শিশুদের খর্বাকৃতির কারণ ও প্রতিকার

শিশুদের খর্বাকৃতির কারণ ও প্রতিকার শিশুদের খর্বাকৃতি বা short stature বলতে বয়স অনুযায়ী উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় কম হওয়াকে বোঝায়। কোনো শিশুর উচ্চতা যদি তৃতীয় পারসেন্টাইলের নিচে থাকে, তবে তাকে খর্বাকৃতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খর্বাকৃতি দুই ধরনের-স্বাভাবিক ভেরিয়েন্ট ও প্যাথলজিক্যাল। স্বাভাবিক ভেরিয়েন্ট খর্বাকৃতির কারণ বংশগত বা গঠনগত হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বংশগত কারণই প্রধান; এ ক্ষেত্রে পরিবারে মা-বাবা বা ভাইবোন খাটো হলে শিশুও খর্বাকৃতির প্রবণতা নিয়ে বেড়ে ওঠে। একে বলা হয় ফ্যামিলিয়াল খর্বাকৃতি। গঠনগত খর্বাকৃতির ক্ষেত্রে শৈশবের বৃদ্ধি স্বাভাবিকের তুলনায় ধীরগতির হয় এবং বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন দেরিতে দেখা দেয়। তবে এই ধরনের শিশু পরে প্রায় স্বাভাবিক উচ্চতায় পৌঁছায়। অন্যদিকে, প্যাথলজিক্যাল খর্বাকৃতি বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগ, হরমোনজনিত সমস্যা, অপুষ্টি, সিনড্রোম এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে দেখা দিতে পারে। হাঁপানি, জন্মগত হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, লিভার বা কিডনির রোগ, থ্যালাসেমিয়া, রিকেটস ও সিস্টিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। দীর্ঘদিন স্টেরয়েড গ্রহণ করলেও বৃদ্ধি কমে যায়। থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি, গ্রোথ হরমোনের স্বল্পতা কিংবা কুশিং সিনড্রোমের মতো হরমোনজনিত সমস্যাও শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে। দীর্ঘমেয়াদি অপুষ্টি শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধিকে দমিয়ে দেয়; পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ না পেলে তারা পূর্ণ সক্ষমতা অনুযায়ী বাড়তে পারে না। জন্মকালীন অপুষ্টি বা ওটএজ মায়ের স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা ভ্রƒণের জটিলতার কারণে হয়ে থাকে। এছাড়া ডাউন সিনড্রোম, টার্নার সিনড্রোম ও অ্যাকন্ড্রোপ্লাসিয়ার মতো সিনড্রোমিক অবস্থায়ও বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। পারিবারিক অশান্তি, বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ বা দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ শিশুর শারীরিক বৃদ্ধিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বংশগত ও গঠনগত খর্বাকৃতির ক্ষেত্রে সাধারণত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না; যথাযথ কাউন্সেলিংই যথেষ্ট। দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত শিশুর ক্ষেত্রে মূল কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিলে বৃদ্ধির হার স্বাভাবিকের দিকে ফিরে আসে। হরমোনজনিত সমস্যায় থাইরয়েড হরমোন বা গ্রোথ হরমোন প্রয়োগ করা হয়। অপুষ্টি প্রতিরোধে শৈশব থেকেই শিশুর পুষ্টির প্রতি নজর দেওয়া জরুরি এবং গর্ভাবস্থায় মায়ের নিয়মিত যত্ন নিলে জন্মকালীন অপুষ্টি কমানো যায়। টার্নার সিনড্রোমে গ্রোথ হরমোন থেরাপির মাধ্যমে উচ্চতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। মানসিক চাপজনিত সমস্যায় শিশুকে চাপমুক্ত পরিবেশে বড় করা এবং প্রয়োজনে কাউন্সেলিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে গর্ভাবস্থায় মায়ের পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা, শৈশবে সুষম খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। রোগ নির্ণয়, সঠিক চিকিৎসা, নিয়মিত চেকআপ ও বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে খর্বাকৃতি শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। খর্বাকৃতি শিশু প্রায়ই সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয় এবং হীনমন্যতায় ভোগে। তাই অভিভাবক ও সমাজের অন্যদের সচেতনতা অত্যন্ত প্রয়োজন।
শীতে প্রতিদিন অল্প করে ঘি খান

শীতে প্রতিদিন অল্প করে ঘি খান বিভিন্ন ধরনের খাবারকে সুস্বাদু করার কাজে ব্যবহার করা হয় ঘি। আসলেই কি ঘি-এর কাজ এখানেই শেষ? শীতের সময়ে যদি প্রতিদিন অল্প করে ঘি খান, তাহলে শরীরে কী ঘটতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘি উষ্ণতা প্রদান করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক এবং জয়েন্টগুলোকে শক্তিশালী করে শীতকালীন শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখে। শীতকালে ঘি কীভাবে আমাদের শরীরের সেরা সঙ্গী হয়ে ওঠে, চলুন জেনে নেওয়া যাক- উষ্ণতা এবং শক্তি প্রদান করে ঘি স্বাস্থ্যকর স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ যা অভ্যন্তরীণ তাপ উৎপন্ন করে। অতএব, যারা অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা, শীতকালে ক্ষুধা না লাগা বা অলসতায় ভোগেন তাদের জন্য এটি খুবই কার্যকর। অল্প পরিমাণে খেলে শক্তির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা দিনের বেলায় আপনাকে সচল রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শীতকালে সংক্রমণও বেশি হয়ে থাকে, তাই আমাদের শরীরের শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘি-য়ে বিউটাইরেট থাকে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সুস্থ অন্ত্র সরাসরি উন্নত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত। বিউটাইরেট প্রদাহ কমায় এবং অন্ত্রের আস্তরণকে সাহায্য করে, যা শরীরকে ভালোভাবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ত্বক এবং চুলের জন্য চমৎকার বাতাসে আর্দ্রতার অভাবের কারণে শুষ্ক, খসখসে ত্বক এবং ভঙুর চুল শীতকালে সাধারণ অভিযোগ। ঘি-য়ে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা শরীরকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ঘিকে একটি রসায়নও বলা হয়, যার অর্থ উজ্জ্বল ত্বকের জন্য একটি পুনরুজ্জীবিত অমৃত। জয়েন্টের ব্যথা এবং প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয় ঠান্ডা আবহাওয়া জয়েন্টের শক্ত হওয়া এবং শরীরের ব্যথার সমস্যাকে আরও খারাপ করে। কিন্তু ঘি-তে প্রাকৃতিক লুব্রিকেটিং গুণ রয়েছে, যা গতিশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শীতকালে এই পণ্যটির প্রতিদিনের ব্যবহার জয়েন্টের কাঠিন্য হ্রাস করে এবং পুষ্টি জোগায়। পুষ্টির শোষণ বৃদ্ধি করে অনেক শীতকালীন সবজি, যেমন গাজর, পালং শাক, সরিষার শাক, চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে থাকে। স্বাস্থ্যকর চর্বি ছাড়া আমাদের শরীর এই ভিটামিনগুলো শোষণ করতে পারে না। ঘি পুষ্টির শোষণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং খাবারকে আরও কার্যকরী করে তোলে।
আমার ক্যারিয়ার দুর্ঘটনার মতো, কেন বললেন শাহিদ কাপুর

আমার ক্যারিয়ার দুর্ঘটনার মতো, কেন বললেন শাহিদ কাপুর বলিউডের তারকা সন্তানদের মধ্যে অন্যতম শাহিদ কাপুর। তবে তার বেড়ে ওঠা ছিল একটু ভিন্ন। কারণ, মাত্র তিন বছর বয়সে মা-বাবার বিচ্ছেদ হওয়ায় সম্পূর্ণ নিজের পরিচয়েই তাকে বড় হতে হয়েছে। এমনকি ইন্ডাস্ট্রির বেশিরভাগ মানুষ জানতেন না শাহিদ প্রখ্যাত অভিনেতা পঙ্কজ কাপুরের ছেলে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনের ভারসাম্য ও বাবা-মায়ের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তারকা সন্তানের পরিচয়ে সুবিধা পাওয়া বিষয়টি তুলে শাহিদ কাপুর বলেন, ‘অনেকে ভাবেন আমি পঙ্কজ কাপুরের ছেলে বলেই অভিনেতা হয়েছি। কিন্তু আমার তিন বছর বয়সেই বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। খুব ছোট ছিলাম, তাই তেমন কিছু মনে নেই। সত্যি কথা বলতে বাবার সঙ্গে খুব কম সময় কাটিয়েছি, মানুষ জানতই না আমি তাঁর ছেলে। কখনো বাবার নাম ব্যবহার করিনি। মায়ের সঙ্গে বড় হয়েছি। সবকিছুই নিজের চেষ্টায় হয়েছে। আমি বাবার কাছে কখনো সাহায্য চাইনি, তিনিও কখনো কারও সঙ্গে কথা বলে আমাকে কাজ পাইয়ে দেননি। অভিনেতা পঙ্কজ কাপুর এবং নীলিমা আজিমের সন্তান হলেও কখনো ভাবেননি তিনি নিজেও অভিনয়ে আসবেন। অভিনয়ে আসার বিষয়টি দুর্ঘটনা হিসেবে দেখেন শাহিদ। তিনি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারটা আসলে দুর্ঘটনার মতো। নাচ হোক বা অভিনয়, কিছুই পরিকল্পনা করে হয়নি। প্রথম কাজ পাওয়ার স্মৃতি উল্লেখ করে শাহিদ বলেন, ‘ছোটবেলায় নাচের প্রতি আগ্রহ ছিল, তাই ক্লাস করতাম। আমার শিক্ষক আমার নাচ পছন্দ করতেন, সেখান থেকেই আয় শুরু হলো। অভিনয়ের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা। এক বন্ধুর সঙ্গে অডিশনে গেলে বিজ্ঞাপন নির্মাতারা আমাকে দেখে অডিশন নিতে বলেন। আমি বড় একটি বিজ্ঞাপন পেয়ে যাই, যেখানে শাহরুখ খান আর রানি মুখার্জি ছিলেন। ওই বিজ্ঞাপনই আমার পথ খুলে দেয়। কাজ আসতে শুরু করে। কিছুই পরিকল্পিত ছিল না। ব্যক্তিগত–পেশাদার জীবনের ভারসাম্য নিয়ে শাহিদ বলেন, ‘২২ বছর হয়ে গেছে কাজ করছি। এখন চেষ্টা করি যেন কাজের বিষয়গুলো ঘরে না আনি। বাড়িতে ফিরলেই আমি বাবা, স্বামী, ছেলে-এই ভূমিকাগুলোই পালন করি। পেশাদার জীবন বা তারকাখ্যাতি কখনোই ব্যক্তিগত জায়গায় আনা উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘যখন আমি আমার সন্তানদের সঙ্গে থাকি, সেই সময়টাকে খুব উপভোগ করি। ক্লান্ত লাগলেও সেটা গুরুত্ব দিই না-ওরা আমার সন্তান, বুঝে নেবে। ভবিষ্যতে বড় হলে ওরাও এসব বুঝতে পারবে। স্ত্রী মীরার প্রসঙ্গে শাহিদ জানান, ‘মীরা খুবই সহায়ক। আমাকে খুব ভালোভাবে বোঝে। আমাদের একটা নিয়ম আছে-বাড়িতে থাকলে কাজের কথা বলা যাবে না। খুবই কম সময় আমরা সিনেমা বা কাজের আলোচনা করি। সন্তান লালনপালনের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গির কথাও জানান শাহিদ। তার কথায়, ‘আমি বিশ্বাস করি, সন্তানদের ওপর বাবা-মায়ের অসম্পূর্ণ স্বপ্ন চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। বাবা হিসেবে আমি আমার সন্তানদের ভালো গুণগুলোকে লালন করতে চেষ্টা করি এবং তাদের নিজেদের লক্ষ্য খুঁজে নিতে উৎসাহ দিই। আমি সবসময় চেষ্টা করি যেন আমার তারকা-পরিচয় তাদের ওপর কোনো ছাপ না ফেলে। ‘কারো ছেলে’ হয়ে বড় হওয়া উচিত নয় নিজের পরিচয় থাকা প্রয়োজন।’ সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বয়স, শিক্ষাদীক্ষা, অর্থ-সম্পদে স্বামীর চেয়ে এগিয়ে সামান্থা

বয়স, শিক্ষাদীক্ষা, অর্থ-সম্পদে স্বামীর চেয়ে এগিয়ে সামান্থা অভিনেতা নাগা চৈতন্যকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সামান্থা রুথ প্রভু। ২০২১ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। সামান্থার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালারের সঙ্গে সম্পর্ক জড়ান নাগা চৈতন্য; পরে তারা সাতপাকে বাঁধা পড়েন। তবে দীর্ঘদিন একা ছিলেন সামান্থা। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন প্রকাশ্যে আসে। রাজ-সামান্থার প্রেম নিয়ে নানা ধরনের কানাঘুষা শোনা গেলেই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন এই জুটি। সোমবার (১ ডিসেম্বর) গোপনে বিয়ে করেন তারা। এদিন দুপুরে বিয়ের ছবি প্রকাশ করে সবাইকে চমকে দেন সামান্থা। তারপর থেকে আলোচনায় রয়েছেন এই যুগল। এ জুটির বয়সের ব্যবধান, পড়াশোনা, অর্থ-সম্পদের পরিমাণ নিয়েও চলছে চর্চা। চলুন এক নজরে দেখে নিই, রাজ-সামান্থার আড়ালের গল্প— কার অর্থ-সম্পদ বেশি? ডেইলি জাগরণ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাজ নিদিমোরুর মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৫–৮৯ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১২-১২১ কোটি টাকা)। রাজ একাধারে পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। প্রতি সিনেমার জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক নেন, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা যায়নি। ফলে ধারনা করা হয়, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে এই অর্থ আয় করেছেন রাজ। ভারতের দক্ষিণী সিনেমার সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেত্রীদের তালিকায় এক সময় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন তেলেগু সিনেমার এই অভিনেত্রী। তবে বিবাহবিচ্ছেদ-শারীরিক অসুস্থতা পিছিয়ে দেয় তাকে। মানি কন্ট্রোলের তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী সামান্থা রুথ প্রভুর মোট সম্পদের পরিমাণ ১০০-১১০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৬-১৪৯ কোটি টাকা)। সাধারণত, প্রতি সিনেমার জন্য ৩-৮ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন সামান্থা। তবে ‘সিটাডেল: হানি বানি’-এর জন্য ১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। সিনেমা, ওটিটি সিরিজ, বিজ্ঞাপন থেকে এসব অর্থ আয় করেছেন সামান্থা। তাছাড়া ব্যবসায়েও বিনিয়োগ করেছেন এই অভিনেত্রী। সামান্থা-রাজের বয়সের ব্যবধান কত? ১৯৮৭ সালের ২৮ এপ্রিল চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন সামান্থা রুথ প্রভু। তার বয়স এখন ৩৮ বছর। অন্যদিকে, রাজ নিদিমোরু ১৯৭৯ সালের ৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স এখন ৪৬ বছর। সামান্থার চেয়ে ৮ বছরের বড় রাজ। বয়সের ব্যবধান ৮ বছর হলেও এ দম্পতির মাঝে বোঝাপড়া দারুণ বলে জানা গেছে। রাজ-সামান্থার শিক্ষাদীক্ষা রাজ নিদিমোরু অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতিতে তেলুগু-ভাষী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এসভিইউ কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বি. টেক ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এই পরিচালক। তবে এসব ছেড়ে রুপালি জগতে মন দিয়েছেন এই নির্মাতা। তামিল নাড়ুর মাদ্রাজে জন্মগ্রহণ করেন সামান্থা রুথ প্রভু। তার বাবা জোসেফ প্রভু, মা নাইনেট। সামান্থার বাবা জোসেফ প্রভু তেলেগু অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান। আর তার মা নাইনেট সিরিয়ান মালায়ালি। সামান্থা ছাড়াও এ দম্পতির আরো দুটো পুত্রসন্তান রয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে মারা যান সামান্থার বাবা জোসেফ। হলি অ্যাঞ্জেলস অ্যাংলো ইন্ডিয়ান হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সামান্থা। ২০২০ সালে ক্লাস টেনের নম্বরপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। কারণ গণিতে ১০০, পদার্থ বিজ্ঞানে ৯৫, ইংলিশে ৯০, বোটানিতে ৮৪, ইতিহাসে ৯১ এবং জিওগ্রাফিতে ৮৩ নম্বর পেয়েছিলেন সামান্থা। পরবর্তীতে চেন্নাইয়ের স্টেলা মেরিস কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। আরো উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন সামান্থা। কিন্তু কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় তা আর সম্ভব হয়নি।
অপু বিশ্বাস শাকিব খানের পরামর্শ মেনে চলেন

অপু বিশ্বাস শাকিব খানের পরামর্শ মেনে চলেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। ওজন কমিয়ে নিজের পরিবর্তিত রূপে ইতোমধ্যেই ভক্তদের নজর কাড়তে শুরু করেছেন তিনি। সম্প্রতি অপু বিশ্বাস তার পেশাগত জীবন, নতুন সিনেমা ও সোশ্যাল মিডিয়ার নানা বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এই সময় তিনি স্পষ্ট করেছেন, পেশাগত জায়গায় ব্যক্তিজীবন নিয়ে এমন কোনো মন্তব্য করতে চান না, যা বিতর্ক তৈরি করে। অপু বিশ্বাস জানান, ‘আমি এমন কোনো কথা বলতে চাই না, যা বারবার আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বা বিতর্কের মুখে ফেলবে। মিডিয়ায় এমন কোনো বিষয় আমি উত্থাপন করব না, যা আমার পেশাগত জীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। নিজের পরিবর্তিত চেহারার রহস্য নিয়েও নায়িকা বলেন, ‘আমি মনে করি, মানুষ ভালোবাসা পেলে সুন্দর হয়। আমি আমার ভক্ত ও ভালোবাসার মানুষদের ভালোবাসা পেয়ে সুন্দর হয়েছি। ডিসেম্বর মাসে অপু বিশ্বাসের নতুন সিনেমা ‘সিক্রেট’-এর শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এটি একটি রোমান্টিক-অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ছবি। ছবিতে নায়ক হিসেবে থাকছেন আদর আজাদ। নতুন এই প্রজেক্টে কাজ করতে যাওয়ার আগে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে কথা হয়, যেখানে তিনি জানান, সাময়িক বিরতির পর নতুন উদ্যমে কাজে ফিরছেন। সাক্ষাৎকারে অপু আরও বলেন, ‘এমন কোনো কথা আমি আপনাদের বলে বিতর্ক সৃষ্টি করব না, যেটা দিয়ে বারবার আমাকেই আপনারা তীর ছুড়ে দেবেন। তাই আমার কাছে মনে হয় যে এমন কোনো প্রশ্ন, এমন কোনো টপিক আমি মিডিয়াতে বলব না, যেটা আমাকেই বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করবে। অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিক অপু বিশ্বাসের ছেলে আব্রাহাম খান জয় ও তার বাবা চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রশ্নের উত্তরে হেসে অপু বিশ্বাস পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আচ্ছা, বাবা-ছেলের সম্পর্ক সত্যিকার অর্থে কেমন, এটা কোনো প্রশ্নের মধ্যে পড়ে? এরপরই ব্যক্তিজীবন নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন অপু বিশ্বাস। তিনি জানান, শাকিব খান তাকে ব্যক্তিজীবনের কথা পেশাগত জায়গায় না আনার পরামর্শ দিয়েছেন। নায়িকা বলেন, ‘আমাকে লিটারেলি আপনি যে মানুষটির নাম বললেন (শাকিব খান), উনি একজন স্বনামধন্য অভিনেতা। উনি যখন আপনাদের সামনে আসেন, তখন তিনি তার কাজের জায়গাটায়ই আপনাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি নিজেও আসলে আমাকে তিনিই বলেছেন যে, “তুমি যখন ক্যামেরার সামনে যাবা, তখন তুমি কিন্তু শুধু একজন অপু বিশ্বাস। তাই তুমি তোমার প্রফেশনটাকে উপস্থাপন করো, ব্যক্তিজীবনকে নয়। নতুন লুক, নতুন সিনেমা এবং নতুন উদ্যমের এই সংমিশ্রণই অপু বিশ্বাসের বর্তমান কর্মজীবনের চিত্র। দর্শক ও ভক্তরা এখন আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন কীভাবে তিনি এই নতুন অধ্যায়ে ফিরে আসবেন এবং বড় পর্দায় নতুন চমক দেখাবেন।
কড়াইল বস্তিবাসীর কাছে যে সিনেমার আয় যাবে

কড়াইল বস্তিবাসীর কাছে যে সিনেমার আয় যাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তির হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে। সেখানকার অনেক পরিবারের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে। তাদের সাহায্য করার উদ্যোগ নিয়েছে একদল তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা। একদিনের শোয়ের সব টাকা তারা পাঠাবেন কড়াইল বস্তিবাসীর সহায়তায়। আজ ২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দেশব্যাপী ‘দেলুপি’ সিনেমার সব শো-এর টিকেটের প্রযোজকের অংশের অর্থ চলে যাবে কড়াইল বস্তিবাসীর কাছে। দেলুপি টিমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতি পূরণের চেষ্টা নয়, বরং এটি তাদের সঙ্গে ‘দেলুপি’ টিমের একাত্মতা। সারা দেশে পাঁচটি হলে ৯টি করে শো চলছে ‘দেলুপি’র। কড়াইল বস্তিবাসীর প্রতি দেলুটিবাসীর ভালোবাসা ও সালাম জানিয়ে এই দুর্যোগে সবাই হাতে হাত ধরে পার করার আহব্বানও জানিয়েছেন তারা।‘দেলুপি’ দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিষেক হলো তরুণ নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলামের। এর আগে দুটি ওয়েব সিরিজ ‘শাটিকাপ’ ও ‘সিনপাট’ নির্মাণ করে দর্শক ও প্রযোজকের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। নিজের প্রথম সিনেমাটিও প্রযোজনা করেছেন নিজেরা, ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে। শিগগিরই নতুন সিনেমার ঘোষণা দেবে দলটি।
সংগীতশিল্পী ইমরান বাবা হলেন

সংগীতশিল্পী ইমরান বাবা হলেন বাবা হলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল। গত সোমবার ১ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ইমরানের স্ত্রী মেহের আয়াত জেরিন। এটি এই দম্পতির প্রথম সন্তান। আনন্দের খবরটি জানিয়ে সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল বলেন, “প্রথমবারের মতো বাবা হলাম। আল্লাহ আমাকে একটি সুন্দর সুস্থ কন্যাসন্তান উপহার দিয়েছেন। আমাদের ছোট্ট মেয়ের আগমন আমাদের জীবনকে আরো রঙিন করে দেবে ইন শা আল্লাহ। ২০২৩ সালের ২৪ মে পারিবারিক আয়োজনে মেহের আয়াত জেরিনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইমরান। স্ত্রী-সন্তানের জন্য দোয়া চেয়ে ইমরান মাহমুদুল বলেন, “সবাই দোয়া করবেন আমার স্ত্রী ও মেয়ের জন্য, আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ রাখেন আমিন। প্রিয় শিল্পীর বাবা হওয়ার খবরে আনন্দিত তার ভক্ত ও সহকর্মীরা। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার যেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, তেমনি অভিবাদনও জানিয়েছেন। সংগীতশিল্পী কর্ণিায়া লেখেন, “অভিনন্দন নতুন বাবা।” কণ্ঠশিল্পী পুতুল লেখেন, “অভিনন্দন কন্যার বাবা-মাকে। ছোট্ট রাজকন্যাকে অনেক আদর।” এমন অসংখ্য মন্তব্য কমেন্ট বক্সে ভেসে বেড়াচ্ছে। ২০০৮ সালে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন ইমরান মাহমুদুল। তারপর একক গান ও সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এক যুগের সংগীত ক্যারিয়ারে অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। প্রাপ্তির ঝুলিতে জমা পড়েছে বেশ কিছু পুরস্কার।