শীতে শিশুর যত্ন

শীতে শিশুর যত্ন শীত তো এসেই গেল। এসময় আপনার বাড়ির দুরন্ত শিশুটিকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখতে কিছু বাড়তি কাজ করা জরুরি। কারণ শীত এলে তার সঙ্গে নানা অসুখ-বিসুখের জীবাণুও চলে আসে। বছরের শেষ বলে শিশুদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে স্কুলও থাকে বন্ধ। ফলে বেশিরভাগ সময়ে সে আপনার চোখের সামনেই থাকছে। যে কারণে এসময়ে তার খেয়াল রাখা, কী খাচ্ছে, কী নিয়ে খেলা করছে সবকিছু দেখাশোনা করা অন্যান্য সময়ের চেয়ে সহজ হয়। শীতের সময়ে শিশুর যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু বিষয়ে জোর দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- শিশুর খাবার শীতে শিশুকে সুস্থ রাখতে হলে সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে তার খাবারের দিকে। কারণ এমন অনেক খাবারই আছে যেগুলো বড়দের পেট সহ্য করে নিলেও শিশুদের পেটে সব সময় সহ্য হয় না। সেসব খাবার থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। বিশেষ করে বাইরের কোনো খাবার এসময় শিশুকে দেওয়া যাবে না। বাইরের খোলা খাবার বা প্যাকেটজাত খাবারের বদলে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার তাকে খেতে দিতে হবে। শীতকালীন বিভিন্ন সবজি ও ফল নিয়মিত রাখতে হবে শিশুর খাবারের তালিকায়। এছাড়া নিয়মিত ডিম, দুধ, মুরগি ও মাছ খেতে দিতে হবে। শীতের সময়ে শিশুরা পানি একদমই খেতে চায় না। তাই বিশুদ্ধ পানির পাশাপাশি ঘরে তৈরি শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদিও খেতে দিন। শিশুর পোশাক শীতের পোশাক কেনার সময় সবার আগে বাড়ির ক্ষুদে সদস্যটির কথা মাথায় রাখুন। কারণ শিশুরা দ্রুত বেড়ে ওঠে। এক বছরের শীতের পোশাক পরের বছর তাদের গায়ে না-ও লাগতে পারে। তাই এবছর তার শীতের পোশাক দরকার কি না, সেদিকে খেয়াল করুন। শীতের পোশাক কেনার সময় সবার আগে শিশুর আরামের বিষয়টি মাথায় রাখবেন। সেইসঙ্গে ঠিকভাবে শীত নিবারণ করবে কি না, সেটিও যাচাই করে নিন। শিশুর জন্য অস্বস্তিদায়ক হয়, এমন কোনো পোশাক কিনবেন না। শিশুর ত্বকের যত্ন শিশুদের ত্বক বড়দের মতো নয়। তাদের ত্বক আরও বেশি কোমল হয়ে থাকে। তাই বড়দের জন্য ব্যবহৃত কোনো পণ্য বা উপাদান শিশুর ত্বকে ব্যবহার করবেন না। শিশুদের জন্য উপযোগী আলাদা পণ্য কিনতে পাওয়া যায়। শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য যেকোনো পণ্য কেনার আগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। গোসলের পরে শিশুর শরীরে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। প্রতিদিন আধা ঘণ্টা রোদে থাকতে হবে। এতে শিশুর শরীরের ভিটামিন ডি এর চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে।
এক মাস ধরে প্রতি রাতে জিরা ভেজানো পানি পান করলে কী হয়?

এক মাস ধরে প্রতি রাতে জিরা ভেজানো পানি পান করলে কী হয়? আপনি যদি হজমশক্তি বাড়াতে বা পেট ফাঁপা কমাতে সহজ ঘরোয়া প্রতিকার খুঁজে থাকেন, তাহলে জিরা ভেজানো পানি হতে পারে আপনার অন্যতম সঙ্গী। এই সাধারণ মসলা হজম, প্রদাহ-বিরোধী এবং বিপাক বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এক মাস ধরে প্রতি রাতে জিরা ভেজানো পান করলে শরীরে বেশকিছু পরিবর্তন টের পাবেন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই পানীয় আপনাকে কীভাবে সাহায্য করবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক- ১. হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেট ফাঁপা কমায় জিরা ভেজানো পানি হজমের অস্বস্তির জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের একটি। এটি হজম এনজাইমকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে যা খাবারের ভাঙনকে আরও কার্যকর করে তুলতে পারে। এক মাস ধরে এই পানীয় নিয়মিত পান করলে তা পেট ফাঁপা কমাবে এবং অ্যাসিডিটিও কমিয়ে আনবে। জার্নাল অফ ফুড সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, জিরা হজমকারী এনজাইমের কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে, যা মসৃণ হজমে সহায়তা করে। ২. বিপাক ক্ষমতা বাড়ায় রাতে নিয়মিত জিরা ভেজানো পানি পান করলে তা বিপাক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। জিরায় জৈব সক্রিয় যৌগ রয়েছে যা খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করে। এর অর্থ রাতারাতি ওজন হ্রাস নয়, তবে নিয়মিত পান করলে ধীরে ধীরে নিজেকে হালকা বোধ করতে শুরু করবেন। সুষম খাদ্যের পাশাপাশি এই পানীয় নিয়মিত পান করা হলে তা শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ৩. রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে জিরা মূখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। প্রতি রাতে জিরা ভেজানো পানি পান করলে তা হঠাৎ রক্তে শর্করা বৃদ্ধি এবং হ্রাস রোধ করতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার গভীর রাতে ক্ষুধা লাগার মতো সমস্যা থেকে থাকে। জার্নাল অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড মেটাবলিক ডিসঅর্ডারে প্রকাশিত একটি নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, জিরা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণকারীদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক ছিল। ৪. ঘুমের মান উন্নত করে জিরা ভেজানো পানি শরীরের ওপর স্বাভাবিকভাবেই শান্ত প্রভাব ফেলে। রাতে পান করলে এটি পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে যা ফলস্বরূপ ভালো ঘুম পেতে কাজ করে। এক মাস ধরে নিয়মিত জিরা ভেজানো পানি পান করার পর শরীর হালকা এবং আরামদায়ক বোধ হতে পারে। পেট স্থির থাকলে গভীর এবং আরামদায়ক ঘুম আসে। ৫. ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি জিরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে যা নিস্তেজতা এবং ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে। এক মাস ধরে রাতে জিরা ভেজানো পানি পান করার ফলে সূক্ষ্ম উজ্জ্বলতা বা ত্বকের জ্বালাপোড়া কম লক্ষ্য করতে পারবেন। নিয়মিত তরল গ্রহণের ফলে উন্নত হজম এবং উন্নত হাইড্রেশন ত্বককে পরিষ্কার করতে ভূমিকা পালন করে। ৬. ডিটক্সিফিকেশন সহায়তা যদিও শরীর স্বাভাবিকভাবেই ডিটক্সিফাই করে, তবে জিরা ভেজানো পানি এই প্রক্রিয়াটিকে সহায়তা করে। এটি পরিপাকতন্ত্রকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এই সম্মিলিত প্রভাব আপনাকে ধীরে ধীরে হালকা এবং আরও সতেজ করবে। অনেকে ডিটক্স ডায়েটের বদলে একটি মৃদু উপায় হিসাবে জিরা ভেজানো পানি ব্যবহার করেন।
ফিলিপাইনে ‘চীনা গুপ্তচর’ মেয়রকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড

ফিলিপাইনে ‘চীনা গুপ্তচর’ মেয়রকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত ফিলিপাইনের সাবেক মেয়র অ্যালিস গুও-কে একটি জালিয়াতি কেন্দ্র পরিচালনার ভূমিকার জন্য মানব পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর), তাকে এবং আরো তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২ মিলিয়ন পেসো (৩৩ হাজার ৮৩২ ডলার ) জরিমানা করা হয়েছে। খবর বিবিসির। কর্তৃপক্ষ মেয়র অ্যালিসের ছোট শহর বাম্বানে দেশের বৃহত্তম জালিয়াতি কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি উদঘাটন করার পর অ্যালিস গুওর মামলাটি বছরের পর বছর ধরে ফিলিপাইনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। অভিযানের পর প্রায় ৮০০ ফিলিপিনো এবং বিদেশিকে জালিয়াতির কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর গুওর বিরুদ্ধে অনলাইন ক্যাসিনোর আড়ালে জালিয়াতি কেন্দ্র এবং মানব পাচার সিন্ডিকেট পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়। ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ গত জুলাই মাসে অ্যালিস গুওর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে। ৩৫ বছর বয়সী এই নারী এরপর কয়েক সপ্তাহ পলাতক থাকার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি আপিল করতে পারবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। গুওর বিরুদ্ধে এখনও পাঁচটি মামলা চলমান রয়েছে, যার মধ্যে একটিতে তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালে, গুও রাজধানী ম্যানিলার উত্তরে অবস্থিত বাম্বানের মেয়র নির্বাচিত হন। বাম্বানের বাসিন্দারা আগে বিবিসিকে বলেছিলেন যে, তিনি একজন যত্নশীল ও সহানুভূতিশীল নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালে, কর্তৃপক্ষ সেখানে একটি বড় জালিয়াতি কেন্দ্র উদঘাটন করার পর নীরব শহরটি জাতীয় আলোচনায় আসে। গুও প্রথমে ওই জায়গা সম্পর্কে তার সমস্ত জ্ঞান অস্বীকার করেছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে সিনেটের তদন্তে তার অফিসের কাছে অবস্থিত আট হেক্টর কেন্দ্রটি সনাক্ত করতে তার অক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে জানা যায় যে কম্পাউন্ড- যার মধ্যে ৩৬টি ভবন ছিল- গুওর পূর্বে মালিকানাধীন জমিতে নির্মিত হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ গুওর জীবন কাহিনীতেও অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে। গুও দাবি করেছিলেন, তিনি ফিলিপাইনে জন্মগ্রহণ করেননি, বরং কিশোর বয়সে তার পরিবারের সাথে চীন থেকে চলে এসেছিলেন। পরে তদন্তকারী সংসদ সদস্যরা দেখতে পান যে, তার আঙুলের ছাপ হুয়া পিং নামে একজন চীনা নাগরিকের সাথে মিলে যায়। তাকে দ্রুতই মেয়রের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। মামলার আরো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের সাথে সাথে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে তিনি নিখোঁজ হন, যার ফলে তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য চারটি দেশে আন্তর্জাতিক অভিযান শুরু হয়। একই বছরের সেপ্টেম্বরে, তাকে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং ফিলিপাইনে প্রত্যর্পণ করা হয়। তার ফিলিপাইনের পাসপোর্টও বাতিল করা হয়। দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে ফিলিপাইন ও চীনের বিবাদ অব্যাহত থাকায় গুওর মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফিলিপাইনে মামলাটি ব্যাপক আলোচিত হলেও, অ্যালিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে চীন এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
ভারতকে জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র দিতে রাজি যুক্তরাষ্ট্র

ভারতকে জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র দিতে রাজি যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ও এক্সক্যালিবার প্রজেক্টাইলস বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থার (ডিএসসিএ) বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১৯ নভেম্বর) ডিএসসিএ এক ঘোষণায় জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলার মূল্যের জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম ও এক্সক্যালিবার গাইডেড আর্টিলারি গোলাবারুদ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। আগস্টে নয়াদিল্লির রাশিয়ান তেল কেনার শাস্তি হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের ঘটনায় সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার পর ওয়াশিংটনের বিদেশি সামরিক বিক্রয় কর্মসূচির অধীনে ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়। ভারত নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি তেজাস যুদ্ধ বিমানকে আরো শক্তিশালী করার জন্য চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিকের ফাইটার জেট ইঞ্জিনের পুনঃঅর্ডার দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিল। ডিএসসিএ এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই প্রস্তাবিত ডিল যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কৌশলগত সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শান্তি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে রয়ে যাওয়া একটি প্রধান প্রতিরক্ষা অংশীদারের নিরাপত্তা উন্নত করতে সহায়তা করে মার্কিন বৈদেশিক নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন করে।” ডিএসসিএ জানিয়েছে, ভারত সরকার ২১৬টি এক্সক্যালিবার ট্যাকটিক্যাল প্রজেক্টাইল এবং ১০০টি জ্যাভলিন সিস্টেম কিনতে চেয়েছে। এক্সক্যালিবার হলো জিপিএস গাইডেড অত্যাধুনিক ১৫৫এমএম কামানের গোলা যা নিখুঁত লক্ষ্যে গিয়ে আঘাত করতে পারে। এটা ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত করতে পারে। জ্যাভলিন হলো একজন বহন করতে পারে এমন একটি মাঝারি পাল্লার ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।
চীনা জাদুঘরে মিলছে তেলাপোকা ও পিঁপড়ার কফি

চীনা জাদুঘরে মিলছে তেলাপোকা ও পিঁপড়ার কফি চীনের এক পোকামাকড় জাদুঘরে বিক্রি হচ্ছে অদ্ভুত সব কফি। তেলাপোকা কফি, পিঁপড়া কফি এবং আরও নানা ধরনের পোকাভিত্তিক পানীয়। এ খবর প্রকাশের পর থেকেই চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা। ১১ নভেম্বর চায়না ডটকম, গুয়াংমিং অনলাইনসহ বিভিন্ন চীনা গণমাধ্যম জানায়, বেইজিংয়ের ওই ইনসেক্ট মিউজিয়ামটি কফির সঙ্গে ভোজ্য পোকামাকড় মিশিয়ে বিশেষ পানীয় তৈরি করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, কফির কাপে ভাজা মিলওয়ার্ম সাজানো, আর ওপরে ছড়ানো তাজা গুঁড়ো তেলাপোকা। অনলাইনে কেউ লিখছেন, ‘৪৫ ইউয়ান (প্রায় ৭ ডলার) অনেক বেশি, কিন্তু ফ্রি দিলেও খাবো না।’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘দেখতেই গা ঘিনঘিন করছে, এটা কে খায়!’ জাদুঘরের এক কর্মকর্তা জানান, মিউজিয়ামের থিমের সঙ্গে মিল রেখে এসব বিশেষ কফি তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সব ধরনের পোকা-উপাদান খাদ্য নিরাপত্তা মানদণ্ড মেনে তৈরি হয় এবং অনেকগুলোই চীনা ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় ব্যবহৃত।’ তার দাবি, তেলাপোকা কফির স্বাদ নাকি বাদামি ও হালকা টক, আর পিঁপড়ার কফি আরও বেশি টক। তিনি আরও জানান, দিনে প্রায় ১০ কাপের মতো এই কফি বিক্রি হয়, এবং তা বেশিরভাগই কৌতূহলী তরুণদের কাছে। অনেকেই বিশেষ করে বাবা-মায়েরা মনস্তাত্ত্বিকভাবে এগুলো গ্রহণ করতে পারেন না। তেলাপোকা কফির দাম ৪৫ ইউয়ান, আর হ্যালোইন উপলক্ষে সীমিত সংস্করণে বিক্রি হওয়া পিঁপড়া কফি ইতোমধ্যেই বিক্রি শেষ হয়েছে।
জুটি বেঁধে পর্দায় ফিরছেন সাই পল্লবী-ধানুশ!

জুটি বেঁধে পর্দায় ফিরছেন সাই পল্লবী-ধানুশ! ভারতের দক্ষিণী সিনেমার দাপুটে অভিনেতা ধানুশ। তার পরবর্তী সিনেমা ‘ডি৫৫’। এটি পরিচালনা করছেন রাজকুমার পেরিয়াসামি। আগামী বছরের শুরুর দিকে সিনেমাটির শুটিং শুরুর পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা। আপাতত প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। এ সিনেমায় ধানুশের বিপরীতে কে অভিনয় করবেন তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। এবার জানা গেল, ধানুশের বিপরীতে অভিনয় করবেন সাই পল্লবী। সিনেমা এক্সপ্রেসের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, প্রথমে জানা যায়, এ সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন পূজা হেগড়ে। পরে খবর আসে ধানুশের বিপরীতে মীনাক্ষী চৌধুরীকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে খবর ছড়িয়েছে, সম্ভবত সাই পল্লবী ‘ডি৫৫’ সিনেমার নায়িকা হতে চলেছেন। খবরটি প্রকাশের পর থেকে তামিল সিনেমার ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। কারণ ‘মারি টু’ সিনেমার পর ধানুশ–সাই পল্লবী ফের একসঙ্গে পর্দায় ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ‘মারি টু’ সিনেমায় ধানুশ-সাই পল্লবীর সাফল্যের পর ভক্তরা বহুদিন ধরে এ জুটিকে আবারো একসঙ্গে দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন। যার কারণে ‘ডি৫৫’ সিনেমায় এ জুটিকে দেখার খবরে আনন্দিত ভক্তরা। যদিও সিনেমা সংশ্লিষ্টরা এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি। আপাতত আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় এ জুটির ভক্ত-অনুরাগীরা। ‘মারি টু’ সিনেমায় প্রথমবার জুটি বেঁধে অভিনয় করেন সাই পল্লবী-ধানুশ। প্রথমবারই মুগ্ধতা ছড়ান এই যুগল। সিনেমাটির ‘রাউডি বেবি’ গান মুক্তির পর দারুণ সাড়া ফেলেছিল। কেবল তাই নয়, নতুন রেকর্ড গড়ে গানটি। ইউটিউবে ১ বিলিয়ন বার দেখার মাইলফলক অর্জন করে। প্রথম দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার গান হিসেবে এই রেকর্ড গড়ে ‘রাউডি বেবি’। ধানুশ অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ইডলি কাডাই’। গত ১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। তামিল ভাষার এ সিনেমায় ধানুশের বিপরীতে অভিনয় করেন নিথিয়া মেনন। এটি পরিচালনা ও সহপ্রযোজক হিসেবেও কাজ করেন ধানুশ। এরই মধ্যে হিন্দি ভাষার ‘তেরে ইশক মেইন’ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন ধানুশ। চলতি মাসের শেষের দিকে সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। সাই পল্লবী অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘থান্ডেল’। গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। এ সিনেমায় নাগা চৈতন্যর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন সাই পল্লবী। এরই মধ্যে ‘মেরে রাহো’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন তিনি। হিন্দি ভাষার এ সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন আমির খানের পুত্র জুনায়েদ খান। আগামী ১২ ডিসেম্বর এটি মুক্তির কথা রয়েছে।পরিচালক নিতেশ তিওয়ারি দুই পার্টে নির্মাণ করছেন ‘রামায়াণ’। এতে সীতা ও রাম চরিত্রে যথাক্রমে অভিনয় করছেন সাই পল্লবী-রণবীর কাপুর। সিনেমাটির প্রথম পার্টের পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে, আর দ্বিতীয় পার্টের দৃশ্যধারণের কাজ নিয়ে ব্যস্ত নির্মাতারা।
ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতের পর শক্তিশালী ভূমিকম্প

ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতের পর শক্তিশালী ভূমিকম্প ইন্দোনেশিয়ার সেরামে ৬ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) জানিয়েছে, আজ আঘাত হানা ভূমিকম্পটি ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩৬ কিলোমিটার (৮৪ দশমিক ৫১ মাইল) গভীরে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পের ঘটনায় কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সেমেরুতে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেশটিতে ভূমিকম্প আঘাত হানলো। প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাবার সেমেরুতে একটি আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে। অগ্ন্যুৎপাতের পর ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ ৯০০-র বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারের পাশে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এর ফলে বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে ইন্দোনেশিয়া।
গুরুতর অভিযোগ তুলে মিস ইউনিভার্সের দুই বিচারকের পদত্যাগ

গুরুতর অভিযোগ তুলে মিস ইউনিভার্সের দুই বিচারকের পদত্যাগ ‘মিস ইউনিভার্স ২০২৫’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসরের কয়েক দিন আগে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দুই বিচারক। তাদের একজনের অভিযোগ—প্রতিযোগিতাটি সাজানো বা পক্ষপাতদুষ্ট। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার আট সদস্যের জুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য লেবানিজ-ফরাসি সংগীতশিল্পী ওমর হারফু। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। তাতে তিনি বলেন, “মিস ইউনিভার্সের চূড়ান্ত আসরের বিচারকের পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা ব্যাখ্যা করা জরুরি মনে করছি।” বিচারক ওমর কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। তার ভাষায়—“ফাইনালের দুই দিন আগে ১৩৬ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ৩০ জনকে প্রাক-নির্বাচনের জন্য একটি ‘গোপন ভোট’ নেওয়া হয়। যারা এই ভোট নিয়েছেন তারা জুরি বোর্ডের কোনো সদস্য নন। এখন পর্যন্ত কেউ জানেন না, নির্বাচিত সেই ৩০ জন কারা। একজন ব্যক্তির কাছে সেই তালিকাটি রয়েছে। এই ব্যক্তি অংশগ্রহণকারী একটি দেশের জাতীয় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত; যা স্পষ্টতই একটি ‘স্বার্থের সংঘাত’।” খানিকটা ব্যাখ্যা করে ওমর বলেন, “আমি জনসমক্ষে বা টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে এমন একটি ভোটকে বৈধতা দেওয়ার ভান করতে পারি না; যে ভোটে আমি অংশই নিইনি। এই প্রক্রিয়ায় যে দেশগুলো বাদ পড়েছে, তাদের মধ্যে কেউ যুদ্ধাবস্থায় থাকতে পারে, বৈষম্যের শিকার হতে পারে, অথবা ভূ-রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল হতে পারে। দর্শকরা ধরে নিতেন যে, এই সিদ্ধান্তগুলো জুরি বোর্ড নিয়েছে এবং এমন একটি প্রক্রিয়ার দায় আমি নিতে পারি না, যেটিতে আমি যুক্তই ছিলাম না। এর বিপরীত অবস্থান নেওয়া অসৎ আচরণ হতো।” ওমর এখানেই থেমে যাননি। এরপর আরো বেশ কয়েকটি পোস্ট দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়েরের পরিকল্পনা করেছেন। এ বিষয়ে নিউ ইয়র্কের অন্যতম শীর্ষ আইন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পরামর্শ করেছেন বলেও জানান তিনি। ওমরের পদত্যাগের ঘোষণার এক ঘণ্টা পরে ফরাসি ফুটবল ম্যানেজার ক্লদ মাকেলেলে জুরি বোর্ড থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে এ বিচারক ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর বসেছে থাইল্যান্ডে। এ আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। আগামী ২১ নভেম্বর এ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে।
পোস্টাল ব্যালট: ঘোষণাপত্রে সই না থাকলে ভোট বাতিল

পোস্টাল ব্যালট: ঘোষণাপত্রে সই না থাকলে ভোট বাতিল পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিলেই কেবল হবে না। ভোটার একটি ঘোষণাপত্রও সই করতে হবে। অন্যথায় তার ভোটটি অবৈধ বলে গণ্য হবে। পোস্টাল ব্যালট ভোটিং নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে। সংস্থাটির উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের সই করা পরিপত্রে পোস্টাল ভোটিংয়ের নিয়ম তুলে ধরা হয়েছে। ভোটদানের নিবন্ধন পদ্ধতি: (ক) নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রবাসী ভোটার যে দেশ থেকে ভোট দিতে ইচ্ছুক কেবলমাত্র সেই দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। (খ) পোস্টাল ব্যালট প্রাপ্তি এবং ভোট প্রদানের জন্য Google Play Store/App Store হতে ‘Postal Vote BD’ মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে হবে। (গ) ব্যবহারকারী বাংলা/ইংরেজি যেকোন একটি ভাষা নির্বাচন করে অ্যাপে নিবন্ধনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নির্দেশাবলী সম্পর্কে জানতে পারবেন।(ঘ) আবেদনকারী নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধন করবেন। OTP, Liveliness ও NID যাচাইপূর্বক আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। (ঙ) বিদেশে ব্যালট প্রাপ্তি নিশ্চিতকল্পে নির্ভুল ঠিকানা প্রদান আবশ্যক। রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো প্যাকেটে যা থাকবে: Postal Vote BD মোবাইল অ্যাপে নিবন্ধিত সব ভোটারের নিকট পর্যায়ক্রমে ব্যালট পেপার পাঠাবে ইসি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধিত ভোটারদের প্রদত্ত ঠিকানায় নির্বাচন কমিশনের পাঠানো পোস্টাল ব্যালটসহ খাম পাবেন। খাম পেয়ে পরপরই ভোটার Postal Vote BD মোবাইল অ্যাপে লগইন করে খামের উপর প্রদত্ত QR কোডটি স্ক্যান করবেন। এতে তিনি যে ব্যালট পেপারটি হাতে পেয়েছেন তা সিস্টেমে সনাক্ত হবে। ভোটাররা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত বহির্গামী খামে একটি পোস্টাল ব্যালট সম্বলিত খামের মধ্যে পোস্টাল ব্যালট পেপার, এক পাশে ভোট প্রদানের নির্দেশাবলী ও অপর পাশে একটি ঘোষণাপত্র সম্বলিত একটি পৃথক কাগজ এবং একটি ফেরত খাম পাবেন; যেখানে সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত থাকবে। ভোট দিয়ে ডাকযোগে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে: (ক) পোস্টাল ভোটিং প্রক্রিয়ায় প্রেরিত ব্যালট পেপারে সকল প্রতীক মুদ্রিত থাকবে যার প্রতিটি প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘর রয়েছে। ভোট দেওয়ার আগে ভোটাররা নির্দেশনাপত্র পড়ে ঘোষণাপত্রে যথাযথভাবে ব্যালট পেপারের ক্রমিক নং, ভোটারের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করে প্রদত্ত স্থানে স্বাক্ষর করবেন। নিরক্ষর/অক্ষম ব্যক্তি অন্য একজন বৈধ ভোটারের সাহায্যে এর সংশ্লিষ্ট অংশ পূরণ করে সত্যায়ন করে স্বাক্ষর করবেন। এই ঘোষণাপত্র/সত্যায়নপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ছাড়া ব্যালট পেপারটি বৈধ হিসাবে গণ্য হবে না। (খ) প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হলে অ্যাপ-এর মাধ্যমে অথবা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট হতে ভোটারগণ অবগত হবেন। ভোট প্রদানের জন্য ভোটাররা Postal Vote BD মোবাইল অ্যাপে লগইন করে সংশ্লিষ্ট আসনের প্রার্থীদের তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশিকাতে দেওয়া পদ্ধতিতে ব্যালট পেপারে মুদ্রিত প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক (✓) চিহ্ন কিংবা ক্রস (×) চিহ্ন দেবেন। Postal Vote BD মোবাইল অ্যাপে ভোটদান পদ্ধতির ভিডিও টিউটোরিয়াল বা ডিজিটাল কনটেন্ট থাকবে। (গ) পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোটার ভোট চিহ্নিত করার পর শুধুমাত্র ব্যালট পেপারটি ছোট খামে রেখে খামটি বন্ধ করবেন, অতঃপর উক্ত ব্যালট পেপার সম্বলিত খামটি এবং স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্রটি রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত খামে প্রবেশ করিয়ে তা বন্ধ করে বন্ধকৃত খামটি ডাকযোগে দ্রুত প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। উভয় খামই সেলফ-অ্যাডহেসিভযুক্ত থাকবে ফলে সেলফ-অ্যাডহেসিভ অংশের উপরিভাগের টেপটি খুলে নিলেই খাম বন্ধ হবে। খামটি পাঠানোর জন্য কোনো ডাক মাশুল প্রেরককে প্রদান করতে হবে না। এটি সরকারের পরিশোধিত থাকবে। পোস্টাল ভোট গণনা শুরু করার পূর্ব পর্যন্ত প্রাপ্ত পোস্টাল ব্যালট পেপারগুলোই কেবল গণনার আওতায় আসবে। (ঘ) নির্বাচন কমিশন হতে কেন্দ্রীয়ভাবে পোস্টাল ব্যালট ভোটারের নিকট প্রেরণের পর হতে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট ফেরত আসা পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়াটির বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যালটের অবস্থান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ভোটারগণও স্ব স্ব মোবাইল হইতে Postal Vote BD মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে নিজ ব্যালটের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। রিটার্নিং অফিসারের ব্যালট গ্রহণ ও সংরক্ষণ: রিটার্নিং অফিসার ডাকযোগে পোস্টাল ব্যালটের খামসমূহ প্রাপ্তির পর তার উপর প্রদত্ত QR কোড স্ক্যান করার মাধ্যমে প্রাপ্ত রেকর্ড রাখবেন, যা পোস্টাল ব্যালট বিতরণ ও প্রাপ্তি তালিকা হিসাবে সফটওয়্যার হতে জেনারেট হবে। সফটওয়্যার হতে জেনারেট করা এই ফরমে রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষর করবেন। যথাযথ স্বাক্ষরবিহীন ঘোষণাপত্র/ঘোষণাপত্রবিহীন ব্যালটের খাম বাতিল/অবৈধ বলে সংরক্ষণ করবে রিটার্নিং অফিসার। আর যথাযথ স্বাক্ষরযুক্ত ঘোষণাপত্র সম্বলিত ব্যালটের খামগুলো গণনার জন্য আলাদা বাক্সে সংরক্ষণ করা হবে। যা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার নির্ধারিত বাক্সে সংরক্ষণ করবেন। পোস্টাল ব্যালট পেপার গণনার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি গণনা কক্ষ প্রস্তুত করা হবে। পোস্টাল ভোট গণনার সময় প্রার্থী/নির্বাচনী এজেন্ট/প্রার্থীর প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, পর্যবেক্ষকরা অন্যান্য কেন্দ্রের ন্যায় একই নীতিমালা অনুসরণে উপস্থিত থাকতে পারবেন। রিটার্নিং অফিসার পোস্টাল ভোট প্রদানের নিমিত্তে ডেভেলপকৃত সফটওয়্যারে লগইন করার পর সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রদত্ত ভোটের সামগ্রিক চিত্র দেখতে/জানতে পারবেন। যে পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রাপ্ত ব্যালট পেপার গণনা করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা: (ক) রিটার্নিং অফিসার ব্যালট পেপার সম্বলিত খামগুলো গণনার জন্য বাক্স খুলবেন এবং একের পর এক ব্যালট পেপার সম্বলিত খাম খুলে ব্যালট পেপার বের করবেন। বৈধ ব্যালট পেপারসমূহ প্রার্থীভিত্তিক আলাদা করবেন এবং তা গণনা করবেন; (খ) যে সমস্ত পোস্টাল ব্যালটে কোন প্রার্থীর অনুকূলে ভোট প্রদান করা হয়েছে তা সঠিক বোঝা না যায় সেগুলো অবৈধ/বাতিল ব্যালট হিসেবে আলাদা করবেন। (গ) প্রাপ্ত ফলাফল সাধারণ ভোটকেন্দ্রের মতো লিপিবদ্ধ করে এর কপি প্রকাশ করবেন। (ঘ) পোস্টাল ব্যালট গ্রহণের সময়সীমা অতিক্রান্ত হবার পর যদি কোন পোস্টাল ব্যালট পেপার সম্বলিত খাম রিটার্নিং অফিসারের নিকট পৌঁছায় সেক্ষেত্রে প্রাপ্ত পোস্টাল ব্যালটসমূহ রিটার্নিং অফিসার/দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গ্রহণের তারিখ ও সময় উল্লেখসহ স্বাক্ষরপূর্বক সংরক্ষণ করবেন এবং এ সংখ্যা প্রকাশ করবেন; পোস্টাল ব্যালট পেপার গণনা শেষ হলে অন্যান্য সাধারণ কেন্দ্রের মতো পোস্টাল ব্যালটের ফলাফল ঘোষণা করে সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা সাধারণ ভোটকেন্দ্রের ফলাফলের পাশাপাশি পোস্টাল ব্যালটে প্রাপ্ত ভোটের হিসাব ঘোষণা ও অন্যান্য কেন্দ্রের ফলাফলের সাথে একত্রিকরণ করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করবেন। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভোটের হিসাব একীভূত না করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না।
আলিয়া-কাজল-রাশমিকাকে টপকে শীর্ষে সামান্থা

আলিয়া-কাজল-রাশমিকাকে টপকে শীর্ষে সামান্থা ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। অভিনয় ও শরীরি সৌন্দর্যে মুগ্ধ করেছেন তিনি। ‘পুষ্পা’ সিনেমায় তার নাচের হিল্লোল এখনো ভোলেননি দর্শক। এবার ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী নির্বাচিত হলেন সামান্থা। ওরম্যাক্স মিডিয়া অক্টোবর মাসের জরিপ প্রকাশ করেছে। তাতে আলিয়া ভাট, কাজল আগরওয়াল, রাশমিকা মান্দানাকে পেছনে ফেলে সেরা অভিনেত্রীর জায়গা পেয়েছেন সামান্থা। ওরম্যাক্স মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন, ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রীর তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। এ তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন আলিয়া ভাট ও কাজল আগরওয়াল। দশজনের এই তালিকার চতুর্থ, পঞ্চম, ৬ষ্ঠ অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছেন—রাশমিকা মান্দানা, তৃষা কৃষ্ণান, দীপিকা পাড়ুকোন। সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছেন সাই পল্লবী, নয়নতারা, শ্রীলীলা, তামান্না ভাটিয়া। সামান্থা রুথ প্রভু অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিজ ‘সিটাডেল: হানি বানি’। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত মার্কিন সিরিজের হিন্দি রিমেক এটি। ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার এ সিরিজ পরিচালনা করেন রাজ ও ডিকে। এতে সামান্থার বিপরীতে অভিনয় করেন বরুণ ধাওয়ান। ২০১০ সালে ‘ইয়ে মায়া চেসাভে’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন সামান্থা রুথ প্রভু। প্রথম সিনেমায় সামান্থার নায়ক ছিলেন নাগা চৈতন্য। পরবর্তীতে নাগার সঙ্গে ঘর বাঁধেন সামান্থা। যদিও এ সংসার টিকেনি। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টালমাটাল সময় পার করছেন সামান্থা। এরই মাঝে এই খবর খানিকটা আনন্দের বলে মনে করছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা।