চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনার পর পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৯

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনার পর পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৯ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ, পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট, পুলিশের ওপর হামলা এবং সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে এই মামলা করা হয়। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাকিল হোসেন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৫ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে শহরের সার্কিট হাউস মোড়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর মহাসড়কে পুলিশের সংকেত অমান্য করে পালানোর সময় একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একই মোটরসাইকেলে থাকা দুই তরুণ নিহত হন। নিহতরা হলেন পোলাডাঙ্গা জোড়বাগান এলাকার শাহ আলমের ছেলে রিফাত (১৮) এবং চাঁদলাই জোড়বাগান এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে সোহাগ (১৭)। দুর্ঘটনার পর পুলিশের কারণে ঘটনা ঘটেছে—এমন অভিযোগ তুলে বিক্ষুব্ধ জনতা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আধা কিলোমিটার দূরের বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থিত দুইতলা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। এতে বক্সের ভেতরে থাকা একটি পুলিশ মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এছাড়া সড়কে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ সৃষ্টি করা হয়, যার ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে সদর থানা পুলিশ ফাঁড়ি, ফাঁড়ির ভেতরে থাকা পুলিশ অফিসার্স মেস ও আরেকটি পুলিশ মোটরসাইকেলে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর প্রায় ছয় ঘণ্টা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ ছিল এবং সদর থানার প্রধান ফটক বন্ধ রাখা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ আরও জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর রাতেই তা নিহতদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনায় পুলিশের কেউ আহত না হলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুযোগসন্ধানী একটি ‘তৃতীয় পক্ষ’ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। তাদের ইতোমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে জেলা পুলিশ উচ্চপর্যায়ের তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণ করে পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।
শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গায়েবানা জানাজা

শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গায়েবানা জানাজা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বাদ আসর নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে ‘ছাত্র জনতার মঞ্চ’-এর ব্যানারে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা আবুজার গিফারি। নামাজ শেষে শহীদ শরীফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা তার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। গায়েবানা জানাজায় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য মো. লতিফুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও মাওলানা আব্দুল মতিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। একইদিন বাদ আসর শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাই স্কুল মাঠেও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইমামতি করেন মাওলানা ড. মো. কেরামত আলী। জানাজায় ছাত্র সংগঠন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। জানাজা-পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, শরীফ ওসমান হাদি ন্যায়, আদর্শ ও স্বার্থহীন রাজনীতির যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা তরুণ সমাজের জন্য অনুকরণীয়। তারা তার আদর্শ ধারণ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। এছাড়াও শনিবার মাগরিবের নামাজ শেষে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর আহমদী বেগম (এবি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইমামতি করেন মান্দার পরাণপুর কামিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক ইমাম আব্দুল কাদের। জানাজায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরীফ ওসমান হাদি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তিনি মারা যান।
বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সমন্বয় ও সহযোগিতা সভা অনুষ্ঠিত

বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সমন্বয় ও সহযোগিতা সভা অনুষ্ঠিত বাল্যবিবাহ এবং শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে সরকারি কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এক সমন্বয় ও সহযোগিতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে বালুগ্রাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়। ইউনিসেফ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সহায়তায় ‘স্ট্রেংদেনিং সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ (এসএসবিসি)’ প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন মানপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম। সভায় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রোগ্রাম ম্যানেজার উত্তম মন্ডল, রেডিও মহানন্দার সহকারী স্টেশন ম্যানেজার রেজাউল করিম, স্থানীয় চিকিৎসক মশিউল করিম, এসএসবিসি প্রকল্পের কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর তোহরুল ইসলাম, সরকারি ও বেসরকারি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারীরা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সভায় বাল্যবিবাহ ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধ, শিশুর অধিকার নিশ্চিতকরণ, বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি, অপ্রয়োজনীয়ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক এবং এ বিষয়ে অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকদের করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক, কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী এবং বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা সবাই মিলে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শিবগঞ্জে কৃষকদের মাঝে গম বীজ, সার ও বীজ সংরক্ষণ পাত্র বিতরণ

শিবগঞ্জে কৃষকদের মাঝে গম বীজ, সার ও বীজ সংরক্ষণ পাত্র বিতরণ শিবগঞ্জ উপজেলায় রবি মৌসুম ২০২৫-২৬-এ গমের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। বিকেলে উপজেলা কৃষি অফিস প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক আহমেদ ৭৫ জন কৃষকের হাতে গম বীজ, বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার ও বীজ সংরক্ষণ পাত্র তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নয়ন মিয়া, ভেটেরিনারি সার্জন আবু ফেরদৌস, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে প্রত্যেক কৃষককে ২০ কেজি গম বীজ, ৩৫ কেজি ইউরিয়া, ২০ কেজি টিএসপি, ১৮ কেজি এমওপি, ১৭ কেজি জিপসাম, ১ কেজি জিংক, ১ কেজি বোরণ, ৩টি বীজ সংরক্ষণ পাত্র এবং একটি করে সাইনবোর্ড প্রদান করা হয়। কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের আধুনিক ও পরিকল্পিতভাবে গম চাষে উদ্বুদ্ধ করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। তারা আশা প্রকাশ করেন, এ উদ্যোগের ফলে চলতি মৌসুমে শিবগঞ্জ উপজেলায় গমের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের বার্ষিক সাধারণ সভা

জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের বার্ষিক সাধারণ সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে শহরের একটি রেস্টুরেন্টের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সভায় সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন। শুরুতে সংগঠনের কার্যক্রম তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান ও এরফান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আকবর হোসেন, সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভা সঞ্চালনা করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম সেন্টু। সাধারণ সভায় সংগঠনের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজ উদ্দিন। এ সময় সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের নিজস্ব জমিতে একটি নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচনায় আসে। সভায় উপস্থিত সদস্যরা সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে বিভিন্ন মতামত ও প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
শিবগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে নেশাজাতীয় সিরাপ জব্দ

শিবগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে নেশাজাতীয় সিরাপ জব্দ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে নেশাজাতীয় সিরাপ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে এসব সিরাপ উদ্ধার করা হয়। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি বিষয়টি নিশ্চিত করে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাকারবারীরা বিজিবির নজর এড়াতে বিভিন্ন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। তবে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যদের নিয়মিত ও সতর্ক অভিযানের কারণে এসব অপতৎপরতা সফল হচ্ছে না। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধীন সোনামসজিদ ও তেলকুপি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে আনুমানিক ৩০ থেকে ৫০ গজের মধ্যে প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়কজাত অবস্থায় ফেন্সিডিলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত ১৩৮ বোতল ভারতীয় চকোপ্লাস এবং ৪৮ বোতল ভারতীয় নেশাজাতীয় এসকাফ ডিএক্স সিরাপ জব্দ করতে সক্ষম হয় বিজিবি সদস্যরা। অভিযানের সময় চোরাকারবারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বিজিবি জানায়, সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনে এই ব্যাটালিয়নের অভিযানে শিবগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে বিভিন্ন ধরনের মোট ৩৮৫ বোতল নেশাজাতীয় সিরাপ জব্দ করা হয়েছে।
নাচোলের সুমাইয়া ল্যাঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের জাতীয় মঞ্চে

নাচোলের সুমাইয়া ল্যাঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের জাতীয় মঞ্চে নিজের মেধা, অধ্যবসায় ও শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতায় সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও অসাধারণ সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মোসা. সুমাইয়া আক্তার জুঁই। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার সোনাইচন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থী সম্প্রতি ল্যাঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে বিদ্যালয় ও এলাকার মুখ উজ্জ্বল করেছে। সুমাইয়া আক্তার জুঁই বর্তমানে সোনাইচন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং শ্রেণিতে রোল নম্বর ১। রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে অনুষ্ঠিত ‘ল্যাঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড ২০২৬’-এর আঞ্চলিক পর্বে অংশ নিয়ে সে রাজশাহী অঞ্চলের ‘ক’ বিভাগে মনোনীত হয়। এর ফলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পর্যায়ের মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে সে। ল্যাঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড মূলত ভাষাকে একটি বুদ্ধিবৃত্তিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী ও ভাষাগত দক্ষতা বিকাশের একটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (আমাই) মাতৃভাষা চর্চা ও ভাষাবিজ্ঞানের প্রসারে নিয়মিতভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় সুমাইয়া তার তীক্ষ্ণ চিন্তাশক্তি ও বিশ্লেষণধর্মী দক্ষতার মাধ্যমে কঠিন প্রশ্নসমূহ সফলভাবে মোকাবিলা করে ঢাকার পর্বে উত্তরণ নিশ্চিত করে। তার এই সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং বিদ্যালয় ও পুরো নাচোল উপজেলার জন্য এক গর্বের অর্জন। সুমাইয়ার পরিবার সাধারণ হলেও তার স্বপ্ন অনেক বড়। সে ভবিষ্যতে একজন চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চায়। নিয়মিত পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি নিজের লক্ষ্য অর্জনে সে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সোনাইচন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম সুমাইয়ার সাফল্যে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “সুমাইয়া অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী একজন শিক্ষার্থী। তার স্বপ্ন পূরণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবসময় পাশে আছে। আমরা আশাবাদী, ঢাকার জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায়ও সে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখবে।” আগামী ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য মূল প্রতিযোগিতায় সুমাইয়ার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, সহপাঠী ও এলাকাবাসী তার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। সবার প্রত্যাশা—নিজের মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সুমাইয়া জাতীয় পর্যায়েও সাফল্য অর্জন করবে এবং ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
২০০ টাকায় বিপিএল দেখার সুযোগ, সর্বোচ্চ টিকিট ২ হাজার

২০০ টাকায় বিপিএল দেখার সুযোগ, সর্বোচ্চ টিকিট ২ হাজার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসর শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে এবারের বিপিএলের। আসর শুরুর আগেই সিলেট পর্বের টিকিটের মূল্য তালিকা প্রকাশ করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। ঘোষিত মূল্য অনুযায়ী, মাত্র ২০০ টাকায় গ্রিন গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা। সবচেয়ে বেশি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের জন্য, যার মূল্য ২ হাজার টাকা। এছাড়া ক্লাব হাউজের টিকিট ৫০০ টাকা, শহীদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ডের টিকিট ২৫০ টাকা এবং শহীদ তুরাব স্ট্যান্ডের টিকিট ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্লাব হাউজের জিরো ওয়েস্ট জোনে বসে খেলা দেখতে খরচ হবে ৬০০ টাকা। রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে শুরু হচ্ছে সিলেট পর্বের টিকিট বিক্রি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্ধারিত ওয়েবসাইট www.gobcbticket.com.bd থেকে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন দর্শকরা। এবার মাঠে এসে সরাসরি টিকিট কেনার কোনো ব্যবস্থা থাকছে না। অনলাইনে কেনা টিকিট দেখালেই প্রবেশ করা যাবে স্টেডিয়ামে। সূচি অনুযায়ী, উদ্বোধনী দিনে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে সিলেট টাইটান্স ও রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। একই দিনে দ্বিতীয় ম্যাচে নবাগত দল নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে মাঠে নামবে চট্টগ্রাম রয়্যালস। ছয় দলের এই টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে দেশের তিনটি ভেন্যুতে—সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকা। মোট ৩৪ ম্যাচের মধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম ভেন্যুতে হবে ১২টি করে ম্যাচ। বাকি ১০টি ম্যাচ, যার মধ্যে এলিমিনেটর, কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল রয়েছে, অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ২৬ ডিসেম্বর শুরু হওয়া সিলেট পর্ব শেষ হওয়ার পর ৫ জানুয়ারি শুরু হবে চট্টগ্রাম পর্ব। এরপর ১৬ জানুয়ারি ঢাকা পর্ব দিয়ে টুর্নামেন্টের শেষ ধাপে প্রবেশ করবে বিপিএল। ১৯ জানুয়ারি এলিমিনেটর ও প্রথম কোয়ালিফায়ার, ২১ জানুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার এবং ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোর জন্য রিজার্ভ ডেও রাখা হয়েছে। সিলেট পর্বের টিকিট মূল্য: গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড: ২,০০০ টাকা ক্লাব হাউজ: ৫০০ টাকা ক্লাব হাউজ (জিরো ওয়েস্ট জোন): ৬০০ টাকা শহীদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ড: ২৫০ টাকা শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড: ২০০ টাকা গ্রিন গ্যালারি: ২০০ টাকা
চোখের সাধারণ কিছু সমস্যায় যা করবেন

চোখের সাধারণ কিছু সমস্যায় যা করবেন চোখ দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এ অঙ্গে সাধারণত যে ধরনের অসুখ হয়, তা হলো- এক চোখে ডাবল ভিশন হলে দেখতে হবে, চোখের ছানি পড়েছে কিনা। দুচোখেও ডাবল ভিশন হতে পারে। যেমন- চোখের এক বা একাধিক মাংসপেশির দুর্বলতা, কিছু বিশেষ ধরনের ব্রেইন টিউমার, কিছু ক্ষেত্রে পক্ষাঘাত। এ ক্ষেত্রে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে হবে। চোখ কাঁপা : ক্লান্তি, শরীরে লবণের ঘাটতি, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এ রোগ হয়। রোগটি আপনাআপনি সেরে যায়। ১০-১৫ দিন পরও সমস্যা থেকে গেলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া প্রয়োজন। চোখ বড় হয়ে ঠিকরে বেরিয়ে আসা : এ রোগ হতে পারে থাইরয়েডের সমস্যা হলে, চোখের পেছনে বা অপটিক নার্ভে টিউমার হলে। হলে দ্রুত চক্ষুরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিড়াল চোখ : এ রোগে রোগীর চোখ অন্ধকারে বিড়ালের চোখের মতো জ্বলজ্বল করে। চোখ হয় আকারে বড়। শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসককে দেখাতে হবে। চোখে আলোর ঝলকানি : চোখের সামনে থেকে থেকে আলোর ঝলক, কালো বিন্দু বা কালো ঝুলের মতো কিছু ঘুরে বেড়ায়। হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- রেটিনা ডিটাচমেন্ট। এ ক্ষেত্রে চোখ পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। চিকিৎসককে সমস্যার কথা জানাতে হবে। চোখের মণিতে সাদা দাগ : রোগটি হওয়ার কারণ হলো- কার্নিয়াল আলসার সেরে যাওয়ার পর অনেক সময় মণিতে সাদা দাগ থেকে যায়। চোখে আঘাত লাগলেও এ রকম হতে পারে। সাদা দাগ মণির একেবারে মাঝখানে হলে দৃষ্টিশক্তি থাকে না। একমাত্র কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করেই অবস্থা সামলানো যায়। মণির অন্যত্র সাদা দাগ থাকলে দেখতে কোনো অসুবিধা হয় না ঠিকই, কিন্তু সৌন্দর্যে ঘাটতি হয়। সমস্যা সামলাতে দুটি রাস্তা খোলা আছে- রঙিন কনট্যাক্ট লেন্স এবং উল্কি। উল্কির রঙ বছর তিনেক থাকে। তারপর আবার রঙ করাতে হয়। তবে যা-ই করুন, চোখের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেই সব করতে হবে। বয়স্কদের চশমা পরে আবছা দেখা : ছানি বা চোখের অন্য কোনো অসুখে এমন হচ্ছে কিনা, চিকিৎসককে দেখে নিশ্চিত হোন। চোখের অসুখ না থাকলে দৃষ্টিশক্তি কমার কারণ অপটিক নার্ভের জড়া। এ অবস্থায় পড়াশোনা করতে হলে ঘরে বেশি আলোর ব্যবস্থা করুন। পড়ুন আলোর দিকে পেছন ফিরে বসে। আতস কাচের সাহায্যে লেখা বড় করে নিতে পারেন। লাইনের ওপর স্কেল রেখে পড়লে সুবিধা হবে। চোখে কম দেখায় এ রোগে আক্রান্তরা মাঝে মধ্যে এখানে সেখানে পড়ে যান। এ জন্য সাবধান হতে হবে। যেমন- খাট, চেয়ার, সোফা ইত্যাদির উচ্চতা কমিয়ে ফেলুন। উচ্চতা এমন হবে, যাতে বসলে পা মাটিতে ঠেকে। সিঁড়ির এক পাশে সাদা রঙ করে সেদিকের রেলিং ধরে ওঠানামা করতে পারেন। চোখের নিচে কালি : আঘাত কিংবা অন্য সমস্যায় চোখের চারপাশ কালশিটে হতে পারে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয়, সে জন্য সবুজ শাকসবজি, পানি পান করতে হবে। মন দুশ্চিন্তামুক্ত রাখুন। রাতে ঠিকমতো ঘুম ঘুমাবেন। ডা. মো. ছায়েদুল হক লেখক : চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন অধ্যাপক, মার্কস মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা
যেকোনো পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকার উপায়

যেকোনো পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকার উপায় জীবনে যেকোনো সময় যেকোনো ঝড় আসতে পারে। ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার কিংবা কর্মক্ষেত্রেও নেতিবাচক পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। এমন প্রতিকূল ও নেতিবাচক পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়া চলবে না। বরং ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তা মোকাবেলা করতে হবে। আপনি যদি মানসিকভাবে শক্তিশালী হোন, তাহলে যেকোনো সংকট দৃঢ়তার সঙ্গে পাড়ি দিতে পারবেন। যেভাবে মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার চর্চা করবেন ধৈর্যের বিকল্প নেই : ধৈর্যশীল ব্যক্তিরা কখনো হতাশা হন না। জীবনে যত বড় ঝড় আসুক না কেন, ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলা করুন। ধৈর্য আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের প্রতি অবিচল রাখবে। একইসঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ : অনুকূল-প্রতিকূল সব ধরনের পরিস্থিতিতে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নিজের আবেগ ও প্রতিক্রিয়াগুলো সচেতনভাবে বুঝতে পারলে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে অনেক চাপের মধ্যেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। একইসঙ্গে উপযুক্ত সমাধান খুঁজে বের করতে পারবেন। অধ্যবসায় : পরাজয় বা ব্যর্থতায় ভেঙে পড়া যাবে না। বরং দৃঢ় থাকুন এবং পুনরায় চেষ্টা করুন। মানসিকতা। মনে রাখবেন, অধ্যবসায়ী ব্যক্তিরা সহজে হাল ছাড়েন না। তারা লক্ষ্য অর্জনের জন্য বারবার চেষ্টা করেন। আত্মবিশ্বাস : আপনি যদি নিজের জায়গায় সৎ থাকেন, তাহলে আত্মবিশ্বাসী হোন। নিজের সামর্থ্য ও শক্তির উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। কারণ আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিরা তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ভয় পায় না। ইতিবাচক চিন্তা : প্রতিকূল পরিবেশে ইতিবাচক চিন্তা আপনাকে অনেক দূর এগিয়ে নেবে। তাই ইতিবাচক থাকুন আর নেতিবাচক চিন্তাগুলো মাথা থেকে দ্রুত দূর করে দিন। মেডিটেশন : নিয়মিত মেডিটেশন করলে মন শান্ত হয় এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। যেকোনো সংকটে নিজেকে শান্ত রাখার জন্য মেডিটেশন করুন। চাইলে নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করুন। ব্যায়াম : নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এতে শরীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকবে। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে এন্ডরফিন নামক রাসায়নিক নিঃসরণ হয়, যা মেজাজ ভালো করে এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে।