শিবগঞ্জে পানির পাইপ থেকে নেশাজাতীয় সিরাপ জব্দ

শিবগঞ্জে পানির পাইপ থেকে নেশাজাতীয় সিরাপ জব্দ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় কৃষকের পানি দেয়ার পাইপের ভেতর থেকে ১২৩ বোতল নেশাজাতীয় সিরাপ জব্দ করেছে ৫৯ বিজিবি। গত শনিবার দিবাগত গভীর রাতে সিরাপগুলো জব্দ করা হয়। রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজিবি জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ সীমান্তে মাদক চোরাকারবারিরা বিজিবির চোখ ফাঁকি দিতে নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছে। তারা এবার কৃষকের পানি দেয়ার পাইপের ভেতরে নেশাজাতীয় সিরাপ চোরাচালান করছিল। তবে তাদের সেই কাজ সফল হতে দেয়নি বিজিবি। আজমতপুর বিওপির একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত পিলার ১৮১/৯-এস হতে আনুমানিক ৫০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে অভিযান চালানোর সময় দেখতে পায় কৃষকের পানি দেয়ার প্লাস্টিকের পাইপ সন্দেহজনক অবস্থায় পড়ে আছে। এসময় বিজিবি সদস্যরা পাইপটি বিওপিতে নিয়ে আসার পর অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১২৩ বোতল ভারতীয় নেশাজাতীয় চকোপ্লাস সিরাপ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ হতে আইনি প্রক্রিয়ার কাজ চলমান রয়েছে। ৫৯ বিজিবির মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, চোরাকারবারিরা মাদক চোরাচালানে যতই পদ্ধতি অবলম্বন করুক; সকল প্রকার মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ত্বকের যত্নে পেঁপে

ত্বকের যত্নে পেঁপে একদিকে ঘরের কাজ, অন্যদিকে অফিস সামলানো। সব মিলিয়ে অনেকে নারীই আলাদাভাবে ত্বকের পরিচর্যা করার সময় পান না। ঘরোয়াভাবে ত্বকের যত্ন নিতে চাইলেও অনেক সময় হাতের কাছে ঠিকঠাক সব উপাদান পাওয়া যায় না। কিন্তু যদি একটি মাত্র বেস উপাদান দিয়েই ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় তাহলে কেমন হয়? আমাদের হাতের কাছেই এমন সব উপাদান আছে যা একটুখানি মুখে মেখে নিলেই ত্বক পায় পরিপূর্ণ পুষ্টি। এতে ত্বকের বেশ কিছু সমস্যাও কমে। যেমন, পাকা পেঁপে। ত্বকের একাধিক সমস্যার সমাধান করা যায় পাকা পেঁপে ব্যবহার করে। যেমন- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চাইলে পাকা পেঁপে বেছে নিন। আধা কাপ পরিমাণে পেঁপে চটকে তাতে একটা গোটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ পুরো মুখে, গলায়, হাতে মেখে আধঘণ্টা রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি ধুয়ে ফেলবেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। গোড়ালির ফাটাভাব কমাতে ফাটা গোড়ালির জন্য পাকা পেঁপে কাজে লাগাতে পারেন। পেঁপে চটকে নিন, গোড়ালির ফাটা জায়গাগুলোয় লাগান। বিশ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। গোড়ালির ফাটা, শুকনো চামড়া, চুলকানি বা লালচেভাব, সবই কমে যাবে। পা ধুয়ে নেওয়ার পর খানিকটা অলিভ অয়েল পায়ে মেখে নিন। দাগছোপ দূর করতে ব্রণের দাগ থেকে শুরু করে হাঁটু বা কনুইয়ের কালচেভাব, সবই কমাতে পারে পেঁপে। এজন্য দরকার কাঁচা পেঁপে। ব্লেন্ডারে দিয়ে পেঁপের টুকরোটা থেঁতো করে নিন। এখন এতে একচাচামচ পাতিলেবুর রস মেশান। এবার এই মিশ্রণটা কনুই আর হাঁটুতে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ব্রণর দাগের উপরেও লাগাতে পারেন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত কয়েকবার করলে দাগ হালকা হতে শুরু করবে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে পেঁপেতে থাকা আলফা হাইড্রক্সিল অ্যাসিড ত্বকের বলিরেখা রোধ করে। এর পাশাপাশি পেঁপেতে থাকা ভিটামিন ই আর সি ত্বক তরতাজা করে তোলে। আধাকাপ পরিমাণে পাকা পেঁপে চটকে তাতে এক টেবিলচামচ দুধ আর অল্প মধু মিশিয়ে মুখে গলায় লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।

গোমস্তাপুরের বিভিষণ সীমান্তে নারীসহ ৫ জন পুশইন গোমস্তাপুরের বিভিষণ সীমান্তে নারীসহ ৫ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আজ সকালে ১৬ বিজিবি নওগাঁ ব্যাটালিয়নের বিভিষণ বিওপির সদস্যরা অবৈধ অনুপ্রবেশ দায়ে ওই সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করে। পরে আটককৃতদের গোমস্তাপুর থানায় হস্তান্তর করে। আটককৃত ৫ জনের মধ্যে ২ জন নারী ও ৩ জন রয়েছে। আটককৃতরা হলেন, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার জামিলপারা গ্রামের লিপি লস্কর, সাদ্দাম লস্কর, ফিরোজা ও বাগেরহাটে মোল্লাহাটের কাঠাদূরের গ্রামের হায়দার সরদার। বিজিবি ও পুলিশ জানায়, উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বিভিষণ সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাদের দেখতে পেয়ে ওই বিওপির টহলরত বিজিবির সদস্যরা আটক করে। পরে বিজিবি আটককৃতদের গোমস্তাপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। গোমস্তাপুর থানার ওসি আব্দুল বারিক জানান, আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে ওসি জানিয়েছেন।

কোন রঙের খাবার খেলে কী হয়

কোন রঙের খাবার খেলে কী হয় রঙ ছাড়া জীবন কেমন হয়? একঘেয়ে, নিস্তেজ এবং অনুপ্রেরণাহীন। খাবারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। রঙহীন প্লেট কেবল ম্লানই দেখায় না, খাওয়ার আগ্রহও কমিয়ে দেয়। আমরা প্রথম কামড় খাওয়ার আগেই চোখ দিয়ে খাই। আমরা খাবার দেখি এবং গন্ধ পাই, আমাদের মস্তিষ্ক এক ধরনের সংকেতের সৃষ্টি করে যা শরীরকে হজমের জন্য প্রস্তুত করে। কিন্তু দৃশ্যমান আবেদনের বাইরেও, একটি রঙিন প্লেট পুষ্টির শক্তি। প্রকৃতি উদ্ভিদ রঞ্জক ব্যবহার করে ফল এবং শাকসবজিকে প্রাণবন্ত রঙে রঙিন করে। এর মধ্যে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং অ্যান্থোসায়ানিন রয়েছে। এই রঞ্জকগুলো ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট নামেও পরিচিত। এগুলো আমাদের শরীর দ্বারা উৎপাদিত হতে পারে না, তবে বিভিন্ন রোগ, প্রদাহ, সংক্রমণ এবং কিছু নির্দিষ্ট ক্যান্সার থেকে আমাদের রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন রঙের খাবারে কী পুষ্টি থাকে-   * লাল রঙের খাবার লাল ফল এবং সবজির জন্য লাইকোপিন নামক রঞ্জক পদার্থ দায়ী, যা পরিচিত সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মধ্যে একটি। এ ধরনের খাবার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে লাইকোপিন চোখের ম্যাকুলার ক্ষতিও ধীর করতে কাজ করে। প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এবং স্তন ক্যান্সারের অগ্রগতি ধীর করতে কাজ করে লাল রঙের খাবার। এছাড়া এ ধরনের খাবার অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে মস্তিষ্কের কোষকে রক্ষা করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়-হৃদরোগের জন্য প্রধান ঝুঁকির কারণ। উৎস: টমেটো, তরমুজ, গোলাপী পেয়ারা, জাম্বুরা, লাল গাজর। * কমলা এবং হলুদ এই রৌদ্রোজ্জ্বল রঙগুলো বিটা-ক্রিপ্টোক্সানথিন থেকে আসে, যা কোষ যোগাযোগ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমর্থন করার জন্য পরিচিত একটি যৌগ। বার্ধক্য, প্রদাহ এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগকে ত্বরান্বিত করে এমন ফ্রি র‍্যাডিকেলকে নিউট্রাল করতে কাজ করে। দৃষ্টিশক্তি এবং ত্বক সুস্থ রাখতেও কাজ করে। উৎস: আম, পেঁপে, কমলা, কুমড়া, হলুদ ক্যাপসিকাম। * সবুজ খাবার সবুজ রঙের খাবারের জন্য ক্লোরোফিল দায়ী। এটি প্রকৃতির কিছু সমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদান বহন করে। এর বিটা ক্যারোটিন এথেরোস্ক্লেরোসিস, ক্যান্সার, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এবং ডিএনএ ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়তা করে। ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে, এলডিএল কোলেস্টেরল কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ভিটামিন কে এবং পটাসিয়াম রক্ত জমাট বাঁধা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরিহার্য। সালফোরাফেন এবং আইসোথিওসায়ানেট ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে, কোলন স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। উৎস: পালং শাক, ব্রকলি, কেল, সজনে ডাটা, মেথি, সবুজ ভেষজ, অ্যাসপারাগাস, কিউই, বাঁধাকপি, স্প্রাউট, গ্রিন টি।

বিশ্বজোড়া ঝড় তোলা অভিনেত্রী ব্রিজিত মারা গেছেন

বিশ্বজোড়া ঝড় তোলা অভিনেত্রী ব্রিজিত মারা গেছেন   ফরাসি অভিনেত্রী-গায়িকা ব্রিজিত বার্দো মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জনের পর ব্রিজিত প্রাণী অধিকার আন্দোলনে নিজেকে নিবেদিত করেন। পরে চরম ডানপন্থী রাজনীতিকে প্রকাশ্যে সমর্থক করে পরিচিতি পান। আল জাজিরা এ খবর প্রকাশ করেছে। আজ রবিবার ২৮ ডিসেম্বর ব্রিজিত বার্দো ফাউন্ডেশন অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, ব্রিজিত বার্দো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মারা গেছেন। বিশ্বখ্যাত অভিনেত্রী ও গায়িকা, যে নিজের মর্যাদাপূর্ণ কর্মজীবন ত্যাগ করে প্রাণী কল্যাণ এবং তার ফাউন্ডেশনের জন্য জীবন ও শক্তি উৎসর্গ করেছেন।” তবে ব্রিজিত বার্দো কবে কখন কোথায় মারা গেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। ১৯৫৬ সালে ‘অ্যান্ড গড ক্রিয়েটেড ওম্যান’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন ব্রিজিত। সিনেমাটিতে নারীর যৌনতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল। এরপর প্রায় ৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ব্রিজিত। যুদ্ধোত্তর ফরাসি সিনেমার সবচেয়ে পরিচিত মুখগুলোর একজন হয়ে ওঠেন এই অভিনেত্রী। সত্তর দশকের শুরুতে, খ্যাতির শীর্ষে থাকা অবস্থায় ব্রিজিত বার্দো অভিনয় ছেড়ে দেন এবং প্রাণী সুরক্ষার দিকে মনোযোগ দেন। তার এই আন্দোলন অনেকের প্রশংসা কুড়ালেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার জনজীবন আরো বিতর্কিত হয়ে ওঠে। কারণ চরম ডানপন্থী রাজনীতি গ্রহণ করে বারবার বর্ণবাদী ও উসকানিমূলক মন্তব্য করেন এই অভিনেত্রী। একসময় ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বর্তমান: ন্যাশনাল র‍্যালি) দীর্ঘদিনের নেত্রী মারিন লো পেনের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানান ব্রিজিত। বছরের পর বছর ধরে বর্ণবিদ্বেষ উসকে দেওয়ার দায়ে ফরাসি আদালত তাকে একাধিকবার দোষী সাব্যস্ত করেন। ২০২২ সালে ফরাসি আদালত ব্রিজিতকে ৪০ হাজার ইউরো জরিমানা করেন। এটি ছিল বর্ণবাদী ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের কারণে তার বিরুদ্ধে নেওয়া ষষ্ঠ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। মুসলিম ও অভিবাসীরা নিয়মিত তার আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন। ১৯৩৪ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন ব্রিজিত বার্দো। রক্ষণশীল একটি ক্যাথলিক পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। প্যারিস কনজারভেতোয়ার থেকে ব্যালে নৃত্যে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। কিশোরী বয়সে মডেলিং শুরু করেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ‘এল’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে জায়গা করে নেন। এটি তাকে চলচ্চিত্রে প্রথম কাজের সুযোগ এনে দেয়। ১৯৫২ সালে পরিচালক রোজার ভাদিমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন ব্রিজিত। তবে সময়ের সঙ্গে গুরুত্ব বাড়তে থাকে তার। ১৯৫৫ সালে যুক্তরাজ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় লাভ করা ‘ডক্টর অ্যাট সি’ সিনেমায় ডার্ক বোগার্ডের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। তবে ব্রিজিতের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ভাদিম পরিচালিত ‘অ্যান্ড গড ক্রিয়েটেড ওম্যান’। এতে অবাধ্য এক কিশোরীর চরিত্রে অভিনয় করে হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক তারকা। সিনেমাটি ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক সাফল্য পায়। কেবল তাই নয়, ব্রিজিতকে ফরাসি চলচ্চিত্রের প্রথম সারির তারকাদের কাতারে তুলে আনে। ষাটের দশকের শুরুতে ব্রিজিত অভিনয় করেন একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ফরাসি সিনেমায়। হেনরি-জর্জ ক্লুজোর অস্কার মনোনীত সিনেমা ‘দ্য ট্রুথ’, লুই মাল পরিচালিত ‘ভেরি প্রাইভেট অ্যাফেয়ার’ জঁ-লুক গোদারের ‘কনটেম্পট’। দশকের দ্বিতীয়ার্ধে হলিউডের দিকেও পা বাড়ান ব্রিজিত। এ সময় তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে‘ভিভা মারিয়া’, ‘শালাকো’।

খাদ্যে বিষক্রিয়ায় হাসপাতালে নির্মাতা

খাদ্যে বিষক্রিয়ায় হাসপাতালে নির্মাতা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন টালিউডের নির্মাতা সুদেষ্ণা রায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সুদেষ্ণা রায়ের দীর্ঘদিনের সহযোগী ও সহ-পরিচালক অভিজিৎ গুহ জানিয়েছেন, পরশু রাত থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই তাকে জেনারেল বেডে স্থানান্তর করা হতে পারে। জানা গেছে, সম্প্রতি কিছুদিন শান্তিনিকেতনে ছিলেন সুদেষ্ণা রায়। সেখান থেকে ফেরার পরই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও বেশি। এ কারণেই চিকিৎসকরা আপাতত আইসিইউতেই তাকে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই জন্মদিন কাটাতে হয়েছে পরিচালককে। এমন সময়ে সহকর্মী, শিল্পী ও শুভানুধ্যায়ীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন।

মিম তাড়াহুড়ো নেই ভালো কাজের জন্য অপেক্ষা করি

মিম তাড়াহুড়ো নেই ভালো কাজের জন্য অপেক্ষা করি বিদ্যা সিনহা মিম। চিত্রনায়িকা ও মডেল। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে দেখা যায় তাঁর ভ্রমণ, রঙিন মুহূর্ত আর ব্র্যান্ডের প্রচারণায় ঝলমলে উপস্থিতি। কখনও পাহাড়ের কোলে, কখনও সমুদ্রের ধারে, কখনও আবার স্বামীর সঙ্গে নির্ভার সময় সব মিলিয়ে জীবন উপভোগের ছবিই বেশি চোখে পড়ে। বড়পর্দায় তাঁকে দেখা যাচ্ছে কম। এরই মধ্যে এসেছে নতুন কাজের খবর। সেসব নিয়েই কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সামাজিক মাধ্যমে আপনাকে খুব আনন্দে ভরা জীবন যাপন করতে দেখা যায়। খুব ঘোরাঘুরি করছেন মনে হয়? পারিবারিকভাবে আমি একজন সুখী মানুষ। কাজ না থাকলে আমি আমার পরিবার নিয়ে আনন্দে মেতে থাকি। আমি ঘুরতে ভালোবাসি। কাজের ফাঁকে তাই সময় পেলেই আমি আর সনি (স্বামী সনি পোদ্দার) ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি। কোনো কোনো ভ্রমণে বাবা-মাকেও নিয়ে যাই। ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করি। ভালো লাগে। আপনার ঘোরাঘুরির খবর ফেসবুকে সবাই দেখছেন। কাজের খবর তো জানাচ্ছেন না? কয়েকদিন আগেই তো নতুন কাজের খবর দিলাম। চরকির একটি অরিজিনাল ফিল্মে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার খবর। নির্মাণ করবেন কাজী আসাদ। কাজটি সম্পর্কে যদিও এখন এর বেশি কিছু বলা যাবে না। শুধু এটুকু বলব, এটা আমার জন্য নতুন ধরনের একটি জার্নি। দর্শক আমাকে যে গ্ল্যামার লুকে দেখে অভ্যস্ত, সেখান থেকে একটু ভেঙেই চরিত্রটা আসবে। এটা দিয়েছেন ওটিটি ফিল্মের খবর। সিনেমার খবর কোথায়? সেটাও আছে। তবে এখন কিছুই জানাতে পারব না। সময় হলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই সব জানাবে। আমাদের মুখ খোলা বারণ আছে। রাজশাহীতে ‘মালিক’ নামে একটি সিনেমার শুটিং শেষ করলে ফিরলেন? সিনেমাটির শুটিং শুরু করেছি। তবে শেষ করা হয়নি। রাজশাহীতে শুরু হলেও শেষ হবে ঢাকায়। অ্যাকশন টাইপ সিনেমা এটি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না। পরিচালক-প্রযোজকরা বিস্তারিত জানাবেন। কিন্তু ‘পরাণ’ সিনেমার পর আপনাকে এমনভাবে আর পাওয়া যাচ্ছে না! কীভাবে পাওয়া যাবে বলুন। সিনেমার প্রস্তাব তো অনেক আসে, কিন্তু মানসম্মত সিনেমা কয়টা পাই? যেগুলো পাই সেগুলো যদি একের পর একটা করতে থাকি তখন দর্শকরা নেতিবাচক বলতে থাকবেন। এ রকম কাজ আমি করব না। আমি মনে করি, বছরে ডজনখানেক নিম্নমানের সিনেমা করার চেয়ে কোনো সিনেমা না করা ভালো। এই যে দর্শক আপনাকে এখনও ‘পরাণ’-এর অভিনেত্রীর মতো দেখতে চায়, এ প্রত্যাশা কি চাপ তৈরি করে? চাপ নয়, বরং দায়িত্ব তৈরি করে। দর্শক আমাকে ভালোবেসেছেন বলেই তো প্রত্যাশা করেন। সেই প্রত্যাশা নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। সিনেমার ক্ষেত্রে সবকিছু আমার মনমতো হতে হবে–গল্প, চরিত্র, নির্মাতা। তবেই কাজ করব। ‘পরাণ’-এর পর ‘দামাল’ ও ‘অন্তর্জাল’ করলেন, কিন্তু দর্শক বলছে, ওই মিমকে পাওয়া যায়নি। আমি বুঝি দর্শক কী বলতে চায়। ‘পরাণ’ একটি বিশেষ সিনেমা, বিশেষ চরিত্র। এমন কাজ বারবার আসে না। কিন্তু তাই বলে আমি থেমে নেই। আমি অপেক্ষা করছি ঠিক সময়ের জন্য। শুনেছি সম্প্রতি বেশ কয়েকটি চিত্রনাট্য পড়েছেন? হ্যাঁ, গত কয়েক মাসে অর্ধডজনের মতো সিনেমার স্ক্রিপ্ট পড়েছি। আনন্দের কথা হলো, এর মধ্যে বেশ কয়েকটির গল্প আমার ভালো লেগেছে। কয়েকজন নির্মাতার সঙ্গে কথাও চলছে। দু-একটিতে সাইনও করেছি। শিগগিরই ঘোষণা আসবে। তাহলে বলা যায়, ২০২৬ সালটা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে? অবশ্যই। ২০২৬ সালে আরও কিছু কাজের ঘোষণা আসবে। দর্শকদের একটু অপেক্ষা করতে বলব। যখন আসব, ভালো কিছু নিয়েই আসব। সিনেমা কম হলেও বিজ্ঞাপন ও ব্র্যান্ডিংয়ে আপনাকে দারুণ ব্যস্ত দেখা যায়। হ্যাঁ, আমি মডেল হিসেবেও নিয়মিত কাজ করছি। দেশের অনেক বড় ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত আছি। প্রতি মাসেই নতুন নতুন বিজ্ঞাপনের শুট থাকে।

নাজনীন হাসান খান নেপালে তিন নাটক নির্মাণ করলেন

নাজনীন হাসান খান নেপালে তিন নাটক নির্মাণ করলেন জনপ্রিয় নির্মাতা নাজনীন হাসান খানের পরিচালনায় ও রাজীব মণি দাসের রচনায় নেপালের মনোরম লোকেশনে চিত্রায়িত হয়েছে তিনটি বিশেষ নাটক। নেপালে নির্মিত নাটকগুলো হলো- ‘হানিমুন’, ‘ভালোবাসার অন্তর্ধান’, ও ‘প্যারায় আছে দুলাভাই’। এর মধ্যে অন্যতম কমেডি ঘরানার নাটক ‘প্যারায় আছে দুলাভাই’। হিমালয় কন্যা নেপালের নান্দনিক দৃশ্যের সাথে পারিবারিক মান-অভিমান ও হাস্যরসের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাটকটির নাটকের কাহিনিতে দেখা যায়, দুলাভাই তার স্ত্রী, শ্যালক ও শালিকাসহ সদলবলে নেপালে বেড়াতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও স্ত্রীর শাসন থেকে তার রেহাই মেলে না। সামান্য উনিশ-বিশ হলেই স্ত্রী রেগে যান, যা দুলাভাইয়ের জন্য চরম অস্বস্তির বা ‘প্যারা’র কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরিস্থিতির চরম পর্যায়ে দুলাভাই হঠাৎ নিখোঁজ হন। নাইটক্লাব থেকে শুরু করে বিভিন্ন বারে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায় না। একপর্যায়ে গাইডের কথায় পরিবারের ধারণা হয়, সংসারের প্যারা সইতে না পেরে দুলাভাই হয়তো সন্ন্যাসী হতে হিমালয়ে চলে গেছেন। স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে স্ত্রী হিমালয়ের পথে হাঁটা ধরেন, কিন্তু ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসেন। গল্পের শেষে দেখা যায় এক মজাদার টুইস্ট। সারাদিন সবাই যাকে হন্যে হয়ে খুঁজেছে, সেই দুলাভাই আসলে হোটেল রুমেই ঘুমাচ্ছিলেন। চিলে কান নিয়েছে শুনে কানে হাত না দিয়েই চিলের পেছনে ছোটার মতো এক হাস্যকর পরিস্থিতির অবতারণা হয় এই নাটকে। এর মাঝেই দুলাভাইকে খুঁজতে গিয়ে বেয়াই ও বেয়াইনের মধ্যে গড়ে ওঠে মধুর প্রেমের সম্পর্ক। পরিচালক নাজনীন হাসান খান বলেন, ‘নেপাল যেন পটে আঁকা ছবির মতো সুন্দর। এখানকার লোকেশনের বৈচিত্র্য এবং স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা শুটিংয়ের জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি করেছে’। দর্শকদের নির্মল বিনোদন দিতেই নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।

নুসরাত ফারিয়া কানাডায় মঞ্চ মাতালেন

নুসরাত ফারিয়া কানাডায় মঞ্চ মাতালেন কানাডার ওটায়া শহরে একটি অনুষ্ঠানে নেচে মঞ্চ মাতালেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা নুসরাত ফারিয়া। রোববার দুপুরে সামাজিক মাধ্যমে একটি ছোট ভিডিও প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। সেখানে দেখা যায়, সাদা রঙের একটি গ্ল্যামারাস ফ্রিল ড্রেস এবং সাদা বুট পরে মঞ্চে ঝড় তুলেছেন ফারিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, ওটায়ার প্রেস্টন ইভেন্ট সেন্টারের সেই জমকালো পারফরম্যান্স সেটি; আর ভিডিওটি মুহূর্তেই তার ভক্ত-নেটিজেনদের মাঝে সারা ফেলে বেশ। ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সারদের সাথে তাল মিলিয়ে ফারিয়ার স্টাইলিশ মুভগুলো তার নাচের দক্ষতাও ফুটে ওঠে। এ সময় ফারিয়ার নাচের ভঙ্গি এবং অভিব্যক্তি দর্শকদের মুগ্ধ করলেও কেউ কেউ মজাও নেন। এক ভক্ত লিখেছেন, ‘অসাধারণ নেচেছেন আপু। বছরের শেষ সময়টা কানাডায় অবস্থান করছেন ফারিয়া। কখনো টরোন্টো আবার কখনো ওটায়ার পথঘাটে ঘুরে বেড়ানোর ছবি শেয়ার করছেন। এর আগে ওটায়া থেকে শেয়ার করা ফারিয়ার একটি অফ-শোল্ডার কালো গাউন পরা ছবি ভক্তদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলে। সেখানে নেটিজেনরা তাকে ‘ক্লিওপেট্রা’র সঙ্গেও তুলনা করেছেন। কানাডা ভ্রমণের এই আনন্দঘন মুহূর্তে নুসরাত ফারিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে দেখা গেছে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খানকেও। বড়দিন এবং নতুন বছরের আমেজ তারা একসাথেই উদযাপন করছেন।

রোজায় খোলা থাকবে স্কুল, শবে মেরাজ-আশুরায় থাকছে না ছুটি

রোজায় খোলা থাকবে স্কুল, শবে মেরাজ-আশুরায় থাকছে না ছুটি ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে ১২ দিন ছুটি কমানো হয়েছে। শবে মেরাজ, জন্মাষ্টমী, আশুরাসহ বেশ কয়েকটি দিনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি পবিত্র রমজান মাসের প্রায় পুরোটা সময় স্কুল খোলা রাখা হবে। প্রকাশিত ছুটির তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২৬ সালে ৮ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হবে। অথচ ১৭ ফেব্রুয়ারি (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল) থেকে রোজা শুরু হওয়ার কথা। যদি সেদিন থেকে রোজা শুরু হয়, তাহলে ২১ রমজান পর্যন্ত স্কুল খোলা থাকবে। ২০২৫ সালে রোজা, দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস, জুমাতুল বিদা, শবে কদর ও ইদুল ফিতর মিলিয়ে ২৮ দিন ছুটি রাখা হয়েছিল। তবে ২০২৬ সালে এ রোজা-ঈদসহ এ দিবসগুলো উপলক্ষে ছুটি কমিয়ে ১৯ দিন করা হয়েছে। ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ মিলিয়ে আগে ১৫ দিন ছুটি ছিল। এবার তা ১২ দিন করা হয়েছে। এছাড়া শীতকালীন অবকাশও একদিন কমানো হয়েছে। যেসব দিবসে ছুটি থাকছে না পবিত্র শবে মেরাজ, সরস্বতী পূজা, একুশে ফেব্রুয়ারি (শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস), মে দিবস, বুদ্ধ পূর্ণিমা, পবিত্র আশুরা, শুভ জন্মাষ্টমী, মধু পূর্ণিমা, শুভ মহালয়া। অন্যদিকে এবার পবিত্র শবে বরাত, বৈসাবি উৎসব, ঈদে মিলাদুন্নবীতে আগে ছুটি না থাকলেও এবার একদিন করে ছুটি রাখা হয়েছে।