যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিশ্ব চলতে পারে: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিশ্ব চলতে পারে: কানাডার প্রধানমন্ত্রী কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওয়াশিংটনের ভূমিকাকে অতিরঞ্জিত করা উচিত নয়। তিনি আরো বলেন, “মার্কিন সম্পৃক্ততা ছাড়াই বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সম্ভব। অর্থনীতির ‘গুরুত্বের কেন্দ্র’ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।” রবিবার (২৩ নভেম্বর) জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। খবর আরটির। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত এ বছরের জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র অংশগ্রহণ করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারকে শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ না করার কারণ হিসেবে এটি উল্লেখ করেছেন। ওয়াশিংটন আরো দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বয়কট করেছে তাই জি-২০ সম্মেলন শেষে কেবল এর চেয়ারম্যানের বক্তব্য পাওয়া যেতে পারে। তবে রবিবার সম্মেলন শেষে জি-২০ একটি যৌথ ঘোষণাপত্র জারি করেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি বলেন, “এই বৈঠকে বিশ্বের জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ, বিশ্বব্যাপী জিডিপির দুই-তৃতীয়াংশ এবং বিশ্বের বাণিজ্যের তিন-চতুর্থাংশ প্রতিনিধিত্বকারী দেশগুলোকে একত্রিত করা হয়েছিল এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণ ছাড়াই। তার ভাষ্য, “এ ঘটনা ইঙ্গিত দেয় যে, বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বের কেন্দ্র স্থানান্তরিত হচ্ছে।” কানাডার প্রধানমন্ত্রীর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বয়কট সত্ত্বেও বৈঠকে জি-২০ সদস্যদের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো জানান, কানাডা দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত এবং চীন সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্টের সহযোগী মাকসিম ওরেশকিন। তিনি সম্মেলনের সফলতা নিয়ে প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, তার দল ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশগুলোর সঙ্গে অনেক গঠনমূলক যোগাযোগ করেছে এবং এমনকি ‘বন্ধুত্বহীন’ দেশগুলোর কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও যৌথ প্রকল্পের বিষয়ে কিছু প্রস্তাবও পেয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা শীর্ষ সম্মেলনের আগে বলেছিলেন, জি-২০ ‘আপন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে’। তিনি আরো বলেন, বৈঠক বয়কট করার মার্কিন সিদ্ধান্ত ‘তাদেরই ক্ষতি’।

ইউক্রেন ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ইউক্রেন ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্য জেনেভায় আলোচনায় ‘অসাধারণ অগ্রগতি’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তবে তিনি বলেন, “এখনও কিছু কাজ বাকি আছে।” আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শান্তিচুক্তির সব দফা চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের স্থানীয় সময় রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে ইউক্রেনীয় এবং ইউরোপীয় আলোচকদের বৈঠক শেষে রুবিও সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। খবর বিবিসির ।  বৈঠক শেষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “এমন ইঙ্গিত রয়েছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল আমাদের কথা শুনছে।” ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে গত সপ্তাহে ফাঁস হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২৮ দফা পরিকল্পনা নিয়ে ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এই পরিকল্পনায় রাশিয়াকে অনেক সুবিধা দেওয়ায় হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল। সেসময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “ইউক্রেনের সামনে একটি বিকল্প রয়েছে-আমাদের মর্যাদা হারানো অথবা একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হারানো।” রবিবার গভীর রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেন, জেনেভার আলোচক দলগুলোর একটি ‘খুব ভালো দিন’ কেটেছে। তিনি জানান, আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল- ২৮ দফার মার্কিন শান্তি পরিকল্পনায় যেসব ইস্যু খোলা রয়ে গেছে, সেগুলোতে ফারাক কমানো। আলোচনায় জড়িত দলগুলো এতে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ অর্জন করেছে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, যেকোনো চূড়ান্ত চুক্তি অনুমোদন করতে হবে ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের, এরপর তা রাশিয়ার কাছে পাঠানো হবে। এখনও কয়েকটি বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। রবিবার পরে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্র–ইউক্রেনের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই পক্ষ একটি ‘হালনাগাদ ও পরিমার্জিত শান্তি কাঠামো’ নিয়ে একমত হয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে যৌথ প্রস্তাব নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। ইউরোপের কয়েকটি দেশ- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির নেতৃত্বে- বিকল্প একটি শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করেছে বলে কিছু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তবে বিবিসি তা দেখেনি এবং রুবিওও এমন কোনো পরিকল্পনার অস্তিত্ব অস্বীকার করেন। এর আগে রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ইউক্রেনের নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ-সমাপ্তির প্রচেষ্টার জন্য ‘কোনো কৃতজ্ঞতা দেখাচ্ছে না’। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ইউক্রেনের মিত্র কিছু ইউরোপীয় দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে মস্কো তেল ও গ্যাস রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত আয়ের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে। জেনেভায় মার্কিন খসড়া প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করা হয়। ফাঁস হওয়া ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় সৈন্যদের পূর্ব দোনেৎস্কের কিছু অংশ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং এই অঞ্চলসহ লুহানস্ক ও ২০১৪ সালে রাশিয়ার সংযুক্ত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতে থাকবে। মার্কিন এই শান্তি পরিকল্পনায় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আকার কমিয়ে ৬ লাখ সদস্যে সীমিত করতে বলা হয়েছে। বর্তমানে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৮ লাখ ৮০ হাজার জন। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, এর বিনিময়ে কিয়েভ ‘নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা গ্যারান্টি’ পাবে, যদিও সেটির বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেওয়া হয়নি। এতে আরো বলা হয়েছে, রাশিয়া তার প্রতিবেশীদের আক্রমণ করবে না এবং ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদান স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হবে। খসড়া প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে, রাশিয়ার ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলোর জোট জি৭-এ যোগদানের জন্য মস্কো আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর মাধ্যমে জোটটিকে আবারো জি৮-এ পরিণত করার মাধ্যমে- রাশিয়াকে ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে পুনঃএকীভূত’ করা হবে। ইউক্রেনকে প্রস্তাবগুলোতে একমত হওয়ার জন্য ট্রাম্প আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। তবে ইউক্রেনের যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান ও ইউরোপের মিত্ররা মার্কিন প্রস্তাবগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পর, শনিবার ট্রাম্প জানান, এটি কিয়েভের জন্য তার ‘চূড়ান্ত প্রস্তাব’ নয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমি খুব আশাবাদী যে আমরা খুব শিগগির শান্তিচুক্তির প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে যাচ্ছি, সেটি বৃহস্পতিবার হোক, অন্যান্য দিন হোক বা পরের সপ্তাহের সোমবার হোক।”

ইংলিশ চ্যানেলে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ-ট্যাঙ্কার আটক

ইংলিশ চ্যানেলে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ-ট্যাঙ্কার আটক ইংলিশ চ্যানেলে রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ও ট্যাঙ্কার আটক করেছে যুক্তরাজ্যের একটি পেট্রোল জাহাজ। সোমবার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।  ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার (২৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাজ্যের টহল জাহাজ এইচএমএস সেভার্ন গত দুই সপ্তাহে ইংলিশ চ্যানেলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় রাশিয়ান কর্ভেট আরএফএন স্টোইকি এবং ট্যাঙ্কার ইয়েলনিয়াকে আটক করেছে ও ঘনিষ্ঠ নজরদারি চালিয়েছে। পরে ওই নজরদারির দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় ন্যাটোর আরেক সদস্য দেশের কাছে, ব্রিটনির উপকূলে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত দুই বছরে যুক্তরাজ্যের জলসীমার চারপাশে রুশ নৌ তৎপরতা ৩০ শতাংশ বেড়েছে।  মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের উপকূলে টহলরত জাহাজ ছাড়াও, ন্যাটো মিশনের অংশ হিসেবে ব্রিটেন আইসল্যান্ডে তিনটি পোসাইডন নজরদারি বিমান মোতায়েন করেছে, যাতে উত্তর আটলান্টিক ও আর্কটিক রুটে রুশ নৌবাহিনীর গতিবিধি রিয়েল টাইমে ধরা যায়। ঘটনাটি এমন সময় ঘটেছে যখন প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি জানান, রাশিয়ার গুপ্তচর জাহাজ ইয়ান্টার স্কটল্যান্ডের উপকূলে যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষণ বিমানগুলোর পাইলটদের দিকে লেজার মেরে অবস্থান চেক করছিল। ব্রিটেন ইয়ান্টারের এই কর্মকাণ্ডকে ‘বেপরোয়া ও বিপজ্জনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে এবং বলেছে যে, ব্রিটেন তার ভূখণ্ডে যেকোনো অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে জবাব দিতে প্রস্তুত। রাশিয়ার লন্ডনের দূতাবাস হিলির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে ‘সামরিক উত্তেজনা ছড়ানোর’ অভিযোগ করেছে এবং বলেছে, মস্কোর কোনো আগ্রহ নেই যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার। ব্রিটিশ সরকারের নতুন বাজেট প্রকাশের এক সপ্তাহ আগে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে হিলি এই সতর্কতা জারি করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রাশিয়া, চীন এবং ইরানের হুমকির কারণে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিলেও সরকারকে অর্থনৈতিক ঘাটতি পূরণের জন্য কর বৃদ্ধি ও ব্যয় কমানোসহ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

মিসরের সিনেমার প্রধান বাজার সৌদি আরব

মিসরের সিনেমার প্রধান বাজার সৌদি আরব মিসরের চলচ্চিত্রশিল্পের সাম্প্রতিক সাফল্য ইতোমধ্যেই আলোচনায়। বিশেষ করে বিদেশি বাজারে খুব ভালো করছেন দেশটির সিনেমা। কায়রো ইন্ডাস্ট্রি ডেজ চলাকালে কায়রো ফিল্ম কানেকশন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মিসরীয় সিনেমা রপ্তানির প্রধান বাজার হয়ে ওঠেছে এখন সৌদি আরব। আরব বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ও প্রভাবশালী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির দেশ মিসর। দীর্ঘ দশকজুড়ে তাদের সিনেমা কখনো সফল, কখনো আবার পড়েছে মন্দায়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের বাজারের তুলনায় বিদেশি বাজারে আয় বেড়েছে বহু গুণ। ২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মিসরের শীর্ষ ১০ রপ্তানি চলচ্চিত্রের মধ্যে ৯টির সবচেয়ে বড় আয় এসেছে সৌদি আরব থেকে। সৌদির সর্বকালের শীর্ষ ৬৫ ছবির মধ্যে ২৭ শতাংশই মিসরীয়। রোমান্টিক-কমেডি ‌‘বাহেবেক’ মিসরে আয় করেছিল ২.৮ মিলিয়ন ডলার। অথচ ছবিটি বিদেশে আয় করে ২২.৯ মিলিয়ন ডলার। যার বৃহৎ অংশ সৌদিতে। ‘সন্স অব রিজক ৩: নকআউট’ ছবিটি দেশে আয় করেছিল ৬.১ মিলিয়ন ডলার। আর বিদেশে এর আয় ২২.৩ মিলিয়নেরও বেশি। ‘আ স্ট্যান্ড ওয়ার্দি অব মেন’ ছবি দেশে ১.৭ মিলিয়ন ও বিদেশে ১৮.৩ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। ২০২৪ সালে সৌদি বাজারে ৩৩টি মিসরীয় ছবি মুক্তি পায় এবং মোট আয় করে ৫৩ মিলিয়ন ডলার। মিসরের নিজস্ব বাজারের মোট আয়ের (২৩.৫ মিলিয়ন ডলার) দ্বিগুণেরও বেশি এই পরিসংখ্যান। মিসর-সৌদি যৌথ প্রযোজনার ছবিগুলো সৌদিতে বিশেষ কর সুবিধাও পায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হানি খলিফার থ্রিলার ‘ফ্লাইট ৪০৪’। এটি এবারের অস্কারের জন্য মিসর থেকে জমা পড়েছে। উচ্চ বাজেটের কৌতুক ও অ্যাকশন দীর্ঘদিন ধরে দাপট দেখালেও এখন কম বাজেটের ছবিও সফল হচ্ছে মিসরে। উদাহরণ হিসেবে ওমর এল মুহানদেসের মাঝারি বাজেটের কৌতুক গল্পের ‘সিকো সিকো’ ছবির কথা বলা যায়। এই সিনেমাটি দেশে আয় করেছে প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলার এবং সৌদিতে আরও ৪.২ মিলিয়ন আয় করে মিসরের ইতিহাসের দ্বিতীয় সফলতম ছবি হিসেবে নাম লিখিয়েছে। বিশ্ব বাজারে মিসরের সিনেমা পৌঁছে দিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনার্জি ছিল প্রধান পরিবেশক। তবে ২০২৫ সালে এগিয়ে গেছে মিসর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মস। এই বছরে সিনার্জির সাবেক কর্মকর্তা আহমেদ বদাওয়ি ফিল্ম স্কয়ার নামে নতুন সংস্থা চালু করেছেন। এটি দ্রুত বাজার বাড়াচ্ছে। হলিউডসহ বিদেশি ছবি বিতরণে শীর্ষে রয়েছে ইউনাইটেড মোশন পিকচার্স। সৌদি আরবের আরব রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউভিএফ এখন মধ্য বাজেটের মিসরীয় ছবি অর্থায়ন ও আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তির ওপর জোর দিচ্ছে। ভ্যারাইটির এক প্রতিবেদনে কায়রো ফিল্ম কানেকশনের বিগত ১০ আসরের সাফল্যও তুলে ধরা হয়েছে। পিচিং, পরামর্শ, অর্থসহায়তা ও বিভিন্ন পুরস্কারের মাধ্যমে তারা বহু আরব নির্মাতাকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে।

বিয়ের দিনে হাসপাতালে গায়িকা পলক মুচ্ছালের ভাই

বিয়ের দিনে হাসপাতালে গায়িকা পলক মুচ্ছালের ভাই বলিউডের সংগীতশিল্পী পলাশ মুচ্ছাল ও ভারতীয় নারী ক্রিকেটার স্মৃতি মান্ধানার বহুল প্রতীক্ষিত বিয়ের দিনেই দুঃসংবাদ! গত রোববার তাদের চার হাত এক হওয়ার কথা থাকলেও এর আগের দিন কনের বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর একদিন পরেই হাসপাতালে ভর্তি হলেন বর- পলাশ মুচ্ছাল। বলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা পলক মুচ্ছালের ভাই পলাশ মুচ্ছাল। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে পলাশেরও। ফলে নির্ধারিত দিনে আর বিয়ে হয়নি পলাশ-মান্ধানার। সূত্র জানায়, ভাইরাল সংক্রমণ ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় পলাশ মুচ্ছালকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে তার অসুস্থতা গুরুতর নয়। চিকিৎসার পর তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে হোটেলের পথে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, স্মৃতির বাবা গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাবাকে ছাড়া বিয়ে করতে রাজি হননি স্মৃতি মান্ধানা, তাই তাৎক্ষণিকভাবে বিয়ে স্থগিত করা হয়। ভারতের জনপ্রিয় তারকা ক্রিকেটার স্মৃতি মন্ধানা এবং উঠতি গায়ক পলাশ মুচ্ছালের বিয়ে নিয়ে ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুই পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতার কারণে বিয়েটি পিছিয়ে গেল।

এবার তিশার বিরুদ্ধে ভারতীয় প্রযোজকের প্রতারণার অভিযোগ

এবার তিশার বিরুদ্ধে ভারতীয় প্রযোজকের প্রতারণার অভিযোগ   কলকাতার সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে অগ্রিম পারিশ্রমিক নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে। শরীফ খান নামে এক প্রযোজক এমন গুরুতর অভিযোগ করেছেন। এম. এন. রাজ পরিচালিত ‘ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন তানজিন তিশা। কিন্তু এই অভিনেত্রীর অসহযোগিতা ও বারবার মিথ্যা বলার কারণে বাধ্য হয়ে তাকে সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়ার পর তিশা অগ্রিম নেওয়া পারিশ্রমিকের অর্থ ফেরত দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ প্রযোজকের। তবে এসব অভিযোগকে ‘ফালতু’ বলে মন্তব্য করেছেন তিশা। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে তানজিন তিশা বলেন, “এই অভিযোগ ফালতু। আমাকে চুক্তির সময় এক তৃতীয়াংশ পেমেন্ট দেয়া হয়েছিল। এই সিনেমার শুটিংয়ের জন্য ভিসা পাওয়ার অপেক্ষায় দেড়মাস কোনো কাজ করিনি। চুক্তিতে উল্লেখ আছে, শুটিং ক্যানসেল হলে এই অর্থ ফেরত যাবে না। প্রযোজকের অপেশাদার আচরণের ঘটনা উল্লেখ করে তিশা বলেন, “শরীফ (শরীফ খান) নামে একজন আমার সঙ্গে মধ্যরাতে ফোন করে কথা বলতে চেয়েছে, এত রাতে আমি কেন কথা বলব? এটা তো পেশাদার আচরণ হতে পারে না। আমি অবশ্য দিনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। আর উনি তো এই সিনেমার প্রযোজকই নন। এর বেশি কিছু বলতে হলে আমার আইনজীবী বলবেন। তিশার আইনজীবী জসীম উদ্দিন বলেন, “তানজিন তিশা চুক্তি অনুযায়ী তার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন করেছেন। তিনি শিডিউল প্রদান করেছেন এবং কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু ডিরেক্টর ভিসা এবং শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে চুক্তির সংশ্লিষ্ট ধারাসমূহ অনুযায়ী ডিরেক্টরের ডিফল্ট (অপরাধ) স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তিশার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আর্টিস্ট ডিফল্ট ঘটেনি। বরং ভিসা বিলম্ব ও শিডিউল বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে তিশাই সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রযোজক দাবি করেছেন, প্রথমে ৩০ হাজার রুপি পরে তিশার বোনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশি ৪ লাখ ১২ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর থেকেই গড়িমসি শুরু করেন তিশা।

তাসনিয়া ফারিণের নতুন গান ‘মন গলে না’ ট্রেলার শিগগির

তাসনিয়া ফারিণের নতুন গান ‘মন গলে না’ ট্রেলার শিগগির হালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। গেল বছর গান গেয়েও সাড়া ফেলেন এই তারকা। ইত্যাদিতে তাহসানের সঙ্গে তাঁর গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙ্গিন হব’ গানটি ট্রেন্ডিংয়ে ছিল বেশ কিছুদিন। প্রশংসিত হয় সব মহলে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নতুন উপহার দিতে যাচ্ছেন ফারিণ। গানটির শিরোনাম ‘মন গলে না’। ইমরান মাহমুদুলের সুর সংগীতে গানটি মিউজিক ভিডিও আকারে প্রকাশ পাবে বলে জানালেন ফারিণ। গতকাল গানটির একটি পোস্টার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে ফারিণ লিখেন ‘ট্রেলার আসছে শিগগিরই। এই লেখার সূত্র ধরেই যোগাযোগ করা হয় অভিনেত্রীর সঙ্গে। ফারিণ বলেন, ‘‘গানের শিরোনাম ‘মন গলে না’। সব রেডি করে বসে আছি। এর মধ্যে ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি দেশবাসীর মাঝে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করে গেল। এই আতঙ্ক না কাটা পর্যন্ত গানটি মুক্তি দিতে পারব না। তবে আশা করছি, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গানটি প্রকাশ করতে পারব। কিছুদিন আগে ফারিণ জানিয়েছিলেন প্রযোজনায় আসছেন তিনি। ‘ফড়িং ফিল্মস’ নামে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁর জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছিলেন। এবার জানালেন, এই প্রোডাকশন হাউসের ব্যানারেই ফারিণ তাঁর নতুন গানটি নির্মাণ করেছেন এবং তা প্রকাশ করবেন ফারিণের নিজের ইউটিউবে। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রথম কাজ এটি। তাই বাড়তি ভালোবাসা, যত্ন ও প্রত্যাশা জড়িয়ে আছে বলেই যোগ করলেন ফারিণ। বিয়ের পর ভাগ্য যেন আরও প্রসন্ন হয়েছে ফারিণের। তুঙ্গে আছে বৃহস্পতি। সাম্প্রতিক তাঁর কাজের ফিরিস্তির দিকে তাকালেই এর প্রমাণ মেলে। চলতি বছরের ঈদুল আজহায় ইনসাফ সিনেমায় দিয়ে ঢাকায় সিনেমায় অভিষেক হয় ফারিণের। শরিফুল রাজের বিপরীতে নায়িকা ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের বিপরীতে ‘প্রিন্স’ সিনেমায় আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ডিসেম্বরে সিনেমাটির শুটিং শুরুর কথা রয়েছে। এটি পরিচালনা করবেন আবু হায়াত। এ ছাড়াও কলকাতার নির্মাতা পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়ের একটি সিনেমাতেও কাজের খবর আসে। সিনেমাটিতে ঢাকার অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকেও দেখা যাবে। সবকিছু মিলিয়ে ফারিণ বলেন, ‘সিনেমা করব করব বলে শুরু করে দিয়েছি। ইনসাফের নতুন সম্প্রতি নতুন সিনেমারও খবর দিলাম। আগামীতে আরও ভালো ভালো গল্পের কাজের খবরও দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। তবে এখন আপাত রয়েছি গানটি নিয়ে। গানটি সবাই কীভাবে নেবেন সেটার অপেক্ষাতেই আছি।