খালেদা জিয়ার মৃত্যু : চাঁপাইনবাবগঞ্জে শোক সভা ও দোয়া মহফিল

খালেদা জিয়ার মৃত্যু : চাঁপাইনবাবগঞ্জে শোক সভা ও দোয়া মহফিল বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দলের পক্ষ থেকে সাত দিনের শোক পালিত হচ্ছে। বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির পক্ষ থেকে শোকসভা, কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল ও ইউনিয়নে ইউনিয়নে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করা হয়। বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজনে নবাবগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে শোক সভা, কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া জাকা, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম টিপু, বিএনপি নেতা ইসমাইল বিশ্বাস, আব্দুস সালাম, জহুরুল হক বিশ্বাস বুলুসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কোরআনখানি শেষে বেগম খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মাওলানা আব্দুল মতিন। অন্যদিকে বিকেলে বিএনপির চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর শাখা ও অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে জেলাশহরের পাঠানপাড়ায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন— প্রফেসর মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন, বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান, আহসান হাবীব, এনামুল হক, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সারোয়ার জাহানসহ অন্যরা। এছাড়াও সদর উপজেলার ইউনিয়নগুলোয় বিকেলে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করা হয়। নাচোল : বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় বুধবার বিকেল ৪টায় উপজেলার দুটি পৃথক স্থানে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। বিকেল ৪টায় স্থানীয় রেলস্টেশন মাঠে অনুষ্ঠিত গায়েবানা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম মজিদুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের খোকন। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন— পৌর জামায়াতের আমির মনিরুল ইসলাম এবং নায়েবে আমির ডা. রফিকুল ইসলাম। একই সময়ে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আরেকটি গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন—বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মঈনুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা মোবারক আলী এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। শিবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাই স্কুল মাঠে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন শিবগঞ্জ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নবীবুর রহমান। জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন— শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুল হক, শিবগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম, শিবগঞ্জ পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাসার ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র শামীম কবির হেলিমসহ অন্য নেতৃবৃন্দ। শেষে খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রিয় নেত্রীর গায়েবানা জানাজায় অংশ নেন। এ সময় জানাজাস্থল এক আবেগঘন পরিবেশে পরিণত হয়। খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এই গায়েবানা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।

শিবগঞ্জ কালিনগর গ্রাম থেকে মাদকসহ৭ জন মাদক কারবারী আটক

শিবগঞ্জ কালিনগর গ্রাম থেকে মাদকসহ৭ জন মাদক কারবারী আটক শিবগঞ্জ থানার কালিনগর গ্রাম থেকে ৫৯ পিচ ইয়াবা ও ১০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেফতার মাদক চক্রের ৭ জন মাদক কারবারীকে আটক করেছে র‌্যাব-৫। আটককৃতরা হলো মিজানুর রহমান, নাসির, বাবু, সিরাজুল ইসলাম, কাওছার, সাহালাল ইসলাম, এনাদুল। র‌্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানানো হয়, গতকাল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে ১৩নং ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামে কলা বাগানের ভিতর কিছু ব্যক্তি মাদক ক্রয় বিক্রয় করছে এমন সংবাদে ঐ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তাদের আটক করা হয়। আটককৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত আলামত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানায় র‌্যাব।

শীতে হার্ট ভালো রাখতে কী খাবেন

শীতে হার্ট ভালো রাখতে কী খাবেন শীত তার নিজস্ব জাদু নিয়ে আসে – ঝলমলে সকাল, উজ্জ্বল রোদ, উষ্ণ পানীয় এবং আরামদায়ক খাবার। কিন্তু যারা তীব্র শীতের মধ্যে বাস করেন, তাদের জন্য এই ঋতু চ্যালেঞ্জও নিয়ে আসে, বিশেষ করে হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য। শীতকালে সর্দি, ফ্লু এবং জ্বর বৃদ্ধি পেলেও, সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের বৃদ্ধি। সুখবর হলো সহজ, সচেতন অভ্যাসের মাধ্যমে, আপনি আপনার হৃদযন্ত্রকে শীতকালেও ভালো রাখতে পারেন। তাপমাত্রা কমে গেলে শরীরের প্রথম অগ্রাধিকার হলো উষ্ণতা বজায় রাখা। তাপ হ্রাস রোধ করতে, সহানুভূতিশীল স্নায়ুতন্ত্র রক্তনালীকে সংকুচিত করে, যা রক্তচাপ বাড়ায় এবং হৃদয়ে অক্সিজেন ও পুষ্টির প্রবাহ কমায়। সংকুচিত নালীর মধ্য দিয়ে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখার জন্য হৃদপিণ্ডকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়, যা হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। একই সময়ে, ঠান্ডা আবহাওয়া রক্তকে ঘন করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং জমাট বাঁধার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় – যা সবই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। জেনে নিন, এই শীতে হৃদযন্ত্রকে কীভাবে রক্ষা করবেন। ১. স্মার্ট খাবার খান : শীতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। শাকসবজি, ফলমূল, গোটা শস্য, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ২. ভালো চর্বি বেছে নিন : শীতকাল হলো ভালো চর্বির প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়ার ঋতু। সঠিক তেল নির্বাচন করা- যেমন চিনাবাদাম বা সূর্যমুখী তেলের সাথে সরিষার তেলের মিশ্রণ হৃদরোগ-প্রতিরক্ষামূলক মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সরবরাহ করতে সাহায্য করে LDL কোলেস্টেরল কমায়। স্যামন এবং সার্ডিনের মতো ফ্যাটি মাছে পাওয়া ওমেগা-৩ ফ্যাট তাদের প্রদাহ-বিরোধী উপকারিতা এবং হৃদস্পন্দনকে সহায়তা করে, ট্রাইগ্লিসারাইড কমায় এবং জমাট বাঁধার প্রবণতা কমায়। নিরামিষাশীদের জন্য, আখরোট, চিয়া বীজ এবং তিসির বীজ চমৎকার উদ্ভিদ-ভিত্তিক ওমেগা-৩ উৎস প্রদান করে। ৩. পুরো শস্য যোগ করুন : আস্ত শস্য হৃদযন্ত্রের জন্য একটি উপকারী খাবার। সাদা ভাত, নান এবং ময়দা-ভিত্তিক খাবারের পরিবর্তে বাদামি চাল, বার্লি, আস্ত গম, ওটস বা কুইনোয়ার মতো পরিশোধিত শস্যদানা ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি যেমন বি ভিটামিন, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম যোগ করে। ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার স্থিতিশীলতা বজায় রাখে এবং স্বাস্থ্যকর রক্তচাপ বজায় রাখে। ৪. বাদাম খান : বাদাম একটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে। বাদাম, আখরোট এবং চিনাবাদাম স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন এবং ভিটামিন ই সরবরাহ করে, যখন তাদের আর্জিনিন উপাদান নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বাড়ায়, রক্তনালীকে শিথিল করতে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন মাত্র এক মুঠো বাদামই উপকারিতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট। ৫. ফল এবং শাকসবজিতে পেট ভরে নিন : ফল এবং শাকসবজি রঙ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ যোগ করে যা হৃদযন্ত্রকে শীতের চাপ সহ্য করতে সহায়তা করে। লাইকোপিন সমৃদ্ধ টমেটো এবং লাল মরিচ থেকে শুরু করে অ্যান্থোসায়ানিন-প্যাকড বেরি, মূলা এবং আঙুর পর্যন্ত, উদ্ভিদ-ভিত্তিক পুষ্টি রক্তনালীকে শক্তিশালী করে এবং প্রদাহ কমায়। আপনার প্লেটের অর্ধেক শাকসবজি দিয়ে পূরণ করুন এবং দিনে দুই থেকে তিনবার ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।

এখনো হাসপাতালেই অভিনেতা তিনু করিম, অর্থকষ্টে পরিবার

এখনো হাসপাতালেই অভিনেতা তিনু করিম, অর্থকষ্টে পরিবার অভিনেতা তিনু করিমের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। টানা ২৩ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ২৬ ডিসেম্বর তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) তাকে কেবিনে স্থানান্তরের কথা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতার স্ত্রী হুমায়রা নওশিন। হুমায়রা নওশিন বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। চার দিন আগে লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়েছে। গতকাল তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে দেওয়ার হয়েছে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’এদিকে বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয়বহুল চিকিৎসার কারণে আর্থিক সংকটে পড়েছে তিনু করিমের পরিবার। এখন পর্যন্ত ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন ‘অ্যাক্টরস ইকুইটি’ থেকে এক লাখ টাকা এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন তারা। তবে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে আরও অনেক টাকার প্রয়োজন রয়েছে।হুমায়রা নওশিন বলেন, ‘সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও অ্যাক্টরস ইকুইটি থেকে আমরা সহায়তা পেয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে বিল এসেছে এবং সামনে যে খরচ আসবে তাতে আরও অনেক টাকার প্রয়োজন।’ গত ৮ নভেম্বর বরিশালে গ্রামের বাড়িতে যান তিনু করিম। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে ২৪ নভেম্বর তাকে ঢাকায় আনা হয়। এরপর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। অবস্থার সাময়িক উন্নতি হলে তাকে কেবিনে নেওয়া হলেও পরে রক্তচাপ ও সুগার লেভেল কমে গিয়ে তিনি জ্ঞান হারান। এরপর পুনরায় আইসিইউতে নেওয়া হয় এবং ৩ ডিসেম্বর বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। দুই দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত তিনু করিম। ২০০১ সালে ‘সাক্ষর’ নাটকের মাধ্যমে টেলিভিশন নাটকে অভিষেক ঘটে তার। পরে ২০১০ সালে ‘অপেক্ষা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিনয় শুরু করেন। এরপর ‘রাত জাগা ফুল’, ‘আলতা বানু’সহ অসংখ্য নাটক ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন তিনি।

প্রকাশ্যে আসলো বিজয়-রাশমিকার বিয়ের তারিখ

প্রকাশ্যে আসলো বিজয়-রাশমিকার বিয়ের তারিখ দক্ষিণী সিনেমার দুই সুপারস্টার বিজয় দেবেরাকোন্ডা এবং রাশমিকা মান্দানা অবশেষে তাদের দীর্ঘদিনের ভালোবাসাকে পরিণয়ের মোড়কে বাঁধছেন। গত অক্টোবরে হায়দরাবাদে বিজয়ের বাড়িতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের উপস্থিতিতে বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল। যদিও বাগদানের কোনো ছবি প্রকাশ্যে আসেনি, দুজনের আঙুলে থাকা এনগেজমেন্ট রিং থেকেই বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়। বিজয়ের টিম ইতিমধ্যেই জানিয়েছিল, বাগদান সম্পন্ন হয়েছে এবং বিয়ে হবে ২০২৬ সালে। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের উদয়পুরের একটি ঐতিহাসিক রাজকীয় প্রাসাদে অনুষ্ঠিত হবে এই তারকাবহুল বিয়ে। অনুষ্ঠান হবে একান্ত ব্যক্তিগত, যেখানে উপস্থিত থাকবেন শুধুমাত্র পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনরা। তবে বিয়ের পরপরই হায়দরাবাদে ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুদের জন্য আলাদা উদযাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে। সম্প্রতি রাশমিকার ‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’ সিনেমার সাফল্য উদযাপনে দুজনের প্রকাশ্য ভালোবাসার মুহূর্ত দর্শকদের দৃষ্টি কাড়ে। একটি অনুষ্ঠানে বিজয় রাশমিকার হাত ধরে চুম্বন করেন এবং রাশমিকা মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকান, যা তৎক্ষণাৎ আলোচনার জন্ম দেয়। উল্লেখ্য, রাশমিকার জীবনে এটি দ্বিতীয়বারের মতো বাগদান থেকে বিয়ের পথে এগোনো। ২০১৭ সালে অভিনেতা রক্ষিত শেঠির সঙ্গে তার বাগদান হয়েছিল, যা ২০১৮ সালে ভেঙে যায়। বিজয় ও রাশমিকার বয়সের ব্যবধান সাত বছর, রাশমিকার জন্ম ১৯৯৬ সালে এবং বিজয়ের ১৯৮৯ সালে। সব মিলিয়ে, ২০২৬ সালের দক্ষিণী শোবিজের সবচেয়ে আলোচিত ও প্রতীক্ষিত বিয়ের তালিকায় এই জুটির নাম শীর্ষে থাকবে।

দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন সালমা

দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন সালমা জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও ‘ক্লোজআপ ওয়ান’ তারকা মৌসুমি আক্তার সালমার দাম্পত্য জীবনে আবারও ছেদ পড়েছে। দীর্ঘ সাত বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে আলাদা হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিচ্ছেদের বিষয়টি জানান তাঁর স্বামী আইনজীবী সানাউল্লাহ নূর সাগর। পরে নিজেও বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালমা। সালমা জানান, ‘হ্যাঁ, আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। বিষয়টি নিয়ে এখন আর কিছু বলতে চাই না।’ বিচ্ছেদের পর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এই জনপ্রিয় শিল্পী জানান, ব্যক্তিগত জীবনের অধ্যায় পেছনে ফেলে এখন তিনি পুরোপুরি গানেই মনোযোগ দিতে চান। তাঁর ভাষায়, ‘এখন শুধু গানে মনোযোগ দিতে চাই। বিচ্ছেদ নিয়ে ভাবতে চাই না। ভালো ভালো গান গাইতে চাই।’ অন্যদিকে সানাউল্লাহ নূর সাগর তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে পারস্পরিক মতের অমিল ও মানসিক দূরত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, ‘কণ্ঠশিল্পী সালমার সঙ্গে আমার দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছি। পারস্পরিক মতের অমিল, চিন্তা ও মানসিকতার দূরত্বই আলাদা হওয়ার কারণ। পারস্পরিক সম্মান ও মর্যাদা বজায় রেখেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি, এ বিষয়ে সবাই নেতিবাচক মন্তব্য থেকে বিরত থাকবেন।’ ‘ক্লোজ-আপ ওয়ান-তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় আসরের চ্যাম্পিয়ন সালমা খুব অল্প সময়েই সংগীতাঙ্গনে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেন। লোকগান ও আধুনিক গানের সমান জনপ্রিয় এই শিল্পী ২০১১ সালে পারিবারিকভাবে শিবলী সাদিককে বিয়ে করেছিলেন। তবে সেই সংসারের বিচ্ছেদ হয় ২০১৬ সালে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আইনজীবী সানাউল্লাহ নূর সাগরের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সালমা। কিন্তু সাত বছরের সাজানো সেই সংসারও শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হলো না।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-হাসপাতালের আশপাশে সিগারেট বিক্রি করলে জরিমানা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-হাসপাতালের আশপাশে সিগারেট বিক্রি করলে জরিমানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলাধুলার স্থান ও শিশুপার্কের আশপাশে সিগারেট বা তামাক বিক্রির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে। ২০০৫ সালের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন করে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলাধুলার স্থান ও শিশু পার্কের সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করবেন না বা করাবেন না। সরকার বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সময় সময় সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দিয়ে এ সীমানার পরিধি বাড়াতে পারবে বলে অধ্যাদেশে জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, কোনো ব্যক্তি এ বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার মুখে পড়বেন। দ্বিতীয়বার বা বারবার এ অপরাধ করলে দ্বিগুণ হারে শাস্তি পেতে হবে।

ই-সিগারেট ও ভেপ নিষিদ্ধ করে অধ্যাদেশ জারি

ই-সিগারেট ও ভেপ নিষিদ্ধ করে অধ্যাদেশ জারি ই-সিগারেট, ভেপসহ সব ধরনের ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট এবং কুম্ভি পাতা ও টেন্ডু পাতায় মোড়ানো বিড়ি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়। ২০০৫ সালের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনের মাধ্যমে এ অধ্যাদেশ কার্যকর করা হয়েছে। অধ্যাদেশে তামাক, তামাকজাত দ্রব্য, নিকোটিন ও নিকোটিন দ্রব্যের সংজ্ঞা নতুনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তামাকজাত দ্রব্যের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে ই-সিগারেট, ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস), হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট, নিকোটিন পাউচসহ সরকার ঘোষিত অন্যান্য নিকোটিন পণ্য। এতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ই-সিগারেট, ভেপ, ভেপিং, ভেপার, ই-লিকুইড, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট বা যে নামেই পরিচিত হোক না কেন—এসব পণ্যের উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা, বিপণন, বিতরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন করতে পারবেন না। এই বিধান লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। একই অপরাধ পুনরায় করলে দণ্ড দ্বিগুণ হবে। কোনো কোম্পানি এ অপরাধে জড়িত হলে সংশ্লিষ্ট মালামাল জব্দসহ কোম্পানির মালিক, ব্যবস্থাপক বা দায়ী ব্যক্তি সর্বোচ্চ ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার মুখে পড়বেন। পাশাপাশি ওই কোম্পানির তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিক্রির লাইসেন্স বাতিল করা যাবে। অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ই-সিগারেট বা ভেপজাত পণ্য ব্যবহার করলে তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। এছাড়া কুম্ভি পাতা, টেন্ডু পাতা বা অন্য কোনো গাছের পাতা দিয়ে মোড়ানো বিড়ি উৎপাদন, আমদানি, মজুত, বিপণন, পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় করলে তিন মাসের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এসব বিড়ি ব্যবহার করলেও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে।

জার্মানির ব্যাংকে সিনেমা স্টাইলে ডাকাতি, ৩০ মিলিয়ন ইউরো লুট

জার্মানির ব্যাংকে সিনেমা স্টাইলে ডাকাতি, ৩০ মিলিয়ন ইউরো লুট জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখার ভল্ট ভেঙে আনুমানিক ৩০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করেছে চোরেরা। পুলিশ জানিয়েছে, চোরেরা একটি বড় ড্রিল মেশিন ব্যবহার করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। খবর বিবিসির। পুলিশের একজন মুখপাত্র এই চুরির ঘটনাটিকে ব্যাংক ডাকাতি নিয়ে হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা ‘ওশেন’স ইলেভেন’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। বার্তা সংস্থা এএফটিতে তিনি বলেন, “এটি খুবই পেশাদারিত্বের সঙ্গে করা হয়েছে।” জেলসেনকির্খেন শহরের স্পার্কাসে সেভিংস ব্যাংকে চোরেরা তিন হাজারেরও বেশি নিরাপদ ব্যক্তিগত লকার ভেঙেছে, যেগুলোতে নগদ টাকা, সোনা এবং গয়না ছিল। চোরেরা বড়দিনের ছুটির শান্ত পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে এই ডাকাতি চালায়। গত শনিবার রাত থেকে সোমবার ভোরের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। জেলসেনকির্খেন পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ভোরে ব্যাংকে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে উঠলে পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেড তল্লাশি চালিয়ে ব্যাংকের ভূগর্ভস্থ ভল্ট রুমের দেয়ালে একটি বড় গর্ত দেখতে পায়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, চোরেরা ব্যাংকের পাশের একটি পার্কিং গ্যারেজের দেয়াল ড্রিল মেশিন দিয়ে গর্ত করে ভেতরে প্রবেশ করেছিল এবং সেই পথেই পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা শনিবার গভীর রাতে গ্যারেজের সিঁড়িতে কয়েকজন লোককে বড় বড় ব্যাগ বহন করতে দেখেছেন। সিসিটিভি ফুটেজে সোমবার ভোরে একটি কালো রঙের অডি আরএস-সিক্স গাড়ি গ্যারেজ থেকে বের হতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকের সামনে অনেক গ্রাহক ভিড় করেন এবং তথ্যের দাবি জানান। এক বৃদ্ধ গ্রাহক রয়টার্সকে বলেন, “আমি গতরাতে ঘুমাতে পারিনি। আমাদের কোনো তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। ওখানে আমার শেষ বয়সের সব সঞ্চয় ছিল।” স্পার্কাসে ব্যাংকের শাখাটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে এবং গ্রাহকদের জন্য একটি হটলাইন চালু করা হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ৯৫ শতাংশ নিরাপদ ব্যক্তিগত লকার ভেঙে ফেলা হয়েছে, তাই গ্রাহকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।

পা নয়, মাথা নয়, পিঠ দিয়ে গোল করে আলোচনায় রোনালদো

পা নয়, মাথা নয়, পিঠ দিয়ে গোল করে আলোচনায় রোনালদো সৌদি প্রো লিগে রীতিমতো নাটকীয় এক রাতের সাক্ষী হলো বিশ্ব ফুটবল। টানা ১০ ম্যাচ জয়ের দুর্দান্ত সূচনা থেমে গেল আল-নাসরের। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে আল-ইত্তিফাকের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে পয়েন্ট খোয়াতে হলো তাদেরকে। তবে ম্যাচের ফলাফলের চেয়েও বেশি আলোচনায় উঠে এলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। একেবারে অদ্ভুত ভঙ্গিতে, পিঠে বল লাগিয়ে গোল করে চমকে দিলেন সবাইকে। এই ম্যাচে শুরু থেকেই উত্তেজনার পারদ ছিল চড়া। প্রথমার্ধে আল-ইত্তিফাক এগিয়ে যায় জর্জিনিও ওয়াইনালডামের নিখুঁত ফিনিশে। তবে বিরতির পরপরই ঘুরে দাঁড়ায় আল-নাসর। জোয়াও ফেলিক্সের পাওয়ারফুল শটে ম্যাচে সমতা ফেরে। নতুন করে প্রাণ ফিরে পায় অতিথিদের আক্রমণ। এরপরই আসে সেই অবিশ্বাস্য মুহূর্ত। আবারও শট নেন ফেলিক্স, কিন্তু বল সরাসরি লক্ষ্যে না গিয়ে হঠাৎই রোনালদোর পিঠে লেগে দিক পরিবর্তন করে জড়িয়ে যায় জালে। পুরোপুরি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন আল-ইত্তিফাকের গোলরক্ষক। ৪০ বছর বয়সেও গোলের সামনে রোনালদোর উপস্থিতি যে কতটা ভয়ংকর, তা যেন আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। যদিও এবার গোলটা এলো সবচেয়ে অপ্রচলিত উপায়ে। এই গোল রোনালদোর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের গোলসংখ্যাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল সেই বহু আলোচিত এক হাজার গোলের মাইলফলকের দিকে। পা নয়, মাথা নয়, পিঠে করা এই গোলটি নিশ্চিতভাবেই জায়গা করে নেবে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে অদ্ভুত অথচ স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর তালিকায়। তবে রোনালদোর ঝলকানিতেও হার মানতে রাজি ছিল না আল-ইত্তিফাক। ম্যাচের শেষ দিকে আবারও ওয়াইনালডাম গোল করে সমতা ফেরান, ২-২ স্কোরলাইনে থামে ম্যাচ। এর ফলে মৌসুমের শুরুতে টানা জয়ের রেকর্ড ভেঙে যায় আল-নাসরের। ড্র হলেও সৌদি প্রো লিগের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আল-নাসর। তবে শিরোপা দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চাপ যে এখন আরও বাড়বে, তা বলাই যায়। আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জন্য এই ‘পিঠ দিয়ে করা গোল’ ফুটবল ইতিহাসে যুক্ত হলো আরেকটি বিস্ময়কর অধ্যায় হিসেবে, যা বহুদিন ধরেই স্মরণে থাকবে বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে।