৫০ বছরের ট্রেন্ড ভাঙতে চলেছে সুপারম্যানের

৫০ বছরের ট্রেন্ড ভাঙতে চলেছে সুপারম্যানের   ডিসি স্টুডিওসের নতুন সিনেমা ‘সুপারম্যান টু (ম্যান অব টুমোরো)’ সুপারম্যান ফ্র্যাঞ্চাইজির ইতিহাসে বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে। প্রায় ৫০ বছর ধরে সুপারম্যানের একক সিনেমাগুলোতে ভিলেন হিসেবে ঘুরেফিরে এসেছে জেনারেল জড বা লেক্স লুথর-এই চক্রের বাইরে যাওয়া হয়নি। কিন্তু এবার সেই দীর্ঘদিনের ট্রেন্ড ভাঙতে চলেছে ডিসি। খবর দ্য ডাইরেক্টের। দ্য র‍্যাপ-এর উমবের্তো গনজালেজ এবং কেসি লাভিং-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘ম্যান অব টুমোরো’ সিনেমায় মূল ভিলেন হিসেবে থাকছেন ব্রেইনিয়াক। এটি হবে প্রথমবার, কোনো লাইভ-অ্যাকশন ডিসি ছবিতে ব্রেইনিয়াককে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখানো হবে। এখনো পর্যন্ত চরিত্রটির অভিনেতা চূড়ান্ত হয়নি। সুপারম্যানের একক ছবিতে ১৯৮৩ সালের সুপারম্যান থ্রী ছাড়া সব সিনেমাতেই প্রধান ভিলেন ছিলেন জড বা লেক্স। সুপারম্যান থ্রী ছবিতে রস ওয়েবস্টার নামে এক নন-কমিকস ভিলেন ব্যবহৃত হয়েছিল। এরপর আর কখনোই এই দুই চরিত্রের বাইরে যাওয়া হয়নি। জড চরিত্রটিকে প্রথম জনপ্রিয় করেন টেরেন্স স্ট্যাম্প, পরে ডিসিইউতে মাইকেল শ্যানন তার আধুনিক রূপ দেন। অন্যদিকে, লেক্স লুথরের ভূমিকায় ছিলেন জিন হ্যাকম্যান ও কেভিন স্পেসি। নতুন ডিসি ইউনিভার্সে এই চরিত্রে অভিনয় করছেন নিকোলাস হোল্ট, যিনি ২০২৫ সালের সুপারম্যান–এ তার প্রথম উপস্থিতি দিয়েছিলেন এবং পরে পিসমেকার এর দ্বিতীয় মৌসুমেও দেখা যাবে তাকে। ২০২৫ সালের সুপারম্যান এর সিক্যুয়েল ‘ম্যান অব টুমোরো’তে আবারও ফিরছেন ডেভিড কোরেনসোয়েট (সুপারম্যান), নিকোলাস হোল্ট (লেক্স লুথর), র‍্যাচেল ব্রসনাহান এবং ফ্র্যাঙ্ক গ্রিলো। গল্পে দেখা যাবে- পৃথিবীকে রক্ষা করতে চরম শত্রুতা ভুলে সুপারম্যান ও লেক্স লুথরকে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে ব্রেইনিয়াকের বিরুদ্ধে। ছবিটি মুক্তি পাবে ২০২৭ সালের ৯ জুলাই। ডিসি কমিকসে ব্রেইনিয়াককে ধরা হয় প্রায় জাস্টিস লিগ–স্তরের হুমকি হিসেবে। এই টেকনো-অর্গানিক ভিলেন পুরো সভ্যতাকে সঙ্কুচিত করে সংগ্রহ করে রাখার জন্য কুখ্যাত। ফলে সিনেমায় তিনিই হতে চলেছেন কোরেনসোয়েটের সুপারম্যানের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রতিপক্ষ। জ্ঞান সংগ্রহের প্রতি তার অসীম লোভের কারণে, ব্রেইনিয়াক পৃথিবীর মেটাহিউম্যানসহ নানা তথ্য দখল করতে চাইবে- এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। তার ভয়াবহতার কারণেই, মেটাহিউম্যানদের ঘৃণা করা লেক্স লুথরও বাধ্য হবে সুপারম্যানের সঙ্গে হাত মেলাতে।

ফিলিপাইনের দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ

ফিলিপাইনের দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ ফিলিপাইন প্রেসিডেন্ট ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সরকারের দুই মন্ত্রী অবৈধ অবকাঠামো ও বিলিয়ন ডলারের বাজেট ঘাটতির মামলায় পদত্যাগ করেছেন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের প্রেস অফিসার ক্লেয়ার কাস্ত্রো স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, নির্বাহী সচিব লুকাস বারসামিন এবং বাজেট ও প্রশাসন সচিব অ্যামেনাহ পাঙ্গানডামান উভয়েই তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কাস্ত্রো বলেন, “বন্যা প্রতিরোধমূলক প্রকল্পে তাদের দপ্তরগুলোর অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর, প্রশাসনকে বিষয়টি যথাযথভাবে সমাধান করার সুযোগ দেওয়ার দায়িত্বস্বরূপ তারা পদত্যাগ করেছেন।” ফিলিপাইনের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও সিঙ্গাপুরের আইএসইএএস-ইউসুফ ইশাক ইনস্টিটিউটের ভিজিটিং সিনিয়র ফেলো আরিস আরুগে-এর মতে, জুলাই মাসে দুর্নীতির কেলেঙ্কারি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বারসামিন এবং পাঙ্গানডামান হলেন মার্কোস সরকারের সর্বোচ্চ পদস্থ সদস্য- যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে। তার মতে, প্রেসিডেন্ট নিজে আপাতত বিতর্কের বাইরে থাকলেও পরিস্থিতি যে কোনো সময় বদলাতে পারে। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, “এই মুহূর্তে, প্রাসাদ প্রেসিডেন্টকে এই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছে, এবং এই কারণেই নির্বাহী সচিব, বাজেট সচিবের ‘পদত্যাগ’ করানো হচ্ছে।” আরুগে বলেন, “মার্কোস জুনিয়রের এখনও সংসদে ‘আরামদায়ক’ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে কারণ অনেক এমপি এখনও তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতার্তের নেতৃত্বের তুলনায় পছন্দ করেন, তবে আরো প্রমাণ সামনে এলে ‘সব বাজি শেষ’ হতে পারে।” চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পলাতক রাজনীতিবিদ জালডি কো বলেন, তিনি একটি বরাদ্দের কমিটির প্রধান থাকাকালে মার্কোস তাকে ‘সন্দেহজনক জনকল্যাণের’ জন্য বাজেটে ১.৭ বিলিয়ন ডলার যোগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।  এক মাস ধরে তদন্তের পর দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িত অভিযুক্ত প্রথম কর্মকর্তাদের মধ্যে কো ছিলেন। মার্কিস জুনিয়র কংগ্রেসে এক বক্তব্যে বন্যা-নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে ঠিকাদারদের নিম্নমানের উপাদান ব্যবহারের তথ্য প্রকাশের পর, দুনীর্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে দেশটির জনগণ রাস্তায় নেমে আসে।  ফিলিপাইন প্রতিবছরই টাইফুন ও অন্যান্য গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের কবলে পড়ে এবং বন্যা সেখানে নিয়মিতভাবে ভয়াবহ একটি সমস্যা।

মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ

মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ থাইল্যান্ডে ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। এ প্রতিযোগিতার মূল পর্ব যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অনলাইন ভোটিং। কারণ, এই ভোটের ওপরই নির্ভর করছে কোন দেশ কত শক্তিশালী অবস্থানে শুরু করবে প্রতিযোগিতা। পিপলস চয়েসে আজকেই শেষ হচ্ছে ভোট। বাংলাদেশের মানুষ চাইলেই তাকে পিপলস চয়েসে বিজয়ী করতে পারেন। মিথিলা বলেন, ‘পিপলস চয়েসে বাংলাদেশের হয়ে এক নম্বরে ছিলাম, এখন দুই নম্বরে বাংলাদেশ। বুধবার (আজ) শেষ দিন। আশা করি, আবার বাংলাদেশ এক নম্বরে যাবে। মানুষের ভালোবাসা থাকলে কিছুই সম্ভব। মিস ইউনিভার্স অ্যাপে গিয়ে বাংলাদেশ সিলেক্ট করে ‘গেট ভোট’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘পিপলস চয়েস’ সেকশনে তানজিয়া জামান মিথিলা নির্বাচন করে প্রতিটি বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে আরও ভোট দেওয়া সম্ভব। পিপলস চয়েসে ১ নম্বরে থাকলে সরাসরি সেরা ৩০-এ পৌঁছে যাবেন মিথিলা। এর আগে সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিথিলা বলেন, ‘২০২০ সালে আমি ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ হয়েও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে পারিনি, কভিডের কারণে। সেটা ছিল এক অপূর্ণতা। এবার সেই স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পেয়েছি। আমি চাই, পৃথিবী জানুক– বাংলাদেশ থেমে নেই। আমরা এগোচ্ছি, সাহস নিয়ে, মর্যাদা নিয়ে। বিশ্বের সুন্দরীদের মঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা পত পত করে উড়ুক। তাই আমার দিক থেকে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি আছে। আছে জয়ের আত্মবিশ্বাসও। পাশাপাশি দেশবাসীর দোয়া ও আশীর্বাদ তো আছেই। ২১ নভেম্বর ঘোষণা হবে চূড়ান্ত ফলাফল। মিথিলা জানালেন, ‘এটা একটা প্রতিযোগিতা। আমি শতভাগ আশা নিয়ে এখানে এসেছি। মুকুট জয়ের সব যোগ্যতা বাংলাদেশের রয়েছে। আমার লক্ষ্য একটাই–বাংলাদেশের নামটা বিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল করা। তবে ফলাফল যা–ই হোক, আমি খুবই খুশি। কারণ, দেশের মানুষ আমাকে ভালোবাসছে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। এই পাওয়া নিয়েই আগামী পথচলা শুরু করব। তানজিয়া জামান মিথিলা শুরুতে ছিলেন র‍্যাম্প মডেল। ২০১৯ সালে ভারতীয় পরিচালক হায়দার খানের ‘রোহিঙ্গা’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক। একই বছরে ‘ফেস অব বাংলাদেশ’ এবং ‘ফেস অব এশিয়া’-এ মুকুট জেতেন। পরে ২০২০ সালে নির্বাচিত হন ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’।

পঞ্চাশের সুস্মিতা কেন বিয়ে করেননি?

পঞ্চাশের সুস্মিতা কেন বিয়ে করেননি? সাবেক মিস ইউনিভার্স ও বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ভক্ত-অনুরাগীদের মুঠো মুঠো ভালোবাসা কুড়িয়েছেন। মেঘে মেঘে বেলা অনেক গড়িয়েছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) তার জন্মদিন। ৪৯ পেরিয়ে ৫০ বছর পূর্ণ করলেন এই অভিনেত্রী। জীবনের এ পর্যায়েও সুস্মিতা সেন এখনো অবিবাহিত। যদিও তার প্রেমজীবন নিয়ে নানা সময়ে নানা খবর রটেছে। কিন্তু কেন বিয়ে করেননি এই অভিনেত্রী? কয়েক বছর আগে একাধিক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছিলেন সুস্মিতা। ২০২৩ সালে হেলথ শটস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা সেন বলেছিলেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় চাহিদা—আমার স্বাধীনতা। আমি স্বাধীনচেতা মানুষ। আমি যা করি, তা মন থেকে করি—কারো প্রত্যাশা থেকে করি না।” বিয়ে না করার কারণ ব্যাখ্যা করে সুস্মিতা সেন বলেছিলেন, “আমি সিঙ্গেল কারণ এখনো এমন কাউকে পাইনি; যার সঙ্গে আমি আমার জীবন কাটাতে চাই। আমি ভালোবাসার অভাববোধ করি না; যা দারুণ বিষয়! ভারতীয়রা এটা বিশ্বাস করেন যে, এটি বিয়ের সঙ্গে যুক্ত। আমার জীবনে সেসব আগে থেকেই আছে। আমার দুটি সুন্দর সন্তান আছে। আমি ওদের একাই বড় করেছি। আমি আমার জীবনে কোনো কিছুর অভাববোধ করি না।” “আমি নিজের মতো বাঁচার সিদ্ধান্ত নিইনি—এটা নিজে থেকেই ঘটেছে। আমি ধীরে ধীরে আশেপাশের মানুষের বিভিন্ন মতামত নিয়েছি। এরপর নিজেকে প্রশ্ন করেছি, ‘আমি আসলে কী চাই?’ আমি সবার কথা শুনি। কিন্তু যা করার তা নিজের ইচ্ছেমতো করি। এজন্য আমি নিজের মতো জীবনযাপন করতে পেরেছি।” বলেন সুস্মিতা সেন। ২০২২ সালে অভিনেত্রী-লেখিকা টুইঙ্কেল খান্নাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিয়ে নিয়ে কথা বলেছিলেন সুস্মিতা সেন। এ আলাপচারিতায় তিনি বলেছিলেন, “সৌভাগ্যক্রমে আমি অনেক মজার মানুষদের সঙ্গে মিশেছি। কিন্তু আমি বিয়ে করিনি কারণ তারা সকলেই হতাশ থাকত। বাচ্চাদের নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এতে বাচ্চাদের কিছু নেই। তারা খুবই ভদ্র। আমার জীবনে যারা এসেছে দু’টি বাচ্চাই তাদের আপন করে নিয়েছে। তারা সবাইকে সমানভাবে সম্মান করেন। এটি দেখলে ভালো লাগে।” তিনবার বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানান এই অভিনেত্রী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। সুস্মিতার ভাষায়, “আমি তিনবার বিয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমাকে বাঁচিয়েছেন। পরে তাদের জীবনে কী ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে তা বলে বোঝাতে পারবো না। সৃষ্টিকর্তা আমাকে রক্ষা করেছেন। আমার বাচ্চাদেরকেও। তিনি আমাকে এসব বাজে সম্পর্কে জড়াতে দেননি।”

সুর ঠিক না রাখতে পারলে শিল্পী হওয়াই উচিত না রুনা লায়লা

সুর ঠিক না রাখতে পারলে শিল্পী হওয়াই উচিত না রুনা লায়লা উপমহাদেশের প্রখ্যাত ও কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী গান, যার মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠেছেন সংগীতজগতের জীবন্ত কিংবদন্তি। বর্তমান সময়ের সংগীত তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন এই গুণী শিল্পী। বিশেষ করে ‘অটো টিউন’ প্রযুক্তির ব্যবহার শিল্পীদের মৌলিকত্ব ও পরিশ্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মনে করেন তিনি। রুনা লায়লা বলেন, ‘অটো টিউন দিয়ে এখন যে কেউ গান গাইতে পারে। সো, এটা বললেই আপনি বুঝতে পারবেন যে এটা আমার পছন্দ, না অপছন্দ। তিনি বলেন, ‘আমি যদি নিজের সুর ঠিক না রাখতে পারি, তাহলে তো আমার শিল্পী হওয়াই উচিত না। কারণ অটোটিউনে যদি সবকিছু করে দেয়, আমার সুরও ঠিক করে দিচ্ছে। আমার কোথায় কী সমস্যা আছে ঠিক করে দিচ্ছে, আমি একটা মুখ গাইলাম তারপর আর মুখ গাইলাম না, ওটাই লাগিয়ে দিল আগে-পিছে করে। কিংবদন্তি এই শিল্পী মনে করেন, প্রযুক্তির এই অতিরিক্ত ব্যবহার গানের আসল আবেগ ও স্বতঃস্ফূর্ততা (স্পন্টানিটি) নষ্ট করে দিচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘তাহলে তো জিনিসটা ওই স্পন্টানিটিটাও থাকে না, ওই ইমোশনও থাকে না। তার কথায়, ‘আমরা আগে যেরকম করতাম ফুল মিউজিশিয়ানদের নিয়ে একদম আমরা গান করতাম। সেই বিকেল ছটায় শুরু হলে পরের দিন সকাল ছটায় গিয়ে শেষ হতো। সব মিউজিশিয়ান সবার সাথে, একটা কেউ ভুল করলো তো আবার প্রথম থেকে। তিনি আরও বলেন, ‘দেখা গেল অনেক সময় ১০১ টেক চলছে নাম্বার ১০১। তো যে খাটনিটা আমরা খেটেছি, এইটা তো এখন নেই। এখন স্টুডিওতে গেলাম, আমিও তো এখন গান করতে গেলে বলি, ‘আচ্ছা কী ট্র্যাক কী? আচ্ছা ঠিক আছে, ওকে চলো’।

ফুটবলে নতুন ইতিহাস: সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে কুরাসাও

ফুটবলে নতুন ইতিহাস: সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে কুরাসাও ছোট্ট ক্যারিবীয় দ্বীপ কুরাসাও লিখে ফেলল ইতিহাস। স্টিভ ম্যাকলারেনের জামাইকার সঙ্গে ড্র করেই তারা হয়ে গেল বিশ্বকাপে ওঠা সবচেয়ে ছোট দেশ। আগে এই রেকর্ড ছিল আইসল্যান্ডের, যারা খেলেছিল ২০১৮ বিশ্বকাপে। কিন্তু কুরাসাওয়ের তুলনায় তাদের দেশ অনেক বড়। মাত্র দেড় লাখের কিছু বেশি জনসংখ্যা কুরাসাওয়ের (যা কেমব্রিজ বা হাডার্সফিল্ডের সমান)। আর আয়তন মাত্র ১৭১ বর্গমাইল। ম্যান দ্বীপের চেয়েও ছোট। জামাইকার কোচ হিসেবে নিজের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সাবেক ইংল্যান্ড ম্যানেজার স্টিভ ম্যাকলারেন। ঘরের মাঠ কিংস্টনে জিতলেই ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে উঠত জামাইকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র। ইনজুরি টাইমে পাওয়া পেনাল্টিটিও ভিএআরের সিদ্ধান্তে বাতিল হয়ে যায়। অন্যদিকে, ব্যক্তিগত কারণে মাঠে উপস্থিত না থাকলেও কুরাসাওয়ের কোচ ডিক অ্যাডভোকাট বয়সের দিক থেকে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। ৭৮ বছর বয়সে তিনি হবেন বিশ্বকাপের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ কোচ। এর আগে এই রেকর্ড ছিল গ্রিসের দায়িত্ব নেওয়া অটো রেহাগেলের। যার বয়স ছিল ২০১০ সালে ৭১। ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে মাত্র ৩৭ মাইল দূরের এই দ্বীপটি ২০১০ সালে নেদারল্যান্ডস অ্যান্টিলিস ভেঙে যাওয়ার পর নেদারল্যান্ডস রাজ্যের অধীন একটি পৃথক দেশ হয়। মাত্র এক দশক আগেও ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে তারা ছিল ১৫০ নম্বরে; এখন তারা উঠে এসেছে ৮২-তে। ৪৮ দল নিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের বর্ধিত ফরম্যাট এবং আয়োজক কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বয়ংক্রিয় যোগ্যতা অর্জন; সব মিলিয়ে কুরাসাওয়ের জন্য পথটা অনেকটাই সহজ হয়েছে। কেপ ভার্দে, উজবেকিস্তান ও জর্ডানের সঙ্গে তারা হয়ে গেল আগামী বিশ্বকাপের চতুর্থ নবাগত দল। ম্যাচের আগে কুরাসাওয়ের মিডফিল্ডার জুনিনহো বাকুনা (হাডার্সফিল্ড, রেঞ্জার্স ও বার্মিংহামের সাবেক খেলোয়াড়) অভিভূত হয়ে বলেছিলেন, “এটা অবিশ্বাস্য। কুরাসাওয়ের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জনের একটি। কয়েক বছর আগেও এমন কিছু কল্পনাই করা যেত না। দলের অংশ হতে পারাটাই নিজের জন্য এক বিশাল স্বপ্নপূরণ হবে।” ১০টি ম্যাচে সাত জয় ও অপরাজিত অবস্থায় বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে তারা।

শততম টেস্টে ফিফটি মুশফিকের

শততম টেস্টে ফিফটি মুশফিকের   মুশফিকুর রহিমের ক্যারিয়ারে আজ বিশেষ এক দিন। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০তম টেস্ট খেলতে নেমেছেন তিনি। আর এমন দিনে এরই মধ্যে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ব্যাট হাতে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯৭ রান। মুশফিক ৫৩ আর মুমিনুল ৬২ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে শেরে বাংলায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আরও একবার ওপেনিংয়ে ভালো শুরু করেন সাদমান ইসলাম আর মাহমুদুল হাসান জয়। সিলেটে আগের টেস্টে ওপেনিং জুটিতে ১৬৮ রান তুলেছিলেন দুইজন। এবারও ওপেনিং জুটিতে ভরসা দিয়েছেন জয়-সাদমান। টেস্টের প্রথম দিনে প্রথম ঘণ্টা দারুণভাবে পার করেন তারা। জুটিতে পঞ্চাশও পার করেন। তবে ঘণ্টা পেরোতেই এই জুটিটা ভেঙে দেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। সাদমানের প্যাডে বল লাগলে শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে জেতে আয়ারল্যান্ড। ৩৫ করে ফেরেন সাদমান। ৫১ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ম্যাকব্রাইনের দ্বিতীয় শিকার হন আরেক ওপেনার জয়। তিনিও সেট হয়ে আউট হন। মিডঅফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩৪ রান করে। এরপর বেশি দেরি করেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। বাংলাদেশ অধিনায়ক ম্যাকব্রাইনকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। পরের বলেই ব্যাট-প্যাডের বিশাল ফাঁক গলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ৮ রান করে। একশর আগে (৯৫ রানে) ৩ উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিম আর মুমিনুল হকের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ১৯২ রান নিয়ে প্রথম দিনের চা-বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতির পরই ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। মুমিনুল আগেই পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি।

যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল, নিহত বেড়ে ২৭৯

যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল, নিহত বেড়ে ২৭৯ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ১০ অক্টোবর দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতি চলমান থাকার পরেও ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার বাহিনীর আগ্রাসন থামছে না। খবর বিবিসির। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ৩৯৩ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ২৭৯ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬৫২ জন। এদিকে দক্ষিণ লেবাননের একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অপরদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী এক শিশু এবং আল জাজিরার এক সাংবাদিককে গুলি করেছে। মঙ্গলবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে গাড়ি চাপা ও ছুরিকাঘাতে একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় ইসরায়েলে মোট ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় দুই বছর ধরে গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ আগ্রাসনে কমপক্ষে ৬৯ হাজার ৪৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৭০৬ জন আহত হয়েছে। ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, গত দুই বছরের কম সময়ে ইসরায়েলি কারাগারে অন্তত ৯৪ ফিলিস্তিনি বন্দি ও আটক ব্যক্তি মারা গেছেন। সংগঠনের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব মৃত্যু পদ্ধতিগত হত্যা ও গোপন করার চেষ্টার অংশ হতে পারে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগের ১০ বছরে ইসরায়েলি হেফাজতে প্রায় ৩০ ফিলিস্তিনি মারা যান। তাদের দাবি, সাম্প্রতিক মৃত্যুর ঘটনা মূলত শারীরিক নির্যাতন, চিকিৎসা-সেবা অস্বীকার, অথবা দুইয়ের সংমিশ্রণে ঘটেছে।

গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় একটি কয়েল কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ফিনিশ নামে কারখানাটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী জানায়, আজ দুপুর পৌনে ১টার দিকে বাঘের বাজার এলাকা অবস্থিত কয়েল কারখানায় আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ধোঁয়ায় পুড়ো এলাকা কালো হয়ে গেছে। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি এবং পরে আরো সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।  গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, “বাঘের বাজার এলাকায় একটি কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের কয়েকটি ইউনিট কাজ করছে।”

মোদিকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন ঐশ্বরিয়া

মোদিকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন ঐশ্বরিয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) অন্ধ্র প্রদেশের পুট্টাপার্থিতে শ্রী সত্য সাই বাবার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের মঞ্চে নরেন্দ্র মোদিক প্রণাম করেন এই প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ খবর প্রকাশ করেছে। এ মুহূর্তের একাধিক ক্লিপে এখন অন্তর্জালে ভাইরাল। তাতে দেখা যায়, মঞ্চে বসে আছেন নরেন্দ্র মোদি, প্রাক্তন ক্রিকেটার সচীন টেন্ডুলকার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম মোহন নাইডুসহ অনেকে। এ মঞ্চে বক্তব্য রাখেন অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া। ৫২ বছর বয়সি ঐশ্বরিয়া অনুষ্ঠানে জাত ও ধর্ম নিয়ে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, “একটাই জাত, মানবতা। একটাই ধর্ম, ভালোবাসার ধর্ম। একটাই ভাষা, হৃদয়ের ভাষা; আর ঈশ্বরও একজন, তিনি সর্বব্যাপী।” তার এই বক্তব্য শুনে উপস্থিত সকলে হাততালি দিয়ে সমর্থন জানান। ঐশ্বরিয়ার তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পা স্পর্শ করে প্রণাম করেন এবং তার আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী তার মাথায় হাত রেখে উষ্ণ অভিবাদন জানান। তারপর নির্ধারিত চেয়ারে গিয়ে বসেন এই অভিনেত্রী। অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়া হলুদ রঙের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেছিলেন। ভিডিও ক্লিপটি দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে নেটিজেনরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।   ব্যক্তিগত জীবনে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন ঐশ্বরিয়া। এ দম্পতির একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। স্বামী-সন্তান নিয়েই অধিক ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত কয়েক বছর ধরে অভিনয়ে দেখা যাচ্ছে না তাকে। ঐশ্বরিয়া অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘পোনিয়িন সেলভান: টু’। ২০২৩ সালের ২৮ এপ্রিল মুক্তি পায় মনি রত্নম পরিচালিত আলোচিত এই সিনেমা। দশম শতাব্দীতে চোল সাম্রাজ্যের এক উত্তাল সময়ের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয় তামিল ভাষার এই সিনেমা। সিনেমাটিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। বক্স অফিসেও দারুণ সাড়া ফেলেছিল এটি।