শীতে রান্নাঘরে তেলাপোকা? জেনে নিন তাড়ানোর উপায়

শীতে রান্নাঘরে তেলাপোকা? জেনে নিন তাড়ানোর উপায় তাপমাত্রা কমে গেলে অনেক পোকামাকড় অদৃশ্য হয়ে যায়, কিন্তু শীতকালে তেলাপোকা অদৃশ্য হয় না। শীতের সময়ে আপনার বাড়ির কেন্দ্রস্থলে, অর্থাৎ রান্নাঘরে তেলাপোকার উপদ্রব বেড়ে যেতে পারে। সিঙ্কের কাছে, ক্যাবিনেটের ভিতরে বা সংরক্ষিত শস্যের আশেপাশে তাদের দেখা মিলতে পারে। এটি একটি বিরক্তিকর এবং সেইসঙ্গে অস্বাস্থ্যকর বিষয়। শীতের সময়ে আপনার মজাদার খাবার খাওয়ার আনন্দ নষ্ট করে দিতে পারে এই তেলাপোকা। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতকালে রান্নাঘর থেকে তেলাপোকা তাড়ানোর উপায়- * উষ্ণ লুকানোর জায়গা এবং প্রবেশের স্থানগুলো সিল করুন তেলাপোকা শীতকালীন আস্তানা পছন্দ করে যেমন ক্যাবিনেটের পেছনে ফাটল, গ্যাস পাইপের কাছে ফাঁক এবং সিঙ্কের নিচের জায়গা। সিলিকন সিল্যান্ট বা ফিলার ব্যবহার করে এই প্রবেশের স্থানগুলো সিল করুন, বিশেষ করে প্লাম্বিং এবং দেয়ালের জয়েন্টগুলোর চারপাশে। রেফ্রিজারেটর এবং মাইক্রোওয়েভের পেছনের মতো উষ্ণ জায়গাগুলোতে মনোযোগ দিন। একবার এই কোণগুলো ব্লক হয়ে গেলে, তেলাপোকাগুলো তাদের নিরাপদ আশ্রয় হারাবে এবং বাইরে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হবে। এই পদক্ষেপটি শীতকালে সবচেয়ে ভালো কাজ করে কারণ তেলাপোকা কম সক্রিয় থাকে এবং বাইরে পালিয়ে যাওয়ার চেয়ে ঘরে আটকে রাখা সহজ। *রাতে সিঙ্ক শুকনো রাখুন শীতকালে রান্নাঘর দীর্ঘ সময় স্যাঁতসেঁতে থাকে, যার ফলে সিঙ্ক এবং ড্রেন একটি প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। রাতের খাবারের পরে সিঙ্কটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে নিন এবং ধীরগতির লিক দ্রুত মেরামত করুন। অবশিষ্টাংশ ভেঙে ফেলার জন্য সপ্তাহে একবার বা দুইবার লবণ বা বেকিং সোডা মিশ্রিত গরম পানি ড্রেনে ঢেলে দিন। ভেজা স্পঞ্জ বা কাপড় রাতারাতি রেখে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। পানির প্রবেশ বন্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আর্দ্রতা ছাড়া তেলাপোকা বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করে, বিশেষ করে ঠান্ডা মাসগুলোতে। *স্টোরেজে তেজপাতা এবং লবঙ্গ ব্যবহার করুন তেজপাতা এবং লবঙ্গ হলো প্রাকৃতিক তেলাপোকা প্রতিরোধক যা শীতকালে আশ্চর্যজনকভাবে ভালো কাজ করে। কয়েকটি তেজপাতা গুঁড়া করে শস্যের পাত্র, ড্রয়ার এবং অন্ধকার কোণে রাখুন। মসলার তাকের কাছে আস্ত রাখুন। এর তীব্র সুগন্ধ তেলাপোকাকে দূরে রাখতে কাজ করে। যার ফলে রাসায়নিক ছাড়াই তেলাপোকা দূরে রাখা সম্ভব হয়। যেহেতু শীতকালে বেশিরভাগ সময় জানালা বন্ধ থাকে, তাই এই গন্ধ দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, যা ঠান্ডা ঋতুতে এই পদ্ধতিটিকে আরও কার্যকর করে তোলে।
কোমরের ডিস্ক সরে গেলে যা করবেন

কোমরের ডিস্ক সরে গেলে যা করবেন সায়াটিক নার্ভ নামে একটি স্নায়ু রয়েছে আমাদের দেহে। এটি মেরুদণ্ডের কোমরের অংশ থেকে উৎপত্তি হয়ে ঊরুর পেছন দিক দিয়ে হাঁটুর নিচের মাংসপেশির মধ্য দিয়ে পায়ের আঙুল পর্যন্ত বিস্তৃত। কোনো কারণে এই নার্ভের ওপর চাপ পড়লে কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে যায়। একে বলে সায়াটিকা। অধিকাংশ মানুষ কোনো না কোনো সময় এ ব্যথায় আক্রান্ত হয়। ব্যথার অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম হলো মেরুদণ্ডের কোমরের অংশের ডিস্ক সরে গিয়ে স্নায়ুতে চাপ পড়া। পুরুষ বা নারীর যে কেউ ৩০ থেকে ৫০ বয়সের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কোমরের ডিস্ক বা নরম হাড় সরে যায়, বয়সজনিত ক্ষয়বাত, কোমরের শক্ত হাড় সরে গেলে, লাম্বার স্পাইনাল স্টেনসিস চলাচলের পথ সরু হয়ে গেলে, পিরিফর্মিস নামক মাংসপেশিতে টান পড়লে এ ধরনের ব্যথা হয়। সবসময় ভারী জিনিস উঠানো, ঝাড়ু দেওয়া, টিউবওয়েল চাপা, একনাগাড়ে অনেকক্ষণ বসে কাজ করা, কোমরের ঝাঁকুনি লাগে এমন কাজ, মোটরসাইকেল বা সাইকেলে দীর্ঘ ভ্রমণ করলে এমনটা হতে পারে। কোমর নাড়াতে, ঘোরাতে তীব্র ব্যথা লাগা, সামনে ঝুঁকে কাজ করার সময় ব্যথা তীব্র হয়, ব্যথা ঊরুর পেছনে, হাঁটুর নিচের মাংসপেশিতে, এমনকি পায়ের তলা ও আঙুল পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়, কিছুক্ষণ হাঁটলে বা দাঁড়িয়ে থাকলে ব্যথা ও ঝিঁঝি বাড়ে, বসলে আবার কমে যায়, আক্রান্ত পায়ে শিরশির অনুভূতি, অবশ ও ভার ভার ভাব, সুচ ফোটানোর অনুভূতি লাগা, হাঁচি বা কাশি দিলে, পায়খানা কষা হলে ব্যথা বেড়ে যায়। সাধারণত তিন ধাপে চিকিৎসা করা হয়। কনজারভেটিভ চিকিৎসা, ইন্টারভেনশন (ইঞ্জেকশন) চিকিৎসা, অপারেশন করা হয়। কনজারভেটিভ চিকিৎসা মূলত জীবনযাপনে পরিবর্তন, ফিজিওথেরাপি, ব্যায়াম ও ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। ফিজিওথেরাপি এ রোগের একটি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। বয়স্কদের যেহেতু এ রোগ বেশি হয়, তাই ওষুধের ব্যবহারই উত্তম। একজন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে ফিজিওথেরাপির পরামর্শ দেন। এর মধ্যে শর্ট-ওয়েভ থেরাপি, ট্রাকশন থেরাপি, আলট্রাসাউন্ড থেরাপি, নার্ভ ইস্টিমুলেশন থেরাপি দিয়ে থাকেন। চিকিৎসক মূলত ব্যথানাশক ওষুধ, মাংসপেশি শিথিল করার ওষুধ ও দুশ্চিন্তা কমানোর ওষুধ দিয়ে থাকেন। ইন্টারভেনশন (কোমরে ইঞ্জেকশন) মেশিনের মাধ্যমে কোমরের জয়েন্টের ভেতরে নার্ভ বা স্নায়ুর গোড়ায় দেওয়া হয়। ফলে স্নায়ুমূলের উত্তেজনা কমে যায়, যা কোমরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া অপারেশনের মাধ্যমেও এর চিকিৎসা করা হয়। বেশি নরম বিছানায় না ঘুমানো, কোমর বাঁকা করে কোনো কাজ না করা, সামনে ঝুঁকে ভারী কিছু না তোলা, ব্যথা থাকলে চেয়ারে বসে নামাজ পড়া, বাথরুমে হাইকমোড ব্যবহার করা, ব্যথা থাকলে ব্যায়াম না করা, শোয়া থেকে উঠার সময় একদিকে কাত হয়ে হাতে ভর দিয়ে ওঠা, চেয়ারে সোজা হয়ে বসে কাজ করা, বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে না থাকা, কাজের সময় বা উঁচু-নিচু স্থানে ভ্রমণের সময় কোমরে বেল্ট ব্যবহার করার মাধ্যমে রোগ থেমে মুক্তি মেলে।
বলিউডের ভাইজান সালমান খান ৬০-এ পা দিলেন

বলিউডের ভাইজান সালমান খান ৬০-এ পা দিলেন আজ বলিউডের ভাইজান সুপারস্টার সালমান খানের ৬০তম জন্মদিন। তিন দশকের বেশি সময় ধরে পর্দায় রোমান্স আর অ্যাকশনের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে চলেছেন এই তারকা। তবে এই দীর্ঘ পথ মোটেও সহজ ছিল না তার জন্য। কখনো আকাশছোঁয়া সফলতা, আবার চরম ব্যর্থতা; প্রেম-বিরহ, বিতর্ক, আইনি জটিলতা আর সাম্প্রতিক প্রাণনাশের হুমকি মিলিয়ে সালমানের জীবন পর্দার নায়কের থেকে কম কিছু নয়। তরুণীদের কাছেও সমান জনপ্রিয় ৬০ বছরের এই ‘ব্যাচেলর’। ছবি হিট হোক বা ফ্লপ, তা তার তারকাখ্যাতিকে প্রভাবিত করে না। কারণ, তিনি সবার আদরের ‘ভাইজান’। ১৯৬৫ সালে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করলেও মুম্বাইতে সালমানের বেড়ে ওঠা। তার বাবা সেলিম খান হিন্দি ছায়াছবির দুনিয়ার খ্যাতনামা চিত্রনাট্যকার। সিনেমার আবহে ভাইজানের বেড়ে ওঠা। তবে সালমানের জীবনে তার পরিবার সবকিছু। সালমানের পারিবারিক মূল্যবোধ গভীর। ১৯৮৮ সালে ‘বিবি হো তো অ্যায়সি ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল সালমান খানের। ঠিক তার পরের বছর ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবিতে ‘প্রেম’ রূপে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। রোমান্টিক নায়ক হিসেবে রাতারাতি হয়ে উঠেছিলেন তারকা। ‘সাজন’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’সহ একাধিক সফলতার কাহিনি লিখেছেন তিনি। মাঝে একের পর এক ফ্লপের ধাক্কায় তার ক্যারিয়ার প্রায় ডুবতে বসেছিল। ২০০৯ সালে ওয়ান্টেড সিনেমায় অ্যাকশন হিরো রূপে ধরা দেন সালমান। সালমানের ক্যারিয়ারের আবার মোড় ঘুরিয়ে দেয় ‘তেরে নাম’ ছবিটি। এরপর পর্দায় তার উপস্থিতি মানেই বক্স অফিসে ঝড়। কখনো ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ হয়ে, কখনো ‘সুলতান’ রূপে, ‘চুলবুল পান্ডে’র ভূমিকায়, আবার ‘টাইগার’ হয়ে সালমান নয় থেকে নব্বই বয়সীর মন জয় করে এসেছেন। ইদানীং অবশ্য তার ছবি বক্স অফিসে সেভাবে সফলতা পাচ্ছে না। কিন্তু আজও সালমানের জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। দীর্ঘ অভিনয়জীবনে বারবার প্রেমে পড়েছেন সালমান। আর তার সব প্রেমকাহিনিকে ঘিরে জন্ম নিয়েছে হাজারো বিতর্ক। সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে তার সম্পর্ক বলিউডের প্রেমের ইতিহাসে অন্যতম এক বিতর্কিত অধ্যায়। এরপর অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বলিউডের অলিগলিতে ছিল নানা গুঞ্জন। এদিকে রোমানীয় শিল্পী ইউলিয়া ভানতুরকে ঘিরে সালমানের রোমান্সের খবর পেজথ্রিতে উঠে আসত প্রায়ই। বিয়ের প্রসঙ্গ সাধারণত এড়িয়ে চলেন সালমান। অনেক সময় রসিকতা করে এই সুপারস্টার বলেছেন, ‘ভাগ্যই সব ঠিক করে। বাইরে থেকে কঠিন মনে হলেও মানসিক দিক থেকে নরম মনের সালমান। তাই কারও বিপদ দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। প্রায়ই উঠে আসে তার সমাজসেবামূলক কাজের নানা কাহিনি।
অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের পাশে দাঁড়ালেন কিয়ারা আদভানি

অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের পাশে দাঁড়ালেন কিয়ারা আদভানি বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের পাশে দাঁড়ালেন কিয়ারা আদভানি। মা হওয়ার পর কাজের ধরন, সময়ের সীমা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রশ্নে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বলিউডের এই তারকা। সম্প্রতি ভারতীয় এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, শিল্পী হিসেবে সৃজনশীলতার জন্য যেমন পরিশ্রম দরকার, তেমনি সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন নিয়ন্ত্রিত সময় ও সম্মানজনক পরিবেশ। এ প্রসঙ্গে তিনি দীপিকা পাড়ুকোনের দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, অতিরিক্ত চাপ দীর্ঘ মেয়াদে কারও জন্যই ইতিবাচক ফল আনে না। কিয়ারা মনে করেন, কাজের সাফল্য আর ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য একে অপরের পরিপূরক। মাতৃত্বের পর প্রথম বড় সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, নতুন দায়িত্ব তাঁকে আরও সংবেদনশীল ও সচেতন করেছে। তাঁর ভাষায়, ‘মানসিক সুস্থতার ভিত্তি গড়ে ওঠে মর্যাদা, ভারসাম্য এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর।’ কাজের ক্লান্তি কাটাতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে তিনি ঘুমের কথা বলেন, যেখানে সন্তানের হাসির শব্দ তাঁর কাছে শান্তির উৎস হয়ে ওঠে। দীপিকা পাড়ুকোনকে ঘিরে আলোচিত আট ঘণ্টা কাজের বিতর্কের পটভূমিও উঠে আসে এই আলোচনায়। কয়েক মাস আগে খবর ছড়ায়, নির্দিষ্ট সময়ের কাজের শর্তে অনড় থাকায় দীপিকাকে একটি বড় বাজেটের ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে তিনি আরেকটি বহুল আলোচিত ছবির সিকুয়াল থেকেও সরে দাঁড়ান। মা হওয়ার পর নতুন মায়েদের জন্য চলচ্চিত্রে কাঠামোগত পরিবর্তনের দাবি তোলায় বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে। এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা জানান, নারী অভিনেত্রী বলেই যদি তাঁর দাবিকে বাড়াবাড়ি মনে করা হয়, তবু বাস্তবতা বদলায় না। বহু পুরুষ তারকা বছরের পর বছর সীমিত সময়সূচিতে কাজ করলেও সেটি কখনও বিতর্ক তৈরি করেনি। কিয়ারার মতে, এ আলোচনার মূল উদ্দেশ্য কারও বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া নয়, বরং একটি স্বাস্থ্যকর কাজের সংস্কৃতি গড়ে তোলা। মাতৃত্ব ও শরীর নিয়ে নিজের ভাবনা জানিয়ে কিয়ারা বলেন, মা হওয়ার অভিজ্ঞতার সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা চলে না। শরীরকে সম্মান করাই দীর্ঘ ক্যারিয়ারের প্রথম শর্ত। কিয়ারা মনে করেন, শিল্পে টিকে থাকতে হলে পরিবার, কাজ এবং নিজের যত্নের মধ্যে সুস্পষ্ট সীমারেখা প্রয়োজন। নির্মাতা ও প্রযোজকদের সহযোগিতা পেলে শিল্পীদের কর্মক্ষমতা আরও বাড়ে। তাঁর বিশ্বাস, সুস্থ মন ও শরীরই দীর্ঘস্থায়ী সাফল্যের আসল চাবিকাঠি; যা আগামী দিনে বলিউডের কাজের পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। এদিকে কিয়ারা সম্প্রতি ‘ওয়ার টু’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। সামনে তিনি প্যান ইন্ডিয়ান ছবি ‘টক্সিক: আ ফেয়ারি টেল ফর গ্রোনআপস’-এ যশ ও নয়নতারার সঙ্গে পর্দা ভাগ করবেন। টক্সিকে কিয়ারা অভিনীত চরিত্রের নাম নাদিয়া। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে বলিউডে যাত্রা শুরু করা কিয়ারা প্রায় এক যুগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মূলধারার সফল নায়িকা হিসেবে। প্রেম, পারিবারিক গল্প, অ্যাকশন, কমার্শিয়াল ড্রামা সবখানেই তাঁর উপস্থিতি ছিল সাবলীল। কিন্তু টক্সিক যেন সেই পরিচিত বৃত্ত ভাঙার ঘোষণা। সদ্য প্রকাশ হওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারেই যা স্পষ্ট।
ইট নিক্ষেপ জেমসের কনসার্টে আহত ২৫

ইট নিক্ষেপ জেমসের কনসার্টে আহত ২৫ ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে সমাপনী দিনে প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী জেমসের অনুষ্ঠানটি উচ্ছৃঙ্খল জনতার হামলায় পণ্ড হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন। বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে গত শুক্রবার ২৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে জিলা স্কুল চত্বরে জেমসের নগর বাউল ব্যান্ডের সংগীত পরিবেশনের কথা ছিল। জানা গেছে, জেমসের অনুষ্ঠান শুরুর আগ মুহূর্তে বহিরাগতদের অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে মঞ্চ দখল নেওয়ার চেষ্টা করে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ। পরে জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধে তারা সরে যেতে বাধ্য হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ডা. মুস্তাফিজুর রহমান শামীম মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেমসের অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হলো। অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য বেনজীর আহমেদ তাবরিজ বলেন, নগর বাউল জেমসের গান শুনতে আসা বহিরাগত দর্শকরা গান শুনতে স্কুল ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারায় তারা বাইরে থেকে ইট ছোড়ায় জেমসের সংগীতানুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। এতে কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শামীমসহ ২৫-৩০ জন আহত হন। আহত বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং কয়েকজনকে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, বহিরাগতদের ঢুকতে না দেওয়ায় হালকা বিশৃঙ্খলা হয়েছে। পুলিশ কাজ করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শেষ পর্যন্ত পুরো পরিবেশনা বাতিল করা হয়।
আবেগঘন পোস্ট প্রয়াত বাবার স্মরণে চঞ্চল চৌধুরীর

আবেগঘন পোস্ট প্রয়াত বাবার স্মরণে চঞ্চল চৌধুরীর সময় থেমে থাকে না, কিন্তু কিছু শূন্যতা সময়ের সঙ্গেও পূরণ হয় না। ২৭ ডিসেম্বর অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর জীবনে এমনই এক নীরব, ভারী দিন। প্রিয় বাবা রাধা গোবিন্দ চৌধুরীর চলে যাওয়ার তিন বছর পূর্ণ হলো এই দিনে। বাবার স্মৃতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগে ভেজা একটি পোস্ট দিয়ে নিজের হৃদয়ের গভীর ব্যথার কথাই তুলে ধরলেন অভিনেতা। ফেসবুকে বাবার একটি ছবি শেয়ার করে চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, “বাবা তিন বছর হয়ে গেলো তুমি আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেছো অনন্তলোকে। তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করে খুব!!! ছুঁতে ইচ্ছে করে কিন্তু পারিনা, আর পারবোও না কোনদিন!! ভালো থেকো বাবা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাধা গোবিন্দ চৌধুরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে প্রায় দুই সপ্তাহ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। শেষ দিকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রে শীতকালীন ঝড়ের আশঙ্কায় হাজারো ফ্লাইট ব্যাহত

যুক্তরাষ্ট্রে শীতকালীন ঝড়ের আশঙ্কায় হাজারো ফ্লাইট ব্যাহত যুক্তরাষ্ট্রে অবকাশ যাপনের এই মৌসুমে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী শীতকালীন ঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে কয়েক হাজার ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হয়েছে। শনিবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়্যার-এর তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাত পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১ হাজার ৬০০টি ফ্লাইট বাতিল এবং ৭ হাজার ৪০০টি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে যেসব বিমানবন্দরে, তার মধ্যে রয়েছে নিউ ইয়র্ক এলাকার জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নিউয়ার্ক লিবার্টি এবং লাগার্ডিয়া। এছাড়াও বোস্টন, শিকাগো এবং কানাডার টরন্টো শহরেও এর প্রভাব পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা থেকে শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত শীতকালীন ঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে। নিউইয়র্ক এবং দক্ষিণ কানেকটিকাটে ৯ ইঞ্চি (২৩ সেমি) পর্যন্ত তুষারপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। জেটব্লু এয়ারওয়েজ ২২৯টি ফ্লাইট বাতিল করেছে, আর ডেল্টা এয়ারলাইন্স বাতিল করেছে ২৪১টি ফ্লাইট। রিপাবলিক এয়ারওয়েজ ও সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্স যথাক্রমে ১৮০টি ও ১৫১টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। আমেরিকান এয়ারলাইন্স ও ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের প্রায় ১০০টি পূর্বনির্ধারিত ফ্লাইটও বাতিল হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সোশাল মিডিয়া পোস্টে যাত্রীদের তাদের ফ্লাইটের অবস্থা জানতে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে ভারী তুষারপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। গাড়িচালকদের বিপজ্জনক পরিস্থিতির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে এবং সাথে জরুরি সরঞ্জাম রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল বলেছেন, মানুষ যেন অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলে। তিনি বলেন, “যদি ভ্রমণ করতেই হয়, তবে আগে থেকে পরিকল্পনা করুন, ধীরগতিতে গাড়ি চালান এবং গন্তব্যে পৌঁছাতে হাতে পর্যাপ্ত সময় রাখুন।”
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র সীমান্ত সংঘর্ষ বন্ধ করতে আজ শনিবার যুদ্ধবিরতি নিয়ে একমত হয়েছে। খবর রয়টার্সের। স্থানীয় আজ দুপুর ১২টা থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, “উভয় পক্ষই বর্তমানে মোতায়েন করা সেনাদের কোনো প্রকার নড়াচড়া ছাড়াই বিদ্যমান অবস্থানে বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে।” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যেকোনো ধরনের অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন উত্তেজনাকে আরো বাড়িয়ে তুলবে এবং পরিস্থিতি সমাধানের দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।” থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাথাপন নাকফানিথ এবং কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী টে সিহা এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর মাধ্যমে টানা ২০ দিনের লড়াইয়ের অবসান ঘটল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এটি গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াই ছিল, যেখানে যুদ্ধবিমান, রকেট ও কামানের গোলাবর্ষণ তীব্র মাত্রায় ছিল। এই সংঘাতে উভয় পক্ষে অন্তত ১০১ জন নিহত এবং পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এর আগে গত জুলাই মাসে চলা আগের দফার লড়াই থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন। ডিসেম্বরের শুরুতে সেই যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর এই সংঘাত পুনরায় শুরু হয়।
অপু বিশ্বাস বড়পর্দা থেকে দীর্ঘ বিরতির কারণ জানালেন

অপু বিশ্বাস বড়পর্দা থেকে দীর্ঘ বিরতির কারণ জানালেন প্রায় দুই বছরের বিরতি ভেঙে পর্দায় ফিরছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। কামরুল হাসান ফুয়াদের পরিচালনায় ‘দুর্বার’ নামের একটি থ্রিলারধর্মী সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। নতুন এই সিনেমার অপুর সঙ্গী হয়েছেন অভিনেতা সজল। অপু বিশ্বাস জানান, ‘দুর্বার’ সিনেমার শুটিং বর্তমানে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে তার প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই সিনেমায় তাকে একেবারে নতুন রূপে দেখা যাবে। অপু বিশ্বাস বলেন, ‘সিনেমায় অনেক চমক রয়েছে। দর্শকরা একটি শক্তিশালী গল্পের সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন। এই সিনেমায় আমাকে দেখা যাবে দুর্বার গতিতেই। সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন সজল ও অপু বিশ্বাস। নতুন এই সহশিল্পীকে নিয়ে অপু বলেন, ‘সজল ভাই ভীষণ বিনয়ী এবং একজন অসাধারণ অভিনেতা। আমি নিজে ওনার অভিনয়ের ভক্ত। আমাদের কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ। দর্শক আমাদের রসায়ন পছন্দ করবেন।’ সজলকে নিজের ‘ড্রিম হিরো’ হিসেবেও অভিহিত করেন এই নায়িকা। দীর্ঘ বিরতি প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস জানান, ভালো কাজের অপেক্ষায় তিনি সময় নিয়েছেন, তাই দেরি হলেও তার কোনো আক্ষেপ নেই। বলেন, ‘আমি সময় নিয়েছি ভালো কাজের জন্য। যেভাবে চেয়েছি ঠিক সেভাবেই একটি ভালো সিনেমা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়া-রাশিয়ার সম্পর্ক যুদ্ধের ‘রক্তে’ আবদ্ধ: কিম

উত্তর কোরিয়া-রাশিয়ার সম্পর্ক যুদ্ধের ‘রক্তে’ আবদ্ধ: কিম ইউক্রেন যুদ্ধে ‘একই পরিখায় রক্ত, জীবন ও মৃত্যু ভাগ করে নেওয়ার’ মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পাঠানো নববর্ষের এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এই কথা বলেন। খবর আল-জাজিরার। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর কিমকে পাঠানো নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন রাশিয়ার পশ্চিম কুরস্ক অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ‘বীরত্বপূর্ণ’ ভূমিকার প্রশংসা করেন। পুতিন বলেন, এটি দুই দেশের মধ্যে ‘অজেয় বন্ধুত্বেরই এক সুস্পষ্ট প্রমাণ’। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ কিমের এই বার্তাটি প্রকাশ করে। সেখানে কিম ২০২৫ সালকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য একটি ‘সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ বছর’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্ককে একটি ‘অমূল্য অভিন্ন সম্পদ’ হিসেবে বর্ণনা করেন ‘যা কেবল বর্তমান সময়ে নয়, বরং পরবর্তী প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বজায় থাকবে’। কিম বলেন, “দুই দেশের জনগণের সম্পর্ক এবং তাদের ঐক্যকে কেউ ছিন্ন করতে পারবে না।” দক্ষিণ কোরিয়া এবং পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়া হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে। গত এপ্রিল মাসে উত্তর কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে যে, তারা রাশিয়ার সামরিক অভিযানে সহায়তার জন্য সেনা পাঠিয়েছে এবং তাদের বেশ কিছু সৈন্য যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে। পুতিনকে নববর্ষের বার্তা পাঠানোর আগের দিনই কিম তার কর্মকর্তাদের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি এবং যুদ্ধাস্ত্র তৈরির জন্য আরো কারখানা স্থাপনের নির্দেশ দেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার হার বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় নিজেদের স্বল্প, মধ্যম এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের নির্ভুলতা যাচাই করতেই এই পদক্ষেপ। এছাড়া, এই ঘনঘন পরীক্ষা রাশিয়ার কাছে অস্ত্র রপ্তানির সঙ্গেও সম্পর্কিত হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি পিয়ংইয়ং মস্কোকে আর্টিলারি শেল, ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার রকেট সিস্টেম সরবরাহ করেছে বলে ধারণা করা হয়। এর বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে আর্থিক সহায়তা, সামরিক প্রযুক্তি এবং খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ করছে।