লিভার ড্যামেজের যে ৪ লক্ষণ অবহেলা করবেন না

লিভার ড্যামেজের যে ৪ লক্ষণ অবহেলা করবেন না   লিভারে সমস্যা হলে শরীরে তার লক্ষণ ফুটে ওঠে। ত্বকের বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ আসলে বিভিন্ন ধরনের এবং অন্তর্নিহিত প্যাথলজির জন্য সতর্কতা সংকেত হিসেবে কাজ করে। শুরুতেই শনাক্ত করা গেলে প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ণয় এবং সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। লিভারের রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত ত্বকের পরিবর্তন খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৪টি লক্ষণ সম্পর্কে- জন্ডিস (ত্বক এবং চোখ হলুদ হওয়া) কারও লিভারের রোগের সবচেয়ে স্বীকৃত লক্ষণের মধ্যে একটি হলো জন্ডিসের সূত্রপাত। এটি এমন অবস্থা যেখানে ত্বক এবং চোখের সাদা অংশ উভয়ই হলুদ হয়ে যায়। লিভার বিলিরুবিনকে কার্যকরভাবে প্রক্রিয়া করতে পারে না, যা লোহিত রক্তকণিকার ভাঙন। তখন বিলিরুবিন শরীরে জমা হয় এবং টিস্যুগুলোকে হলুদ করে ফেলে। জন্ডিস হালকা থেকে বেশ গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে। তাই এ ধরনের লক্ষণ ফুটে উঠলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী লিভার রোগের ফলে ত্বকে অস্বাভাবিক রক্তনালী পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। স্পাইডার অ্যাঞ্জিওমাস হলো ছোট, লাল মাকড়সার মতো রক্তনালী যা মুখ, ঘাড় এবং বুকে দেখা যেতে পারে। পালমার এরিথেমা হলো আরেকটি সম্পর্কিত অবস্থা যার সঙ্গে হাতের তালু লাল হয়ে যাওয়া এবং উষ্ণতা দেখা দেয়। উভয়ই হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং লিভারের কর্মহীনতার ফলে রক্ত ​​প্রবাহ বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। ত্বকে চুলকানি (প্রুরিটাস) প্রুরিটাস বা ফুসকুড়ি ছাড়া চুলকানি লিভারের রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিরক্তিকর লক্ষণ। এটি রক্তে পিত্ত লবণ জমা হওয়ার ফলে ঘটে কারণ লিভার স্বাভাবিকভাবে পিত্ত নিঃসরণ করতে পারে না। ত্বকে জমা পিত্ত লবণ প্রদাহ সৃষ্টি করে যে কারণে চুলকানির সৃষ্টি হয়। চুলকানি তীব্র এবং অবিরাম হতে পারে এবং এর ফলে জীবনের মান প্রভাবিত হয়। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তাই চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। হাইপার-পিগমেন্টেশন এবং নখের পরিবর্তন লিভারের রোগে ত্বকের বিভিন্ন রঞ্জক পরিবর্তনও দেখা দেয়, যার ফলে ত্বকে কালো দাগ দেখা দিতে পারে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের কারণে এটি ঘটে বলে মনে করা হয়। নখের বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন হতে পারে, যেমন টেরির নখ (সাদা নখ যার ডগায় গোলাপী রঙের সরু ব্যান্ড থাকে) অথবা মুয়ের্কের লাইন (নখ জুড়ে সাদা ব্যান্ড), উভয়ই লিভারের কার্যকারিতা এবং প্রোটিন বিপাক ব্যাহত করে।

হাঁটার জন্য আমাদের জুতা যেমন হওয়া উচিত

হাঁটার জন্য আমাদের জুতা যেমন হওয়া উচিত   হাঁটা এমন একটি দৈনন্দিন শারীরিক কার্যকলাপ, যা বয়স কিংবা পেশা অতিক্রম করে সবার জীবনে প্রয়োজন হয়ে ওঠে। কিন্তু নিয়মিত হাঁটা আরামদায়ক ও উপকারী করার জন্য সঠিক জুতা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত জুতা শুধু হাঁটাকে আরামদায়ক করে না, পায়ের ব্যথা কমায় ও বিভিন্ন আঘাতজনিত সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। তাই হাঁটার জুতা বেছে নেওয়ার সময় কিছু মৌলিক বিষয় বিবেচনায় রাখা জরুরি। প্রথমেই আসা যাক, জুতার সঠিক সাইজ বিষয়ে। জুতাটি হতে হবে এমন, যেন পায়ের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে খাপ খায়। আঙুলের সামনে সামান্য ফাঁকা জায়গা থাকা ভালো, যাতে হাঁটার সময় আঙুলে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। এরপর আসে জুতার ওজন। হাঁটার জন্য হালকা ওজনের জুতা সবচেয়ে ভালো। কারণ এটি চলাফেরায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে না এবং দীর্ঘক্ষণ হাঁটলেও ক্লান্তি বাড়ায় না। জুতার সোলের গঠনও গুরুত্বপূর্ণ। নিচের অংশ বা আউটসোল যদি রাবারের হয়, তাহলে গ্রিপ ভালো পাওয়া যায় এবং পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ার ভয় কম থাকে। ননসিøপ ডিজাইন রাস্তা বা মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে যায়। মাঝের অংশ বা মিডসোল পায়ের ওপর ধাক্কা বা কম্পনের চাপ কমিয়ে আরাম দেয়। ইভা ফোম বা জেল কুশন থাকলে দীর্ঘ সময় হাঁটলেও পায়ে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমে। ভেতরের অংশ বা ইনসোলে নরম কুশন থাকা উচিত, যাতে পায়ের তালুকে সাপোর্ট দেয় এবং চাপ কমায়। যাদের পায়ের সমস্যা আছে, তাদের জন্য অর্থোপেডিক ইনসোল ভালো সাপোর্ট দিতে পারে।অনেকের পায়ের তালুর বাঁক হয় কম বা বেশি। এমন ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের আর্চ সাপোর্ট থাকা জুতা নির্বাচন করতে হয়। একইভাবে গোড়ালিতে ভালো সাপোর্ট থাকলে দীর্ঘক্ষণ হাঁটলেও গোড়ালি ও হাঁটুর ওপর বাড়তি চাপ পড়ে না। জুতার ওপরের অংশ এমন উপাদানে তৈরি হওয়া উচিত, যাতে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে। শ্বাসপ্রশ্বাস-নেওয়া সক্ষম জালযুক্ত কাপড় বা ক্যানভাস পা ঠান্ডা এবং ঘামমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। অনেক ক্ষেত্রে মানসম্মত সিনথেটিক লেদারও আরামদায়ক হতে পারে। হিলের উচ্চতা খুব বেশি বা খুব কম হওয়া ক্ষতিকর। সাধারণত শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৫ ইঞ্চি হিল হাঁটার জন্য উপযোগী। সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট জুতা ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ তাতে পায়ের গঠনে চাপ পড়ে। জুতার সামনের অংশ সহজে বাঁকানো যায় কিনা, সেটিও বিবেচনা করা দরকার। খুব শক্ত এবং অনমনীয় জুতা হাঁটার স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট করে। হাঁটার জুতায় লেইস বা ভেলক্রো স্ট্র্যাপ থাকলে পায়ে ফিট করানো সহজ হয়। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য ভেলক্রো স্ট্র্যাপ বেশ সুবিধাজনক। দীর্ঘস্থায়ী ও ভালো মানের ব্র্যান্ডের জুতা নির্বাচন করলে তা দ্রুত নষ্ট হয় না এবং পায়ের প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দীর্ঘদিন ধরে বজায় থাকে। যাদের প্লান্টার ফ্যাসাইটিস বা হিল স্পারের সমস্যা আছে, তাদের জন্য বাড়তি আর্চ সাপোর্ট ও নরম হিল কুশন অপরিহার্য। ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে নরম, সেলাইবিহীন ইনসোল থাকা জুতা বেছে নেওয়া উচিত, যাতে ঘর্ষণে ক্ষত বা ফোসকা হওয়ার ঝুঁকি কমে। ফ্ল্যাটফুট থাকলে বিশেষ আর্চ সাপোর্টযুক্ত জুতা ব্যবহার করা জরুরি। সব মিলিয়ে যাদের পায়ের বিশেষ কোনো সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে জুতা নির্বাচন করাই সবচেয়ে নিরাপদ। ডা. এম ইয়াছিন আলী

পরীমণি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন

পরীমণি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি এখন একজন ব্যবসায়ী। নারী ও শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত তার ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘বডি’ ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে সবখানে। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব পরীমণি। বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়িকে ঘিরে নতুন উদ্যোগে নিলেন এই চিত্রনায়িকা। যার ঘোষণা দিলেন ফেসবুকে। ছুড়ে দিলেন ৩০ দিনের এক চ্যালেঞ্জ। ফেসবুকে পরী ঘোষণা দেন, ‘আজ থেকে আগামী ৩০ দিন শাড়ি পরার চ্যালেঞ্জ। আসো মনুরা।’ সেই সঙ্গে বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে মজা করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘যে ফেল করবা, সে সিলেট ঘুরতে নিয়ে যাবা। নায়িকার এই ঘোষণার পরপরই ভক্তদের মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক উচ্ছ্বাস। অনেকেই মন্তব্যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রীকে। শাড়ির প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ বাড়াতেই কি এই চ্যালেঞ্জ? নেটিজেনদের মতে, পরীমণির এই উদ্যোগ শাড়ি সংস্কৃতিকে আরও এগিয়ে দেবে। আমাদের সময়/ এসএ

যেটা বিতর্ক সৃষ্টি করবে এমন কোনো কথা বলতে চাই না 

যেটা বিতর্ক সৃষ্টি করবে এমন কোনো কথা বলতে চাই না   ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। সবকিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই শুরু হতে যাচ্ছে তার নতুন রোমান্টিক-অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ছবিটির শুটিং, যেখানে তার নায়ক হিসেবে দেখা যাবে আদর আজাদকে। এমন আবহের মাঝেই সম্প্রতি নিজের নতুন ছবি, পেশাগত জীবন ও সোশ্যাল মিডিয়ার নানা আলোচনা নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নায়িকা। এ সময় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আসা এক প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস স্পষ্ট করেন, পেশাগত জায়গায় ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে রাজি নন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার একই বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়া প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস জানান, তিনি এমন কোনো কথা বলতে চান না যা তাকে বারবার বিতর্কের মুখে ফেলবে। নায়িকার কথায়, ‘এমন কোনো কথা আমি আপনাদেরকে বলে বিতর্ক সৃষ্টি করব না, যেটা দিয়ে বারবার আমাকেই আপনারা তীর ছুড়ে দেবেন। সো আমার কাছে মনে হয় যে, এমন কোনো প্রশ্ন, এমন কোনো টপিক আমি মিডিয়াতে বলবো না, যেটা আমাকেই বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করবে। নিজের সুন্দর চেহারার রহস্য কী- এমন প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, মানুষ নাকি ভালোবাসা পেলে সুন্দর হয়। তো আমি মনে হয় আমার ভক্ত, দর্শক, ভালোবাসার মানুষের ভালোবাসা পেয়েই সুন্দর হয়েছি। অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিক অপু বিশ্বাসের ছেলে জয় ও শাকিব খানের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রশ্নের উত্তরে মৃদু হেসে অপু বিশ্বাস পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আচ্ছা, বাবা-ছেলের সম্পর্ক একচুয়ালি কেমন, এটা প্রশ্নের মধ্যে পড়ে?’ এরপরই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন অপু বিশ্বাস। তিনি জানান, শাকিব খান তাকে ব্যক্তিগত জীবনের কথা পেশাগত জায়গায় না আনার পরামর্শ দিয়েছেন। নায়িকা বলেন, ‘আমাকে লিটারেলি আপনি যে মানুষটির নাম বললেন (শাকিব খান), উনি একজন স্বনামধন্য অভিনেতা।  উনি যখন আপনাদেরকে ফেস করে, তখন উনি ওনার কাজের জায়গাটাই আপনাদের কাছে ফেস করে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি নিজেও আসলে আমাকে উনিই বলেছেন, যে তুমি যখন ক্যামেরার জায়গায় যাবা, তখন তুমি কিন্তু শুধু একজন অপু বিশ্বাস। সো তুমি তোমার প্রফেশনটাকে প্রেজেন্ট করো, ব্যক্তি জায়গা না।

পুরোনো জুটির নতুন রসায়ন

পুরোনো জুটির নতুন রসায়ন জিয়াউল হক পলাশ ও পারসা ইভানার রসায়ন সম্পর্কে নাটকের দর্শকরা ভালোই জানেন। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর এ জুটি ইতোমধ্যে ‘গুডবাজ’, ‘ব্যাডবাজ’, ‘বিদেশ’, ‘কিডনি’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছে। এবার তাদের দেখা যাবে একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে। পানীয় জাতীয় পণ্যের বিজ্ঞাপনে হাজির হচ্ছে এ জুটি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ৯ নম্বর ফ্লোরে সেট ফেলে এর দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। আম্রপালির ইতিহাসনির্ভর গল্পকে ভিত্তি করে বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন রাকেশ বসু। প্রেম, রাজনীতি ও রাজসভাকেন্দ্রিক সেই সময়কে আধুনিক বিজ্ঞাপনে রূপ দিয়েছেন তিনি। কনসেপ্টও তাঁর। নতুন বিজ্ঞাপনের কাজ নিয়ে পলাশ বলেন, ‘থিম বেজড বিজ্ঞাপনটির শুটিং হয়েছে বড় আয়োজনে। কনসেপ্টও দারুণ। যত্ন করে বিজ্ঞাপনটি বানিয়েছেন নির্মাতা। সব মিলিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা বেশ ভালো। পারসা ইভানা বলেন, ‘এই বিজ্ঞাপন আমার কাছে অন্য রকম অভিজ্ঞতা। চরিত্র, সাজসজ্জা সবকিছুই নতুন। রাজকীয় আমেজে শুটিং করেছি। আশা করছি, বিজ্ঞাপনটি দর্শকের পছন্দ হবে। রাকেশ বসু বলেন, ‘জিয়াউল হক পলাশ ও পারসা ইভানার সঙ্গে এটি আমার প্রথম কাজ। বড় রাজকীয় সেটে কাজ হলেও তারা বেশ মনোযোগী ছিলেন এবং দুজনকে সেই পিরিয়ডিক্যাল টোনে বেশ মানিয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই বিজ্ঞাপনচিত্রটি বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচারে আসবে বলে নির্মাতা জানিয়েছেন। পলাশ ও ইভানাকে সর্বশেষ দেখা গেছে নিটোল প্রেমের গল্পে নির্মিত ‘শেষমেশ’ নাটকে। এটি পরিচালনা করেছেন কাজল আরেফিন অমি। এতে পারসার বিপরীতে ছিলেন জিয়াউল হক পলাশ। অভিনয় ও মডেলিং নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটালেও পরিচালনায়ও সমান আগ্রহী পলাশ। সম্প্রতি তাঁর নির্মাণে একটি ফ্রুট ড্রিঙ্কসের বিজ্ঞাপন আলোচনায় আসে। তাঁর সর্বশেষ নির্মাণ ছিল ‘সন্ধ্যা সাতটা’। এরপর থেকে নতুন ফিকশন নির্মাণে তিনি সময় নিচ্ছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিনয় ও নাচের প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরেছেন পারসা ইভানা। তিন মাস দ্য ফ্রিম্যান স্টুডিওতে অভিনয় প্রশিক্ষণ এবং ‘স্টেপস অন ব্রডওয়ে’তে নাচের ওপর ১৫টি ওয়ার্কশপে অংশ নেন। এরই মধ্যে স্টেজ শো করেছেন। নতুন কাজ নিয়েও তাঁর পরিকল্পনা চলছে।

সন্তানের তর্ক হওয়া দরকার বাবা-মায়ের সঙ্গে কাজল

সন্তানের তর্ক হওয়া দরকার বাবা-মায়ের সঙ্গে কাজল বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ৩৩ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেও পরিবার ও সন্তানদের প্রতিও মনোযোগী কাজল। কয়েক দিন আগে মারাঠি ভাষার ‘উত্তর’ সিনেমার ট্রেইলার লঞ্চিং অনুষ্ঠানে মা তনুজাকে নিয়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এই অভিনেত্রী। ডিজিটাল যুগে বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের গল্প এই সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে। বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের তর্ক করা কেন জরুরি তা-ও এই অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন কাজল। সন্তানদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন, তা জানতে চাইলে কাজল বলেন, “ভাগ্য ভালো আমার মেয়ে এখানে নেই; থাকলে সে এই প্রশ্নের উত্তরেও আমার সঙ্গে তর্ক করত। এটা ষোলআনা সত্যি। বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের তর্ক হওয়া দরকার। যদি আমরা ঝগড়া করি, তার মানে আমরা এমন একটি মন গড়েছি, যা আমাদের সঙ্গে তর্ক করতে পারে এবং নিজের মতামত রাখতে পারে। তাই আমরা আমাদের সন্তানদের নিজেদের মতো করে ভাবতে শিখিয়েছি। তারা যখন আমার সঙ্গে তর্ক করে, আমি তখন তার প্রশংসা করি। প্রবীণ অভিনেত্রী তনুজাও এই আলোচনায় যোগ দেন। বরেণ্য এই অভিনেত্রী বলেন, “কাজল ছোটবেলায় আমার সঙ্গে অনেক তর্ক করত। এ কথা শুনেই হাসতে হাসতে কাজল বলেন, “মা, আমি তো কখনো তোমার সঙ্গে তর্ক করিনি।” পাল্টা জবাবে তনুজা বলেন, “তুমি সব সময়ই তর্ক করেছ। ১৯৯২ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে অভিনেত্রী কাজলের। তখন তার বয়স মাত্র সতেরো। ১৯৯৯ সালে কাজল যখন অভিনয় ক্যারিয়ারের শীর্ষে, তখন অজয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কাজলের বিয়ের সিদ্ধান্তে অনেকে তখন অবাক হয়েছিলেন। এমনকি অজয়-কাজলের বিয়ে হোক এটিও নাকি তখন কেউ কেউ চাননি। ২০০৩ সালের ২০ এপ্রিল এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে কন্যা নিসা। ২০১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় পুত্র যুগের। গুন্ডারাজ (১৯৯৫), ইশক (১৯৯৫), পেয়ার তো হোনা হি থা (১৯৯৮), দিল কিয়া কারে (১৯৯৯), রাজু চাচা (২০০০), ইউ মি অর হাম (২০০৮), তুনপুর কা সুপারহিরো (২০১০) ইত্যাদি সিনেমায় জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেছেন অজয়-কাজল। তথ্যসূত্র: টাইমস নাউ

আসছেন ইমরান ফারিণের মন গলাতে !

আসছেন ইমরান ফারিণের মন গলাতে ! যেন পাকাপাকিভাবেই গানের জগতে পা রাখছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। বেশ কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছে তার নতুন গানের খবর। সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুলের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া তার দ্বিতীয় গান ‘মন গলবে না’ মুক্তি পাচ্ছে চলতি মাসেই; অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক দিনের। শুধু গায়িকা হিসেবেই নয়, নতুন এই গানটির মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করছেন ফারিণ। গানটি ফারিণের নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ফড়িং ফিল্মস’ থেকে নির্মিত হয়েছে। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন নাহিয়ান আহমেদ। ভিডিওতে মডেল হিসেবে ফারিণ ও ইমরান দুজনেই অভিনয় করেছেন। গানটির গীতিকারও কবির বকুল। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল। এদিকে, বেশ কিছুদিন ধরেই কিছু কৌশল অবলম্বন করে একাধিক পোস্ট দিয়েছিলেন ফারিণ। তাতে প্রায়ই উল্লেখ করেছিলেন, ‘তোমার জন্য আমার এ মন গলবে না।’ সে থেকে ভক্তদের আগ্রহও বাড়তে থাকে। অবশেষে জানা যায়, এটি তার ‘মন গলবে না’ গানের প্রচার। অভিনয়ের পাশাপাশি ফারিণের গান করার খবরটি নতুন নয়। গত বছর ‘ইত্যাদি’তে তাহসানের সঙ্গে তার গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় ভক্তদের মধ্যে নতুন গানের আগ্রহ বাড়ে। জানা গেছে আগামী ৪ ডিসেম্বর ফারিণ ও ইমরান মাহমুদুলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে গানটি একযোগে মুক্তি পাবে।