছে। আর তা হলো, জুলাই শহীদরা যে স্বপ্ন নিয়ে আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।” জেলা প্রশাসক ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন— আপনারা তো কোনো কিছু পাওয়ার আশায় আন্দোলন সংগ্রাম করেননি। আপনারা চেয়েছিলেন, একটি বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ। আমরা যারা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছি, তারা চেষ্টা করছি আপনাদের সেই স্বপ্ন পূরণের। আপনাদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়, আর যেন কোনো ফ্যাসিস্ট হতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সেজন্য আমাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন— পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. শাহাব উদ্দিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিপ্লব কুমার মজুমদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কামলি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. এমরান হোসেনসহ অন্যরা। জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে বক্তব্য দেন— বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, সাব্বির আহমেদ, আকিব মিঞা, মাহাদি ইসলাম, রাউফুল সিয়াম রাজ ও জুলাই আহত তাহমিদুল হাসান। জুলাই যোদ্ধারা চব্বিশের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করেন। গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে বক্তব্য দেন— ডাবলু কুমার ঘোষ, ফয়সাল আজম অপু ও সেলিম রেজা। ছাত্রদলের স্মরণ সভা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রদল। বুধবার বিকেলে স্মরণসভার মধ্য দিয়ে তাদের স্মরণ করা হয়। নবাবগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন— জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইউসুফ রাজা ও সদস্য সচিব সাদ্দাম হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সদস্য নাজিব ওয়াদুদ, জাকির হোসেন, আব্দুল রাকিবসহ অন্য নেতৃবন্দ। বক্তারা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের স্মৃতিচারণ করেন এবং ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। অন্যদিকে আমাদের ভোলাহাট প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলা মডেল মসজিদে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা সভাকক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গোমস্তাপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সি। সভায় বক্তব্য দেন— আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মুহাম্মদ মাসুম, পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওয়াসিম আকরাম, গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াদুদ আলম, আন্দোলনে নিহত শহীদ তারেকের বাবা আসাদুল ইসলাম, উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম, ছাত্রদের মধ্যে নাজমুল হক নাজিম ও হিজবুল্লাহ। আলোচনা সভা শেষে জুলাই আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনসহ তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
বাখের আলী সীমান্তে চোরাকারবারীদের ধরতে বিজিবির ফাঁকা গুলি ১০টি মহিষ জব্দ

বাখের আলী সীমান্তে চোরাকারবারীদের ধরতে বিজিবির ফাঁকা গুলি ১০টি মহিষ জব্দ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখের আলী সীমান্তে চোরাকারবারীদের ধরতে গিয়ে ২ রাইন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সেখান থেকে ১০টি মহিষ জব্দ করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ৫৩ বিজিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে বাখের আলী সীমান্তের পদ্মা নদীর আলিমের ঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন বিজিবি সদস্যরা। এ সময় সেখানে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীদের দেখতে পান। চোরাকারবারীরা সংঘবদ্ধ অবস্থায় থাকায় বিজিবি সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। গুলির শব্দে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যান। পরে অবৈধ পথে ভারত থেকে আনা ১০টি মহিষ জব্দ করা হয়। বিজিবি অধিনায়ক বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চোরকারবারীদের বেশি দূর ধাওয়া করতে পারেননি বিজিবি সদস্যরা। ফলে তাদের কাউকে আটক করা যায়নি। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নাচোলে শিশুদের মানসম্মত শিক্ষার আওতায় আনতে কর্মসূচি

নাচোলে শিশুদের মানসম্মত শিক্ষার আওতায় আনতে কর্মসূচি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে শতভাগ শিশুকে মানসম্মত শিক্ষার আওতায় আনতে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। কর্মসূচির আওতায় এসেডো ও গণসাক্ষরতা অভিযানের কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপ, গার্লস ফোরাম ও ইয়ুথ গ্রুপের সদস্যদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী একটি কর্মশালা শুরু হয়েছে। উপজেলা পরিষদের বিআরডিবি হলরুমে জিপিই’র সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মশালায় জানানো হয়— শতভাগ শিশুকে মানসম্মত শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি করার লক্ষে একটি কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। কর্মশালায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এসেডোর নির্বাহী পরিচালক রবিউল আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা আফিসার মৃনাল কান্তি সরকার, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার হারুন অর রশিদ, সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা আফিসার দুলাল উদ্দিন খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দুলাল হোসেন, নাচোল ৩নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সফিকুল ইসলাম, গণসাক্ষরতা অভিযান ঢাকার প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুর রউফ, সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজার (ফিন্যান্স অ্যান্ড একাউন্টস) খলিলুর রহমান, প্রোগ্রাম অফিসার সিজুল ইসলাম, এসেডোর ফিন্যান্স অ্যাডমিন ম্যানেজার আজাহার আলী, ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর ডেইজী খাতুন ও সুমি খাতুন। বক্তারা বলেন— মানসম্মত শিক্ষার অন্যতম স্তর হলো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা। যেখানে শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য শারীরিক ও মানসিক যত্ন, উপযুক্ত পরিবেশ ও নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে শিশুর নিরাপদে বেড়ে ওঠার একটি অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো স্কুল হতে ঝরে পড়া ও বাল্যবিয়ে। এ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে শিক্ষা সম্পর্কিত স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করা যায় এজন্য এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ৮৫ ডেঙ্গু আক্রান্ত : হাসপাতালে ভর্তি ৭৪ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ৮৫ ডেঙ্গু আক্রান্ত : হাসপাতালে ভর্তি ৭৪ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ জন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে ৩৫ জন এবং বহির্বিভাগে ৪৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। অন্যান্য উপজেলার মধ্যে গোমস্তাপুর ও শিবগঞ্জে ১ জন করে রোগী শনাক্ত হন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭১ জন। তাদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ, ৩২ জন মহিলা ও ৭ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া শিবগঞ্জে ১ জন ও গোমস্তাপুরে ২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। আর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে শনাক্তরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২১ জনকে। এই ২১ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ১০ জন মহিলা ও ১ জন শিশু রয়েছেন। অন্যদিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৪ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ৪ জনের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ১ জন শিশু রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০৩৬ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৬২ জনে।
মা ও শিশুর পুষ্টি ও জলবায়ু উন্নয়নে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ

মা ও শিশুর পুষ্টি ও জলবায়ু উন্নয়নে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৪টি ইউনিয়ন ও সদর পৌরসভায় মোট ১৭শ পরিবারকে ৫ ধরনের ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর এরিয়া প্রোগ্রামের উদ্যোগেগতকাল ও আজ মা ও শিশুর অপুষ্টি নিরসন ও জলবায়ু উন্নয়নে (Enough Campaign) এই চারাগুলো বিতরণ করা হয়। আজ সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আওতায় হতদরিদ্রপরিবার, প্রতিবন্ধী পরিবার, ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্তৃক নিবন্ধনকৃত শিশুর পরিবার, বিদ্যালয় এবং দরিদ্র আদিবাসী পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। চারা বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার জেমস বিশ্বাস, ৫টি কর্মএলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্যগণ এবং ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তাগণ। বিতরণকৃত গাছের মধ্যে রয়েছে আম, সফেদা, মাল্টা, পেয়ারা ও নিম এবং বালিয়াডাঙা, সুন্দরপুর, দেবীনগর, চরঅনুপনগর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মধ্যে এই চারাগুলো বিতরণ করা হয়।