মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ জারি

মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ জারি মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার। গতকাল এই গেজেট জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন ও প্রতিস্থাপনের জন্য আগের আইনের বিধান অপ্রতুল। মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন ও প্রতিস্থাপন সহজীকরণ, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার রোধ ও অবৈধ পাচার রোধ করতে আগের আইন রহিত করে একটি যুগোপযোগী অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা সমীচীন। সেজন্য সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করলেন। নতুন এই অধ্যাদেশের ফলে অঙ্গ প্রতিস্থাপনটা খুব সহজ হবে। আগে যেমন ছিল অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য খুবই কাছের যেমন ভাই, বোন, বাবা-মা থেকে নিতে পারতেন, এখন এটাকে একটু সম্প্রসারণ করা হয়েছে। অঙ্গ দান করার ক্ষেত্রে পরিধি বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে ভাতিজা, ভাগিনা যুক্ত করা হয়েছে। তারাও অঙ্গদান করতে পারবে না। এর ফলে বাংলাদেশের অনেককেই এখন কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য আর বিদেশে যাওয়া লাগবে না। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোও এই সার্ভিস দিতে পারবেন। এর আগে ১৭ জুলাই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ৩৪তম বৈঠকে ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ, ২০২৫’- এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৪৫

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৪৫ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৪৫ জন। আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫৩। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৩ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮ জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত ৮৫ হাজার ২৬৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৮৮ হাজার ৪৫৭ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক তিন শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক সাত শতাংশ নারী রয়েছেন।
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার আমন সংগ্রহ শুরু হয়েছে জানিয়ে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার। ফেব্রুয়ারিতে যেহেতু নির্বাচন, তাই আগেভাগেই সংগ্রহ শেষ করা হবে। আজ সচিবালয়ে আমন সংগ্রহ অভিযান নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, আমন ধান বেশি পরিমাণে কেনা হবে। ধান ও চালের মধ্যে আগে সংগ্রহের ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে ব্যবধান থাকতো। এবার তা হবে না, যা কৃষকদের উৎসাহিত করছে। ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে কেনা হবে। সংগ্রহের ডেডলাইন আগামী ফেব্রুয়ারি। কিন্তু, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ায় এর আগেই প্রায় সবটা সংগ্রহ করা হবে। তিনি বলেন, ৫০ হাজার টন ধান, ৫ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার টন আতপ চাল সংগ্রহের মিনিমাম টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। সব কিছু হিসাব করে ধান উৎপাদনে কিছু পরিমাণ ঘাটতি থাকে, যার কারণে আমাদের আমদানি করতে হয়। তিনি আরও বলেন, ৫০ লাখ পরিবার থেকে ৫৫ লাখ পরিবারের কাছে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। ৫ মাস দেয়া হত আগে, এখন সেটা ৬ মাস করা হয়েছে। এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে কমিটেড। অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব হস্তান্তর করবে, তখন খাদ্য মজুদ অনেক বেশি পরিমাণে থাকবে বলে আশা করি।
সারা দেশে মোবাইল বিক্রির দোকান খুলল

সারা দেশে মোবাইল বিক্রির দোকান খুলল রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মোবাইল মার্কেটগুলো আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে থাকা স্মার্টফোন ও গ্যাজেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ছেড়ে দেওয়ার পর দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা। এর আগে গতকাল সকালে সংবাদ সম্মেলন করে সারা দেশে মোবাইল বিক্রির দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি পিয়াসকে আজকের মধ্যে মুক্তি না দিলে তারা সারা দেশে কঠোর আন্দোলনে নামবেন। মোবাইল মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে এমবিসিবির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি পুলিশ আটক করার প্রতিবাদে মোবাইল বিক্রেতারা মোবাইল বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল সন্ধ্যায় আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি ছেড়ে দেওয়ার পর আমরা আজ স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিনের মতো সব মোবাইল মার্কেটের দোকান খোলা হয়েছে। এর ফলে গতকাল দিনভর মার্কেট বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়া ক্রেতা ও বিক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। ডিবির কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আজ আবু সাঈদ পিয়াস গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমাকে আটকের উদ্দেশ্য ছিল গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘এনইআইআর বাস্তবায়ন : মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ঠেকানো। কিন্তু আমার আটকের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন থেকেই ব্যবসায়ীরা প্রতীকী ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যেহেতু গতকাল সন্ধ্যায় আমাকে ডিবি ছেড়ে দিয়েছে, সেহেতু রাতেই মোবাইল ব্যবসায়ীরা আজ থেকে সারা দেশের মোবাইল মার্কেটগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাকে আটক করে সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করার চেষ্টা সফল হয়নি।
গোমস্তাপুরে তরুনী গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

গোমস্তাপুরে তরুনী গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার গোমস্তাপুরে এক তরুনী গৃহবধুর গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বোয়ালিয়া ইউনিযনের ২ নং ওয়ার্ডের দুর্গাপুর গ্রামের মো.সুমন ওরফে শাকিলের স্ত্রী ও একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে জোছনা আরা মিম । তবে ঘটনার পর থেকে সুমনের স্বামী সুমন পলাতক রয়েছেন। মিম এক বছর বয়সী এক শিশুপুত্রের জননী ছিলেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্বামীর বাড়ির নিজ শয়ন কক্ষের দরজা ভেতর থেকে আটকিয়ে ছাদের বাঁশের তীরের সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস দেয় মিম। এ সময় তাঁর স্বামী ও শ্মশুড়ি বাড়িতেই ছিলেন। তবে তাঁরা ঘটনা পরে টের পান। ঘটনা টের পেয়ে তাঁরা প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙ্গে মিমের মরদেহ নামায়। খবর পেয়ে পুলিশ ব্কিালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে এ সময় পুলিশ মিমের স্বামী সুমনকে বাড়িতে পায় নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে মিম আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। স্বামীর সাথে তাঁর পূর্ব থেকেই দাম্পত্য কলহ ছিল বলে জানা গেছে। এদিকে মিমের পরিবার মিমের মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের নিকট অভিযোগ করেছে। গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি ফরিদ আহমেদ বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবদেন পেলে মিমের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কবি, সঙ্গীত পরিচালক, গণসঙ্গীতকার সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকীতে ‘সতত সলিল’ অনুষ্ঠান

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কবি, সঙ্গীত পরিচালক, গণসঙ্গীতকার সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকীতে ‘সতত সলিল’ অনুষ্ঠান জনপ্রিয় গান ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা,আর কতকাল তুমি রবে দিশেহারা’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে কিংবদন্তির কবি, সঙ্গীত পরিচালক ও গণসঙ্গীতকার সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকীতে ‘সতত সলিল’ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলা সংসদ নিজস্ব কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সলিলের সৃষ্টি ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ইসরাইল সেন্টু, উদীচী জেলা সংসদ সহ-সভাপতি আমীরুল মোমেনিন জীবন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা, সদস্য আবুল হাসান,রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী নিয়াজ আহমেদ কমল সহ উদীচী সদস্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যাক্তিবর্গ। আলোচকরা বলেন, সলিল আধুনিক বাংলা গানের একজন স্মরণীয় সুরশ্রষ্টা ও গণসঙ্গীত প্রনেতা। তিনি ছিলেন একাধারে গীতিকার,সুরকার ও গল্পকার। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। কবিতার জন্যও তিনি প্রশংসিত। চলচিত্র শিল্পেও তিনি অবদান রেখেছেন। একাধিক ভাষায় তাঁর সৃষ্টি জনপ্রিয় হয়েছে। বাংলা সঙ্গীতের বিখ্যাত শিল্পীরা তাঁর ‘আজ নয় গুন গুন, গুঞ্জন প্রেমের’, ‘আয় বৃর্ষ্টি ঝেঁপে,ধান দিব মেপে’, ‘ধিতাং ধিতাং বোলে’ ইত্যাুিদ বহুমাত্রিকতার,প্রকৃতি ও সমসাময়িকতা নিয়ে তৈরী অসংখ্য জনপ্রিয় গান গেয়েছেন। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তাঁর কাজ কখনও হারিয়ে যাবার নয়। সভা শেষে সলিলের একক গান, গণসঙ্গীত গেয়ে শোনান ও কবিতা আবৃত্তি করেন উদীচীর শিল্পী এবং অতিথিরা।
আগামীকাল মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

আগামীকাল মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প আগামীকাল নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চলতি মাসের শুরুতে নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে জোহরান মামদানি নির্বাচিত হওয়ার পর দুই রাজনীতিকের মধ্যে এটি প্রথম মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ ট্রাম্প মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ আখ্যা দিয়ে নিজের পুরনো মিথ্যা দাবির পুনরাবৃত্তি করেন। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘২১ নভেম্বর, শুক্রবার ওভাল অফিসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’ এদিকে, নবনির্বাচিত মেয়রের মুখপাত্র ডোরা পেকেক এক বিবৃতিতে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, রীতি অনুসারে নবনির্বাচিত মেয়র জননিরাপত্তা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং নিউইয়র্কবাসী যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে দেখা করার পরিকল্পনা করছেন।’
গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির সুযোগে তারা ৪০ হাজারেরও বেশি শিশুকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এর সহযোগীরা ইতোমধ্যে ৯ নভেম্বর শুরু হওয়া প্রথম ধাপের আট দিনে তিন বছরের কম বয়সী ১০ হাজার শিশুকে টিকা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের কর্মসূচি শনিবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এতে হাম, মাম্পস, রুবেলা, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, হুপিং কাশি, হেপাটাইটিস বি, যক্ষ্মা, পোলিও, রোটাভাইরাস ও নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া হবে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ পরিচালিত হবে। এ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে ইউনিসেফ, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এবং হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। টেড্রোস বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকায় আমরা উৎসাহিত। এতে গাজায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করা, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পুনঃসংস্থান এবং বিধ্বস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।’ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার পক্ষে ভোট দিয়েছে। এই পরিকল্পনার মাধ্যমেই গত ১০ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের রক্তক্ষয়ী হামলার জেরে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ড বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। তবে বর্তমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও সেখানে বেশ কয়েকবার সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সরকারি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওই হামলায় ১ হাজার ২২১ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল। নিহতদের অধিকাংশই ছিল বেসামরিক নাগরিক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, ইসরায়েলি সেনাদের পাল্টা অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৫০০’র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ এ সংখ্যাকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে। মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী।
রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের এক শহরে এক রাতে নিহত ২৫

রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের এক শহরে এক রাতে নিহত ২৫ রুশ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তেরনোপিলের আবাসিক এলকায় এক রাতে নিহত হয়েছেন ২৫ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৭৭ জন। নিহতদের মধ্যে ৩ জন এবং আহতদের মধ্যে ১৫ জন শিশু আছে। গত মঙ্গলবার রাতে তেরনোপিলে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এই শহরটি পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী। নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে তেরনোপিল, লভিভ এবং খারকিভ শহরে ৪৮৩টি ড্রোন এবং ৪৮টি বিভিন্ন পাল্লারি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ৪৪২ ও ৪২টি ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দিতে পারলেও বাকি ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ছয় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ঘটেছে হতাহতের এসব ঘটনা। যে তিন জন শিশু নিহত হয়েছে, তাদের বয়স যথাক্রমে ৫, ৭ এবং ১৬ বছর। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃত ২৫ জনের মধ্যে ১৯ জন জীবন্ত পুড়ে মারা গেছেন। এ ১৯ জনের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে। হামলার পর ইউক্রেনের জাতীয় জরুরি অবস্থা পরিষেবা বাহিনীর ৪৫টি ইউনিটের ১৬০ জন সদস্য তেরনোপিলের বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন তাদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং গতকাল তারা বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪৫ জনের নিহত ও আহতকে উদ্ধার করতে পেরেছেন। তেরনোপিলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, “ইউক্রেনের বেসামরিক লোকজনের ওপর রুশ বাহিনীর প্রতিটি নির্লজ্জ আক্রমণ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে রাশিয়ার ওপর বৈশ্বিক চাপ কোনো কাজ করছে না।”
গর্ভাবস্থায় দূষিত বাতাস কতটা ক্ষতিকর?

গর্ভাবস্থায় দূষিত বাতাস কতটা ক্ষতিকর? শীত এলেই বাতাসে বাড়ে দূষণের পরিমাণ। প্রতিদিন সকালে মানুষ চোখ জ্বালাপোড়া, গলা চুলকানো, মাথাব্যথা এবং ক্রমাগত কাশি নিয়ে ঘুম থেকে উঠতে হয় অনেককে। যদিও এই পরিস্থিতি সবার জন্য সমস্যাজনক, তবে গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিষাক্ত বাতাস ভ্রুণের বিকাশ এবং হবু মায়ের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক দূষিত বাতাস কীভাবে গর্ভাবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ১. অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় দূষিত বাতাসে PM2.5 এবং PM10 এর মতো ক্ষুদ্র কণা থাকে, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় রক্তে পৌঁছায়। এর ফলে প্রদাহ এবং স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়, যা গর্ভবতী মায়েদের অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের NICU-তে থাকতে হয় এবং দীর্ঘমেয়াদী বিকাশ এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যাও বেশি থাকে। ২. কম ওজন বিষাক্ত দূষণকারী পদার্থ ভ্রূণের পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দেয়। এর ফলে গর্ভের ভিতরে শিশুর বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয় হয়। কম ওজন নিয়ে জন্মানো শিশুরা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, খাওয়াতে অসুবিধা এবং বিকাশে বিলম্বের মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়। ৩. গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বৃদ্ধি দূষিত বাতাসের গুণমান রক্তনালীর ক্ষতির সঙ্গে সম্পর্কিত, যার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে থাকা গর্ভবতী নারীরা গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ বা প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার ঝুঁকিতে ভুগতে পারেন, যা সময়মতো পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসা না করালে জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে। ৪. গর্ভপাতের ঝুঁকি বেশি বিষাক্ত দূষণকারী পদার্থের সংস্পর্শে যত বেশি থাকা হবে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম মাসগুলোতে, গর্ভপাতের ঝুঁকি তত বেশি হবে। সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইডের মতো পদার্থ ভ্রূণের রোপন এবং স্বাভাবিক হরমোন ভারসাম্যে সমস্যা করতে পারে। ৫. মায়েদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ফুসফুসের ক্ষমতা হ্রাস পায়। দূষিত বায়ু ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, পাশাপাশি তীব্র বুকে জমাট বাঁধার কারণ হতে পারে, যার ফলে মা এবং শিশু উভয়ের জন্য উপলব্ধ অক্সিজেনের মাত্রা মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়।