ভোটের আগে-পরে ৮ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: ইসি সচিব

ভোটের আগে-পরে ৮ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: ইসি সচিব এবার ভোটের আগে-পরে আটদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব এসেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) প্রাক-প্রস্তুতিমূলক আইনশৃঙ্খলা বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ইসির এবার ভোটে পাঁচদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাখার পরিকল্পনা ছিল। আজ বৈঠকে আটদিন রাখার প্রস্তাব এসেছে। এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। সচিব জানান, ভোটের আগে তিনদিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরে নিরাপত্তায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আটদিনের জন্য মাঠে নেমেছিল সশস্ত্র বাহিনী। তবে যাতায়াতের জন্য আরও পাঁচদিন সময় নিয়েছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ দিন মাঠে নেমেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বৈঠক থেকে কোনো ধরনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। সচিব জানান, এআইয়ের অপব্যবহার রোধ, ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ও বডিওর্ন ক্যামেরা থাকবে পুলিশের। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, ইসি সচিবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা অংশ নেন। নির্বাচন ভবনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে এই বৈঠক দুই ঘণ্টা চলে।

আমাকে পুরস্কার দেওয়া হলে, তা ডাস্টবিনে ফেলে দেব: বিশাল

আমাকে পুরস্কার দেওয়া হলে, তা ডাস্টবিনে ফেলে দেব: বিশাল ভারতের তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা-প্রযোজক বিশাল কৃষ্ণা রেড্ডি। শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে পা রাখেন। পরবর্তীতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ২০০৪ সালে ‘চেলামাই’ সিনেমায় নায়ক হিসেবে পর্দায় হাজির হন। এরপর ‘সান্ডাকোঝি’, ‘তিমিরু’, ‘বেদি’-এর মতো অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। দুই দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে এখনো ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি বিশাল। কয়েক দিন আগে ‘ইয়োর্স ফ্র্যাঙ্কলি বিশাল’ শিরোনামের পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এই অভিনেতা। এ আলাপচারিতায় পুরস্কারের সংস্কৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার ভাষ্য—“আমাকে পুরস্কার দেওয়া হলে তা ডাস্টবিনে ফেলে দেব।” ‘চাক্রা’ তারকা বিশাল বলেন, “আমি পুরস্কারে বিশ্বাস করি না। পুরস্কার একেবারেই পাগলাটে ব্যাপার। সাত কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র চারজন মানুষ কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন—কে সেরা অভিনেতা, কে সেরা সহ-অভিনেতা বা কোনটি সেরা সিনেমা হবে? এরা কি সবার বস? ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি, এজন্য আফসোস নেই ‘মার্ক অ্যান্টনি’ তারকার। এ তথ্য স্মরণ করে বিশাল বলেন, “আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়েও একই কথা বলছি। আমি পুরস্কার পাইনি বলে এসব কথা বলছি না। তবে জরিপ করে মানুষের মতামত নেওয়া উচিত। এটা গুরুত্বপূর্ণ। এই পুরস্কার আসলে আটজন মানুষ বসে ঠিক করে কে সেরা অভিনেতা—এটা হাস্যকর। আমি পুরস্কারে বিশ্বাস করি না; এটা বাজে ব্যাপার। আয়োজকদের প্রতি অনুরোধ করে বিশাল বলেন, “আমি আয়োজকদের বলেছি, যদি আমাকে পুরস্কার দেওয়া হয়, আমি সেটা ডাস্টবিনে ফেলে দেব। যদি সেটা স্বর্ণ দিয়েও তৈরি হয়, আমি বিক্রি করে টাকাটা দান করে দেব। আমি তাদের অনুরোধ করি, আমাকে যেন পুরস্কার না দেওয়া হয়। বরং যে সত্যিকার অর্থে প্রাপ্য, তাকে দেওয়া হোক।” ব্যক্তিগত কারণে পুরস্কার গ্রহণ করেন না বিশাল। তবে এটাও স্বীকার করেন যে, অনেকেই এই স্বীকৃতি গুরুত্ব সহকারে নেন, তাই আয়োজকদের প্রতি আহ্বান, যারা পুরস্কারকে মূল্য দেন, তাদেরই যেন সম্মান জানানো হয়। উল্লেখ্য, তামিল সিনেমায় অবদানের জন্য ২০০৬ সালে বিশালকে কালাইমামানি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। জানা যায়, এ পুরস্কার তিনি গ্রহণ করেছেন। যদিও সেই মুহূর্তের কোনো ছবি খোঁজে পাওয়া যায়নি। বিশাল এখন ‘মাগুডাম’ সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অ্যাকশন-গ্যাংস্টার ঘরানার সিনেমাটিতে একাধিক চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। এতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করবেন দুশারা বিজয়ান। এটি পরিচালনা করছেন রবি আরাসু। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে এটি মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা। তথ্যসূত্র: পিঙ্কভিলা

শান্তিচুক্তির মধ্যেই গাজায় ফের ইসরায়েলের বিমান হামলা

শান্তিচুক্তির মধ্যেই গাজায় ফের ইসরায়েলের বিমান হামলা হামাসের সঙ্গে শান্তিচুক্তির গাজায় ফের বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আজ রবিবার স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েল কয়েক দফা বিমান হামলা চালিয়েছে। খবর বিবিসির।  ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের সৈন্যদের ওপর হামাস যোদ্ধাদের হামলার অভিযোগ পাওয়ার পর তারা দক্ষিণ গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, তাদের সৈন্যরা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে রাফাহ এলাকায় ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ ভেঙে ফেলার সময় তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এটিকে ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে। আইডিএফ আরো বলেছে, তারা ‘শক্তভাবে জবাব দেবে’। হতাহতের কোনো তাৎক্ষণিক কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে হামাস বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং বরাবরের মতো এবারও ইসরায়েলই চুক্তি ভঙ্গ করেছে। ইসরায়েল তাদের অপরাধকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য ‘অজুহাত তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস। সর্বশেষ এই সংঘর্ষের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ‘গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুগুলোর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার’ নির্দেশ দিয়েছেন।

গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলার পর যুদ্ধবিরতি পুনঃকার্যকরের ঘোষণা ইসরায়েলের

গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলার পর যুদ্ধবিরতি পুনঃকার্যকরের ঘোষণা ইসরায়েলের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়ে ৪৪ জনকে হত্যার পর যুদ্ধবিরতি পুনঃকার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (১৯ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। খবর বিবিসির। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের সৈন্যদের ওপর হামাসের হামলার অভিযোগ পাওয়ার পর তারা সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে। আইডিএফের দাবি, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে ইসরায়েলি সৈন্যরা রাফাহ এলাকায় ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ ভেঙে ফেলার সময় হামাসের সশস্ত্র শাখার হামলার শিকার হয়। এতে দুই সেনা নিহত ও তিনজন গুরুতর আহত হয়। এর জবাবেই রাফাহ সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে সামরিক বাহিনীকে ‘দৃঢ়ভাবে’ প্রতিক্রিয়া জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে হামাস বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে এবং বরাবরের মতো এবারও ইসরায়েলই চুক্তি ভঙ্গ করেছে। ইসরায়েল তাদের অপরাধকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য ‘অজুহাত তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস। গাজার আল-আওদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার আল-জাওয়াইদা শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের এক কমান্ডারসহ আরো কয়েকজন নিহত হয়েছেন। একইদিন, মধ্য গাজার একটি আবাসিক এলাকায় চালানো আরেক হামলায় ধ্বংস হয় একটি মিডিয়া প্রোডাকশন কোম্পানির ভ্যান ও সম্প্রচার সরঞ্জাম। নিহত হন কোম্পানির একজন সম্প্রচার প্রকৌশলী ও তার শিশু সন্তান। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ওই এলাকাটি ছিল সম্পূর্ণ বেসামরিক এবং সেখানে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও কাজ করছিলেন। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনগুলো।

‘দিল্লিতে কুম্বলের ১০ উইকেট নেওয়ার পিচ মিরপুরের থেকেও খারাপ ছিল’

‘দিল্লিতে কুম্বলের ১০ উইকেট নেওয়ার পিচ মিরপুরের থেকেও খারাপ ছিল’ জিম লেকার, অনিল কুম্বলে, এজাজ পাটেল। ত্রয়ীর মধ‌্যে অদ্ভুত মিল রয়েছে। স্পিনে তিনজন হাত ঘুরান। ক্রিকেট বিশ্বে তারাই কেবল টেস্টে এক ইনিংসে ১০টি উইকেট পেয়েছেন। জিম লেকার ম‌্যানচেস্টারে। অনিল কুম্বলে দিল্লিতে। এজাজ মুম্বাইয়ে। প্রতিপক্ষ যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও ভারত। বিংশ শতাব্দীর আগে এই অস্বাভাবিক সাফল‌্যের দেখা পেয়েছিলেন লেকার ও কুম্বরে। এজাজই কেবল বিংশ শতাব্দীর প্রতিনিধি। হঠাৎ এই আলোচনা কেন? কেনই বা ১০ উইকেট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আলোচনাটা উঠছে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের এক মন্তব‌্যকে ঘিরে। মিরপুর শের-ই-বাংলার উইকেট নিয়ে আলোচনা থামছে না। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের পর মিরপুরে আবার ফিরেছে ওয়ানডে। এ সময়ে গামিনি ডি সিলভার পরিবর্তে মিরপুরের দায়িত্বে টনি হেমিং। কিন্তু চিরচেনা মিরপুর পাল্টাতে পারেনি স্পিন দূর্গ। ধীর গতির, লো বাউন্সের উইকেট। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ রীতিমত হিমশিম খেল। বাংলাদেশও ভুুগেছে। তাতেই উঠছে প্রশ্ন, এমন উইকেট খেলে লাভ কী? আর জয়েও কি প্রত‌্যাশিত লক্ষ‌্য পূরণ হলো? সময়ের কাছে সেই প্রশ্ন তোলা থাক। আগামীকাল মঙ্গলবার দুই দলের দ্বিতীয় ওয়ানডে। দলের প্রতিনিধি হয়ে মুশতাক আহমেদ এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।  কিংবদন্তি স্পিনার পাকিস্তানের হয়ে লম্বা সময় খেলেছেন। ৯৬ এর বিশ্বকাপ জিতেছেন। লেগ স্পিনার হিসেবে সাফল‌্য টইটুম্বর। তার কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছিল, এর চেয় বাজে উইকেট এর আগে তিনি দেখেছেন কি না? উত্তরে বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, অনেক (বাজে উইকেট)। আমার মনে আছে, দিল্লিতে ভারতের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে অনিল কুম্বলে এক ইনিংসে ১০ উইকেট পেয়েছিলেন। সেই উইকেটটি এর থেকেও খারাপ ছিল।’’ এমন উইকেটে মুশতাক নিজের সেরা সময়ে কত উইকেট পেতেন? সহজেই ৭, ৮, এমনকি ১০ উইকেট নিতে পারতেন? উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘‘না, সত্যি বলতে এটা ততটা সহজ নয়। যেমনটা ওই ভাই জিজ্ঞাসা করলেন, কখনও কখনও বেশি চাপের মধ্যে থাকতে হয় কারণ আপনাকে সেরাটা দিতে হবে। একজন তরুণ লেগ-স্পিনার হিসেবে আপনি নার্ভাস হতে পারেন। কোচিং দৃষ্টিকোণ থেকে আমার কথা হলো প্রক্রিয়া ধরে রাখা। এই পিচগুলো কখনও কখনও আপনাকে আপনার কমফোর্ট জোন এবং প্রক্রিয়া থেকে বের করে নিয়ে যেতে পারে।’’ এজন‌্য সেন্ট্রাল উইকেটে লম্বা সময় স্পিনাররা বল করেছেন। কারণ ব‌্যাখ‌্যা করতে গিয়ে মুশতাক বলেছেন, ‘‘এই ধরণের পিচে, আপনাকে খুব স্মার্ট এবং ফিল্ড পজিশন নিয়ে ধূর্ত হতে হবে। সঠিক ফিল্ড সেট করে আপনাকে ব্যাটসম্যানকে আউট করতে হবে, সে ফ্রন্ট-ফুট না ব্যাক-ফুট প্লেয়ার, এবং আপনার গতি (৮৫ বা ৯০+ কিমি/ঘন্টা) কেমন হবে, তা বুঝে বল করতে হবে। কোচ হিসেবে আমরা তাদের তথ্য দিই, এবং প্লেয়ারদের তা মাঠে কার্যকর করতে হয়।’’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ব্যতীত) বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। এছাড়া, হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রসিকিউশনের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে হত্যার অভিযোগে মোট ৮৩৭টি মামলা রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি মামলার বিচারকার্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলছে। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন ফৌজদারি আদালতে পুলিশ ইতোমধ্যে ১৯টি হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে। এসব হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০০ এর ১০ ধারার বিধান অনুযায়ী বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলাগুলোর প্রসিকিউশনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করার লক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে আইন মন্ত্রণালয়। কমিটির কর্মপরিধি: ক) কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে দেশব্যাপী চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পূর্ণাঙ্গ তালিকা সংগ্রহ করবে (মামলার বর্তমান পর্যায় উল্লেখসহ)। (খ) এরূপ মামলার মধ্যে যেসব মামলায় চার্জশিট দাখিল হয়েছে, সেসব মামলায় (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ব্যতীত) প্রসিকিউশনের কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করবে (যদি থাকে) এবং উক্ত সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কমিটি প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠাবে। (গ) কমিটি তার কার্যক্রম বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও দেশবাসীকে সময়ে সময়ে অবহিত করবে।

মা হলেন পরিণীতি চোপড়া

মা হলেন পরিণীতি চোপড়া পুত্রসন্তানের মা হলেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন দিনি। মা ও নবজাতক- দুজনই সুস্থ আছেন। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে পরিণীতি ও রাঘব দুজনই খবরটি জানিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রসবের পর সারা রাত স্ত্রীর পাশে ছিলেন অভিনেত্রী স্বামী রাজনীতিক রাঘব চাড্ডা।  ইনস্টাগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডা লেখেন, ‘অবশেষে তিনি এখানে এসেছেন। আমাদের ছেলে হয়েছে। আমরা আক্ষরিক অর্থে আগের জীবনকে স্মরণ করতে পারি না! আমাদের হৃদয় পরিপূর্ণ। প্রথমে আমরা একে অপরকে পেয়েছিলাম, এখন আমাদের সবকিছু রয়েছে। ’খবরটি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই বলিউড ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়েছে শুভেচ্ছার বন্যা। অনেকে সামাজিকমাধ্যমে দম্পতিকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।  কয়েক সপ্তাহ ধরেই অভিনেত্রীর অনুরাগীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সুখবরের জন্য। কয়েক দিন আগে তাকে দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে শনিবার রাতে তিনি সন্তান জন্ম দেন। আগস্ট মাসে ইনস্টাগ্রামে একটি কেকের ছবি পোস্ট করেছিলেন পরিণীতি ও রাঘব। কেকের ওপর লেখা ছিল- ‘১ + ১ = ৩’। পাশে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘আমাদের ছোট্ট পৃথিবী আসছে…কৃতজ্ঞতা জানাব কীভাবে, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। ’ এই পোস্টেই প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে তাদের সন্তান আসার হওয়ার খবর। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রাজস্থানের উদয়পুরে ঘটা করে বিয়ে করেন বলিউড তারকা পরিণীতি চোপড়া ও আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডা। বিয়ের পর থেকেই পরিণীতি অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন, মনোযোগ দিয়েছিলেন সংসার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায়।

মিরপুরের স্পিন-ফাঁদে নাকাল, নাসুমের জবাবে আকিলকে উড়িয়ে আনছে উইন্ডিজ

মিরপুরের স্পিন-ফাঁদে নাকাল, নাসুমের জবাবে আকিলকে উড়িয়ে আনছে উইন্ডিজ বাংলাদেশের বিপক্ষে চলমান তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে হারের পর স্কোয়াড শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের স্পিন আক্রমণকে আরও ধারালো করতে বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগেই দলের সঙ্গে যোগ দিতে আজ রাতেই তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বিসিবির একজন কর্মকর্তা আকিলের দলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মূলত সিরিজের প্রথম ম্যাচে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেটে দুই দলের স্পিনাররাই প্রধান ভূমিকা পালন করেন। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই স্কোয়াডে পরিবর্তন আনছে সফরকারীরা। এর আগে বাংলাদেশও নিজেদের স্পিন আক্রমণ শক্তিশালী করতে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের স্পিনার রিশাদ হোসেন ও তানভীর ইসলাম মিলে ৮ উইকেট শিকার করে স্বাগতিকদের জয়ের নায়ক ছিলেন। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনা খারি পিয়েরে ১০ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন এবং অফ স্পিনার রস্টন চেজ দুটি উইকেট পান। এদিকে, দলে আরও কিছু পরিবর্তন এনেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন ২৪ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার র‍্যামন সিমন্ডস, যিনি এর আগে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তবে ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকা দুই পেসার জেডিয়াহ ব্লেডস ও শামার জোসেফ দেশে ফিরে যাবেন। আরও জানা গেছে, টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নিতে অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার আগামী ২১ অক্টোবর দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।

ভোটে এক লাখ সেনা মোতায়েন হবে

ভোটে এক লাখ সেনা মোতায়েন হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সদস্য মোতায়েন থাাকবে। সবচেয়ে বেশি থাকবে আনসার বাহিনী। সোমবার (২০ অক্টোবর) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য জানান। তিরি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের অধীন না কি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিয়োগ হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। আরপিও সংশোধন হয়ে এলে বলা যাবে। ভোটে আনসারের পাঁচ লাখ বা তার কিছুটা বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে। বিভিন্ন বাহিনী থেকে বলা হয়েছে সর্বোচ্চ যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু থাকবে। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন করতে চায় ইসি। এই বৈঠকটি ছিল প্রাক নির্বাচনী আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩ দফা দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩ দফা দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ সকালে শহরের বিশ্বরোড মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির এক পর্যায়ে শিক্ষকরা সড়কের উপর ব্যানার নিয়ে অবস্থান নিলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা মানববন্ধনে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকরা বক্তব্য দেন। এসময় বক্তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১ হাজার ৫’শ টাকা চিকিৎসা ভাতা সহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধ জানান।