এলাচ খেলে কী হয় খাবারের পরে

এলাচ খেলে কী হয় খাবারের পরে এলাচ আমাদের রান্নাঘরের অন্যতম উপকরণ। এটি খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়ায়। অনেক সময় খাবারের শেষে মুখ সতেজ রাখতে চিবিয়েও খাওয়া হয়। এই অভ্যাসটি কি আসলেই উপকারী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলাচে প্রয়োজনীয় তেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা হজমের আরাম এবং মুখের ভেতরের স্বাস্থ্যবিধিতে অবদান রাখে। তবে এলাচের মতো মসলা অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত, কারণ এর প্রভাব পুষ্টির পরিমাণের চেয়ে সুগন্ধ এবং সক্রিয় যৌগ থেকে আসে। খাবারের পরে এলাচ খেলে কী হয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক। * প্রাকৃতিকভাবে হজমে সাহায্য করে : এলাচে সুগন্ধযুক্ত যৌগ রয়েছে যা পাচক এনজাইমকে উদ্দীপিত করে। এলাচের তীব্র সুগন্ধ স্বাদ এবং সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া সক্রিয় করতে সাহায্য করে, যা পাচক এনজাইমকে সক্রিয় করে। এটি হজমের জন্য কার্যকর এনজাইমের নিঃসরণকে সক্ষম করে, বিশেষ করে যদি ভারী খাবারের পরে খাওয়া হয়। এলাচ পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে তা পেট ফাঁপা এবং বদহজমের মতো সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। * নিঃশ্বাস সতেজ করে : এলাচ দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রাকৃতিক মুখ সতেজকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অ্যানেরোব বইয়ে প্রকাশিত ২০২০ সালের একটি অধ্যায় অনুসারে, এর প্রয়োজনীয় অয়েলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করে। প্যাকেট করা মাউথ ফ্রেশনার জনপ্রিয় হওয়ার আগে খাবারের পরে পুরো মসলা চিবানো একটি সাধারণ মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন ছিল। * অ্যাসিডিটি এবং বদহজম কমায় : কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, এলাচ পেটের অ্যাসিডিটির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। খাবারের পরে খাওয়া হলে এটি হালকা অ্যাসিডিটি বা অস্বস্তির জন্য প্রশান্তিদায়ক হতে পারে, বিশেষ করে মসলাদার খাবারের পরে। এলাচকে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের চিকিৎসা হিসেবে দেখা উচিত নয়, বরং একটি সহায়ক অভ্যাস হিসেবে দেখা উচিত, যা নিয়মিত এবং অল্প পরিমাণে ব্যবহার করলে অনেকেই আরামদায়ক বলে মনে করেন।
শীতকালীন রোগবালাই কারণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

শীতকালীন রোগবালাই কারণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা বাংলাদেশে শীতকাল সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এ সময় আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা ও শুষ্ক হওয়ায় শরীরের স্বাভাবিক রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত বিভিন্ন সংক্রমণ, বিশেষ করে শ্বাসযন্ত্রের রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তরা এ সময় বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। শীতকালে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা। রাইনোভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রধানত ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। এর লক্ষণ হিসেবে নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, গলাব্যথা, কাশি, জ্বর ও মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, গরম পানি পান ও প্যারাসিটামল সেবনে উপসর্গ কমে যায়। তবে জ্বর বা শারীরিক জটিলতা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে। শীতকালে নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিসের ঝুঁকিও বাড়ে। ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে এটি হতে পারে। শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি ও দীর্ঘদিনের ফুসফুসজনিত রোগে আক্রান্তরা এ ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। জ্বর, তীব্র কাশি, বুকব্যথা শ্বাসকষ্ট এসব রোগের প্রধান লক্ষণ। প্রতিরোধের জন্য গরম কাপড় পরা, ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোকক্কাল টিকা গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঠান্ডা আবহাওয়ায় অ্যাজমা ও অ্যালার্জিক কাশির সমস্যাও বাড়ে। ঠান্ডা বাতাস, ধুলোবালি, ধোঁয়া ও পরাগরেণুর প্রতি সংবেদনশীলতা এর প্রধান কারণ। শ্বাসকষ্ট, কাশি ও বুকের ভেতর শোঁ-শোঁ শব্দ হওয়া এ রোগের সাধারণ লক্ষণ। নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার, অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা উপকারী। এ সময় চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ে। ত্বক ফেটে যাওয়া, চুলকানি ও খুশকি এ সময় সাধারণ সমস্যা। এ থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার, অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল না করা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। শীতকালে শিশুর রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়। পাতলা পায়খানা, বমি ও পানিশূন্যতা এ রোগের প্রধান লক্ষণ। চিকিৎসার মূল ভিত্তি হলো ওরস্যালাইন, পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ ও হালকা খাবার। জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এ ছাড়া ঠান্ডা লাগা বা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে সাইনোসাইটিস ও টনসিলাইটিসও দেখা দিতে পারে। মাথাব্যথা, মুখমণ্ডলে চাপ অনুভব, গলাব্যথা ও গিলতে কষ্ট হওয়া এসব রোগের লক্ষণ। ঠান্ডা পানীয় পরিহার, গরম পানির ভাপ নেওয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম এ ক্ষেত্রে সহায়ক। শীতকালে অনেকের জয়েন্ট পেইন বা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বাড়ে। উষ্ণ কাপড় পরা, হালকা ব্যায়াম করা ও উষ্ণ সেঁক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। শীতকালীন রোগ প্রতিরোধে কিছু সাধারণ অভ্যাস অত্যন্ত কার্যকর। এর মধ্যে রয়েছে গরম কাপড় পরিধান, নিয়মিত হাত ধোয়া ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, পর্যাপ্ত ঘুম ও পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, নিয়মিত পানি পান করা এবং ফ্লু ও নিউমোনিয়ার টিকা গ্রহণ। ঘরোয়া উপায়ে জ্বর বা ঠান্ডা দীর্ঘদিন না কমলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে সামান্য উপসর্গকেও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা জরুরি। নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন বিপজ্জনক হতে পারে এবং এতে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ডা. নাজমুন নাহার লেখক : মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
ঘরোয়া ফেস মাস্ক দিয়ে ত্বকের বলিরেখা দূর করুন

ঘরোয়া ফেস মাস্ক দিয়ে ত্বকের বলিরেখা দূর করুন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। কারও কারও আবার বয়সের আগেই ত্বকে বলিরেখা ফুটে ওঠে। অনেকেই বলিরেখা দূর করতে বাজারে কেনা নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। দীর্ঘমেয়াদে এসব পণ্য ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। সেক্ষেত্রে ঘরে তৈরি ফেসমাস্ক ব্যবহারই হতে পারে দারুন বিকল্প। ঘরে অ্যান্টিরিঙ্কেল ফেস মাস্ক কীভাবে তৈরি করবেন দই ও হলুদের ফেস মাস্ক: ১ টেবিল চামচ টক দইয়ের সাথে সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগান। ১০ মিনিট রেখে শুকাতে দিন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মসুর ডালের ফেস মাস্ক: ২ টেবিল চামচ মসুর ডালের পেস্ট নিয়ে তাতে পরিমাণমতো পানি মিশান। মিশ্রণটি মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে শুকাতে দিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস ও দুধের ক্রিম মাস্ক: ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ দুধের সর বেটে তাতে ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অলিভ অয়েল ও লেবুর রসের ফেস মাস্ক: ২ টেবিল চামচ লেবুর রসে ১ চা চামচ পরিমাণে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ম্যাসাজ করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপেলের ফেস মাস্ক: একটি আপেল পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হতে দিন। আপেলের বীজ বের করে এটিকে ব্লেন্ড করুন। এখন এতে এক চা চামচ গুঁড়ো দুধ এবং এক চা চামচ মধু যোগ করুন। ১৫ মিনিট রাখুন। পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কগুলি কিছুটা হলেও বলিরেখা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও বলিরেখা ঠেকাতে কিছু কার্যকরী টিপস মাথায় রাখতে পারেন। যেমন- নিয়মিত রাতের ত্বকের যত্নের রুটিন করুন। এর মধ্যে রয়েছে ত্বক পরিষ্কার করা, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং। রোদে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সপ্তাহে অন্তত একবার ফেস মাস্ক লাগান। এগুলি কেবল ত্বকের বার্ধক্য বিলম্বিত করে না, বরং ত্বকের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে। দিনে অন্তত দুবার মুখ ধুয়ে নিন। নিযমিত ব্যায়াম করুন এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন।
‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’বক্স অফিসে কত আয় করল

‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’বক্স অফিসে কত আয় করল বিশ্বজুড়ে সিনেমা হলের পর্দা কাঁপাতে শুরু করেছে জেমস ক্যামেরনের বহুল প্রতিক্ষীত সিনেমা ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। সিরিজের তৃতীয় এই কিস্তিটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই বক্স অফিসে আধিপত্য বিস্তার করেছে। যদিও উৎসবের কারণে ভ্রমণের ধুম ও পারিবারিক অনুষ্ঠানের ভিড়ে সিনেমাটির আয় পূর্বাভাস থেকে কিছুটা কম হয়েছে, তবুও এর ব্যবসায়িক সাফল্য নিয়ে কোনো সংশয় নেই বিশ্লেষকদের। টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি স্টুডিওজের তথ্যমতে, ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ উত্তর আমেরিকার বাজারে মুক্তির প্রথম তিন দিনে প্রায় ৮৮ মিলিয়ন ডলার আয় করতে যাচ্ছে। শনিবার এক দিনেই সিনেমাটি ঘরে তুলেছে ২৮ মিলিয়ন ডলার। যদিও আগের কিস্তি ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’-এর তুলনায় এর শুরুটা কিছুটা ধীর, তবে আন্তর্জাতিক বাজারে সিনেমাটির দাপট চোখে পড়ার মতো। বিশ্বজুড়ে সব মিলিয়ে সিনেমাটির প্রথম সপ্তাহের আয় ৩৪০ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে চীনে বক্স অফিস চার্টে সিনেমাটি এখনও শীর্ষে রয়েছে, যেখানে এর আয় এখন পর্যন্ত ৫২ মিলিয়ন ডলার। সিনেমাটিতে এবার দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে না’ভিদের নতুন ও ভয়ংকর গোত্র ‘অ্যাশ পিপল’-এর সাথে। সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও সাধারণ দর্শকরা সিনেমাটিকে লুফে নিয়েছেন। দর্শকদের জরিপে এটি ‘এ’ সিনেমা স্কোর পেয়েছে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে জেমস ক্যামেরন আবারও নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন বলে মনে করছেন দর্শকরা। ভিএফএক্স এবং ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। এদিকে বক্স অফিসে ‘অ্যাভাটার’-এর রাজত্ব থাকলেও চমক দেখিয়েছে অ্যাঞ্জেল স্টুডিওজের অ্যানিমেশন সিনেমা ‘ডেভিড’। ২১ মিলিয়ন ডলার আয় করে এটি স্টুডিওটির ইতিহাসে সেরা উদ্বোধনী আয়ের রেকর্ড গড়েছে। এছাড়া লাইন্সগেটের ‘দ্য হাউজমেড’ ১৯ মিলিয়ন এবং প্যারামাউন্টের ‘স্পঞ্জবব মুভি’ ১৭ মিলিয়ন ডলার আয় করে লড়াইয়ে টিকে আছে।
অভিনেত্রী নোরা সড়ক দুর্ঘটনার পর কেমন আছেন নিজেই জানালেন

অভিনেত্রী নোরা সড়ক দুর্ঘটনার পর কেমন আছেন নিজেই জানালেন সানবার্ন ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ভারতের মুম্বাইয়ে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন বলিউডের আইটেম গার্ল ও অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। শনিবার বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মুম্বাই পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মদ্যপ অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক চালক নোরার গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারেন। দুর্ঘটনার পর নোরার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। যদিও প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল, তার বড় কোনো আঘাত লাগেনি। তবু অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল-আসলে কেমন আছেন অভিনেত্রী? সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই নিজের শারীরিক অবস্থার কথা জানান নোরা। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমি আপনাদের সবাইকে জানাতে চাই, আমি ভালো আছি, সুস্থ আছি। আমি সত্যিই একটি গুরুতর গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম। একজন মদ্যপ ব্যক্তি আমার গাড়িতে এসে জোরে ধাক্কা মারে। আমার গাড়ি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাথায় সামান্য চোট লেগেছিল। তবে অল্প কিছু আঘাত ছাড়া বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। আমি বেঁচে আছি-এটাই সবচেয়ে বড় কথা। এই দুর্ঘটনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারত। ভাগ্য ভালো ছিল বলেই রক্ষা পেয়েছি। সবাইকে একটাই অনুরোধ, দয়া করে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না। দুর্ঘটনার পর চিকিৎসকেরা নোরাকে বিশ্রামের পরামর্শ দেন বলে জানা গেছে। কিন্তু সেই পরামর্শ উপেক্ষা করেই সানবার্ন উৎসবের মঞ্চে ওঠার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দুর্ঘটনার ধাক্কা সামলে বিশ্বখ্যাত ডিজে ডেভিড গেটার সঙ্গে পারফর্ম করে দর্শকদের মন জয় করে নেন নোরা। সাধারণত গোয়ায় আয়োজন করা হলেও এ বছর মুম্বাইয়েই হচ্ছে সানবার্ন ফেস্টিভ্যাল। ১৯ ডিসেম্বর শুরু হওয়া তিন দিনের এই সংগীত উৎসব শেষ হচ্ছে আজ, ২১ ডিসেম্বর। ২০০৭ সালে প্রথমবার শুরু হয়েছিল সানবার্ন। প্রথম কয়েক বছর টানা গোয়ার ভাগাতোরে আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠান। পরে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পুনেতে অনুষ্ঠিত হয় সানবার্ন। এরপর আবার গোয়ায় ফিরে যায় উৎসবটি। চলতি বছর তার ব্যতিক্রম হিসেবে মুম্বাইয়ে আয়োজন করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সানবার্নের জনপ্রিয়তা বাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বিতর্ক ও সমস্যাও বেড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
কনসার্ট বাতিল করেছে শিরোনামহীন যেটি সত্য নয়

কনসার্ট বাতিল করেছে শিরোনামহীন যেটি সত্য নয় রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে আজ রোববার কনসার্ট করার কথা ছিল ব্যান্ড শিরোনামহীনের। তবে গতকাল শনিবার ২০ ডিসেম্বর রাতে নিরাপত্তাজনিত কারণে কনসার্টটি বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে সমাবর্তনে অংশ নেওয়া অতিথিদের একাংশের অভিযোগ ছিল, ব্যান্ডটি ইচ্ছেকৃতভাবে এই কনসার্ট বাতিল করেছে! এবার সেই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করল শিরোনামহীন। ব্যান্ডটি তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে জানায়, কনসার্টের জন্য অগ্রিম ৩০ শতাংশ সম্মানী নিয়েছিল শিরোনামহীন। এমনকি তারা অন্য একটি কনসার্ট বাতিল করেও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পারফর্মের জন্য প্রস্তুত ছিল, কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে অবশেষে তা বাতিল হয়ে যায়। আজ রোববার ফেসবুক পোস্টে ব্যান্ডটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশনে (সমাবর্তন) আজ শিরোনামহীনের পারফর্ম করার কথা ছিল। আমাদের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর গতকাল রাত ৯টার দিকে আমাদেরকে জানানো হয়, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রশাসন প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে অপারগ হওয়ায় তাদের কনভোকেশনের ২য় অংশ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে না। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘শিরোনামহীন এই কনসার্টের ৩০ শতাংশ সম্মানী অগ্রিম হিসেবে গ্রহণ করে। যেহেতু অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজন করছে, তাই শিরোনামহীন নিয়মের ব্যতিক্রম করে বাকি সম্মানী পরিশোধ না হওয়া সত্ত্বেও একই তারিখে স্টেট ইউনিভার্সিটি কনভোকেশনের কনসার্টটি বাতিল করে (যেটার তারিখ রাষ্ট্রীয় শোক দিবসের দিন থাকায় ২০ থেকে ২১ তারিখ করা হয়েছে) রাজশাহী যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। সবশেষে ভক্তদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে ‘ইচ্ছেকৃতভাবে’ অংশ না নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে শিরোনামহীন বলে, ‘কনসার্টটি শেষ পর্যন্ত ক্যান্সেল হওয়ায় এখানে আগত অতিথিদের মতো আমরাও দুঃখ পেয়েছি এবং আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আগত অতিথিদের একাংশের ধারণা শিরোনামহীন ইচ্ছেকৃতভাবে এই কনসার্ট বাতিল করেছে, যেটি সত্য নয়। এদিকে, শিরোনামহীন ছাড়াও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পড়শীর পারফর্ম করার কথা ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত আয়োজনটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঈদে মুক্তির দৌড়ে ‘রঙবাজার’

ঈদে মুক্তির দৌড়ে ‘রঙবাজার’ মুক্তির অপেক্ষায় থাকা নির্মাতা রাশিদ পলাশের আলোচিত সিনেমা ‘রঙবাজার’ এবার মুক্তির পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে সিনেমাটির প্রথম ঝলকের পোস্টার। এর পরপরই ট্রেইলার প্রকাশের মধ্য দিয়ে মুক্তির চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা। পরিচালক রাশিদ পলাশ জানান, সিনেমাটি মুক্তির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে বিষয়বস্তুর স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় তারা খুব সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘‘রঙবাজার’-এর গল্প কিছুটা ভিন্ন এবং বাস্তবতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তাই আমরা ধীরে ধীরে এগোচ্ছি। শিগগিরই ট্রেইলার প্রকাশ করব। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই গল্প নিয়ে কিছুটা ঝুঁকি তো আছেই। ট্রেইলার প্রকাশের পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে মুক্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আমরা রোজার ঈদকে কেন্দ্র করেই মুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রায় দুই বছর আগে একটি যৌনপল্লী উচ্ছেদের বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে ‘রঙবাজার’ নির্মাণ শুরু করেন রাশিদ পলাশ। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী। এর আগে সেন্সর বোর্ডে সিনেমাটি নিয়ে জটিলতার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছিলেন নির্মাতা। সে সময় পলাশ বলেছিলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের টানবাজার।এক সময়ের ৪০০ বছরের পুরনো যৌনপল্লী উচ্ছেদের পরিকল্পনা এবং উচ্ছেদ-পরবর্তী যে সামাজিক বাস্তবতা তৈরি হয়েছিল, সেটাই আমাদের সিনেমার মূল বিষয়। গল্পে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটসহ বেশ কিছু স্পর্শকাতর জায়গা রয়েছে। নির্মাতার ভাষায়, নারায়ণগঞ্জকে ‘পাপমুক্ত’ করার নামে টানবাজার ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পাপমুক্ত করতে গিয়ে যে পুরো পাপ সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া হলো এবং এর পেছনে যে অজানা রহস্য ছিল সেই গল্পটাই আমরা সিনেমার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ‘রঙবাজার’-এ অভিনয় করেছেন শম্পা রেজা, তানজিকা আমিন, জান্নাতুল পিয়া, নাজনীন হাসান চুমকি, মৌসুমী হামিদ, লুৎফর রহমান জর্জ, মিঠুসহ একঝাঁক পরিচিত মুখ। প্রকাশ পাওয়া পোস্টারে জান্নাতুল পিয়া ও তানজিকা আমিনকে দেখা গেছে। সিনেমাটির শুটিং হয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায়। লাইভ টেকনোলজি প্রযোজিত এই সিনেমায় থাকছে তিনটি গান। সংগীত আয়োজন করেছেন জাহিদ নীরব। সব মিলিয়ে বাস্তব ঘটনা ও সাহসী গল্প বলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঈদের প্রেক্ষাগৃহে আসার অপেক্ষায় রয়েছে ‘রঙবাজার’।
বিন্দু সংসার ভাঙার খবর দিলেন

বিন্দু সংসার ভাঙার খবর দিলেন পারিবারিক আয়োজনে আসিফ সালাহউদ্দিন মালিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। তারপর সংসারেই ডুবেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। কারণ অভিনয়ে তাকে আর দেখা যায়নি বললেই চলে! বিয়ের এক দশক পর বিন্দু জানালেন, তার সংসার ভেঙে গেছে। মাছরাঙা টেলিভিশনের জনপ্রিয় পডকাস্ট ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিয়ে-সংসার নিয়ে কথা বলেন বিন্দু। এ আলাপচারিতায় সঞ্চালক সরাসরি বিন্দুর কাছে জানতে চান, আপনার কি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে? জবাবে বিন্দু বলেন, “হ্যাঁ। আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।” কবে হয়েছে? পাল্টা প্রশ্ন শুনে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন বিন্দু। তারপর বলেন, “২০২২ সালে। এখনো অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেন আপনারা বিবাহিত কি না। এসব নিয়ে অনেকে পেছনে কথা বলেন। অনেকে আবার আপনাদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করছে। সেখানে লেখা হচ্ছে “বিন্দুর স্বামী।” কিন্তু আরেক পক্ষ বলছেন, “বিন্দুর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।” বিষয়টি নিয়ে আপনি আনুষ্ঠানিক কিছু জানাননি। সঞ্চালকের এসব কথা শেষ হওয়ার পর বিন্দু বলেন, “হ্যাঁ, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাইনি। এ কারণে অনেকে দ্বিধাগ্রস্ত। অনেকে হয়তো জিজ্ঞাসা করেন না, যদি অস্বস্তি বোধ করি! বড় সংখ্যক মানুষ মনে করেন, ‘আমি বিবাহিত’। কিন্তু আমি বিবাহিত নই। আমার সংসারের যে জার্নি সেটা অনেক ছোট ছিল। মাঝখানে অনেক বড় একটি সেপারেশন গিয়েছে। এরপর বিন্দুকে থামিয়ে সঞ্চালক জানতে চান, কবে থেকে আলাদা থাকছিলেন? জবাবে বিন্দু বলেন, “২০১৭ সাল থেকে।” আপনারা আলাদা হলেন কেন? জবাবে বিন্দু বলেন, “আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় অনেক বড় বড় ঘটনা থাকে, কারণ থাকে। আবার অনেক সময় অনেক কারণও দরকার হয় না। এখানে আরেকজন মানুষের জীবন জড়িত। আমি চাই না, বিচ্ছেদের কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে উনাকে কোনো বিব্রতকর জায়গা ফেলি! সেইটুকু সম্মান আমি দিতে জানি। “আমার বাবা-মা সবসময়ই বলেছেন ‘জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে আল্লাহর হাতে’। পারিবারিক আয়োজনে আমার বিয়ে হয়েছিল। আমার বাবা-মা, পরিবার দেখে-শুনে আমার বিয়ে দিয়েছিলেন।” বলেন বিন্দু। এ কথা শেষ করেই সঞ্চালকের উদ্দেশ্যে বিন্দু বলেন, “আমি জানি আপনি আমাকে প্রশ্ন করবেন, কাজ কেন ছেড়েছি?” বিন্দুর কথায় সম্মতি জানিয়ে সঞ্চালক বলেন, “সত্যি আমি এই প্রশ্ন করতে যাচ্ছিলাম। ২০১৪ সালের অক্টোবরে আপনি বিয়ে করেন। তার কয়েক মাস আগে থেকে আপনি কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কাজ ছাড়ার পেছনে কারো কোনো চাপ ছিল? আফসান আরা বিন্দু বলেন, “কোনো চাপ ছিল না। আপনি তো জানেন আমি মাসে ৩০ দিন কাজ করতাম। সিঙ্গেল নাটক করতাম। সিরিয়ালে কখনো যুক্ত ছিলাম না। সিরিয়ালে যুক্ত থাকলে সিঙ্গেল নাটকের কাজ মিস হয়ে যেত। সে জায়গা থেকে আমার মনে হয়েছে, একজন সাধারণ মানুষ যেভাবে জীবনযাপন করেন, আমি সেভাবে করতে পারিনি। পাবলিক প্লেসে যেতে পারিনি। পারিবারিক বা মামা-কাকাদের বাচ্চাদের জন্মদিনেও যেতে পারিনি। এখান থেকে মনে হয়েছে, আমি যদি সংসারে যাই, তাহলে আন্তরিকভাবে আমার সময়টা ওখানে ইনভেস্ট করতে চাই। আমার মনে হয়, এটা সব মেয়ের ক্ষেত্রেই ঘটে। কাজ ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে আমাকে কেউ বাধ্য করেনি। ২০১৪ সালের অক্টোবরে বিয়ের পর ঘোষণা দিয়ে মিডিয়া ছাড়েন বিন্দু। মিডিয়ার আলোকচ্ছটা থেকে দূরে থাকা এ অভিনেত্রী দীর্ঘদিনের আড়াল ভেঙে ২০১৯ সালে হঠাৎ আবির্ভুত হন রাজধানীর এক ম্যারাথনে। তারপর অভিনয়ে যেমন পাওয়া যায়নি, তেমনি মিডিয়ার কোনো অনুষ্ঠানেও তার দেখা মিলেনি। তবে ২০২২ সালে ‘উনিশ২০’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয় করেন বিন্দু। সিনেমাটিতে শুভর বিপরীতে অভিনয় করেন। অবশ্য, এরপর অভিনয়ে নিয়মিত হননি এই অভিনেত্রী। ২০০৬ সালের লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার-আপ নির্বাচিত হন আফসান আরা বিন্দু। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ শিরোনামের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। এরপর ‘জাগো’, ‘পিরিতের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ’, ‘এই তো প্রেম’ সিনেমায় অভিনয় করেন। ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় টিভি নাটক উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
শাকিব খান থেমে থাকি না নিরন্তর চেষ্টা করি

শাকিব খান থেমে থাকি না নিরন্তর চেষ্টা করি ঢালিউড মেগাস্টার শাকিব খান মানেই পর্দায় নতুন কোনো চমক। গত কয়েক বছর ধরে প্রতিটি সিনেমাতেই ভিন্ন লুক আর অভিনব স্টাইলে দর্শকদের সামনে হাজির হচ্ছেন তিনি। ক্যারিয়ারের দুই দশক পেরিয়েও একজন মানুষ কীভাবে বারবার নিজেকে এভাবে বদলে ফেলেন, সেই প্রশ্ন ভক্ত-অনুরাগীদের মনে দীর্ঘদিনের। অবশেষে সেই কৌতূহলের অবসান ঘটালেন মেগাস্টার নিজেই। সম্প্রতি নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি নতুন ছবি প্রকাশ করেন শাকিব খান। সেখানে চিরচেনা স্টাইলিশ লুকে ধরা দেন তিনি। সেই ছবির কমেন্ট বক্সে এক ভক্ত তাকে মেনশন করে প্রশ্ন ছুড়ে দেন কীভাবে একজন মানুষ এত দ্রুত নিজেকে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করতে পারেন?ভক্তের সেই কৌতূহল এড়িয়ে যাননি শাকিব। মন্তব্য ঘরে নিজের জীবনের পরিবর্তনের দর্শনটি অত্যন্ত সাবলীলভাবে তুলে ধরেন তিনি। উত্তরে শাকিব খান লেখেন, ‘সময়, অভিজ্ঞতা আর শেখার ইচ্ছা থাকলে যে কেউ নিজেকে বদলে ফেলতে পারে। যারা এগোনো বন্ধ করে, তারা পিছিয়ে পড়ে। নিজের নিরন্তর পথচলার কথা উল্লেখ করে এই সুপারস্টার আরও লেখেন, ‘আমি থেমে থাকি না, নিরন্তর চেষ্টা করি, বদলাই, আর বিশ্বাস করি প্রতিটি দিন নিজেকে আরও ভালোভাবে গড়ে তোলার একটি সুবর্ণ সুযোগ। ভক্তরা তার এই মন্তব্যকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। অনেকেই বলছেন, নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার এই মানসিকতাই তাকে সাফল্যের শীর্ষে টিকিয়ে রেখেছে। বর্তমানে শাকিব খান ব্যস্ত আছেন তার আসন্ন প্রজেক্টগুলোর কাজ নিয়ে, যেখানে আবারও তাকে নতুন কোনো অবতারে দেখার অপেক্ষায় রয়েছে সিনেমাপ্রেমীরা। ইত্তেফাক/পিএস