সারা দেশে মোবাইল বিক্রির দোকান খুলল

সারা দেশে মোবাইল বিক্রির দোকান খুলল রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মোবাইল মার্কেটগুলো আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে থাকা স্মার্টফোন ও গ্যাজেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ছেড়ে দেওয়ার পর দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা। এর আগে গতকাল সকালে সংবাদ সম্মেলন করে সারা দেশে মোবাইল বিক্রির দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি পিয়াসকে আজকের মধ্যে মুক্তি না দিলে তারা সারা দেশে কঠোর আন্দোলনে নামবেন। মোবাইল মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে এমবিসিবির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি পুলিশ আটক করার প্রতিবাদে মোবাইল বিক্রেতারা মোবাইল বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল সন্ধ্যায় আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি ছেড়ে দেওয়ার পর আমরা আজ স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিনের মতো সব মোবাইল মার্কেটের দোকান খোলা হয়েছে। এর ফলে গতকাল দিনভর মার্কেট বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়া ক্রেতা ও বিক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। ডিবির কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আজ আবু সাঈদ পিয়াস গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমাকে আটকের উদ্দেশ্য ছিল গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘এনইআইআর বাস্তবায়ন : মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ঠেকানো। কিন্তু আমার আটকের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন থেকেই ব্যবসায়ীরা প্রতীকী ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যেহেতু গতকাল সন্ধ্যায় আমাকে ডিবি ছেড়ে দিয়েছে, সেহেতু রাতেই মোবাইল ব্যবসায়ীরা আজ থেকে সারা দেশের মোবাইল মার্কেটগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাকে আটক করে সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করার চেষ্টা সফল হয়নি।
গোমস্তাপুরে তরুনী গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

গোমস্তাপুরে তরুনী গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার গোমস্তাপুরে এক তরুনী গৃহবধুর গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বোয়ালিয়া ইউনিযনের ২ নং ওয়ার্ডের দুর্গাপুর গ্রামের মো.সুমন ওরফে শাকিলের স্ত্রী ও একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে জোছনা আরা মিম । তবে ঘটনার পর থেকে সুমনের স্বামী সুমন পলাতক রয়েছেন। মিম এক বছর বয়সী এক শিশুপুত্রের জননী ছিলেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্বামীর বাড়ির নিজ শয়ন কক্ষের দরজা ভেতর থেকে আটকিয়ে ছাদের বাঁশের তীরের সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস দেয় মিম। এ সময় তাঁর স্বামী ও শ্মশুড়ি বাড়িতেই ছিলেন। তবে তাঁরা ঘটনা পরে টের পান। ঘটনা টের পেয়ে তাঁরা প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙ্গে মিমের মরদেহ নামায়। খবর পেয়ে পুলিশ ব্কিালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে এ সময় পুলিশ মিমের স্বামী সুমনকে বাড়িতে পায় নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে মিম আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। স্বামীর সাথে তাঁর পূর্ব থেকেই দাম্পত্য কলহ ছিল বলে জানা গেছে। এদিকে মিমের পরিবার মিমের মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের নিকট অভিযোগ করেছে। গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি ফরিদ আহমেদ বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবদেন পেলে মিমের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কবি, সঙ্গীত পরিচালক, গণসঙ্গীতকার সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকীতে ‘সতত সলিল’ অনুষ্ঠান

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কবি, সঙ্গীত পরিচালক, গণসঙ্গীতকার সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকীতে ‘সতত সলিল’ অনুষ্ঠান জনপ্রিয় গান ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা,আর কতকাল তুমি রবে দিশেহারা’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে কিংবদন্তির কবি, সঙ্গীত পরিচালক ও গণসঙ্গীতকার সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকীতে ‘সতত সলিল’ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলা সংসদ নিজস্ব কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সলিলের সৃষ্টি ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ইসরাইল সেন্টু, উদীচী জেলা সংসদ সহ-সভাপতি আমীরুল মোমেনিন জীবন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা, সদস্য আবুল হাসান,রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী নিয়াজ আহমেদ কমল সহ উদীচী সদস্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যাক্তিবর্গ। আলোচকরা বলেন, সলিল আধুনিক বাংলা গানের একজন স্মরণীয় সুরশ্রষ্টা ও গণসঙ্গীত প্রনেতা। তিনি ছিলেন একাধারে গীতিকার,সুরকার ও গল্পকার। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। কবিতার জন্যও তিনি প্রশংসিত। চলচিত্র শিল্পেও তিনি অবদান রেখেছেন। একাধিক ভাষায় তাঁর সৃষ্টি জনপ্রিয় হয়েছে। বাংলা সঙ্গীতের বিখ্যাত শিল্পীরা তাঁর ‘আজ নয় গুন গুন, গুঞ্জন প্রেমের’, ‘আয় বৃর্ষ্টি ঝেঁপে,ধান দিব মেপে’, ‘ধিতাং ধিতাং বোলে’ ইত্যাুিদ বহুমাত্রিকতার,প্রকৃতি ও সমসাময়িকতা নিয়ে তৈরী অসংখ্য জনপ্রিয় গান গেয়েছেন। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তাঁর কাজ কখনও হারিয়ে যাবার নয়। সভা শেষে সলিলের একক গান, গণসঙ্গীত গেয়ে শোনান ও কবিতা আবৃত্তি করেন উদীচীর শিল্পী এবং অতিথিরা।
আগামীকাল মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

আগামীকাল মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প আগামীকাল নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চলতি মাসের শুরুতে নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে জোহরান মামদানি নির্বাচিত হওয়ার পর দুই রাজনীতিকের মধ্যে এটি প্রথম মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ ট্রাম্প মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ আখ্যা দিয়ে নিজের পুরনো মিথ্যা দাবির পুনরাবৃত্তি করেন। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘২১ নভেম্বর, শুক্রবার ওভাল অফিসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’ এদিকে, নবনির্বাচিত মেয়রের মুখপাত্র ডোরা পেকেক এক বিবৃতিতে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, রীতি অনুসারে নবনির্বাচিত মেয়র জননিরাপত্তা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং নিউইয়র্কবাসী যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে দেখা করার পরিকল্পনা করছেন।’
গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির সুযোগে তারা ৪০ হাজারেরও বেশি শিশুকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এর সহযোগীরা ইতোমধ্যে ৯ নভেম্বর শুরু হওয়া প্রথম ধাপের আট দিনে তিন বছরের কম বয়সী ১০ হাজার শিশুকে টিকা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের কর্মসূচি শনিবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এতে হাম, মাম্পস, রুবেলা, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, হুপিং কাশি, হেপাটাইটিস বি, যক্ষ্মা, পোলিও, রোটাভাইরাস ও নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া হবে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ পরিচালিত হবে। এ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে ইউনিসেফ, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এবং হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। টেড্রোস বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকায় আমরা উৎসাহিত। এতে গাজায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করা, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পুনঃসংস্থান এবং বিধ্বস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।’ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার পক্ষে ভোট দিয়েছে। এই পরিকল্পনার মাধ্যমেই গত ১০ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের রক্তক্ষয়ী হামলার জেরে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ড বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। তবে বর্তমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও সেখানে বেশ কয়েকবার সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সরকারি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওই হামলায় ১ হাজার ২২১ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল। নিহতদের অধিকাংশই ছিল বেসামরিক নাগরিক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, ইসরায়েলি সেনাদের পাল্টা অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৫০০’র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ এ সংখ্যাকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে। মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী।
রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের এক শহরে এক রাতে নিহত ২৫

রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের এক শহরে এক রাতে নিহত ২৫ রুশ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তেরনোপিলের আবাসিক এলকায় এক রাতে নিহত হয়েছেন ২৫ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৭৭ জন। নিহতদের মধ্যে ৩ জন এবং আহতদের মধ্যে ১৫ জন শিশু আছে। গত মঙ্গলবার রাতে তেরনোপিলে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এই শহরটি পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী। নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে তেরনোপিল, লভিভ এবং খারকিভ শহরে ৪৮৩টি ড্রোন এবং ৪৮টি বিভিন্ন পাল্লারি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ৪৪২ ও ৪২টি ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দিতে পারলেও বাকি ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ছয় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ঘটেছে হতাহতের এসব ঘটনা। যে তিন জন শিশু নিহত হয়েছে, তাদের বয়স যথাক্রমে ৫, ৭ এবং ১৬ বছর। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃত ২৫ জনের মধ্যে ১৯ জন জীবন্ত পুড়ে মারা গেছেন। এ ১৯ জনের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে। হামলার পর ইউক্রেনের জাতীয় জরুরি অবস্থা পরিষেবা বাহিনীর ৪৫টি ইউনিটের ১৬০ জন সদস্য তেরনোপিলের বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন তাদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং গতকাল তারা বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪৫ জনের নিহত ও আহতকে উদ্ধার করতে পেরেছেন। তেরনোপিলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, “ইউক্রেনের বেসামরিক লোকজনের ওপর রুশ বাহিনীর প্রতিটি নির্লজ্জ আক্রমণ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে রাশিয়ার ওপর বৈশ্বিক চাপ কোনো কাজ করছে না।”
গর্ভাবস্থায় দূষিত বাতাস কতটা ক্ষতিকর?

গর্ভাবস্থায় দূষিত বাতাস কতটা ক্ষতিকর? শীত এলেই বাতাসে বাড়ে দূষণের পরিমাণ। প্রতিদিন সকালে মানুষ চোখ জ্বালাপোড়া, গলা চুলকানো, মাথাব্যথা এবং ক্রমাগত কাশি নিয়ে ঘুম থেকে উঠতে হয় অনেককে। যদিও এই পরিস্থিতি সবার জন্য সমস্যাজনক, তবে গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিষাক্ত বাতাস ভ্রুণের বিকাশ এবং হবু মায়ের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক দূষিত বাতাস কীভাবে গর্ভাবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ১. অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় দূষিত বাতাসে PM2.5 এবং PM10 এর মতো ক্ষুদ্র কণা থাকে, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় রক্তে পৌঁছায়। এর ফলে প্রদাহ এবং স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়, যা গর্ভবতী মায়েদের অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের NICU-তে থাকতে হয় এবং দীর্ঘমেয়াদী বিকাশ এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যাও বেশি থাকে। ২. কম ওজন বিষাক্ত দূষণকারী পদার্থ ভ্রূণের পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দেয়। এর ফলে গর্ভের ভিতরে শিশুর বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয় হয়। কম ওজন নিয়ে জন্মানো শিশুরা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, খাওয়াতে অসুবিধা এবং বিকাশে বিলম্বের মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়। ৩. গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বৃদ্ধি দূষিত বাতাসের গুণমান রক্তনালীর ক্ষতির সঙ্গে সম্পর্কিত, যার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে থাকা গর্ভবতী নারীরা গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ বা প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার ঝুঁকিতে ভুগতে পারেন, যা সময়মতো পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসা না করালে জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে। ৪. গর্ভপাতের ঝুঁকি বেশি বিষাক্ত দূষণকারী পদার্থের সংস্পর্শে যত বেশি থাকা হবে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম মাসগুলোতে, গর্ভপাতের ঝুঁকি তত বেশি হবে। সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইডের মতো পদার্থ ভ্রূণের রোপন এবং স্বাভাবিক হরমোন ভারসাম্যে সমস্যা করতে পারে। ৫. মায়েদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ফুসফুসের ক্ষমতা হ্রাস পায়। দূষিত বায়ু ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, পাশাপাশি তীব্র বুকে জমাট বাঁধার কারণ হতে পারে, যার ফলে মা এবং শিশু উভয়ের জন্য উপলব্ধ অক্সিজেনের মাত্রা মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়।
শীতে শিশুর যত্ন

শীতে শিশুর যত্ন শীত তো এসেই গেল। এসময় আপনার বাড়ির দুরন্ত শিশুটিকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখতে কিছু বাড়তি কাজ করা জরুরি। কারণ শীত এলে তার সঙ্গে নানা অসুখ-বিসুখের জীবাণুও চলে আসে। বছরের শেষ বলে শিশুদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে স্কুলও থাকে বন্ধ। ফলে বেশিরভাগ সময়ে সে আপনার চোখের সামনেই থাকছে। যে কারণে এসময়ে তার খেয়াল রাখা, কী খাচ্ছে, কী নিয়ে খেলা করছে সবকিছু দেখাশোনা করা অন্যান্য সময়ের চেয়ে সহজ হয়। শীতের সময়ে শিশুর যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু বিষয়ে জোর দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- শিশুর খাবার শীতে শিশুকে সুস্থ রাখতে হলে সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে তার খাবারের দিকে। কারণ এমন অনেক খাবারই আছে যেগুলো বড়দের পেট সহ্য করে নিলেও শিশুদের পেটে সব সময় সহ্য হয় না। সেসব খাবার থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। বিশেষ করে বাইরের কোনো খাবার এসময় শিশুকে দেওয়া যাবে না। বাইরের খোলা খাবার বা প্যাকেটজাত খাবারের বদলে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার তাকে খেতে দিতে হবে। শীতকালীন বিভিন্ন সবজি ও ফল নিয়মিত রাখতে হবে শিশুর খাবারের তালিকায়। এছাড়া নিয়মিত ডিম, দুধ, মুরগি ও মাছ খেতে দিতে হবে। শীতের সময়ে শিশুরা পানি একদমই খেতে চায় না। তাই বিশুদ্ধ পানির পাশাপাশি ঘরে তৈরি শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদিও খেতে দিন। শিশুর পোশাক শীতের পোশাক কেনার সময় সবার আগে বাড়ির ক্ষুদে সদস্যটির কথা মাথায় রাখুন। কারণ শিশুরা দ্রুত বেড়ে ওঠে। এক বছরের শীতের পোশাক পরের বছর তাদের গায়ে না-ও লাগতে পারে। তাই এবছর তার শীতের পোশাক দরকার কি না, সেদিকে খেয়াল করুন। শীতের পোশাক কেনার সময় সবার আগে শিশুর আরামের বিষয়টি মাথায় রাখবেন। সেইসঙ্গে ঠিকভাবে শীত নিবারণ করবে কি না, সেটিও যাচাই করে নিন। শিশুর জন্য অস্বস্তিদায়ক হয়, এমন কোনো পোশাক কিনবেন না। শিশুর ত্বকের যত্ন শিশুদের ত্বক বড়দের মতো নয়। তাদের ত্বক আরও বেশি কোমল হয়ে থাকে। তাই বড়দের জন্য ব্যবহৃত কোনো পণ্য বা উপাদান শিশুর ত্বকে ব্যবহার করবেন না। শিশুদের জন্য উপযোগী আলাদা পণ্য কিনতে পাওয়া যায়। শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য যেকোনো পণ্য কেনার আগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। গোসলের পরে শিশুর শরীরে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। প্রতিদিন আধা ঘণ্টা রোদে থাকতে হবে। এতে শিশুর শরীরের ভিটামিন ডি এর চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে।
এক মাস ধরে প্রতি রাতে জিরা ভেজানো পানি পান করলে কী হয়?

এক মাস ধরে প্রতি রাতে জিরা ভেজানো পানি পান করলে কী হয়? আপনি যদি হজমশক্তি বাড়াতে বা পেট ফাঁপা কমাতে সহজ ঘরোয়া প্রতিকার খুঁজে থাকেন, তাহলে জিরা ভেজানো পানি হতে পারে আপনার অন্যতম সঙ্গী। এই সাধারণ মসলা হজম, প্রদাহ-বিরোধী এবং বিপাক বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এক মাস ধরে প্রতি রাতে জিরা ভেজানো পান করলে শরীরে বেশকিছু পরিবর্তন টের পাবেন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই পানীয় আপনাকে কীভাবে সাহায্য করবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক- ১. হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেট ফাঁপা কমায় জিরা ভেজানো পানি হজমের অস্বস্তির জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের একটি। এটি হজম এনজাইমকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে যা খাবারের ভাঙনকে আরও কার্যকর করে তুলতে পারে। এক মাস ধরে এই পানীয় নিয়মিত পান করলে তা পেট ফাঁপা কমাবে এবং অ্যাসিডিটিও কমিয়ে আনবে। জার্নাল অফ ফুড সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, জিরা হজমকারী এনজাইমের কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে, যা মসৃণ হজমে সহায়তা করে। ২. বিপাক ক্ষমতা বাড়ায় রাতে নিয়মিত জিরা ভেজানো পানি পান করলে তা বিপাক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। জিরায় জৈব সক্রিয় যৌগ রয়েছে যা খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করে। এর অর্থ রাতারাতি ওজন হ্রাস নয়, তবে নিয়মিত পান করলে ধীরে ধীরে নিজেকে হালকা বোধ করতে শুরু করবেন। সুষম খাদ্যের পাশাপাশি এই পানীয় নিয়মিত পান করা হলে তা শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ৩. রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে জিরা মূখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। প্রতি রাতে জিরা ভেজানো পানি পান করলে তা হঠাৎ রক্তে শর্করা বৃদ্ধি এবং হ্রাস রোধ করতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার গভীর রাতে ক্ষুধা লাগার মতো সমস্যা থেকে থাকে। জার্নাল অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড মেটাবলিক ডিসঅর্ডারে প্রকাশিত একটি নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, জিরা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণকারীদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক ছিল। ৪. ঘুমের মান উন্নত করে জিরা ভেজানো পানি শরীরের ওপর স্বাভাবিকভাবেই শান্ত প্রভাব ফেলে। রাতে পান করলে এটি পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে যা ফলস্বরূপ ভালো ঘুম পেতে কাজ করে। এক মাস ধরে নিয়মিত জিরা ভেজানো পানি পান করার পর শরীর হালকা এবং আরামদায়ক বোধ হতে পারে। পেট স্থির থাকলে গভীর এবং আরামদায়ক ঘুম আসে। ৫. ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি জিরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে যা নিস্তেজতা এবং ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে। এক মাস ধরে রাতে জিরা ভেজানো পানি পান করার ফলে সূক্ষ্ম উজ্জ্বলতা বা ত্বকের জ্বালাপোড়া কম লক্ষ্য করতে পারবেন। নিয়মিত তরল গ্রহণের ফলে উন্নত হজম এবং উন্নত হাইড্রেশন ত্বককে পরিষ্কার করতে ভূমিকা পালন করে। ৬. ডিটক্সিফিকেশন সহায়তা যদিও শরীর স্বাভাবিকভাবেই ডিটক্সিফাই করে, তবে জিরা ভেজানো পানি এই প্রক্রিয়াটিকে সহায়তা করে। এটি পরিপাকতন্ত্রকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এই সম্মিলিত প্রভাব আপনাকে ধীরে ধীরে হালকা এবং আরও সতেজ করবে। অনেকে ডিটক্স ডায়েটের বদলে একটি মৃদু উপায় হিসাবে জিরা ভেজানো পানি ব্যবহার করেন।
ফিলিপাইনে ‘চীনা গুপ্তচর’ মেয়রকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড

ফিলিপাইনে ‘চীনা গুপ্তচর’ মেয়রকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত ফিলিপাইনের সাবেক মেয়র অ্যালিস গুও-কে একটি জালিয়াতি কেন্দ্র পরিচালনার ভূমিকার জন্য মানব পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর), তাকে এবং আরো তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২ মিলিয়ন পেসো (৩৩ হাজার ৮৩২ ডলার ) জরিমানা করা হয়েছে। খবর বিবিসির। কর্তৃপক্ষ মেয়র অ্যালিসের ছোট শহর বাম্বানে দেশের বৃহত্তম জালিয়াতি কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি উদঘাটন করার পর অ্যালিস গুওর মামলাটি বছরের পর বছর ধরে ফিলিপাইনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। অভিযানের পর প্রায় ৮০০ ফিলিপিনো এবং বিদেশিকে জালিয়াতির কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর গুওর বিরুদ্ধে অনলাইন ক্যাসিনোর আড়ালে জালিয়াতি কেন্দ্র এবং মানব পাচার সিন্ডিকেট পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়। ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ গত জুলাই মাসে অ্যালিস গুওর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে। ৩৫ বছর বয়সী এই নারী এরপর কয়েক সপ্তাহ পলাতক থাকার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি আপিল করতে পারবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। গুওর বিরুদ্ধে এখনও পাঁচটি মামলা চলমান রয়েছে, যার মধ্যে একটিতে তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালে, গুও রাজধানী ম্যানিলার উত্তরে অবস্থিত বাম্বানের মেয়র নির্বাচিত হন। বাম্বানের বাসিন্দারা আগে বিবিসিকে বলেছিলেন যে, তিনি একজন যত্নশীল ও সহানুভূতিশীল নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালে, কর্তৃপক্ষ সেখানে একটি বড় জালিয়াতি কেন্দ্র উদঘাটন করার পর নীরব শহরটি জাতীয় আলোচনায় আসে। গুও প্রথমে ওই জায়গা সম্পর্কে তার সমস্ত জ্ঞান অস্বীকার করেছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে সিনেটের তদন্তে তার অফিসের কাছে অবস্থিত আট হেক্টর কেন্দ্রটি সনাক্ত করতে তার অক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে জানা যায় যে কম্পাউন্ড- যার মধ্যে ৩৬টি ভবন ছিল- গুওর পূর্বে মালিকানাধীন জমিতে নির্মিত হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ গুওর জীবন কাহিনীতেও অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে। গুও দাবি করেছিলেন, তিনি ফিলিপাইনে জন্মগ্রহণ করেননি, বরং কিশোর বয়সে তার পরিবারের সাথে চীন থেকে চলে এসেছিলেন। পরে তদন্তকারী সংসদ সদস্যরা দেখতে পান যে, তার আঙুলের ছাপ হুয়া পিং নামে একজন চীনা নাগরিকের সাথে মিলে যায়। তাকে দ্রুতই মেয়রের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। মামলার আরো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের সাথে সাথে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে তিনি নিখোঁজ হন, যার ফলে তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য চারটি দেশে আন্তর্জাতিক অভিযান শুরু হয়। একই বছরের সেপ্টেম্বরে, তাকে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং ফিলিপাইনে প্রত্যর্পণ করা হয়। তার ফিলিপাইনের পাসপোর্টও বাতিল করা হয়। দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে ফিলিপাইন ও চীনের বিবাদ অব্যাহত থাকায় গুওর মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফিলিপাইনে মামলাটি ব্যাপক আলোচিত হলেও, অ্যালিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে চীন এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।