শীতে খেজুর খাওয়ার ৬ উপকারিতা

শীতে খেজুর খাওয়ার ৬ উপকারিতা শীতকাল শুরু হলেই আমাদের শরীরে উষ্ণতা, শক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির আরও বেশি প্রয়োজন হয়। স্যুপ এবং চা সবার মনোযোগের কেন্দ্রে থাকলেও শীতকালীন খাবারের তালিকায় একটি সাধারণ ফল রয়েছে। সেটি হলো খেজুর। প্রকৃতির মিষ্টি হিসেবে পরিচিত খেজুর কেবল মিষ্টি ফলই নয়; এটি ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থে ভরপুর পুষ্টির শক্তি। খেজুর স্বাস্থ্যগত উপকারিতার জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে হজমে সহায়তা করা পর্যন্ত, এই শীতে আপনার শরীরকে নানাভাবে উপকারিতা দিতে পারে খেজুর। চলুন জেনে নেওয়া যাক- ১. প্রাকৃতিক শক্তি বৃদ্ধিকারী ছোট দিন এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় আমারা অনেকেই অলস বোধ করি। খেজুর গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করায় সমৃদ্ধ, যা দ্রুত শক্তির একটি চমৎকার উৎস। পরিশোধিত চিনির বদলে এই প্রাকৃতিক শর্করায় ফাইবার থাকে, যা শোষণকে ধীর করে দেয় এবং হঠাৎ রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (USDA) অনুসারে, ১০০ গ্রাম খেজুর প্রায় ২৭৭ ক্যালোরি এবং ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে। ২. শীতকালীন অসুস্থতার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠান্ডা আবহাওয়া সর্দি এবং ফ্লু নিয়ে আসে। খেজুর ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা ফ্রি র‍্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এই যৌগগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। খেজুরে ভিটামিন বি৬ থাকে, যা মস্তিষ্ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যকারিতা বজায় রাখে। নিয়মিত খেজুর খেলে তা শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে মৌসুমী অসুস্থতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ৩. হজম স্বাস্থ্য এবং অন্ত্রের সহায়তা শীতের খাবারে অনেক সময় হাইড্রেশন এবং ফাইবারের অভাব থাকে, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। খেজুর খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস (প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৭ গ্রাম), যা অন্ত্রের গতি বাড়ায় এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ২১ দিন ধরে প্রতিদিন সাতটি খেজুর খেলে মলের ফ্রিকোয়েন্সি উন্নত হয় এবং কোলনে ক্ষতিকারক বিপাক কমে। ৪. হাড়ের শক্তি এবং জয়েন্টের স্বাস্থ্য ঠান্ডা আবহাওয়া জয়েন্টের ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়াকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। খেজুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এর প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য জয়েন্টের অস্বস্তি কমাতেও সাহায্য করে, যা আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ৫. হৃদরোগ এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ খেজুরে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। হেলথলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে, খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল এবং প্রদাহও কমায়। যার ফলে শীতের মাসগুলোতে হৃদরোগের সমস্যার ঝুঁকি কমে। ৬. ত্বক এবং চুলের উপকারিতা শুষ্ক ত্বক এবং নিস্তেজ চুল শীতের সাধারণ সমস্যা। খেজুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনে ভরপুর যা স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং চুল বজায় রাখে। এর পুষ্টিগুণ কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে, যা ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দেয়।

‘ক্যাশুনাট সালাদ’ এভাবে বানিয়েছেন কখনও?

‘ক্যাশুনাট সালাদ’ এভাবে বানিয়েছেন কখনও? ভিটামিন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল, জিঙ্কসমৃদ্ধ সালাদ ক্যাশুনেট সালাদ বা কাজুবাদামের সালাদ। পুষ্টিগুণে ভরা এই সালাদ বানানোর রেসিপিটি জেনে নিন। উপকরণ মুরগির মাংস (হাড়ছাড়া): দেড় কাপ কর্নফ্লাওয়ার: ২ টেবিল চামচ লবণ: স্বাদমতো রসুনবাটা: আধা চা–চামচ আদাবাটা: আধা চা–চামচ প্যাপরিকা বা লাল মরিচগুঁড়া: আধা চা–চামচ ডিম: ১টি তেল: পরিমাণমতো কাজুবাদাম: এক কাপ সয়াসস: ১ টেবিল চামচ ওয়েস্টার সস: ১ টেবিল চামচ ভিনেগার: আধা চা–চামচ সিসিমি অয়েল: আধা চা–চামচ চিলি সস: আধা কাপ টমেটোর সস: আধা কাপ গোলমরিচের গুঁড়া: স্বাদমতো চিনি: সামান্য লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম: ৩ কাপ পেঁয়াজকুচি: দেড় কাপ কাঁচা মরিচ: স্বাদমতো ধনিয়াপাতা: আধা কাপ লেবুর রস: ১ টেবিল চামচ প্রথম ধাপ প্রথমে মুরগির মাংস এক থেকে দেড় ইঞ্চি আকারে টুকরো করে নিন। এবার এর সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার, লবণ, রসুনবাটা, আদাবাটা, প্যাপরিকার গুঁড়া ও ডিম মেখে নিতে হবে।তারপর ২০ মিনিট রেস্টে রেখে দিন। দ্বিতীয় ধাপ এ পর্যায়ে একটি প্যানে পরিমাণমতো তেল গরম করে নিন। এতে মুরগির মাংসের টুকরোগুলো হালকা বাদামি করে ভেজে নিন। তৃতীয় ধাপ কাজুবাদাম দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন। ভাজা শেষে তুলে রাখুন। চতুর্থ ধাপ এ পর্যায়ে একটি পাত্রে চিলি সস, টমেটোর সস, সয়া সস, ওয়েস্টার সস, গোলমরিচের গুঁড়া, ভিনেগার, সেসিমি অয়েল আর চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিন। চাইলে সসের মিশ্রণে সিকি কাপ পানিও মিশিয়ে নিতে পারেন। পুরো মিশ্রণটি কম আঁচে কয়েক মিনিট গরম করে নিতে পারেন। শেষ ধাপ সবজিগুলো দেড় ইঞ্চি করে কিউব করে কেটে নিন। এক টেবিল চামচ তেলে সবজিগুলো উচ্চ তাপে কয়েক মিনিটের জন্য ভেজে নিন। বেশিক্ষণ কিন্তু চুলায় রাখা যাবে না। কাঁচা গন্ধ দূর হয়ে গেলেই তুলে ফেলুন। এবার একটি পাত্রে সবজি, ভেজে রাখা মাংস, কাজুবাদাম, সসের মিশ্রণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। উল্লেখ্য, ইচ্ছা থাকলে চিংড়ি ও মাশরুম যোগ করতে পারেন। এতে স্বাদ বাড়বে। ড্রেসিং মেশানোর পর সঙ্গে সঙ্গে সালাদ পরিবেশন করুন। নয়তো চিকেন আর ক্যাশুনাটের মুচমুচে ভাব চলে যাবে।

যে চুক্তির মাধ্যমে স্বর্ণ জমানো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল

যে চুক্তির মাধ্যমে স্বর্ণ জমানো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল স্বর্ণ জমানোর ইতিহাস হলো মানব সভ্যতার সম্পদ জমানোর প্রথম দিকের উদাহরণ। এটি ক্ষমতা, পবিত্রতা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সাথে জড়িত। ঊনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের মুদ্রার মান সরাসরি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণের মূল্যের সাথে বেঁধে দেয়। এর ফলে স্বর্ণকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোতে একটি দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তির প্রতীক হিসেবে জমানো হতো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্রেটন উডস নামক স্থানে ১৯৪৪ সালের ‘ব্রেটন উডস চুক্তি’-এর মাধ্যমে মার্কিন ডলারকে স্বর্ণের বিপরীতে নির্দিষ্ট মূল্যে স্থির করা হয়। ৪৪টি দেশের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে যোগ দেয়। এর লক্ষ্য ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং পুনর্গঠনের জন্য একটি কাঠামো তৈরি করা। এবং অন্যান্য দেশের মুদ্রা ডলারের সাথেও মূল্য স্থির করা হয়। এর ফলে ডলার বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রা হয়ে ওঠে এবং বিশ্বের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচুর পরিমাণে ডলারের পাশাপাশি স্বর্ণও জমা রাখতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ব্রেটন উডস চুক্তি’ অনুযায়ী নির্ধারিত স্বর্ণমাণ ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে। এরপর থেকে স্বর্ণের দাম বাজারের চাহিদা ও যোগানের ওপর নির্ভর করে ওঠানামা করে। বর্তমানে ব্যক্তি, বিনিয়োগকারী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মোকাবিলার জন্য স্বর্ণ জমায়। যেমন—যুদ্ধ, মহামারী বা অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণ জমিয়ে রাখে। এই ব্যবস্থা মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে সুরক্ষাও দেয়।

বেবি’স ডে আউট: বাস্তবে একটি শিশুর চরিত্রে দুই শিশু ছিল

বেবি’স ডে আউট: বাস্তবে একটি শিশুর চরিত্রে দুই শিশু ছিল আমেরিকান কমেডি চলচ্চিত্র ‘বেবি’স ডে আউট’। এটি পরিচালনা করেছিলেন প্যাট্রিক রিড জনসন, লিখেছিলেন জন হিউজেস। চলচ্চিত্রটি দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি ক্লাসিক কমেডি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এর মূল কাহিনী আবর্তিত হয়েছে বেনিংটন অস্টিন ‘বিঙ্ক’ কটওয়েল চতুর্থ নামের এক নয় মাস বয়সী শিশুকে ঘিরে। সিনেমাটি হয়তো আপনিও দেখেছেন। কিন্তু জানেন কী, যেই শিশুটিকে আমরা পর্দায় দেখেছি—সেই একই চরিত্রে অভিনয় করেছে জমজ দুই ভাই। তারা হলেন জ্যাকব জোসেফ ও অ্যাডাম রবার্ট ওর্টন। তখন তাদের বয়স ছিলো নয় মাস। সে সময় দুইজনের চেহারা দেখতে হু বহু একই রকম ছিলো। যেকারণে পর্দায়ও তাদেরকে একজনই মনে হয়েছে। সিনেমার কাহিনীতে দেখা যায়, শিকাগোর শহরতলির এক ধনী পরিবারে বসবাসকারী এক শিশুকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে তিন ব্যক্তি। তারা শিশুটির ছবি তোলার ভান করে তারা বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তাকে অপহরণ করে। কিন্তু শিশু বিঙ্ক অপহরণকারীদের হাত থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এরপর সে তার প্রিয় রূপকথার বই ‘Baby’s Day Out’ এ বর্ণিত জায়গাগুল ঘুরে দেখতে শুরু করে। এবং অপরহনকারীদের বার বার বোকা বানায়। শেষ পর্যন্ত, পুলিশ তাকে খুঁজে পায় এবং সে তার পরিবারের কাছে নিরাপদে ফিরে আসে।

ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে কেন দেখা করতে দেননি মুমতাজকে?

ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে কেন দেখা করতে দেননি মুমতাজকে? গত ২৪ নভেম্বর ৮৯ বছর বয়সে মারা যান বলিউডের বর্ষীয়াণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তার আগে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ধর্মেন্দ্র। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সহশিল্পী ধর্মেন্দ্রকে দেখতে গিয়েছিলেন বরেণ্য অভিনেত্রী মুমতাজ। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি তাকে। কেন দেখা করতে পারেননি তা নিয়ে মুখ খুলেছেন মুমতাজ। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে মুমতাজ বলেন, “আমি তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্টাফরা বললেন, ‘তিনি ভেন্টিলেটরে আছেন, কাউকেই দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।’ আমি সেখানে ৩০ মিনিট বসেছিলাম, আশা করছিলাম হয়তো দেখা করতে পারব, কিন্তু পারিনি। শেষ পর্যন্ত দেখা না করেই ফিরে আসি।” শেষবার ধর্মেন্দ্রকে না দেখতে পেরে কষ্ট ও গভীর হতাশা নিয়ে ফিরেন মুমতাজ। ২০২১ সালে ধর্মেন্দ্রর বাসভবনে শেষ সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “২০২১ সালে বাসায় গিয়ে আমি তার সঙ্গে শেষবার দেখা করি। খুবই সুন্দর ছিল সেই সাক্ষাৎ। সেটাই ছিল আমাদের শেষ দেখা।” প্রবীণ এই অভিনেত্রী ধর্মেন্দ্রর পরিবার, বিশেষ করে তার স্ত্রী হেমা মালিনী প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, “আমি তার পরিবার আর হেমাজির জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছি। হেমাজি সবসময় তার প্রতি নিবেদিত ছিলেন। নিশ্চয়ই তিনি গভীরভাবে এই শোক অনুভব করছেন। সত্যিই তিনি ধর্মেন্দ্রর প্রেমে পড়েছিলেন।” ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিত্ব ও কর্মজীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মুমতাজ বলেন, “আমরা কয়েকটি সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছি। সবসময়ই দারুণ একজন সহ-অভিনেতা ছিলেন। অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন, তার সোনার মতো হৃদয় ছিল। খুবই মিশুক, বন্ধুসুলভ, সবার সঙ্গে যুক্ত থাকতেন তিনি। শেষ পর্যন্তও মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালোই ছিল। মানুষ তাকে ভালোবাসত, আর সবসময়ই ভালোবাসবে। তিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তি, যাকে ভুলে থাকা অসম্ভব।”

স্বামীকে হারিয়ে হেমা বললেন, আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব

স্বামীকে হারিয়ে হেমা বললেন, আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব গত ২৪ নভেম্বর মুম্বাইয়ের বাসভবনে মারা গেছেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তার মৃত্যুর পর পারিবারিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আজ ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী অভিনেত্রী হেমা মালিনী আবেগঘন একটি পোস্ট দিয়েছেন। প্রিয় মানুষকে হারিয়ে মানসিকভাবে কতটা বিধ্বস্ত তারই এক লিখিত দলিল যেন এটা। মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে হেমা মালিনী লেখেন, “ধর্মজি, আমার কাছে অনেক কিছু ছিলেন। স্নেহময় স্বামী, আমাদের দুই মেয়ে এশা ও অহনার আদুরে বাবা, বন্ধু, দার্শনিক, পথপ্রদর্শক, কবি—প্রয়োজনে সবসময় যার কাছে ছুটে যেতাম—আসলে তিনি আমার সবকিছুই ছিলেন! সুখ–দুঃখের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি পাশে থেকেছেন। সহজ-সরল, বন্ধুসুলভ স্বভাব, স্নেহ ও আন্তরিকতার জন্য পরিবারের সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন।” ধর্মেন্দ্র চিরস্মরণীয় হয়ে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে হেমা মালিনী লেখেন, “জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে, তার প্রতিভা, জনপ্রিয়তা থাকার পরও তার বিনয়, সবার হৃদয়ে ছড়িয়ে থাকা সার্বজনীন আবেদন—এসবই তাকে সকল কিংবদন্তির মাঝে অনন্য এক আইকনে পরিণত করেছে। চলচ্চিত্রজগতে তার চিরস্থায়ী খ্যাতি ও কৃতিত্ব চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।” ব্যক্তিগত ক্ষতির বিষয় উল্লেখ করে হেমা মালিনী লেখেন, “আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। আর যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা আমার বাকি জীবনে থেকে যাবে। বহু বছর একসঙ্গে পথচলার পর, বিশেষ মুহূর্তগুলো স্মরণ করতে করতে, অসংখ্য স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে।” বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনীর রূপ আর অভিনয়ের প্রেমে কে পড়েননি! ১৯৭০ সালে ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র। এ সিনেমার শুটিং সেটে তাদের প্রথম দেখা হয়। তারপর হেমার প্রেমে উন্মাদ হয়ে উঠেন বিবাহিত ধর্মেন্দ্র। সব দ্বিধা উড়িয়ে সময়ের সঙ্গে দুজনেই মনের বিনিময় করেন। ১৯৭৯ সালের ২১ আগস্ট বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন হেমা মালিনী-ধর্মেন্দ্র; বিয়ের মোহরানা ধার্য করেন ১ লাখ ১১ হাজার রুপি। ১৯৮০ সালের ২ মে, আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ঘোষণা দেন এই প্রেমিক যুগল। এ সংসারে জন্ম নেয় দুই কন্যা—এশা দেওল ও অহনা দেওল। তারপর সময় অনেক গড়ায়, শেষ পর্যন্ত অটুট ছিল ধর্মেন্দ্র-হেমার ভালোবাসা! এ জুটির প্রেমজীবন সিনেমাকেও হার মানায়।

জোড়া সিনেমায় জুটি বাঁধছেন আদর-অপু

জোড়া সিনেমায় জুটি বাঁধছেন আদর-অপু ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আদর আজাদ। একের পর এক নতুন জুটি ও অভিনয় ধারায় দর্শককে চমক দিয়ে চলেছেন। বুবলী ও পূজা চেরির সঙ্গে সফলভাবে কাজ করার পর এবার বড়সড় চমক—প্রথমবারের মতো ‘ঢালিউড কুইন’ অপু বিশ্বাসের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন এই নায়ক। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, একসঙ্গে দুটি নতুন সিনেমায় দেখা যাবে আদর–অপুকে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক সব আলোচনা শেষ এবং সিদ্ধান্তও ‘চূড়ান্ত’। খুব দ্রুতই শুটিং ফ্লোরে গড়াবে প্রথম সিনেমার কাজ। কিছুদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও আসবে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও নির্মাতারা দুই সিনেমার কাজ নিয়েই ব্যস্ত প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। গল্প, বাজেট, লোকেশন—সবকিছু প্রায় চূড়ান্ত। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আদর আজাদ ও অপু বিশ্বাস দুজনেই এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। আলোচনার সত্যতা স্বীকার না করলেও গুঞ্জন থামছে না। সম্প্রতি আদর শেষ করেছেন ‘পিকনিক’ ও ‘ট্রাইব্যুন্যাল’ সিনেমার কাজ। অন্যদিকে অপু বিশ্বাসও একাধিক নতুন প্রজেক্টের প্রস্তুতি হিসেবে ওজন কমিয়ে, একেবারে নতুন লুকে হাজির হয়েছেন। তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘ট্র্যাপ’ মুক্তি পেয়ে আলোচনায় আসে। আর আদরের সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘টগর’–এ তার সহশিল্পী ছিলেন পূজা চেরি। নতুন জুটি হিসেবে আদর আজাদ ও অপু বিশ্বাস দর্শকদের মন জয় করতে পারেন কি না—তা এখন দেখার বিষয়।

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৬৭

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৬৭ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৭ জন নতুন রোগী। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৩৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২১১ জন এবং বাকিরা ঢাকা সিটির বাইরের। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২ হাজার ৭৮৪ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ৯০ হাজার ২১৯ জন।

ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আবারো মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত

ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আবারো মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ বিকাল সোয়া ৪টার দিকে এ কম্পন অনুভূত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে কম্পনের মাত্রা জানা যায়নি। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা পাওয়া গেছে ৩.৬। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ভূকম্পনটির উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের কালীগঞ্জে। এর গভীরতা ১০ কিলোমিটার। এর আগে, গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ভূমিকম্পের তীব্র ঝাঁকুনিতে ঢাকাসহ সারাদেশ কেঁপে ওঠে। এ ঘটনায় শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আবহাওয়া অফিস সে সময় জানিয়েছিল, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী। সবচেয়ে বেশি-পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে নরসিংদীতে। ঢাকায় চার ও নারায়ণগঞ্জে একজন মারা যান। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে অনেকেই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এছাড়া কিছু ভবন হেলে পড়ে ও ফাটল দেখা দেয়।

বিলুপ্তির মুখে বিরল প্রাণী লেমুর, গোপনে খেয়ে ফেলা হচ্ছে

বিলুপ্তির মুখে বিরল প্রাণী লেমুর, গোপনে খেয়ে ফেলা হচ্ছে মাদাগাস্কারের জঙ্গলে লেমুর নামের ছোট প্রাইমেট প্রাণী বহুদিন ধরেই বিপদের মুখে। কিন্তু নতুন গবেষণা আরও ভয়াবহ তথ্য সামনে এনেছে। লেমুর শুধু বনভূমি ধ্বংস বা অবৈধ শিকারের কারণে নয়, ধীরে ধীরে মানুষের পাতে ‘গোপনে’ হারিয়ে যাচ্ছে। গবেষকদের ভাষায়, বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে লেমুর হয়তো খেয়ে-খেয়েই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। চার বছর ধরে (২০২২–২০২৫) পরিচালিত এই গবেষণায় প্রথমবারের মতো মাদাগাস্কারের লুকানো ‘লেমুর মাংস বাণিজ্য’-এর আসল চিত্র উঠে এসেছে। ১৭টি শহরের ২,৬০০ মানুষের সঙ্গে কথা বলে গবেষকেরা দেখেছেন—বছরে প্রায় ১৩ হাজার লেমুর শিকার ও খাওয়া হয়। যেসব শহরে জরিপ হয়েছে, তার এক-তৃতীয়াংশে নিয়মিত লেমুর মাংস খাওয়ার সংস্কৃতি রয়েছে। গবেষণা বলছে, মোট বেচাকেনার প্রায় ৯৪.৫ শতাংশই হয় গোপনে—শিকারি, সরবরাহকারী ও নির্দিষ্ট ক্রেতাদের মধ্যে। মাত্র ৫.৫ শতাংশ বিক্রি হয় কিছু রেস্টুরেন্টে। এসব রেস্টুরেন্ট সাধারণত দামি, কারণ এ মাংস ধনী ক্রেতাদের কাছে ‘দুর্লভ খাবার’ হিসেবে জনপ্রিয়। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন লেমুর মাংসে বিশেষ স্বাদ আছে এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্যও ‘উপকারী’। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। সবচেয়ে বেশি শিকার হওয়া প্রজাতি হলো ব্রাউন লেমুর ও রাফড লেমুর। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও সংরক্ষণ সংঘ ( আইইউসিএন) জানিয়েছে, লেমুরের ১১২টি প্রজাতির মধ্যে ৯০ শতাংশই বিলুপ্তির ঝুঁকিতে। গবেষকেরা সতর্ক করে বলেন, প্রচলিত সংরক্ষণ পদ্ধতি এই সংকট মোকাবিলায় যথেষ্ট নয়। তাদের মতে, লেমুর রক্ষা করতে হলে শক্তভাবে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগ, লেমুর মাংস খাওয়ার স্বাস্থঝুঁকি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিকারিদের বিকল্প আয়সূত্র তৈরি করতে হবে। গবেষকদের সতর্কবার্তা, ডেটা-ভিত্তিক (তথ্যনির্ভর) সমাধান ছাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে লেমুর খুব দ্রুত হারিয়ে যাবে।