জরায়ু নিয়ে কোন বয়স থেকে মেয়েদের সতর্ক হওয়া উচিত

জরায়ু নিয়ে কোন বয়স থেকে মেয়েদের সতর্ক হওয়া উচিত ওজন বেশি বা স্থূলত্ব রয়েছে এমন মহিলাদের জরায়ুতে সিস্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ওজন বেশি মানেই সিস্ট হবে, তা নয়। জরায়ুতে সিস্ট বা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘ওভারিয়ান সিস্ট’ হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ কাজ করে। তাই ঝুঁকির কারণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকাই জরুরি। ওভারিয়ান সিস্ট কী? ‘ওভারিয়ান সিস্ট’ মূলত ডিম্বাশয়ের ভিতরে থলির মতো মাংসল পিণ্ড, যার ভিতরে রক্ত বা তরল পদার্থ থাকতে পারে। চিকিৎসক মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায়ের মতে, সিস্ট মানেই ক্যানসার নয়। এটি একটি টিউমার জাতীয় বৃদ্ধি, যা ম্যালিগন্যান্ট (ক্যানসারযুক্ত) অথবা বিনাইন (ক্যানসারহীন) হতে পারে। তবে যদি সিস্টের দেওয়াল পুরু হয় এবং কোষের অনিয়মিত বিভাজন শুরু হয়, তখন তা ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে। কোন বয়স থেকে ঝুঁকি বাড়ে? বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেয়েদের জরায়ুতে সিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ সময়ের সিস্ট তাড়াতাড়ি সেরে যায়। কিন্তু রজোনিবৃত্তির পর (menopause-এর পর) সিস্ট হলে তা বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ এ সময়ে শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই সিস্ট মারাত্মক আকার নিতে পারে এবং অনিয়মিত রক্তপাতের ঝুঁকি তৈরি হয়। ওভারিয়ান সিস্টের ঝুঁকি যাদের বেশি : যাদের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) রয়েছে যাদের এন্ডোমেট্রিওসিস আছে হরমোন থেরাপি নেওয়া মহিলারা ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন নারীরা অন্য কোনো ক্যানসারের চিকিৎসা যেমন রেডিয়োথেরাপি বা কেমোথেরাপি নিয়েছেন স্তন ক্যানসারের ওষুধ ব্যবহারকারীরা সম্ভাব্য জটিলতা ও চিকিৎসা ডিম্বাশয়ের সিস্ট থাকলে ডিম্বাণু পরিপক্ব হতে বা বেরোতে সমস্যা হয়, ফলে গর্ভধারণে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সিস্ট বিনাইন হয় এবং ওষুধের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণযোগ্য। ক্যানসারের সম্ভাবনা থাকলে CA-125 টেস্ট, আলট্রাসাউন্ড এবং প্রয়োজনে সার্জারি করা হয়। তবে প্রতিটি সিস্টের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয় না অনেক ক্ষেত্রেই ওষুধ ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণই যথেষ্ট। চিকিৎসকদের পরামর্শ : ১৪ বছর বয়সের পর থেকেই মেয়েদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি। মাসিক অনিয়ম, তলপেটে ব্যথা, ওজন বেড়ে যাওয়া বা মুখে ব্রণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রজোনিবৃত্তির পর অনিয়মিত রক্তপাত হলে দ্রুত গাইনোকলজিস্টের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসকদের মতে, সচেতনতা ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা থাকলে ওভারিয়ান সিস্ট বড় কোনো সমস্যা নয়, বরং সময়মতো ধরা পড়লে সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

বাজ অলড্রিনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে মানবজাতির প্রথম মহাকাশ সেলফি !

বাজ অলড্রিনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে মানবজাতির প্রথম মহাকাশ সেলফি ! মহাকাশ অনুসন্ধানের ইতিহাসে ১৯৬৬ সাল একটি অনন্য অধ্যায়। ওই বছরই প্রথমবারের মতো একজন নভোচারী মহাকাশে নিজের ছবি তোলেন—যা ইতিহাসে স্থান পায় পৃথিবীর বাইরের প্রথম সেলফি হিসেবে। এই ঐতিহাসিক ছবিটি তুলেছিলেন মার্কিন নভোচারী এডউইন ই. ‘বাজ’ অলড্রিন জুনিয়র, জেমিনি–১২ মিশনের সময়। জেমিনি–১২ মিশনটি ১৯৬৬ সালের ১১ নভেম্বর মহাকাশে পাঠানো হয়, মহাকাশযানের ডকিং (সংযুক্তকরণ) কৌশল পরীক্ষা করার জন্য। অভিযানে কমান্ডার ছিলেন জেমস এ. লভেল জুনিয়র, আর পাইলট ছিলেন বাজ অলড্রিন। ১৩ নভেম্বর অলড্রিন তার তিনটি স্পেসওয়াকের (মহাশূন্যে হাঁটা) দ্বিতীয়টিতে অংশ নেন, যার সময়কাল ছিল ২ ঘণ্টা ৬ মিনিট। মূলত দৃশ্যমান তারকাক্ষেত্রের ছবি তোলাই ছিল তার দায়িত্ব। কাজের ফাঁকেই তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের একটি ছবি তোলেন—যা পরবর্তীতে পৃথিবীর বাইরের প্রথম সেলফি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ছবিতে অলড্রিনকে দেখা যায় গভীর মহাকাশের পটভূমিতে, তার স্পেসস্যুট ও হেলমেটের প্রতিফলনে মহাকাশযান ও পৃথিবীর অংশও দেখা যায়। পরবর্তীতে অলড্রিন অ্যাপোলো–১১ অভিযানে চন্দ্রাভিযানেও অংশ নেন এবং জানান, তার ঝুলিতে এই ‘প্রথম সেলফি’ একটি গর্বের অর্জন। ছবিটি তোলার সময় অলড্রিন ব্যবহার করেছিলেন একটি বিশেষ আলট্রাভায়োলেট (ইউভি) ক্যামেরা, যা তৈরি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নভোচারী কার্ল হেনাইজ। ইউভি বিকিরণ (অদৃশ্য আলোর রশ্মি) পরিমাপের জন্য বিশেষ লেন্স ও ফিল্টার ব্যবহৃত হয়েছিল, যেন অন্য বিকিরণগুলো বাদ দেওয়া যায়। জেমিনি–১২ মিশনে ব্যবহৃত আসল ইউভি ক্যামেরাটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। মানব মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে এটা এক স্মারক হিসেবে বিবেচিত।

অস্ট্রেলিয়ায় মিলল ৫ কোটি ৫০ লাখ বছর প্রাচীন কুমিরের ডিমের খোসা !

অস্ট্রেলিয়ায় মিলল ৫ কোটি ৫০ লাখ বছর প্রাচীন কুমিরের ডিমের খোসা ! অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে এক ভেড়ার খামারের পেছনের উঠোনে প্রায় ৫ কোটি ৫০ লাখ বছর পুরোনো কুমিরের ডিমের খোসা পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এগুলো সম্ভবত প্রাগৈতিহাসিক ধরনের কুমির ‘ড্রপ ক্রোক’-এর। তারা গাছে উঠে শিকার ধরত বলে ধারণা করা হয়। এই আবিষ্কারটি সম্প্রতি জার্নাল অব ভার্টিব্রেট প্যালিয়োনটোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ডিমের খোসাগুলো ‘মেকোসুকাইন’ নামের এক বিলুপ্ত কুমির প্রজাতির। তারা অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে বাস করত। অস্ট্রেলিয়া তখন ছিল অ্যান্টার্কটিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত এক মহাদেশের অংশ। গবেষণার সহলেখক ও ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের জীবাশ্মবিজ্ঞানী প্রফেসর মাইকেল আর্চার বলেন, ড্রপ ক্রোক ধারণাটা অদ্ভুত শোনালেও, কিছু কুমির হয়তো চিতাবাঘের মতো গাছ থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে শিকার ধরত। এই প্রজাতির কুমিরের দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ মিটার পর্যন্ত হতো। তারা ৩৮ লাখ বছর আগের আধুনিক লবণপানির বা মিঠা পানির কুমিরের আগের যুগের বাসিন্দা ছিল। ডিমের খোসাগুলো বহু দশক আগে পাওয়া গেলেও সম্প্রতি স্পেনের বিজ্ঞানীদের সহায়তায় বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আগের কিছু গবেষণায় পাওয়া যায়, প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ বছর আগেও মেকোসুকাইন কুমিররা বেঁচে ছিল এবং তাদের কিছু ছিল আধা-গাছে ওঠা বা আংশিক গাছে বসবাসকারী ‘ড্রপ ক্রোক’। প্রফেসর আর্চার ১৯৮০-এর দশক থেকে কুইন্সল্যান্ডের মারগন এলাকায় গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ জায়গাটি এখন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে পুরনো জীবাশ্ম আবিষ্কারের স্থানগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত। গবেষক ড. মাইকেল স্টেইন জানান, এই প্রাচীন বনভূমিতেই পাওয়া গেছে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো গান গাওয়া পাখি, অস্ট্রেলিয়ার প্রথম দিকের ব্যাঙ ও সাপ, দক্ষিণ আমেরিকান বংশের ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বাদুড়ের জীবাশ্ম। আর্চার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৮৩ সালে আমরা সেখানে গিয়ে স্থানীয় কৃষকের দরজায় কড়া নেড়ে বলেছিলাম—আমরা কি একটু খনন করতে পারি? তারা হাসিমুখে বলেছিল, ‘অবশ্যই।’ তারপর থেকেই একের পর এক অবাক করা আবিষ্কার আসছে, এবং আমরা জানি, এখনো অনেক রহস্য মাটির নিচে লুকিয়ে আছে। এই আবিষ্কার শুধু প্রাচীন প্রাণিবিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত খুলেই দেয়নি, বরং লক্ষ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রাণজগৎ কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ ও চমকপ্রদ ছিল দেখিয়েছে। সূত্র : বিবিসি

সবুজ-লাল আলোয় রঙিন রাতের আকাশ !

সবুজ-লাল আলোয় রঙিন রাতের আকাশ ! সূর্যের শক্তিশালী বিকিরণে সৃষ্ট বিরল প্রাকৃতিক দৃশ্য নর্দার্ন লাইটস (Aurora Borealis) এবার দেখা গেছে দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, আলাবামা, জর্জিয়া এবং এমনকি উত্তর ফ্লোরিডা থেকেও এই মনোমুগ্ধকর আলোকরেখা দেখা গেছে মঙ্গলবার রাতে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্য থেকে নির্গত একাধিক শক্তিশালী বিকিরণ বা করোনাল মাস ইজেকশন পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে আঘাত হেনেছে। এই বিকিরণগুলো বায়ুমণ্ডলের উচ্চস্তরে থাকা বিদ্যুতায়িত কণার সঙ্গে সংঘর্ষে রঙিন আলোর সৃষ্টি করেছে। ফলে আকাশজুড়ে সবুজ, লাল ও বেগুনি রঙের ঢেউয়ের মতো আলো ছড়িয়ে পড়েছে। এই সৌরঝড়কে জি-৪ (G4) পর্যায়ের ‘গুরুতর ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার। পাঁচ ধাপের স্কেলে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রা। আগামী দুই রাতেও এমন ঝড় অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জি-৪ মাত্রার ঝড়ে সাধারণত বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ সমস্যা, জিপিএস সিগন্যাল বিভ্রাট, এবং রেডিও ও স্যাটেলাইট যোগাযোগে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। তবে এইবারের ঝড়টি এখন পর্যন্ত শুধু আকাশে চমৎকার আলোর প্রদর্শনী ঘটিয়েছে, বড় কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। স্পেস ওয়েদার বিশেষজ্ঞ শন ডাল জানিয়েছেন, সূর্যের সক্রিয় দাগের একটি বড় গুচ্ছ থেকে আরও শক্তিশালী বিকিরণ বুধবার দুপুর নাগাদ পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারে। এতে আগামী রাতগুলোতেও দক্ষিণাঞ্চলে আলোর এই নাচ দেখা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সৌরঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট এই নর্দার্ন লাইট কেবল মনোমুগ্ধকর দৃশ্যই নয়, বরং এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় মানব সভ্যতা যত উন্নতই হোক না কেন, প্রকৃতি ও সূর্যের প্রভাবের বাইরে নয়।

শিবগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৫ হাজার পিস মাদকদ্রব্য জব্দ

শিবগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৫ হাজার পিস মাদকদ্রব্য জব্দ শিবগঞ্জ উপজেলা সীমান্তে ইয়াবা ও নেশাকারক ট্যাবলেট জব্দ করেছে বিজিবি। তবে এ অভিযানে কেউ আটক হয়নি। বিজিবি জানায়, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চকপাড়া বিওপির একটি বিশেষ টহল দল শাহাবাজপুর ইউনিয়নের উপচকপাড়া গ্রামের উনিশবিঘা নামক এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে মালিকবিহীন ৫ হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডল নেশাকারক ট্যাবলেট জব্দ হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯বিজিবি মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, অভিযানকালে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরকারবারিরা পালিয়ে যায়। অভিযানে জব্দ মাদকদ্রব্য শিবগঞ্জ থানায় জমা করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আহত করেছে ডাকাত দল

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আহত করেছে ডাকাত দল চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডাকাতদের ধারাল অস্ত্রের আাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন সদর থানার আমনুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) নুরুল ইসলাম। গতকাল রাত সোয়া ১১টার দিকে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আমনুরা বাইপাস সড়কের মারিয়াপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র। জানা গেছে, রাত ১১টার দিকে থানায় ‘৯৯৯’ হটলাইন থেকে কল আসে মারিয়াপাড়া এলাকায় ফাঁকা সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত। খবরটি আমনুরা ক্যাম্পে জানানো হলে নিয়মিত টহলে থাকা এসআই নুরুল ইসলাম মোটরসাইকেলে একজন এএসআইকে এবং একটি অটোরিক্সায় ৪ জন কনষ্টেবলকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেন। প্রথমে মাটরসাইকেলে এসআই নুরুল ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর আক্রমন করে ডাকাতরা। এর মধ্যেই অটোরিক্সায় থাকা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে ডাকাতরা ধানক্ষেতের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরে ওই ডাকাত দল আমনুরা থেকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালাগামী ওই সড়কে গভীর রাত পর্যন্ত ডাকাতি করে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ – ওসি শাহিন আকন্দ জানান, ঘটনার পর এসআই নুরুলকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন রোধে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন রোধে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নে “বাল্যবিবাহ রোধ ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের স্ট্রেংদেনিং সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার সদর থানার পুলিশ অফিসার মুনজুর রহমান। মুনজুর রহমান। ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাসুম পারভেজের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক উত্তম মন্ডল, আমনুরা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুদরতে খোদা, ঝিলিম ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা কর্মী বারকাতুল্লাহ, কে. এম. উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুখলেসুর রহমান, দরগাপাড়া জামে মসজিদের খতিব আবদুল হামিদসহ অন্যরা। সভায় বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ, শিশুর প্রতি সহিংসতা ও নারীর প্রতি বৈষম্য সমাজ থেকে দূর করতে হলে পরিবার, বিদ্যালয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি। তাই সচেতন সমাজই পারে নিরাপদ ও সহিংসতামুক্ত প্রজন্ম গড়ে তুলতে। শেষে উপস্থিত সবাই বাল্যবিবাহ ও শিশুনির্যাতনমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

জয়ের সেঞ্চুরির সঙ্গে দুই ফিফটিতে টাইগারদের দাপট

জয়ের সেঞ্চুরির সঙ্গে দুই ফিফটিতে টাইগারদের দাপট সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরিকে টেনে ডাবল সেঞ্চুরির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন মাহমুদুল হাসান জয়। মুমিনুল হকও আছেন সেঞ্চুরির পথে। তার আগে সেঞ্চুরি মিস করেছেন সাদমান ইসলাম। তবু সবমিলিয়ে সিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিনটা পুরোই বাংলাদেশের দখলে। আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ২৮৬ রানের জবাবে টাইগাররা দিন শেষ করেছে ৮৫ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করে। জয় ১৬৯ আর মুমিনুল ৮০ রানে অপরাজিত আছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ৫২ রানের। এর আগে দিনের শুরুতে আয়ারল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৮৬ রানে। স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ৩ উইকেট, আর হাসান মুরাদ ও তাইজুল ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট। ফাস্ট বোলার হাসান মাহমুদও ছিলেন দারুণ, তুলে নেন ২ উইকেট। আয়ারল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে লড়েছেন পল স্টার্লিং (৬০) ও কেড কার্মাইকেল (৫৯), তবে দলের বাকিরা বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা পায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। প্রথম উইকেট জুটি যোগ করে ১৬৮ রান। যেখানে সাদমান খেলেন ৮০ রানের ইনিংস। এরপর মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে জয় গড়ে তোলেন আরেকটা শতরানের জুটি। দিনের শেষ বিকেলে আয়ারল্যান্ডের বোলারদের ক্লান্ত করে তোলেন এই দুই ব্যাটার। ৮৫ ওভারের খেলায় বাংলাদেশের রানরেট প্রায় ৪, যা টেস্টের হিসেবে বেশ দ্রুতগতির। জয় ২৮৩ বলে ১৪টি চার ও ৪টি ছয়ে ১৬৯ রানে অপরাজিত, মুমিনুল ১২৪ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৮০ রানে অপরাজিত আছেন।

বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি

বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি বৃহস্পতিবার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত কথিত লকডাউন উপেক্ষা করে ঢাকাসহ দেশের সব দোকান, বাণিজ্য বিতান এবং শপিংমল যথারীতি খোলা রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি ও ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির স্ট্যান্ডিং কমিটির যৌথ সভায় আগামী ১৩ নভেম্বর ঢাকাসহ বাংলাদেশের সব দোকান, বাণিজ্য বিতান এবং শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের সব দোকান, বাণিজ্য বিতান এবং শপিংমল যথারীতি খোলা থাকবে। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে অনেকটা ছন্নছাড়া অবস্থায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। গণহত্যায় অভিযুক্ত দলটির কার্যক্রমও ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। আগামী নির্বাচনে দলটির অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। এই অবস্থায় বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা দেশের নেতাকর্মীদের উসকানি দিয়ে মাঠে নামানোর পাঁয়তারা করছেন। গণহত্যার অভিযোগে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা হবে বৃহস্পতিবার। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ তাদের অস্তিত্ব জানান দিতে চাচ্ছে। দলটি অনলাইনে ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু স্থানে ঝটিকা মিছিল ছাড়া তেমন কোনো তৎপরতা কোথাও নেই। তবে গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। যেকোনো মূল্যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড রুখতে সারাদেশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে : প্রধান উপদেষ্টা

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে : প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে কানাডীয় সাত সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল। বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাতে প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান। সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতা আরও জোরদার করা এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে দেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ও আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, আপনারা এমন এক সময় বাংলাদেশে এসেছেন, যখন দেশটি এক ঐতিহাসিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে—একটি তরুণ-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে। এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি কানাডার দীর্ঘদিনের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের আট বছর পেরিয়ে গেছে। তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনই একমাত্র টেকসই সমাধান—এর কোনো বিকল্প নেই। প্রায় ১২ লাখ মানুষ এখানে বসবাস করছে। হাজার হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে, বড় হচ্ছে—কিন্তু তারা জানে না তাদের নাগরিকত্ব কী, ভবিষ্যৎ কী। তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান জানান, তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বক্তব্য দেবেন এবং এ বিষয়ে কানাডার অব্যাহত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলছি। এটি একটি গুরুতর মানবিক উদ্বেগের বিষয়। বিশ্বের উচিত তাদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগী হওয়া। তিনি প্রফেসর ইউনুসকে ধন্যবাদ জানান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তার অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সংসদ সদস্য সালমা জাহিদ (স্কারবোরো সেন্টার–ডন ভ্যালি ইস্ট, লিবারেল), সামির জুবেরি—বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক মন্ত্রীর সংসদীয় সচিব এবং পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য; মাহমুদা খান, হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনালের (এইচসিআই) গ্লোবাল সিইও; মাসুম মাহবুব, হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ (এইচসিইউএসএ)-এর সিইও; আহমদ আতিয়া, জেস্টাল্ট কমিউনিকেশনসের সিইও; এবং উসামা খান, ইসলামিক রিলিফ কানাডার সিইও।