চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে হেরোইনসহ ৩ যুবক গ্রেপ্তার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে হেরোইনসহ ৩ যুবক গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের দারিয়াপুর এলাকায় সড়কের উপর অভিযান চালিয়ে ২০০ গ্রাম হেরাইনসনহ ৩ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। পদ্মার চর হতে হেরোইন বিক্রির জন্য শহরে পরিবহনকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার কৃতরা হল সদর উপজেলার শাজাহানপুর এলাকার মাহবুর রহমানের ছেলে মোমিন আলী, একই এলাকার তাইনুসুর রহমানের ছেলে নাসিম উদ্দিন ও জোবেদ আলীর ছেলে লতিফুর রহমান। র‌্যাব জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় দারিয়াপুর বাজারে পদ্মার চর থেকে আনা হেরোইন বিক্রি করা হচ্ছে, এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২০০ গ্রাম হেরোইনসহ ঐ ৩ যুবককে হাতেনাতে আটক করা হয়। আজ সকালে র‌্যাব-৫ ব্যাটালিয়নের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাতেনাতে গ্রেপ্তাররা মাদক কারবারি চক্রের সদস্য। আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শিবগঞ্জে টলি উল্টে শ্রমিক নিহত

শিবগঞ্জে টলি উল্টে শ্রমিক নিহত শিবগঞ্জে কংক্রীট ঢালাই কাজে ব্যবহৃত মিক্সচার মেশিনবাহী একটি ট্রলির একটি যন্ত্রাংশ খুলে গিয়ে, ট্রলিটি উল্টে গেলে এর নীচে চাপা পড়ে ট্রলিতে থাকা এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তিনি শিবগঞ্জ পৌর ৯ নং ওয়ার্ডের মর্দানা নয়াপাড়া গ্রামের কসিমুদ্দিনের ছেলে মনিরুল ইসলাম মংলু। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শিবগঞ্জ পৌর কারবালা মোড় এলাকার সড়কে দূর্ঘটনাটি ঘটে। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি গোলাম কিবরিয়া বলেন, সড়কে চলাচলকারী ছোট যানবাহনকে ওভারটেক করার সময় ট্রলিটি দূর্ঘটনার শিকার হয়। এতে ট্রলিতে থাকা শ্রমিক মংলু ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তবে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি।

শীতকালে ফুসফুস ভালো রাখবে এই পানীয়

শীতকালে ফুসফুস ভালো রাখবে এই পানীয় শীতকাল এলেই দূষণের পরিমাণ বেড়ে যায়। সূক্ষ্ম কণা (PM2.5) এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে, যা কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতির কারণ হয়। এই পরিবেশগত সংকটের মধ্যে অনেকেই ঐতিহ্যবাহী অনুশীলনগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন, যা একসময় ফুসফুসের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে বেছে নেওয়া হতো। এরকম একটি সহজ এবং সহজলভ্য প্রতিকার হলো গরম পানিতে গুড় মিশিয়ে খাওয়া। এই পানীয় শরীরের পরিষ্কারক প্রক্রিয়াগুলোকে প্রাকৃতিকভাবে সহায়তা করে। গুড় কেন ফুসফুসের জন্য উপকারী গুড় হলো আখের রস থেকে উৎপাদিত অপরিশোধিত চিনি। এটি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ট্রেস অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ধরে রাখে যা বিপাক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমর্থনে ভূমিকা পালন করে। রক্ত ​​পরিশোধন, গলার জ্বালা কমানো এবং শ্বাস নালী থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্য গুড় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এটি হালকা কফনাশক হিসেবে কাজ করে, শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মা আলগা এবং নির্গমনে সহায়তা করে, বিশেষ করে দূষণ বা ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের জন্য উপকারী। তাই নিয়মিত এই পানীয় পান করলে উপকারিতা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। আধুনিক পুষ্টি গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, গুড় শরীরের মিউকোসিলিয়ারি ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে। মিউকোসিলিয়ারি ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্বাসযন্ত্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা ফুসফুস থেকে দূষণকারী, ধুলো এবং অ্যালার্জেন আটকে রাখতে এবং অপসারণ করতে সহায়তা করে। শ্লেষ্মা গঠন বৃদ্ধি করে এবং লিম্ফ্যাটিক চলাচলে সহায়তা করে, গুড় শ্বাস-প্রশ্বাসের জ্বালা দূর করার জন্য শরীরের ক্ষমতা বাড়ায়। যদিও গুড় ভেজানো পানি পান করা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না, তবে এর জৈবিক সক্রিয় বৈশিষ্ট্যগুলো দূষিত পরিবেশে শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করার প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। সমস্যা বেড়ে গেলে অবশ্যই আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। গবেষণা কী বলছে লখনউয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল টক্সিকোলজি রিসার্চ সেন্টারের একটি গবেষণায় অনুসন্ধান করা হয়েছে যে, ধোঁয়াটে বা ধুলোযুক্ত পরিস্থিতিতে শিল্প কর্মীরা নিয়মিত গুড় খাওয়ার সময় কেন শ্বাসকষ্ট কম হয়। গবেষকরা কয়লার ধুলোর সংস্পর্শে আসা ইঁদুরের ওপর এই পর্যবেক্ষণ পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, যাদের গুড় দেওয়া হয়েছিল, তাদের ফুসফুস এবং লিম্ফ নোড থেকে ধূলিকণার পরিষ্কারের প্রক্রিয়া অপরিশোধিত প্রাণিদের তুলনায় ভালো ছিল। গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, গুড় ফুসফুসের টিস্যুর ক্ষতি এবং ফাইব্রোসিস কমিয়েছে, যা অঙ্গের প্রাকৃতিক স্থিতিস্থাপকতা সংরক্ষণে সহায়তা করেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, গুড় শ্লেষ্মায় সিয়ালিক অ্যাসিড বৃদ্ধি করে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ অপসারণের জন্য শরীরের প্রক্রিয়া, মিউকোসিলিয়ারি ক্লিয়ারেন্স বৃদ্ধি করেছে। এই যৌগটি একটি ঋণাত্মক চার্জ বহন করে যা ধনাত্মক চার্জযুক্ত ধুলো এবং ধোঁয়া কণাগুলোকে আকর্ষণ করে এবং আটকে রাখে, যা শ্বাসনালী থেকে দ্রুত অপসারণকে সক্ষম করে।

পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষ আর পিঁপড়ার ওজন সমান!

পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষ আর পিঁপড়ার ওজন সমান! বিশ্বে ১২,০০০-এর বেশি প্রজাতির পিঁপড়া রয়েছে, এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি বড় এবং কিছু প্রজাতি ছোট। একটি পিঁপড়া তার নিজের ওজনের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ গুণ বেশি ওজন বহন করতে পারে। পিঁপড়া গবেষকদের মতে, ‘‘পৃথিবীতে যত পিঁপড়া আছে, তাদের জৈববস্তু পৃথিবীতে বসবাসকারী ৭০০ কোটি মানুষের জৈববস্তুর ওজনের সমান।’’ পিঁপড়ার কোনো ফুসফুস বা কান নেই। তারা হাঁটু ও পায়ের বিশেষ কম্পন সেন্সরের মাধ্যমে আশেপাশের পরিস্থিতি বুঝতে পারে। পিঁপড়া ফেরোমন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে এবং সারিবদ্ধভাবে খাবার সংগ্রহ করে। পিঁপড়াদের রানি, পুরুষ ও শ্রমিক পিঁপড়ার মধ্যে কাজের বিভাজন থাকে। রানি ডিম পাড়ে, পুরুষ প্রজননে সহায়তা করে, এবং শ্রমিকরা খাদ্য সংগ্রহ ও বাসা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে থাকে। প্রায় ২০০ প্রজাতির পিঁপড়াকে সৈনিক পিঁপড়া বলা হয়। সৈনিক পিঁপড়ারা আক্রমণাত্মক আচরণ করে। ক্ষুদ্র এই প্রাণীটি ডাইনোসরের সময় থেকে এখন পর্যন্ত টিকে আছে এবং বৈজ্ঞানিকদের ধারণা পৃথিবীতে মানব জাতির আগনের কয়েক কোটি বছর আগে থেকে পৃথিবীতে পিঁপড়া ছিলো। তথ্যসূত্র: নিউজ ১৮

যে পাখি দিনের কাজ শুরু করে ৯টায়

যে পাখি দিনের কাজ শুরু করে ৯টায় বিশ্বের বেশিরভাগ পাখি খুব ভোরে জেগে যায়, এবং খাদ্যের সন্ধ্যানে বেরিয়ে পড়ে। সেই বিচারে সেবু ফ্লাওয়ারপেকার আলাদা। নিজেদেরকে অন্যান্য শিকারি পাখির হাত থেকে বাঁচাতে সকালে তারা বাসাতেই থাকে। সেবু ফ্লাওয়ারপেকার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে খাদ্য সন্ধ্যানে বের হয়। বা এই সময়ের মধ্যে সক্রিয় থাকতে পছন্দ করে। খাদ্য সংগ্রহের সময়, এই পাখি তার পছন্দের ফুলের গাছের দিকে দ্রুত উড়ে যায়। খাবার খায় এবং তারপরে তাৎক্ষণিকভাবে উড়ে যায়। যদিও সেবু ফ্লাওয়ারপেকার খুব কমই ডাকে, এর শব্দ পিগমি ফ্লাওয়ারপেকারের ডাকের মতো। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মনে করা হয়েছিলো যে, পৃথিবীর বন থেকে ফ্লাওয়ারপেকার হারিয়ে গেছে, বা বিলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু ১৯৯২ সালে মধ্য সেবু সুরক্ষিত ভূমির ছোট এক চুনাপাথর বনে দেখা দেয়। এবং সেই ধারণা পাল্টে যায়। সেবু হলো ফিলিপাইনের একটি দ্বীপপুঞ্জ। বর্তমানে ধারণা করা হয়, ৮৫ থেকে ১০৫টি ফ্লাওয়ারপেকার জীবিত আছে। এই অল্পসংখ্যক পাখিকে টিকিয়ে রাখতে জোর চেষ্টা চলছে।

শীতকাল এলেই ‘স্নো ফেইরি’ হয়ে যায় বরফের বলের মতো

শীতকাল এলেই ‘স্নো ফেইরি’ হয়ে যায় বরফের বলের মতো ‘জাপানি স্নো ফেইরি’ হলো লম্বা লেজযুক্ত টিট পাখির একটি উপ-প্রজাতি, যা জাপানের হোক্কাইডো অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। এটি দেখতে ছোট ও তুলতুলে সাদা। স্নো ফেইরি দৈর্ঘ্যে সাধারণত ১২ থেকে ১৬ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এর লেজের অংশ কালো আর দেহের অংশ সাদা। এই পাখিটির আসল নাম শিমা এনাগা। শিমা মানে দ্বীপ। এনাগা মানে হচ্ছে লম্বা লেজওয়ালা পাখি। খুবই আদুরে এই পাখি জাপানের হোক্কাইদোতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। যদিও এর কিছু আত্মীয়-স্বজন ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকায়ও বাস করে। এই পাখির পুরো শরীর সাদা পালকে ঢাকা থাকে এবং চোখ দুটি ছোট ও কালো হওয়ায় এদের দেখতে অনেকটা তুলোর বলের মতো লাগে। এদের এই নরম তুলতুলে সাদা চেহারার কারণেই ‘বরফের পরী’ বা ‘স্নো ফেইরি’ ডাকনাম দেওয়া হয়েছে। শীতকালে এদের দেহের পালক শীত থেকে বাঁচার জন্য ফুলতে থাকে। যেন এরা নিজের দেহকে গরম রাখতে পারে। সে সময় এদের সাদা পালক এতটাই ফুলে ওঠে যে দেহটা গোলাকার হয়ে যায়। তখন পাখিগুলোকে দেখলে বরফের বল মনে হয়।

যেসব অভিযোগে মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

যেসব অভিযোগে মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। ব্যবসায় অংশীদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২৭ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ করা ও হত্যার হুমকি দেওয়ার’ অভিযোগে এ পরোয়ানা জারি করা হয়। ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আফরোজা তানিয়া গত ১০ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার বাদী আমিরুল ইসলাম রোববার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তথ্য নিশ্চিত করেন। আমিরুল বলেন, গত ১০ নভেম্বর মামলার আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ঠিক থাকলেও তারা আসেনি। এজন্য আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামি ১৮ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছে আদালত। মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আমিরুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ২৭ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় আমিরুল ইসলাম বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দিব, কালকে দিবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে। পরবর্তীতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকালে পাওনা টাকা চাইতে যান তিনি। তাকে ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না। তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব’। এসব কথা বলে তারা আমিরুলকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয়। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম গত ২৪ মার্চ বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানার খবর উড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন। অভিনেত্রী তার ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘অনলাইনে আমার নাম ব্যবহার করে কিছু ভিত্তিহীন ‘মামলা’ সংক্রান্ত খবর ছড়িয়ে পড়ছে। আমার সকল সাংবাদিক সহকর্মীদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে কোনো প্রকার যাচাইহীন ও সত্যতা-বিহীন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকুন।

মাদককাণ্ডে দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে নাম, কড়া বার্তা দিলেন নোরা ফাতেহি

মাদককাণ্ডে দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে নাম, কড়া বার্তা দিলেন নোরা ফাতেহি বলিউডের সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগসূত্র নতুন কিছু নয়। এর আগে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে নাম জড়িয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন অনেক তারকা। সম্প্রতি মাদক পাচার তদন্তে আরও কয়েকজন বলিউড তারকার পাশাপাশি সেই তালিকায় উঠে এসেছে নোরা ফাতেহির নাম। এরপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত ট্রোলের শিকার হচ্ছেন তিনি। এ অভিযোগ নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন নোরা। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নোরা ফাতেহি লিখেছেন, ‘আমি পার্টিতে যাই না। আমি বিরতিহীন কাজ করি। আমার কোনো ব্যক্তিগত জীবন নেই। পার্টি করতে ভালোবাসেন এমন লোকদের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করি না। যদি ছুটি নিই, তাহলে দুবাইয়ের নিজের বাড়িতে বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করি। দাউদ ইব্রাহিমের মাদক পার্টির সাথে তার নাম জড়িত থাকার অভিযোগ নাখোস করে দিয়েছেন নোরা। তার দাবি, একটি গোষ্ঠি তার বদনাম ছড়ানোর জন্য মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা প্রতিহত করতে চান তিনি। তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, আমার নামটাই সবার কাছে সহজ লক্ষ্য। কিন্তু আর এটা হতে দেব না। অনেকে আমার বদনাম ছড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এর আগেও তারা মিথ্যা খবর ছড়িয়েছে কিন্তু তা কোনো কাজে আসেনি। এর আগে বিষয়গুলো নিয়ে আমি চুপ করে ছিলাম। কিন্তু এখন আর চুপ থাকবো না। সম্প্রতি নোরা ফাতেহিকে দেখা গেছে আয়ুষ্মান খুরানা ও রাশ্মিকা মন্দান্না অভিনীত ‘থামা’ ছবির ‘দিলবার কি আঁখো কা’ গানে। শিগগিরই দক্ষিণ ভারতীয় হরর সিনেমা ‘কাঞ্চনা ৪’-এও দেখা যাবে তাকে। সূত্র: ইন্ডিয়া ডটকম ও মাসালা

পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে শ্রীলংকা

পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে শ্রীলংকা দীর্ঘ ছয় বছর পর পাকিস্তান সফরে রয়েছে শ্রীলংকা ক্রিকেট দল। এই সফরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছে শ্রীলংকা। তারই ধারাবাহিকতায় রাওয়ালপিন্ডিতে আজ পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ৩য় ওডিআই ম্যাচটি শুরু হয়েছে বিকেল সাড়ে ৩টায়। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। তবে তাদের বোলাররা শুরুতেই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছেন। পাক বোলারদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করছেন। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছে শ্রীলংকা।

জনপ্রিয় মার্কিন গায়ক একন ভারতে কনসার্টে হেনস্তার শিকার

জনপ্রিয় মার্কিন গায়ক একন ভারতে কনসার্টে হেনস্তার শিকার জনপ্রিয় মার্কিন গায়ক একন বর্তমানে ভারত ভ্রমণ করছেন। এই সফরে কয়েকটি কনসার্ট করার কথা ছিল একনের। গত ৯ নভেম্বর ভারতে তার এই সফর শুরু হয়। তবে এবার ভারতে একনের ভাগ্য খুব একটা ফলপ্রসূ নয়। ব্যাঙ্গালুরুতে নিজের কনসার্ট চলাকালে তাইতো হেনস্তার শিকার হয়েছেন জনপ্রিয় এই মার্কিন গায়ক। গত শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ব্যাঙ্গালুরুতে তার কনসার্টে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে। জানা যায়, ব্যাঙ্গালুরুর অনুষ্ঠানস্থলের ভিআইপি আসনের সামনে দাঁড়িয়ে গাইছিলেন একন। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গায়ক গান গাইতে গাইতে বারবার তার প্যান্ট টেনে তোলার চেষ্টা করছেন। ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী, ওই সময় একদল অতি-উচ্ছ্বসিত অনুরাগী তাকে জোর করে মঞ্চের দিকে বা দর্শকদের ভিড়ের মধ্যে নামিয়ে আনার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তারা গায়কের প্যান্ট ধরে টানাটানি শুরু করে দেন। এই বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও গায়ক মাথা গরম না করে গান চালিয়ে যান। তবে ভিডিওতে তার অস্বস্তি বেশ স্পষ্ট ছিল। পরিস্থিতির শিকার হয়েও তিনি গান বন্ধ করেননি। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর ভারতীয় দর্শকদের একটি বড় অংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা মন্তব্য বিভাগে এই অনৈতিক আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তাদের মতে, কিছু ব্যক্তির উচ্ছৃঙ্খল আচরণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।