২০২৬ সালে বিদ্যালয়ে সরকারি ছুটি ৬৪ দিন

২০২৬ সালে বিদ্যালয়ে সরকারি ছুটি ৬৪ দিন ২০২৬ সালের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছুটি তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি মাধ্যমিক-১ শাখা থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।  তালিকা অনুযায়ী, এ বছর মোট ছুটি রয়েছে ৬৪ দিন। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় ছুটি আগামী ৮ থেকে ২৬ মার্চ মোট ১৯ দিনের। এসব ছুটি রমজান, ঈদ ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে।

গ্যালারিতে রঙিন নোরা ফাতেহি, হৃদয় জুড়ে মরক্কোর কোন ফুটবলার

গ্যালারিতে রঙিন নোরা ফাতেহি, হৃদয় জুড়ে মরক্কোর কোন ফুটবলার বলিউডের ড্যান্স ফ্লোর কাঁপানো নোরা ফাতেহি মানেই গ্ল্যামার, গুঞ্জন আর চমক। কখনো আইটেম গানে ঝড়, কখনো স্টেজ শো, সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রে তিনি। তবে এবার আলোচনার বিষয় নাচ নয়, বরং নোরার হৃদয়। প্রশ্ন একটাই, কোন ফুটবলারের প্রেমে মজেছেন এই গ্ল্যামার গার্ল? সবে এক ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন নোরা। সানবার্ন ফেস্টিভ্যালে যাওয়ার পথে মুম্বাইয়ে তার গাড়িতে ধাক্কা দেয় মদ্যপ এক ব্যক্তি। বড় বিপদ এড়ালেও সেই রেশ কাটতে না কাটতেই নোরার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। সম্প্রতি আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের একটি ম্যাচ দেখতে মরক্কো গিয়েছিলেন নোরা ফাতেহি। বাইরে থেকে দেখলে সেটি নিছকই একটি ফুটবল ম্যাচ। কিন্তু ভেতরের গল্পটা নাকি একেবারেই অন্যরকম! বলিউড মহলের ফিসফাস, ম্যাচ দেখা ছিল কেবল অজুহাত। আসল আকর্ষণ ছিল মাঠে থাকা এক বিশেষ ফুটবলার। গুঞ্জন বলছে, সেই ফুটবলারই নোরার ‘বিশেষ মানুষ’। ম্যাচের আগেও দুবাই ও মরক্কোয় একাধিকবার তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে বলে দাবি বিভিন্ন সূত্রের। এমনকি একাধিক ডেটিংয়ের কথাও শোনা যাচ্ছে! মরক্কো বনাম কোমোরোসের ম্যাচে গ্যালারিতে লাল পোশাকে নোরার উপস্থিতি যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। ওই ম্যাচে মরক্কো ২-০ গোলে জয় পায়। ম্যাচ ঘিরে নোরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুটি পোস্টও করেন। এক ভিডিওতে দেখা যায়, এক সহচরীর সঙ্গে মরক্কোর পতাকা হাতে নাচছেন তিনি। ক্যাপশনে লেখেন, ‌‘খুবই হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ ছিল। তবে বিরতির পর আমাদের ছেলেরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।’ এই ‘আমাদের ছেলেরা’- এই শব্দটাই এখন রহস্যের কেন্দ্রে! তাহলে কি হৃদয়ের মানুষও সেই ‘আমাদের’ দলেরই কেউ? যদিও এখনো পর্যন্ত নোরা ফাতেহি কিংবা সেই রহস্যময় ফুটবলার দুজনের কেউই মুখ খোলেননি। ফলে নাম, পরিচয় আর প্রেম, সবই আপাতত রয়ে গেছে জল্পনার আড়ালেই।

কনসার্টে হামলা: আয়োজকদের দায়ী করলেন জেমস

কনসার্টে হামলা: আয়োজকদের দায়ী করলেন জেমস গানের মঞ্চে ওঠার আগেই বদলে গেল উৎসবের চিত্র। উচ্ছ্বাসের বদলে ছড়িয়ে পড়লো আতঙ্ক, করতালির জায়গা দখল করল ইট-পাটকেল। ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বহুল প্রতীক্ষিত জেমসের কনসার্ট এভাবেই ভেস্তে যায় সহিংসতায়। এ ঘটনায় আয়োজক কমিটির আহ্বায়কসহ আহত হন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন। ঘটনার পর প্রথমবার মুখ খুলে দায়ীদের দিকে আঙুল তুললেন জেমস নিজেই। ঘটনাটি নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানালেন জেমস। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “এটা সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা। নিরাপত্তা ও দর্শক ব্যবস্থাপনায় বড় ঘাটতি ছিল।” জেমসের ব্যক্তিগত সহকারী রবিন ঠাকুর পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, “আমরা সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই শুনি সেখানে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। তখন আমরা গেস্ট হাউসেই ছিলাম। রাত সাড়ে দশটার দিকে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছালে আমাদের জানানো হয় অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এরপরই ঢাকায় ফিরে আসি।” জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে জেমসের সংগীত পরিবেশনের কথা ছিল। তবে অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র নিবন্ধিত প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত থাকায় অনিবন্ধিত কয়েক হাজার বহিরাগত ভেতরে ঢুকতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজক সূত্রে জানা যায়, বহিরাগতদের জন্য বাইরে দুটি প্রজেক্টরের ব্যবস্থা করা হলেও তারা তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। একপর্যায়ে দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেওয়া হয়। তখনই শুরু হয় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। স্কুল প্রাঙ্গণের দর্শক ও মঞ্চ লক্ষ্য করে ছোড়া ইট-পাটকেলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে উত্তেজনা আরও বাড়ে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতির অবনতি দেখে রাত দশটার দিকে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ডা. মুস্তাফিজুর রহমান শামীম মঞ্চ থেকে ঘোষণা দেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে জেমসের কনসার্ট বাতিল করা হয়েছে।

‘হঠাৎ আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইট-পাথর পড়তে শুরু করে’

‘হঠাৎ আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইট-পাথর পড়তে শুরু করে’ ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী হওয়ার কথা ছিল স্মরণীয় এক আনন্দোৎসব। হাজারও প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীর উচ্ছ্বাস, নগর বাউল জেমসের আগমন। সব মিলিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণ যেন পরিণত হয়েছিল উৎসবের রঙিন মঞ্চে। কিন্তু গান শুরুর আগমুহূর্তেই সেই আনন্দ বদলে যায় আতঙ্ক আর বিশৃঙ্খলায়। ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক শ্রাবণ্য তৌহিদা। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি তুলে ধরেছেন সেদিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। শ্রাবণ্য জানান, অনুষ্ঠান তখন বেশ সুন্দরভাবেই এগুচ্ছিলো। জেমস মঞ্চে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি নিজে মঞ্চে দাঁড়িয়ে র‍্যাফেল ড্র পরিচালনা করছিলেন। ঠিক তখনই হঠাৎ আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইট-পাথর পড়তে শুরু করে।  তিনি লেখেন, হঠাৎ একটি বড় পাথর ঠিক আমার সামনেই এসে পড়ল। মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু বদলে গেল। মানুষের চোখেমুখে তখন শুধুই ভয়। প্রায় ১৫ হাজার মানুষের ভিড় সামলাতে আয়োজকদের তখন হিমশিম খেতে হয়। ইটের আঘাতে অনুষ্ঠানস্থলেই অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় প্রায় তিন ঘণ্টা অনিশ্চয়তার পর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় আয়োজক কমিটি।  আয়োজক কমিটির সূত্র জানায়, এই অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র নিবন্ধিত প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ছিল। তবে জেমসের কনসার্টের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্কুলের বাইরে ভিড় জমান অসংখ্য অনিবন্ধিত দর্শক। ভেতরে ঢুকতে না পেরে তারা স্কুলের আশপাশে অবস্থান নেন এবং একপর্যায়ে দেয়াল টপকে ঢোকার চেষ্টা করেন। বাধা দিলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের দিক থেকে স্কুল প্রাঙ্গণ ও মঞ্চ লক্ষ্য করে শুরু হয় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এতে আয়োজক কমিটির আহ্বায়কসহ অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হন। শ্রাবণ্য তৌহিদা আক্ষেপ করে বলেন, “শিল্পী হিসেবে তিনি ও জেমস দুজনই পারিশ্রমিক পেয়েছেন। কিন্তু হাজারও মানুষের স্বপ্নভঙ্গ আর যে মানসিক আঘাত তৈরি হয়েছে তা কোনো অর্থ দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়।”

ইউরোপে অ্যালকোহল পানে প্রতি বছর ৮ লাখ মানুষের মৃত্যু

ইউরোপে অ্যালকোহল পানে প্রতি বছর ৮ লাখ মানুষের মৃত্যু ইউরোপে অ্যালকোহল বা মদপানের কারণে প্রতি বছর প্রায় ৮ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এটি এ অঞ্চলে প্রতি ১১টি মৃত্যুর মধ্যে একটির কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বে মদ্যপানের হার সবচেয়ে বেশি ইউরোপ মহাদেশে। এই অভ্যাসটি অকাল মৃত্যু ও শারীরিক আঘাতের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে। ২০১৯ সালের তথ্য (সবচেয়ে সাম্প্রতিক সহজলভ্য তথ্য) বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ইউরোপে অ্যালকোহলজনিত কারণে প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ শারীরিক আঘাত পেয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণগুলো হলো- আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা এবং উচ্চতা থেকে পড়ে যাওয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মদ্যপানের সঙ্গে আন্তঃব্যক্তিগত সহিংসতা, যেমন- আক্রমণ এবং পারিবারিক নির্যাতনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পুরো ইউরোপ অঞ্চল জুড়ে সহিংসতাজনিত মৃত্যুর পেছনে মদ্যপানকে একটি অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অ্যালকোহল তরুণ প্রজন্মের জন্য বিশেষ ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মদ্যপান স্মৃতিশক্তি ও শেখার ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি, যেমন- অ্যালকোহল আসক্তি এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কিশোর ও তরুণদের মধ্যে শারীরিক আঘাতজনিত পঙ্গুত্ব এবং অকাল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে অ্যালকোহলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইউরোপে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অ্যালকোহল, অবৈধ মাদক ও কারাগার-স্বাস্থ্য বিষয়ক আঞ্চলিক উপদেষ্টা কারিনা ফেরেরা বোর্হেস বলেন, “অ্যালকোহল একটি বিষাক্ত পদার্থ যা কেবল সাত ধরনের ক্যানসার এবং অন্যান্য অসংক্রামক ব্যাধির সৃষ্টি করে না, বরং এটি মানুষের বিচারবুদ্ধি ও আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, প্রতিক্রিয়ার গতি ধীর করে দেয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে উৎসাহ যোগায়। এই কারণেই এত বিপুল পরিমাণ প্রতিরোধযোগ্য দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সঙ্গে মদ্যপানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।” তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে মৃত্যু সংখ্যার প্রায় অর্ধেকের জন্য অ্যালকোহলজনিত দুর্ঘটনা দায়ী, যেখানে পশ্চিম ও দক্ষিণ ইউরোপে এই হার ২০ শতাংশেরও কম।

অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের কঠোর পদক্ষেপ

অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের কঠোর পদক্ষেপ অবৈধ অভিবাসী ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ফেরত না নেওয়ার অভিযোগ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই কঠোর পদক্ষেপের কথা জানায়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অ্যাঙ্গোলা ও নামিবিয়া তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। খবর বিবিসির। গত মাসে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ ঘোষিত ব্যাপক সংস্কার নীতির অধীনে এই চুক্তিগুলোই প্রথম বড় ধরনের পরিবর্তন। এই সংস্কারের লক্ষ্য হলো, শরণার্থী মর্যাদাকে অস্থায়ী করা এবং যুক্তরাজ্যে কাগজপত্র ছাড়াই আগতদের নির্বাসন দ্রুত করা। এই বিষয়ে আফ্রিকান তিন দেশ ডিআর কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা বা নামিবিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ডিআর কঙ্গো যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের জন্য ‘ফাস্ট-ট্র্যাক’ ভিসা পরিষেবা এবং ভিআইপি ও নীতিনির্ধারকদের দেওয়া বিশেষ সুবিধাগুলো বাতিল করা হয়েছে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ বলেন, “সহযোগিতার দ্রুত উন্নতি না হলে ডিআর কঙ্গোর নাগরিকদের জন্য সম্পূর্ণ ভিসা বন্ধ করে দেওয়ার মতো আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে যুক্তরাজ্য।” তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করি দেশগুলো নিয়ম মেনে চলবে। যদি তাদের কোনো নাগরিকের এখানে থাকার অধিকার না থাকে, তবে তাদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে।” তিনি আরো বলেন, “আমি অ্যাঙ্গোলা ও নামিবিয়াকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এখন ডিআর কঙ্গোর সঠিক কাজটি করার সময়। আপনাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিন অথবা আমাদের দেশে প্রবেশের বিশেষ অধিকার হারান।” ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন মধ্য-বামপন্থি সরকার গত মাসে যুক্তরাজ্যের আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে শরণার্থীদের এবং তাদের সন্তানদের সুরক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত অনিয়মিত অভিবাসীদের আগমন রোধ করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ, যা দেশটির কট্টর-ডানপন্থিদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজারেরও বেশি মানুষ ছোট নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। এই সংখ্যা ২০২৪ সালের মোট সংখ্যার চেয়ে বেশি, তবে ২০২২ সালের রেকর্ড সংখ্যার চেয়ে কম। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ডেনমার্কের কঠোর আশ্রয় ব্যবস্থার আদলে নতুন সংস্কারগুলো শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের ফ্রান্স থেকে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করতে নিরুৎসাহিত করবে। তিনি বর্তমান ব্যবস্থাকে ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ উল্লেখ করে বলেন, “এটি একটি অস্বস্তিকর সত্য যা সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে।” স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নতুন সংস্কার নীতির আওতায় শরণার্থী মর্যাদা সাময়িক হবে এবং প্রতি ৩০ মাস পর এটি পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদনের জন্য এখন ৫ বছরের পরিবর্তে ২০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। গত বছরের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারেও বেশি অনুমোদনহীন অভিবাসীকে বহিষ্কার করেছে যুক্তরাজ্য, যা পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি। তবে, এই নীতির সমালোচনাও হচ্ছে তীব্রভাবে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক উপদেষ্টা মার্ক ডেভিস এটিকে ‘লজ্জাজনক’ এবং ‘শরণার্থীদের সহায়তা করার জন্য ব্রিটেনের ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতি’ থেকে বিচ্যুতি বলে অভিহিত করেছেন। সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন এটিকে ‘বর্বর’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং কট্টর বর্ণবাদী শক্তিকে তুষ্ট করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তার মতে, একই সঙ্গে এটি জাতিসংঘের মানবাধিকার কনভেনশনকে ক্ষুণ্ন করে। যুক্তরাজ্যের শরণার্থী কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী এনভার সলোমন সরকারকে নতুন নীতিটি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এই পরিকল্পনা অভিবাসীদের সমুদ্র পাড়ি দেওয়া থেকে বিরত করতে পারবে না। তার মতে, কঠোর পরিশ্রমী শরণার্থীদের ‘নিরাপদ, স্থায়ী জীবন’ গড়ে তুলতে সক্ষম হওয়া উচিত। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাজ্যে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত এক বছরে প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার আশ্রয়ের আবেদন জমা পড়েছে, যা একটি রেকর্ড। বেশিরভাগ আশ্রয়প্রার্থী এবং শরণার্থী বৈধভাবে যুক্তরাজ্যে আসেন। দেশটিতে মোট অভিবাসীর সংখ্যা ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত রেকর্ড ৯ লাখ ৬ হাজারে পৌঁছানোর পর ২০২৪ সালে অংশিকভাবে কঠোর ভিসানীতি বাস্তবায়নের ফলে অভিবাসীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩১ হাজারে নেমে এসেছে।

গৃহযুদ্ধের মধ্যেই মিয়ানমারে বিতর্কিত নির্বাচন শুরু

গৃহযুদ্ধের মধ্যেই মিয়ানমারে বিতর্কিত নির্বাচন শুরু পাঁচ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রবল সংশয়ের মধ্যেই মিয়ানমারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আজ রবিবার থেকে দেশটিতে এই প্রথম নির্বাচন শুরু হলো। খবর রয়টার্সের। মিয়ানমার শাসনকারী জান্তা সরকার বলছে, এই নির্বাচন দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটির জন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে একটি নতুন শুরুর সুযোগ। তবে জাতিসংঘ, কিছু পশ্চিমা দেশ এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীসহ সমালোচকরা এই নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের মতে, জান্তা-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অংশ না নেওয়ায় এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু বা গ্রহণযোগ্য নয়। ২০২০ সালের নির্বাচনে ভূমিধস জয় পাওয়া ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির নেত্রী এবং নোবেল বিজয়ী অং সান সু চি এখনও বন্দি রয়েছেন। সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েক মাস পর তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং তার নেতৃত্বাধীন দলটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরপরই ইয়াঙ্গুন এবং মান্দালয়ের মতো বড় শহরগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি দেখা যায়। জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং বেসামরিক পোশাকে রাজধানী নেপিদোতে ভোট দেন। জান্তা সমর্থিত ‘পপুলার নিউজ জার্নাল’-এ প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, তিনি হাসিমুখে তার কালি মাখানো আঙুল উঁচিয়ে ধরেছেন। উল্লেখ্য, একাধিকবার ভোট দান রোধ করতে ভোটারদের আঙুলে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হয়। বিশ্লেষকদের ধারণা অনুযায়ী তিনি নিজেই দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চান কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জেনারেল বলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নন। তিনি আরও বলেন, “যখন পার্লামেন্টের অধিবেশন বসবে, তখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।” এগিয়ে আছে সামরিক বাহিনী সমর্থিত দল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে অস্থিতিশীলতার মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার। ওই সময় সামরিক বাহিনী নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপরই দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভকারীদের ওপর সেনাবাহিনী নিপীড়ন শুরু করলে অনেক বিক্ষোভকারী অস্ত্র তুলে নেয়, যা পরবর্তীতে জান্তা-বিরোধী এক দেশব্যাপী বিদ্রোহে রূপ নেয়। থাইল্যান্ডের কাসেতসার্ট ইউনিভার্সিটির মিয়ানমার বিশেষজ্ঞ ললিতা হানওং-এর মতে, এই নির্বাচনে সামরিক বাহিনী ঘনিষ্ঠ ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)’ পুনরায় ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে। কারণ মোট প্রার্থীদের এক-পঞ্চমাংশই এই দলের এবং তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো শক্তিশালী কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তিনি বলেন, “জান্তার এই নির্বাচন মূলত জনগণের ওপর সামরিক শাসন দীর্ঘায়িত করার জন্য নকশা করা হয়েছে। ইউএসডিপি এবং সামরিক বাহিনীর মিত্র অন্যান্য দলগুলো একজোট হয়ে পরবর্তী সরকার গঠন করবে।” রবিবার প্রথম দফার পর ১১ জানুয়ারি এবং ২৫ জানুয়ারি আরো দুই দফায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মিয়ানমারের ৩৩০টি টাউনশিপের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে, যদিও অভ্যুত্থানের পর থেকে চলমান যুদ্ধের কারণে সব এলাকার ওপর জান্তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে ভোট গণনা বা ফলাফল ঘোষণার তারিখ এখনও জানানো হয়নি। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক গত সপ্তাহে বলেছেন, দেশজুড়ে সংঘাত চলতে থাকায় এই নির্বাচন সহিংসতা ও দমনের পরিবেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বড় শহরগুলোর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগের নির্বাচনগুলোর মতো এবার কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই। তবে ভোট দেওয়ার জন্য সামরিক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো জোরজবরদস্তির খবর পাওয়া যায়নি। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাশিয়া, চীন, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, নিকারাগুয়া এবং ভারত থেকে পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এসেছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, চলমান যুদ্ধের মধ্যে একটি স্থিতিশীল প্রশাসন গঠনের জান্তার এই চেষ্টা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। বিশ্লেষকদের মতে, বেসামরিক লেবাস পরলেও সামরিক নিয়ন্ত্রিত এই সরকার আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। জান্তার মুখপাত্র জউ মিন তুন স্বীকার করেছেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকেই এই নির্বাচনের সমালোচনা করবেন। নেপিদোতে ভোট দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “তা সত্ত্বেও, এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে। আমরা বিশ্বাস করি একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।”

শেষ বলের নাটকীয়তায় সিলেটের জয়, রানার হ্যাটট্রিকেও থামল না টাইটান্স

শেষ বলের নাটকীয়তায় সিলেটের জয়, রানার হ্যাটট্রিকেও থামল না টাইটান্স ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে উঠতে নাটকীয় এক জয় পেল সিলেট টাইটান্স। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে শেষ বল পর্যন্ত গড়ানো ম্যাচে এক রানের ব্যবধানে জয় তুলে নেয় তারা। মেহেদী হাসান রানার হ্যাটট্রিকসহ চার উইকেটের ঝলক থাকলেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি নোয়াখালী। ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট।  মাত্র ৩৪ রানেই তিন ওপেনারকে হারায় তারা। শূন্য রানে সাইম আইয়ুব, ১৩ রানে জাকির হাসান ও ৯ রানে রনি তালুকদার ফিরে যান। দুই ওপেনারকে আউট করেন হাসান মাহমুদ, অন্য উইকেটটি নেন রানা। চাপের মুহূর্তে ইনিংস গুছিয়ে নেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও পারভেজ হোসেন ইমন। দুজনে মিলে গড়ে তোলেন ৮৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। এর মধ্যেই ৩৬ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইমন। তবে ব্যক্তিগত ৬০ রানে জহির খানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর দ্রুতই ফেরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। রেজাউর রহমান রাজার বলে ক্যাচ নেন হাসান। একপ্রান্তে লড়াই চালানো মিরাজও শেষ দিকে রানার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন (৩৭ বলে ৩৩)। ম্যাচে বড় মোড় আসে রানার শেষ ওভারে। প্রথমে নাসুম আহমেদকে এলবিডব্লিউ, পরের বলে খালেদ আহমেদকে ক্যাচ দিয়ে পূর্ণ হয় বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক। তাতে আবারও ম্যাচে ফিরে নোয়াখালী। শেষ দিকে ১৩ বলে ১৬ রান করে আশা জাগান ইথান ব্রুক। তবে রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে গেলে সমীকরণ দাঁড়ায় শেষ বলে এক রান। সেই সময় সাব্বির হোসেনের ওয়াইডে ম্যাচ টাই হয়ে যায়। শেষ বলটিতে এক রান নিয়ে সিলেটকে জয় এনে দেন সালমান ইরশাদ। এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে নোয়াখালী। মাত্র ৯ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় তারা। প্রথম বলেই মাজ সাদাকাত আউট হন, এরপর খালেদ আহমেদের জোড়া আঘাতে ফেরেন হাবিবুর রহমান সোহান ও হায়দার আলী। চাপ সামলান অধিনায়ক সৈকত আলী ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দুজনের ৩২ রানের জুটি ভাঙে সৈকতের ২৪ রানে আউট হওয়ার মাধ্যমে। এরপর সাব্বির হোসেনের সঙ্গে ২৯ রান যোগ করেন অঙ্কন। সাব্বির ১৫ রান করে ফিরলে জাকের আলীর সঙ্গে বড় জুটি গড়েন তিনি। জাকের ১৭ বলে ২৯ রানের ক্যামিও খেললেও শেষ পর্যন্ত ইনিংস ধরে রাখেন অঙ্কন। ৫১ বলে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংসে ছিল তিন ছক্কা ও একটি চার। নোয়াখালী থামে ১৪৩ রানে। সিলেটের হয়ে খালেদ আহমেদ একাই নেন চার উইকেট। দুটি উইকেট নেন সাইম আইয়ুব, আর একটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ আমির ও রেজাউর রহমান রাজা। শেষ বলের উত্তেজনায় ভর করে বিপিএলে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নেয় সিলেট টাইটান্স।

চেলসির মাঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ জয়ে অ্যাস্টন ভিলার স্বপ্নযাত্রা

চেলসির মাঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ জয়ে অ্যাস্টন ভিলার স্বপ্নযাত্রা স্বপ্নের মতোই এগোচ্ছে অ্যাস্টন ভিলার মৌসুম। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারানোর পর এবার আরেক জায়ান্ট চেলসিকেও মাটিতে নামাল বার্মিংহামের ক্লাবটি। বেঞ্চ থেকে নেমে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিলেন ইংলিশ স্ট্রাইকার ওলি ওয়াটকিন্স। শনিবার রাতে চেলসির মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে অ্যাস্টন ভিলা। এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা দৌড়ে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করল উনাই এমেরির দল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি অ্যাস্টন ভিলার টানা ১১তম জয়। ক্লাব ইতিহাসে এর আগে কেবল ১৮৯৭ ও ১৯১৪ সালে এমন ধারাবাহিকতা দেখাতে পেরেছিল তারা। প্রিমিয়ার লিগে টানা আট ম্যাচ জয়ের কীর্তিও গড়েছে ভিলা, যা সর্বশেষ হয়েছিল ১৯১০ সালে। ম্যাচের প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল স্বাগতিক চেলসি। ৩৭ মিনিটে রিস জেমসের কর্নার থেকে জোয়াও পেদ্রো গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। প্রথমার্ধে খেলায় দাপট দেখালেও সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি তারা। বিরতির পরও ভিলার ওপর চাপ ধরে রাখে চেলসি। তবে ৫৯ মিনিটে একসঙ্গে তিনটি বদলি এনে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ভিলার কোচ উনাই এমেরি। মাঠে নামেন ওলি ওয়াটকিন্স, আমাদু ওনানা ও জ্যাডন সানচো। এর চার মিনিট পরই সমতা ফেরায় অ্যাস্টন ভিলা। মরগান রজার্সের পাস পেয়ে বক্সে ঢুকে শট নেন ওয়াটকিন্স। প্রথম শটটি ঠেকালেও ফিরতি বলে গোল হজম করেন চেলসির গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজ। গোলের পর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় ভিলার। একের পর এক আক্রমণে চেলসিকে চাপে রাখে তারা। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে ইউরি টিলেমানসের কর্নার থেকে হেডে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ওয়াটকিন্স। তাতেই নিশ্চিত হয় ভিলার জয়। প্রথম এক ঘণ্টা পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অ্যাস্টন ভিলা। এই হারে পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ নম্বরে নেমে গেছে চেলসি। ১৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৯। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে এসেছে অ্যাস্টন ভিলা। ক্লাব ইতিহাসে ১৮ ম্যাচ শেষে প্রিমিয়ার লিগে এটিই তাদের সর্বোচ্চ পয়েন্ট সংগ্রহ। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে তারা মাত্র তিন পয়েন্ট পিছিয়ে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ব্যবধান এক পয়েন্ট। আগামী মঙ্গলবার এমিরেটস স্টেডিয়ামে লিগের শীর্ষ দল আর্সেনালের বিপক্ষে খেলবে অ্যাস্টন ভিলা। সেই ম্যাচে জিততে পারলে ১৯১০ সালের রেকর্ড ভেঙে প্রিমিয়ার লিগে নতুন ইতিহাস গড়বে উনাই এমেরির দল।

অনুশীলনে মাথায় আঘাত, হাসপাতালে শরিফুল

অনুশীলনে মাথায় আঘাত, হাসপাতালে শরিফুল বিপিএলের প্রস্তুতির সময় অনুশীলনে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন চট্টগ্রাম রয়্যালসের বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, অনুশীলনের এক পর্যায়ে সতীর্থ এক ক্রিকেটারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শরিফুলের মাথার এক পাশে আঘাত লাগে। সাম্প্রতিক কয়েকদিন ধরে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন এই পেসার। ফলে বাড়তি ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম রয়্যালসের আগামীকাল ম্যাচ থাকায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে শরিফুলকে। চোটের অবস্থা জানতে চাইলে টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য জানান, আঘাত খুব গুরুতর বলে মনে হচ্ছে না। তবে যেহেতু মাথায় আঘাত পেয়েছে, তাই নিশ্চিত হতে সব ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট হাতে পেলেই শরিফুলের অবস্থার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।